নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিক্ষাই দরিদ্রদের জন্য সম্পদ।

সোনাগাজী

একমাত্র সোস্যালিষ্ট অর্থনীতি বাংগালী জাতিকে নিজ পায়ে দাঁড়াতে সাহায্য করবে।

সোনাগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঢাল নেই, বর্ম নেই, ভালো বংশের সর্দার!

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:০৭



আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্সের (AI ) জন্মস্হান হচ্ছে আমেরিকা; কিন্তু ইহাকে কন্ট্রোলে আনার আগেই, ইহা চীন,রাশিয়া ও ভারতের কম্প্যুটিং'এ জিনিয়াস লোকদের হাতে চলে গেছে! চীন, রাশিয়া ও ভারতের যাদের মাথায় এই বিদ্যা চলে গেছে, তারা কিন্তু নির্ভরযোগ্য মানুষ নয়, এদেরকে বেচাকেনা করা সম্ভব। গত ১ বছর ধরে আমেরিকার একাডেমিকরা চিন্তিত যে, আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স যদি দুষ্টদের হাতে চলে যায়, বিশ্বে এমন বিশৃংখলার সৃষ্টি হবে, যেটাকে কন্ট্রোল করা অসম্ভব হয়ে যাবে।

আমেরিকানরা যখন বসে ভাবছে আর ভাবছে, কিন্তু কিছুই করছে না, তখন পুরাতন বিশ্বের সর্দার, বৃটেন এই সমস্যাকে ঠেকানোর জন্য এক সামিট ডেকেছিলো গেলো সপ্তাহে ( নভে: ১, ২ ); সামিট হয়েছে বাকিংহামশায়ারের ব্লিচলী পার্কের ১টি বিখ্যাত ম্যানশনে; এই ম্যানশনে বসে বুদ্ধিমান লোকেরা ২য় বিশ্বযুদ্ধের সময়, জার্মান ও জাপানীদের টেলিগ্রাফের কোড ভেংগে বার্তা উদ্ধার করতো; ঐতিহাসিক গুরুত্ব আছে ইহার।

AI আজকের উন্নত দেশগুলোতে বুদ্ধিভিত্তিক সমাজ সৃষ্টিতে সাহায্য করছে, ইতিমধ্যে ইহার প্রয়োগ শুরু হয়েছে; কিন্তু ইহার সাইড-এ্যাপেক্ট আছে, যা কয়েকভাবে বিশ্বকে নাড়া দেবে। সম্প্রতি, আমেরিকানরা এই ধরণের একটা সাইড-এ্যাপেক্ট হ্যান্ডলিং করেছে, সেটা ছিলো হলিউডের সিনেমার স্ক্রিপ্ট রাইটিং নিয়ে। হলিউডের প্রডিউসারেরা প্রফেশানেল লেখকদের বাদ দিয়ে কাজের বড় অংশ সেরে ফেলছিলো মেশিন দিয়ে, এতে রাইটারেরা রাস্তায় বসার উপক্রম হয়েছিলো; রাইটারেরা দীর্ঘ ধর্মঘট করে, তাদের অধিকার ফেরত পেয়েছে, কিন্তু অনেক অনেক যায়গায় হাজার কিংবা মিলিয়ন মানুষ বেকার/অর্ধবেকার হবে ভবিষ্যতে।

ইহার থেকে ভয়ংকর ঘটনাও ঘটতে পারে: দুষ্টলোকেরা অনেক সরকারী ও আন্তর্জাতিক সিদ্ধান্তকে বদলায়ে দেয়ার সম্ভাবনা আছে। এইজন্য AI নিয়ে বিশ্বের সরকারগুলোকে কিছু নিয়ম, কিছু প্রোটোকল মেনে চলতে হবে; সেটার প্রাথমিক রূপরেখা ও রোডম্যাপ নিয়ে ভাবার জন্য বৃটেন বিশ্বের উন্নত দেশগুলো, AI নিয়ে কর্মরত কর্পোরেশনসমুহ ও বড় বড় ইউনিভার্সিটিগুলোকে এক যায়গায় বসে আলাপের ব্যবস্হা করেছিলো।


মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:২৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি ব্রিটেনের এই উদ্যোগ নিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম কয়েক মাস আগে। তাদের উদ্যোগে বিষয়টা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে আলোচনা হয়েছে। এআইয়ের অপ ব্যবহারের দ্বারা বড় বিপর্যয় হওয়ার আগেই সারা বিশ্বের মানুষকে এই বিষয়ে নিয়ম নীতি প্রণয়ন করতে হবে। আমার পোস্টের লিঙ্কটা নীচে দিলাম। Click This Link

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৪০

সোনাগাজী বলেছেন:



আপনার পোষ্ট পড়লাম।

বর্তমান বিশ্বে অনেকগুলো দেশে ভয়ংকর লোকেরা ক্ষমতায় আছে ও আসবে ( পুটিন, জিলেনস্কি, নেতানিয়াহু, শি জিনপিং, ট্রাম্প, মোদী, আয়াতোল্লাহ, কিম ); আইএ'র মুল ধারণা ইতিমধ্যেই খারাপ লোকদের হাতে চলেই গেছে।

২| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৫৪

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- প্রতিটি নতুন প্রযুক্তি একেক সময় এসে একেক শ্রেণীর লোকদের কর্মহীন করেছে। সেগুলির তুলনা এআই এর পরিধীটা অনেক বড়।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:০২

সোনাগাজী বলেছেন:



সামিটটা দেরীতে শুরু হয়েছে; তবে, আশার আলো হলো, শক্তিশালী এআই'এর হার্ডওয়ার এখনো আমেরিকার কন্ট্রোলে। চীন এই কারণে তাইওয়ান দখলের কথা ভাবছে, ওখানে একটি শক্তিশালী চিপ তৈরির কারখানা আছে ( তাইওয়ান সেমিকন্ডাক্টর )।

শুধু সফটওয়ার দিয়েও অনেক কিছু করা সম্ভব, ইহা ভয়ের ব্যাপার।

৩| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:০১

বাকপ্রবাস বলেছেন: সাধারণ লোকদের অনেক সমস্যা হবে, অলরেডি এক টিক টকারের অশ্লিল ভিডিও ছাড়া হয়েছে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:০৬

সোনাগাজী বলেছেন:


টিকটক ইত্যাদি এখনো বড় ব্যাপার নয়, ইহাকে আরো অনেকভাবে ব্যবহার করা সম্ভব।
এমনও ঘটতে পারে যে, দেখা যাবে যে শেখ হাসিনাকে বাইডেন ফোন করেছে, কথা বলছে; আসলে ওটা বাইডেন ছিলো না।

৪| ০৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:২৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


প্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে কোটি কোটি শ্রমিক কাজ হারাবে।
মালয়েশিয়া আর মধ্যপ্রাচ্য বাংলাদেশের শ্রমিক নেবে না।
সেই দিন আসছে।

০৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:০৩

সোনাগাজী বলেছেন:



মালয়েশিয়াতে আগের চাকুরী কমে যাবে; শিক্ষিতদের জন্য ভালো চাকুরীর সৃষ্টি হবে; আরবদেশে বাংগালীরা যেই ধরণের কাজ করে, উহার চাহিদা অনেকটা থেকে যাবে; ভারতীয়দের চাহিদা বাড়বে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.