নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিক্ষাই দরিদ্রদের জন্য সম্পদ।

সোনাগাজী

একমাত্র সোস্যালিষ্ট অর্থনীতি বাংগালী জাতিকে নিজ পায়ে দাঁড়াতে সাহায্য করবে।

সোনাগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

হামাস কন্ট্রোলে নেই, ফিলিস্তিনীরা মাহমুদ আব্বাাসকে হয়তো আর মানবে না।

১০ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৭:১২



আপডেট: **** ব্লগার জাদিদ সাহেব আমার মানসিক সমস্যা নিয়ে পোষ্ট দেয়ার কারণে, আজকে প্রাইমারী কেয়ার ডাক্তারের সাথে কথা বলে, মানসিক ডাক্তারের সাথে দেখা করার জন্য রেফারেল নিয়েছি। আগামী সপ্তাহে, মানসিক ডাক্তারের সাথে দেখা করে, সেই বিষয়ে পোষ্ট দেবো। ****

ইসরায়েল গাজায় যা করেছে, ইহা পরিস্কার গণহত্যা; আমেরিকা ও ইউরোপের সরকারগুলো 'হিউম্যানেটেরিয়ান পঅজ', যুদ্ধবিরতি, জিম্মি মুক্তির করার কথা বলে, মানুষকে ব্যস্ত রেখেছে ১ মাস; এই ১ মাস নেতানিয়াহু গণহত্যা চালিয়েছে। মনে হয়, যেই পরিমাণ জিম্মির কথা ইসরায়েল বলেছে, এতবেশী জিম্মি ছিলো না; এর মাঝে আবার ৫৪ জন থাই নাগরিক, যাদেরকে নেতানিয়াহু ছাগলের বাচ্চার সমান দামও দেয় না; সংখ্যাটা নিয়ে হামাস স্পষ্ট করে কিছু বলেনি। গাজার বাহির থেকে হামাসের নেতৃত্ব যা বলেছে, উহা খুব একটা বিশ্বাসযোগ্য হওয়ার কোন কারণ নেই।

মনে হয়, উত্তর গাজার হামাস সদস্যদের বড় অংশ জীবিত নেই; যারা জীবিত আছে, তারা হয়তো সাধারণ মানুষের সাথে মিশে যাবে, কিংবা মিশে যাচ্ছে। টানেলের বড় অংশ ধ্ংস করে দিয়েছে ইসরায়েলী বাহিনী; সম্ভাবনা আছে, অনেক হামাস সদস্য টানেলে আটকা পড়েছে। এখন যুদ্ধ ( হামাসদের জন্য ) হালকা অস্ত্রের ( অটোমেটিক রাইফেল ), যার এম্যুনেশন হামাসের কাছে খুবই কম ও সাথে বহনযোগ্য নয়। জিম্মিদের কি অবস্হা সেটা নিয়ে ইসরায়েলী বাহিনী কিছু বলছে না। জীবিত জিম্মিদের যদি ইসরায়েলী বাহিনী উদ্ধার করে, তারা সেটা ভেবেচিন্তে তাদের অনুকুলে প্রকাশ করবে।

ইসরায়েলের মতে উত্তর গাজা, বিশেষ করে গাজা শহর ও কয়েকটি রিফিউজী ক্যাম্পে হামাসের মুল কন্ট্রোল ও অস্ত্রের ষ্টোরেজ ছিলো; সেগুলো হামাস হারায়েছে। দক্ষিণ গাজায় হামাসের কি পরিমাণ সদস্য আছে, এবং তারা কি যুদ্ধ করতে প্রস্তুত, সেটা পরিস্কার নয়। আমার ধারণা, উত্তরে হামাস পরাজিত হলে, দক্ষিনের হামাসেরা যুদ্ধ করার মতো মনোবল ধরে রাখতে পারবে না।

ইউরোপ ও আমেরিকার মিডিয়াগুলো আগের মতো ২৪ ঘন্টা যুদ্ধ ও ফিলিস্তিন দেখাচ্ছে না; তারা ইহাকে লো প্রোফাইলে নিয়ে গেছে গত ২ দিন। মনে হয়, মিডিয়াগুলো আশা করেনি এত বেশী আমেরিকান ও ইউরোপিয়ান মানুষজন ফিলিস্তিনের পক্ষে কথা বলবে, ইসরায়েলকে দায়ী করবে; এতবড় বড় মিছিল হবে।

গাজায় ইসরায়েলী বোমা আক্রমণের সময় আমি ধারণা করেছিলাম যে, পশ্চিম তীরের মানুষ পিএলও-বিরোধী হয়ে যাবে, তারা হামাসকে মডেল হিসেবে গ্রহন করবে। তারা মাহমুদ আব্বাসকে দলালা বলেছে ও পিএলও থেকে সরে গেছে। ইসরায়েল চেয়েছিলো ফিলিস্তিনীদের ঐক্য যেন ধুলিস্যাত হয়ে যায়; উহাই এখন ঘটেছে। বাইডেনের ভিজিটের সময় মাহমুদ আব্বাস যদি বাইডেনের সাথে দেখা করতো ও ইসরায়েলী বোমা বর্ষণে বন্ধের দাবী জানাতো, তার কর্মতৎপরতা চোখে পড়তো। এখন গাজাবসী কোন অবস্হায় আব্বাসকে গাজায় দেখতে চাইবে না; মনে হয়, পশ্চিম তীরেও তার জনপ্রিয়তা শুন্যের কোঠায় এখন।

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:০২

কামাল১৮ বলেছেন: ধারনা করে কোন মতামত দিলে আপনার মতের গ্রহন যোগ্যতা কমে যাবে।আজ পর্যন্ত যুদ্ধ বন্ধের কোল লক্ষন দেখা যাচ্ছে না।ইসরায়েল তাদের মিশন শেষ না করে যুদ্ধ বন্ধ করবে না।তবে যুদ্ধ বন্ধের চাপ বাড়ছে।

১০ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৫৯

সোনাগাজী বলেছেন:



উত্তর গাজায় যুদ্ধ যথাসম্ভব শেষ, জীবিত হামাসদের কাছে এ্যামুনেশন খুব একটা থাকার কথা নয়; যেসব হামাস সদস্য টানেলে আছে, এরা নিজেদের অবস্হান থেকে সরে নতুন পজিশনে যেতে পারবে না।

২| ১০ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৩৬

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: হিজবুল্লাহ, ইরান, হুতিরা সাহায্য করলেও কিছু ইসরায়েলী মারা যাবে, কিন্তু আখেরে ব্যপক হারে ফিলিস্তিনি মারা যাবে এবং শেষ পর্যন্ত পরাজয় হওয়ার সম্ভাবনা বেশী। প্রভাবশালী আরব দেশগুলো তেমন প্রভাব রাখছে না। মাহমুদ আব্বাসের সাথে পরামর্শ করে হামাস যুদ্ধ শুরু করেনি, তাকে তারা মানার কথাও নয়...

১০ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:০৭

সোনাগাজী বলেছেন:



আব্বাসকে ফিলিস্তিনীরা মানবে না; গাজায় হামাস বলে কিছু থাকবে না; গোলাগুলি বন্ধ হলে, হামাস পরিবারের যুবকদের আটকাবে ইসরায়েল। গাজার যুদ্ধ শেষ হলে, ইসরায়েল দক্ষিণ লেবানন আক্রমণ করবে, মনে হয়।

গত ৭৫ বছরে সব আরবদেশগুলো দুর্বল হয়েছে, একা ইসরায়েল শক্তিশালী হয়েছে। গাজা যুদ্ধের পর, যদি ফিলিস্তিন না'হয়, জর্ডানে ও মিশরে নতুন হামাসের জন্ম হবে।

৩| ১০ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:২২

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন:

১০ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৩১

সোনাগাজী বলেছেন:


এগুলো বলে, চলমান হত্যাকান্ডকে লো-প্রোফাইলে নিচ্ছে সে; গাজায় ইসরায়েলী বাহিনী অবশ্যই থাকবে; হামাস পরিরের লোকজনকে ধরবে।

৪| ১০ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:২৩

বিষাদ সময় বলেছেন: আমেরিকা যা করে এবং তার ইন্ধনে যা হয় তা হলো রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস।

সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের ফলে পৃথিবীর ব্যালেন্স অব পাওয়ার নষ্ট হয়ে গেছে। এখন এসব প্রতিদিন দেখতে হবে।

১০ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৬

সোনাগাজী বলেছেন:


সোভিয়েত না'থাকায় চীন, ইরান, ভারত, তুরস্ক, ইত্যাদি সোভিয়েতর ভুমিকায় এসেছে। পাকিস্তান, লেবানন, ইয়েমেনে কি আমেরিকান মদদে সন্ত্রাস হচ্ছে? বাংলাদেশে বিএনপি-জামাত ও আওয়ামী লাঠিয়ালীতে কি আমেরিকার হাত আছে?

৫| ১০ ই নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলির পূর্ণ সহযোগিতায় বিশ্বে একটা গণহত্যা ঘটে গেল। যদিও কোন বড় রাষ্ট্র স্বীকার করছে না যে এটা গণহত্যা। ইতিহাসে এই ঘটনা নিয়ে অনেক বিশ্লেষণ হবে এক সময়।

১০ ই নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০১

সোনাগাজী বলেছেন:


ইহা পশ্ছিমের দেশগুলোর সরকার ও মানুষের মাঝে সম্পর্ক নষ্ট করেছে, মানুষ পরিস্কারভাবে দেখেছে যে, নেতানিয়াহু গণহত্যা চালাচ্ছে; বাইডেনের জনপ্রিয়তা নেই বললেই চলে। বাইডেনের জনপ্রিয়তা কমে যাওয়া কিন্তু আমেরিকা ও বিশ্বের জন্য ভয়ংকর; কারণ, সেই সুযোগে ট্রাম্প চলে আসতে পারে।

বাইডেন ইসরায়েলে এলো, আরবদের সাথে বসতে চাইলো; আরবেরা হাসপাতালে রকেট পড়ার কারণ দেখা করলো না। অথচ এরপরে পরে, এই ধরণের কয়েক হাজার বোমা ও রকেট পড়েছে ঘরে ঘরে; দেখছেন, আরবী মগজ?

৬| ১০ ই নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৪

দি এমপেরর বলেছেন: লেখক বলেছেন: বাইডেন ইসরায়েলে এলো, আরবদের সাথে বসতে চাইলো; আরবেরা হাসপাতালে রকেট পড়ার কারণ দেখা করলো না। অথচ এরপরে পরে, এই ধরণের কয়েক হাজার বোমা ও রকেট পড়েছে ঘরে ঘরে; দেখছেন, আরবী মগজ?

আরবের খুলিগুলো বাঙালি মগজ দিয়ে ভরে দিলো কে?

১০ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:০২

সোনাগাজী বলেছেন:



ফিলিস্তিনীরা নিজ বাসভুমে নিজের একটি দেশ পায়নি নিজেদের বুদ্ধিহীনতার কারণে। ২য় বিশ্বযুদ্ধে হিটলার পরাজিত হলো সোভিয়েত ও আমেরিকার কাছে। সেই আমেরিকা, বৃটিশ, কানাডা ও পুরো ইউরোপ যখন ইসরায়েল সৃষ্টি করলো, সেই দেশকে আক্রমণ করার আগে ( ১৯৪৮ সাল ) ভাবার দরকার ছিলো, রেজল্ট কি হবে?

৭| ১০ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:১৮

ডার্ক ম্যান বলেছেন: ডাক্তারের এনওসি আপলোড কইরেন।

১০ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:২৩

সোনাগাজী বলেছেন:



এনওসি'টা কি জিনিষ?

৮| ১০ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:০৪

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: ইসরায়েল অবিশ্বাসী জাতি ।
ইতিহাস তাই বলে, অতএব গাজায় শেষ পর্যন্ত কি ঘটবে
আগাম বলার কোন সুযোগ নাই ।

....................................................................................
এই গনহত্যার বিচার না হলে আগত দিনে
ইসরায়েল আরও বড় ধরনের গনহত্যা চালানো লাইসেন্স বৈধ করবে ।

১১ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ২:১৮

সোনাগাজী বলেছেন:



এই গণহত্যার কারণে, ইসরায়েল ভয়ংকর সমস্যার মাঝে প্রবেশ করবে। এখান থেকে বের হয়ে তারা দ: লেবানন আক্রমনের কথা ভাবছে; সেটাও হয়তো সম্ভব হবে না; এবার বিশ্বের মানুষ সব দেখে ফেলেছে। একমাত্র আমেরিকা ও অষ্ট্রেলিয়া ব্যতিত অন্য কোন দেশে তারা বাস করতে পারবে না।

৯| ১১ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১:৪৩

নূর আলম হিরণ বলেছেন: অনেক ইহুদীরাও ইসরাইলকে সমর্থন দিচ্ছে না! এটা কি তাদের কৌশল, যে দেশে বাস করছে সেখানকার মানুষদের থেকে সহানুভূতি নিতে? যাতে তারা আক্রমণের শিকার না হয়।

১১ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ২:২০

সোনাগাজী বলেছেন:


এগুলো সাজানো, ইসরায়েলের ব্যাপারে তারা এক; তবে, ৪০ ভাগ মানুষ ( রবিন ও বারাকের সময় ) এক সময় চাইতো যে, ফিলিস্তিনের লোকেরা দেশ গঠন করে ভালো থাকুক; এখন তাদের সংখ্যা কমে গেছে।

১০| ১১ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ২:৫৯

শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনার এই পোস্টটা ইসরাইল হামাস যুদ্ধ সম্পর্কে বেশ ভালো একটা আপডেট। পোস্টের সাথে সাথে বিভিন্ন মন্তব্য এবং আপনার প্রতিত্তোরগুলো insightful।

আপনার এই লেখাগুলো প্রথম পাতায় আসার প্রয়োজন ছিল। আপনার নিজের কারনেই আপনি একটা সমস্যা তৈরি করলেন!

১১ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৩:১৩

সোনাগাজী বলেছেন:




স্যরি, আমি একটু রাগান্বিত ছিলাম, এসব বলা উচিত হয়নি; কিন্তু বলারও দরকার; বাংলাদেশে যারা সৎ নয় ও ক্রিমিনাল মাইন্ডেড, ওদের গলা বড়।

১১| ১১ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:৩৬

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


মানসিক সমস্যা আপনার থেকে হামাস নাকি আব্বাসের বেশি?

১১ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:০৭

সোনাগাজী বলেছেন:


আব্বাস আসলে অনুপযুক্ত; পিএলও'কে নতুন নেতা খুঁজতে হবে। হামাস হচ্ছে সন্ত্রাস, এরা চরমপন্হী।

আমার মানসিক সমস্যা নেই; জাদিদ সাহেব অমুলক কথা বলে নিজের ওজন কমায়েছেন।

১২| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:৪২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


মিস্টার মাহমুদ আব্বাস কোন কিসিমের নেতা আমার বুঝে আসে না।
এই সব বেতনভোগী নেতারা স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতৃত্ব কী দেবেন?

আসলে স্বাধীনতার অর্জন করতে চাইলে প্রথমতঃ লাগবে আদর্শিক অহিংস সংগঠন, ক্যারিশম্যাটিক নেতা ও দেশপ্রেমিক সাহসী জনতা।
যেটা ১৯৭১ সালে তৎকালীন পূর্ববাংলাতে ছিল।

আফসোস প্যালেস্টাইনের সেটা নেই।

১৩ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:২৮

সোনাগাজী বলেছেন:



আরবরা শিক্ষিত নয়, বিশ্ব কিভাবে চলছে, তারা সেটা বুঝে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.