নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একমাত্র সোস্যালিষ্ট অর্থনীতি বাংগালী জাতিকে নিজ পায়ে দাঁড়াতে সাহায্য করবে।
মানুষ বিজয়কে হৃদয় থেকে অনুভব করেছিলেন ১৯৭১ সালের ১৬ ই ডিসেম্বর; বাংলার মানুষের বিজয়,পাকিস্তানী বাহিনীর পরাজয়ের খবরে মানুষ উল্লসিত ও বিহ্বল হয়ে পড়েছিলেন: উত্তর চট্টগ্রামের মানুষ আনন্দে উত্তেজনায় গ্রামগুলো থেকে স্রোতের মতো ঢাকা-চট্টগ্রাম রোডের দিকে দৌঁড়াচ্ছিলেন । চট্টগ্রামের পাকিস্তানী বাহিনী তখন কুমিরায়, তারা ক্রমেই পজিশন বদলায়ে শহরের দিকে যাচ্ছে। মানুষকে দৌঁড়াতে দেখে আমি ভেবেছিলম যে, পাকীরা বিশৃংখলার সুযোগে, কৌশলে গ্রামে কমান্ডো আক্রমণ চালাচ্ছে কিনা।
কিছু সময় পরে, খবর পেয়ে বুঝতে পারলাম যে, পাকিস্তানী বাহিনী ঢাকায় আত্মসমর্পণ করেছে। অনেকটা বিশ্বাস হচ্ছিলো না; তবে কি ৯ মাসের হত্যা, ত্রাস, স্বজন হারানোর দু:খা, বেদনার অবসান হতে যাচ্ছে? গোলাগুলি থেমে যাবে, পাকী জল্লাদরা বন্দী হবে! মানুষ ৯ মাসের ভয়ের কারাগার ভেংগে বিজয়ের আনন্দটুকু অনুভব করছে!
আমাদের কাছে রাডিও ছিলো না; ছেলেরা গিয়ে ইপিআর থেকে জেনে এলো, ঢাকায় পাকী বাহিনী অফিসিয়েলী আত্মসমর্পণ করেছে। আমি একটি থেমে থাকা ট্রাকের উপর বসেছিলাম, ছেলেরা সাধারণ মানুষের সাথে লাফাচ্ছে, চীৎকার করছে।
সামনে থেকে খবর এলো, ভারতীয় বাহিনীর সাথে পাকীদের চট্টগ্রামের কমান্ড কথা বলছে, গোলাগুলি বন্ধ হবে। বিকেলের দিকে ১ জন পরিচিত হাবিলদার আমাদরকে পেছনের দিকে সরে গিয়ে কোন একটা পরিত্যক্ত স্কুলে অবস্হান করার জন্য বললেন। এর পরের ইতিহাস ছিলো করুণ; আমাদেরকে অস্ত্র জমা দেয়ার জন্য আদেশ ছিলেন ক্যা: এনামের লোকজন। ডিসেম্বরের ২১ তারিখে আমরা নিজ বাড়ীর দিকে রওয়ান দিলাম; এরপর, বাংলাদেশ সরকারের কেহ আর জানতে চায়নি, আমরা কে, কোথায় আছি! স্বাধীনতাটা সরকারী লোকদের হাতে চলে গেলো, যারা ১৬ই ডিসেম্বর সকালেও পাকিস্তান সরকারের চাকুরীজীবি ছিলো তারাই সরকারী খরচে ১৬ই ডিসেম্বর পালন করেছে।
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:২৯
সোনাগাজী বলেছেন:
শেখ সাহেব ভেবেছিলেন, স্বাধীনতা উনি একাই এনেছিলেন; তাজউদ্দিন সাহেব নিজের চাকুরীটা রেখেছিলেন; বিনা বেতনের মুক্তিযোদ্ধা বাহিনীর চাকুরীটা তিনি কেন খেয়ে বসেছিলেন, উহা বলার সময় পাননি।
২| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:২৭
রানার ব্লগ বলেছেন: কদম ঠিক বলেছেন । ১৯৭১ এ বিজয় ছিলো জনগনের আজ ২০২৩ তে তা দলীয় ।
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৬
সোনাগাজী বলেছেন:
১৯৭২ সালেই উহা ব্যুরোক্রেটদের ও দলের সম্পদ হয়ে গেছে; তারা মানুষকে সেলিব্রেশন করার জন্য ডাক দেয়নি।
৩| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:১৫
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: এরপরের ইতিহাস ছিলো করুণ; আমাদেরকে অস্ত্র জমা দেয়ার জন্য আদেশ ছিলেন ক্যা: এনামের লোকজন। ডিসেম্বরের ২১ তারিকে আমরা নিজ বাড়ীর দিকে রওয়ান দিলাম; এরপর, বাংলাদেশ সরকারের কেহ আর জনাতে চাননি, আমরা কে, কোথায় আছি! স্বাধীনতাটা সরকারী লোকদের হাতে চলে গেলো, যারা ১৬ই ডিসেম্বর সকালেও পাকিস্তান সরকারের চাকুরীজীবি ছিলো
..................................................................................................................................................................
বিজয়ের আনন্দে ঐদিন জাতি একটি চরম ভূল করেছিলো ।
যার ঘানি আমরা এখন টেনে চলেছি ।
তাই বুকের মাঝে কষ্ট নিয়ে দেখি জাতি খন্ডিত ভাবে বিজয় দিবস/ স্বাধীনতা দিবস উৎসব পালন করে
যেখানে সবাই মিলে চরম আনন্দে পাগলের মতো উৎযাপন করা যেত ।
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৩৭
সোনাগাজী বলেছেন:
শতকরা ১৫ ভাগ স্বাধীনতা চেহেনি; খেয়াল করলে বুঝা যায় যে, তারাই বেশী লাভবান হয়েছিলো।
৪| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৪৬
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ছবিটি ফেসবুকে পাইলাম। আমাদের ব্লগার মাহমুদুল হাসান কাইরো ভাই আপলোড দিয়েছেন। শিশুরা কি এভাবে উল্লাসে মেতে উঠেছিল। আম্মার জন্ম ১৯৮৭। আমি একাত্তরের আগে জন্ম নিলে ভালো হতো।
ছবিটি ফেসবুকে পাইলাম। আমাদের ব্লগার মাহমুদুল হাসান কাইরো ভাই আপলোড দিয়েছেন। শিশুরা কি এভাবে উল্লাসে মেতে উঠেছিল। আম্মার জন্ম ১৯৮৭। আমি একাত্তরের আগে জন্ম নিলে ভালো হতো।
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৪২
সোনাগাজী বলেছেন:
'৭১ ছিলো এক ভয়ানক সময়; যুদ্ধ করার সময়, পাকীদের পরাজিত করার সময়; ইহা ছিলো আত্মত্যাগের সময়।
৫| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৪৮
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: এই ছবিও ফেবুতে পেয়েছি। সবাই উল্লাস করছে। কিন্তু আগের ছবির ছেলেটার উল্লাস নেচারাল। আপনি নিজ চোখে এই উল্লাস দেখেছেন। আমাদের দেশের মানুষকে উল্লাস করার জন্য যুদ্ধ করেছেন। আপনি ভাগ্যবান।
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৪৪
সোনাগাজী বলেছেন:
'৭১'এর বাংগালী জাতিকে মুক্ত করার জন্য সবই করেছেন, সেই ছিলো ভীতিকর ও বীরত্বের সময়।
৬| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৪৯
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন:
এই ছবিও ফেবুতে পেয়েছি। সবাই উল্লাস করছে। কিন্তু আগের ছবির ছেলেটার উল্লাস নেচারাল। আপনি নিজ চোখে এই উল্লাস দেখেছেন। আমাদের দেশের মানুষকে উল্লাস করার জন্য যুদ্ধ করেছেন। আপনি ভাগ্যবান।
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৪৬
সোনাগাজী বলেছেন:
প্রতিটি ১৬ই ডিসেম্বরই হতে পারতো উৎসাহের, উত্তেজনার; কিন্তু ইহাকে দখল করে নিয়েছে তস্করেরা।
৭| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৩৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমার মাঝে মাঝে মনে হয় সাধারণ মুক্তিযোদ্ধারা কি বোকা ছিলেন। কিন্ত অনেক চিন্তা করলে বুঝতে পারি যে তারা আসলে সরল ছিলেন। ওনারা বৈষয়িক কিছুর জন্য যুদ্ধ করেননি। আবেগের কারণে যুদ্ধে গিয়েছেন। কিন্তু সেই আবেগের কারণেই প্রতারিত হয়েছেন কিছু আবেগহীন মানুষের দ্বারা।
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৪৭
সোনাগাজী বলেছেন:
মানুষ ধরে নিয়েছিলেন, তাঁরা নিজেদের দায়িত্ব পালন করেছেন; বাকীটুকু শেখ ও তাজউদ্দিন সাহেব করবেন।
৮| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩২
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
কিউবায় কি হয়েছিলো?
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩২
সোনাগাজী বলেছেন:
কিউবায় রাজতন্ত্রকে সরিয়ে সোস্যালিজম কায়েম করা হয়েছিলো।
৯| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৯
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: জাতি হিসাবে আমরা এখনো বয়:প্রাপ্ত হইনি।
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩২
সোনাগাজী বলেছেন:
ভবিষ্যত আরো খারাপ হবে।
১০| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৫
মিরোরডডল বলেছেন:
ডিসেম্বরের ২১ তারিখে আমরা নিজ বাড়ীর দিকে রওয়ান দিলাম; এরপর, বাংলাদেশ সরকারের কেহ আর জনাতে চাননি, আমরা কে, কোথায় আছি!
এ বিষয়টা আসলেই কষ্টদায়ক!
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যুদ্ধ শেষে যখন তাদের কথা কেউ ভাবে না, কোন এপ্রিসিয়েশন নেই, নেই কোন সন্মান সম্বর্ধনা, সত্যি করুণ!
মন ভেঙ্গে যাওয়ারই কথা।
তবে সাধারণ মানুষ তাদের কাছে চির কৃতজ্ঞ।
সেই সময়ের সাহসী মানুষগুলো জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ না করলে, আজকের এই বাংলাদেশ হতো না।
আমরা লাকি, স্বাধীন দেশে জন্মগ্রহন করেছি।
যুদ্ধের ভয়াবহতা আমাদের দেখতে হয়নি কিন্তু আমৃত্যু আমরা এই মানুষগুলোর কাছে কৃতজ্ঞ থাকবো।
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:০৮
সোনাগাজী বলেছেন:
কমপক্ষে লাখ'খানেক মহিলা বিধবা হয়েছিলো; ২ লাখ শিশু এতিম হয়েছিলো; এদেরকে কেহ শাত্বনা টুকুও দেয়নি।
১১| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৩
রাজীব নুর বলেছেন: আওয়ামীলীগের কর্মকান্ড দেখলে মনে হয়- দেশ স্বাধীন করেছে শেখ মুজিব। এই দেশ শুধু মাত্র শেখ হাসিনার বাবার।
আমরা দুধ ভাত।
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:১০
সোনাগাজী বলেছেন:
এই ভুল ধারণার কারণে শেখ হাসিনার ভয়ংকর বদনাম হবে; মানুষ মুখ খুলবে একদিন।
১২| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:২৩
শাহ আজিজ বলেছেন: কত দুঃখ আর ব্যাথা বুকে নিয়ে অনেক মুক্তিযোদ্ধা চলে গেছেন পরপারে , কেউবা অন্তরালে । খুলনাতে যেদিন অস্ত্র সারেন্ডার করা হয় খুব বেশী মুক্তিযোদ্ধা আসেনি । জমা পড়েছে থ্রি নট থ্রি আর বন্দুক । যুদ্ধপরবর্তী দেশে মুক্তিযোদ্ধারা মুল্যায়ন পাননি । বুক ফাটা অনেক দুঃখ গাঁথা আছে , থাক আজকে ।
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৪৩
সোনাগাজী বলেছেন:
আজীবন লাথি মাথি খেয়ে এখন ভাতা পাচ্ছেন, সাথে আছে ভুয়ারা।
১৩| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:২৯
প্রামানিক বলেছেন: ১৯৭১ সালে বিজয় দিবসে যে আনন্দ পেয়েছিলাম তা আর পাই না।
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৪৩
সোনাগাজী বলেছেন:
কারণ এখন আনন্দ মিছিলে আছে দলের লোকেরা ও ভুয়ারা।
১৪| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:২৯
মিরোরডডল বলেছেন:
খেলাঘর আর তার সঙ্গীরা যখন ফিরে আসলো, তখন ফ্যামিলি আর গ্রামবাসীরা কিভাবে ওয়েলকাম করেছিলো?
যুদ্ধ থেকে জীবিত ফিরে আসা অনেক ভাগ্যের ব্যাপার।
যদি ভুল না করে থাকি, যুদ্ধের সময় খেলাঘর মিড টুয়েন্টি ?
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৪৫
সোনাগাজী বলেছেন:
গ্রামবাসীরা গর্বিত হয়েছিলো।
লো টুয়েন্টি।
১৫| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৫৪
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আপনার বই লেখা কতদূর?
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৪৬
সোনাগাজী বলেছেন:
এখনো ১ লাইনও নেই।
১৬| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:২৬
শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনার এই ছোট লেখাটির ভিতরে কিছু চরম সত্য ফুটে উঠেছে।
"ডিসেম্বরের ২১ তারিখে আমরা নিজ বাড়ীর দিকে রওয়ান দিলাম; এরপর, বাংলাদেশ সরকারের কেহ আর জনাতে চাননি, আমরা কে, কোথায় আছি!"
"শাহ আজিজ বলেছেন: কত দুঃখ আর ব্যাথা বুকে নিয়ে অনেক মুক্তিযোদ্ধা চলে গেছেন পরপারে , কেউবা অন্তরালে । খুলনাতে যেদিন অস্ত্র সারেন্ডার করা হয় খুব বেশী মুক্তিযোদ্ধা আসেনি । জমা পড়েছে থ্রি নট থ্রি আর বন্দুক । যুদ্ধপরবর্তী দেশে মুক্তিযোদ্ধারা মুল্যায়ন পাননি ।"
"লেখক বলেছেন: আজীবন লাথি মাথি খেয়ে এখন ভাতা পাচ্ছেন, সাথে আছে ভুয়ারা।"
ব্লগের ব্যানারের সাথে সাথে উপরের এই কথাগুলো বেঁধে রাখার মত।
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ ভোর ৫:৪৮
সোনাগাজী বলেছেন:
যারা জাতির বিপক্ষে যুদ্ধ করেছিলো ( জামাত-বিএনপি ) কিংবা অখন্ড পাকিস্তান চেয়েছিলো, যারা পাকিস্তান সরকার চালায়েছে ( ব্যুরোক্রেটরা ), তারা ১৬ই ডিসেম্বর পালন করেছে সরকারী খরচে; কিন্তু মুক্তিযোদ্ধাদের সাম সারিতে আসতে দেয়নি।
১৭| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ ভোর ৫:৫৭
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: ঐ যুদ্ধের সময় ১৬ই ডিসেম্বরের মাস খানেক আগ থেকে
শুনতে পাচ্ছিলাম , মূল বাহিনীর সাথে মুজিব বাহিনীর দন্ধ চলছে ।
কেহ কেহ বলছিল তখন অস্ত্র লুকানো হচ্ছিল ।
সামনে আরেকটা যুদ্ধ হতে পারে ।
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ ভোর ৬:২৩
সোনাগাজী বলেছেন:
মুজিব বাহিনী ( বিএলএফ )গঠন করেছিলো, বিজয়ের পর ছাত্রলীগ যেন ক্ষমতা দখল করতে পারে। শেখ মনি, রব, ফোয়াফেল আহমেদ, সিরাজুল আলম খান, মাখন , এর ( ভয়ংকর কিছু ইডিয়ট )ভেবেছিলো যে, দেশ স্বাধীন হলে, মুক্তিবাহিনী ও মিলিটারী দেশের ক্ষমতায় থাকতে পারে। যাক, সেই রকম কিছু ঘটেনি।
১৮| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৭:৩৪
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিকেলে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) মিত্রবাহিনীর
কাছে পাক বাহিনী নিঃশর্তভাবে আত্মসমর্পণ করে, সেদিনই দেশের বিজয় নিশ্চিত হয়।সেদিন আমরা ঢাকার
খুব নিকটেই অবস্থান করছিলাম । ১৫ই ডিসেম্বর রাতের আঁধারে শত শত সামরিক যানে করে কয়েক হাজার
পাক বাহিনী ঢাকার উত্তরাঞ্চল হতে ঢাকামুখী হতে দেখেছি । আমাদের কাছে খবর ছিল এরা ঢাকায় যাচ্ছে আত্ম
সমর্পনের লক্ষে কেননা এর মধ্যে মুক্তিযুদ্ধা মিত্রবাহিনীর বোমার আঘাতে ঢাকায় পাকি সেনা সদর ও বিমানঘাটি
নাস্তানাবুদ ও পর্যোদস্ত হয়ে যাওয়ার সংবাদ রটে যায় । যাহোক ১৬ ডিসেম্বরের বিজয় সংবাদ বিভিন্ন মাধ্যমে
তখন বলতে গেলে দেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে পরে ।
ঐ সময়ের প্রধান দৈনিক ইত্তেফাক সংবাদপত্র প্রকাশিত হয় ১৭ই ডিসেম্বর। শিরোনাম ছিলো-
'দখলদার পাক-বাহিনীর আত্মসমর্পণ, সোনার বাংলা মুক্ত'।
প্রধান ঐ সংবাদে বলা হয়, 'এই আত্মসমর্পণের ভিতর দিয়াই সোনার বাংলা এবং তার সাড়ে সাত কোটি
বাঙ্গালীর জীবন হইতে বিভীষিকাময় তিমিরের অবসান ঘটিয়াছে। রক্তস্নাত বাংলা দেশের পূর্ব দিগন্তে
স্বাধীনতার অম্লান সূর্য উদ্ভাসিত। আজিকার এই শুভলগ্নে আমরা স্মরণ করিতেছি সেইসব বীর মুক্তিযোদ্ধাকে
যাঁরা সাড়ে সাত কোটি মানুষের প্রাণের দাবী আদায়ের জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করিয়া দিয়াছেন, সান্তনা
দিতেছি সন্তানহারা মাকে, স্বামীহারা স্ত্রীকে, পিতৃ-মাতৃহারা এতিমের সন্তানদের।
হ্যাঁ, বিজয়ের পর সে সময় জিবীত সকল মুক্তিযুদ্ধাকে আরো নিবীরভাবে সংগঠিত করে তাঁদেরকে যুদ্ধ বিধস্ত
দেশের ক্ষতিগ্রস্ত সকল পরিবার , দেশের অবকাঠামো , শিক্ষাখাত , কৃষি ও শিল্পখাতে নিয়োজিত করে দেশ
সেবায় নিয়োজিত করা হলে সেটাই হতো সর্বোত্তম কর্মপন্থা এবং জাতির জন্য অধিক মঙ্গলজনক। কিন্তু
আমাদের দুর্ভাগ্য, সে সময় দেশের সকল মুক্তি যোদ্ধাদেরকে সঠিকভাবে মুল্যায়ন করা হয়নি । তাই এখন
আর হা হুতাস করে কি লাভ , যা হবার তাতো হয়েই গেছে । এখন মুক্তি যুদ্ধ ও স্বাধিনতা প্রিয় দেশের
সকলকে নিয়ে মিলে মিশে দেশ গড়ার কাজে নিয়োজিত করা যায় সেটা নিয়াই ভাবতে হবে বেশি । সেটাই
হবে এখনকার বাস্তবতা । এখন যথোপযুক্ত করনীয় বিষয় নিয়ে লেখালেখি করলে সুফল দিবে বেশী।
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৭:৫২
সোনাগাজী বলেছেন:
এখন মুক্তিযো্দ্ধারা বয়স্ক; আওয়ামী লীগ থেকে যারা একটিভ আছে, এদের শতকরা ৮০ জনই ভুয়া; ভুয়ারা নেতৃত্ব দিচ্ছে, ডাকাতী করে সম্পদের মালিক হচ্ছে।
১৯| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:০০
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আফসোস!
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:১৪
সোনাগাজী বলেছেন:
দেশ আছে, দেশের জাতীয় দিবস আছে; সেগুলো পালন করে রাজনৈতিক দলগুলো ও সরকার। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসৌধে ফুল দেয়ার জন্য ভুয়ারা মারামারি করে,
২০| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:০৬
রাজীব নুর বলেছেন: আপনি তো ভালো না। আপনার দোষের শেষ নাই। আপনাকে মডারেটর বারবার ব্যান করে। তাহলে ব্যান থাকা স্বত্ত্বেও কেন আপনার লেখায় ১০ টা লাইক পড়ে। আবার আপনার লেখা আলোচিত পাতায় যায়।
এটা পাঠকের নিরব প্রতিবাদ মডারেটরের বিরুদ্ধে।
বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা।
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:২৬
সোনাগাজী বলেছেন:
বিজয়ের শুভেচ্ছা।
২১| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:২২
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: ফিদেল কাস্ত্রো নাকি বঙ্গবন্ধুকে বলেছিলেন পূর্ববর্তী সরকারের সব লোকজনকে ছাঁটাই করে দিতে। তাদের দক্ষতা কাজে লাগাবেন বলে চাকরিচ্যুত করেননি। দুঃখজনক ব্যাপার হলো, তারা বঙ্গবন্ধুকে মনেপ্রাণে মেনে নিতে পারেনি। এবং তার বিপক্ষেই কাজ করে গেছে।
১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:১৭
সোনাগাজী বলেছেন:
পাকী আমলের সব ব্যুরোক্রেট শেখের মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করছিলো।
২২| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৬
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
রাজিব নুর সাহেব বিজয় দিবস উপলক্ষে একটি কবিতা রচনা করেছিলেন অনেক বছর আগে। সেই ২০০৯ সালে।
কবিতাটি এখানে তুলে দিলাম।
বিজয়ের স্বাদ ফিরিয়ে দিতে
বিজয় দিবস নিজেই এসেছে।
শীতের কনকনে হাওয়ার সাথে
স্বাগত জানিই বিজয় তোমাকে।
যুদ্ধের অভিশাপ ছিন্ন করে
এসেছে শান্তি এই দিনটিতে।
লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে
এই বিজয় 'আজো' আমাদের হাতে।
বাংলার প্রতীক হাতে হাতে নিয়ে-
উল্লাসে মেতেছে বাঙ্গালী আজকে-
শান্তির শ্লোগান মুখে মুখে দিয়ে
চল বরণ করি দেশটাকে।
রাখালের হৃদয়ে বিজয়ের সুরে
ফসলের নৃত্বনৃ দেখবে না ঘুরে?
এদিকে ওদিকে কে আছো কোথায়?
চলো আজ সবাই এক হয়ে যাই।
২৩| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৪
সোনাগাজী বলেছেন:
বিষয়বস্তু মিলে ভালো লেগেছে।
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:২৩
কামাল১৮ বলেছেন: দেশ স্বাধীন হলো ঠিকই কিন্তু মুক্তিবীহিনী স্বাধীনতাক স্বাদ পেল না।অল্প কিছুদিনের মধ্যেই তারা ভিলেনে পরিনত হলো।অস্ত্র জমা দেবার পর তাদের আর কোন দামই থাকলো না।যার জন্য তৈরি হয়ে গেলো বিভিন্ন রকমের বাহিনী।