নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিক্ষাই দরিদ্রদের জন্য সম্পদ।

সোনাগাজী

একমাত্র সোস্যালিষ্ট অর্থনীতি বাংগালী জাতিকে নিজ পায়ে দাঁড়াতে সাহায্য করবে।

সোনাগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিএলএফ ( বাংলাদেশ লিবারেশান ফোর্স , সংক্ষেপে গর্দভ বাহিনী )

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ ভোর ৬:৩৭



যুদ্ধ করে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছেন মুক্তি বাহিনী (এফএফ ), ইহা ছিলো বাংলাদেশে সরকারের (তাজউদ্দিন সাহেবের ক্যাবিনেট, সেনাবাহিনী, কয়েকজন কুটনীতিবিদ ও একটি রেডিও ষ্টেশন ) সৈন্যবাহিনী; যুদ্ধের মাঝখানে ( মে/জুন মাসে ) আরেকটা বাহিনী গঠন করেছিলো ছাত্রলীগের নেতারা: শেখ মনি, রব, সিরাজুল আলম খান, তোফায়েল আহমেদ, রাজ্জাক, মাখন, ইত্যাদি গার্বেজরা ); ইহার নাম ছিলো, বিএলএফ ( বাংলাদেশ লিবারেশান ফোর্স )। ইহার সদস্য সংখ্যা ছিলো আনুমানুিক ২০ হাজারের আশেপাশে; এরা যুদ্ধ করেনি; ভারতের বিবিধ যায়গায় এদের ট্রেনিং সেন্টার/হেডকোয়ার্টার ছিলো। ডিসেম্বরে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর, এদের নেতারা ( জেনারেল, ফিল্ড মার্শাল ) দেশে আসে; কিন্তু মুল বাহিনী ভারত থেকে দেশে আসে ১৯৭২ সালের জানুয়ারীতে।

যুদ্ধের পর, এসব অসৎ নেতারা ( শেখ মনি, রব, সিরাজুল আলম খান, তোফায়েল আহমেদ, রাজ্জাক, মাখন, ইত্যাদি গার্বেজরা ) কয়েক হাজার ( নামবিহীন , ব্ল্যাংক ) "মুক্তযুদ্ধের সার্টিফিকেট" নিয়ে গিয়ে, নিজের এলাকার লোকজনকে দেয়; এসব লোকজন পরে রক্ষী বাহিনীর চাকুরী পায়। শেখ হত্যার ভোরে, রক্ষী বাহিনী লুংগি পরে, অস্ত্র ফেলে পালিয়ে যায় । এই বাহিনীতে ছাত্র নেতারা থাকাতে, এদের অনেকেই মুক্তিযু্দ্ধ নিয়ে বই লিখেছে; আমি ২/১টা পড়েছিলাম, গার্বেজ।

মুক্তিবাহিনীতে মুলত ছিলো অরাজনৈতিক ছাত্ররা, গ্রেমের যুবকরা, ইপিআর, বেংগল রেজিমেন্ট, আনসার, ইত্যাদি; ছাত্রলীগের নেতার মনে করেছিলো যে, তারা মুক্তিবাহিনীর কমান্ডার হবে। কিন্তু অফিসারেরা বেংগল রাজিমেন্টের হওয়ায় ও তাজউদ্দিন সাহেব ছাত্রলীগের জেনারেলদের পছন্দ না'করাতে তারা ইন্দিরা গান্ধীর কাছে নতুন বাহিনীর অনুমতি চায়। ইন্দিরা তাদেরকে অনুমতি দেন। "র"এর কয়েকজন উঁছুপদের অফিসার ইহা গঠনে সাহায্য করে; এদের মাঝে ছিলো জেনারেল সুজন শিং উবান, ব্রিগেডিয়ার এস উবেরয়, মুভেরয়।

এখন দেশের বিভিন্ন এলাকায় "মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড" আছে; এগুলোতে নেতৃত্বে আছে আওয়ামী লীগের "ভুয়া মুক্তিযোদ্ধারা"।


মন্তব্য ২২ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৩৪

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: বিএনপি'র মুক্তিযোদ্ধারাও এসব নিয়ে কথা বলে না। এটা এখন ট্যাবু। এটা নিয়ে বলতে গেলে, 'মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তি', 'রাজাকার', 'স্বাধীনতার চেতনা বিরোধী' বিভিন্ন ট্যাগ খেতে হবে...

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:১১

সোনাগাজী বলেছেন:


বিএনপি'তে আসল মুক্তিযোদ্ধা ( সৈনিক লেভেলে ) কতজন ছিলেন আমি জানি না; অফিসার ছিলো অনেক, সবগুলোকে আমেরিকা কিনে নিয়েছিলো। বিএনপি লাখ খানেক ভুয়াকে সার্টিফিকেট দিয়েছিলো; ওরা ভাতা মাতা নিয়ে এখন চুপচাপ।

২| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৪৮

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:


এইগুলো এখন বলা যাবে না। বলতে গেলে গলা নাক মুখ চেপে ধরবে।

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৪৬

সোনাগাজী বলেছেন:



আমি আমাদের এমপি'র সামনেও বলেছি অনেকবার।

৩| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:০৭

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:



ইন্দিরা অনুমতি দিয়েছিলো কি ভেবে?

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৪৯

সোনাগাজী বলেছেন:



তখন পশ্চিম বংগে নক্সাল সমস্যা তুংগে; উনাকে বুঝানো হয়েছিলো যে, বাংগালীরা নক্সালদের পচন্দ করে; দেশ স্বাধীন হলে, সৈনিকরা ( দরিদ্র শ্রেনী ) ও ছাত্ররা সন্মিলতভাবে ক্ষমতা দখল করতে পারে। সেই অবস্হায় ছাত্রলীগের সৈনিকেরা ব্যবস্হা নেবে।

৪| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪৫

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: সিন্ডিকেট আমাকে জেনারেল করছে।

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৮

সোনাগাজী বলেছেন:


দু:খজনক।

নীলসাধু বছরের এই সময় ব্লগে আসেন, সামনে বইমেলা। উনাকে কিছু বলা ঠিক হয়নি, সামুতে উনার অবস্হান শায়মার মতো।

৫| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৮

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: সাধু মনে করছে আমি তার হেডমে ভয় পাব। সে আগে এসে আমার পোস্টে নোংরামি করছে। বেয়াদবির উপযুক্ত জবাব না দিলে ও কোন ব্লগারের সাথে হেডম দেখাতেই থাকত। এখন ১০ বার চিন্তা করবে।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ ভোর ৫:৩৫

সোনাগাজী বলেছেন:




সোনালী যুগের ব্লগার উনি। সোনালী যুগের ব্লগারেরা দুনিয়ার বাঘ মারেন, শিয়াল মারেন; একটু সমীহ আশা করেন।

৬| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: যা লিখেছেন সেটাই প্রকৃত ইতিহাস। ১৯৭১ সাল থেকেই মুক্তিযুদ্ধকে দলীয়করনের চেষ্টা করতে থাকে এরা। 'র' এর প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় এই দল গড়ে ওঠে। এরা দলের ঊর্ধ্বে কোন দিনও উঠতে পারেনি। রবের জাসদকে পরবর্তী সময়ে বলা হত এরশাদের গৃহপালিত বিরোধী দল।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ ভোর ৫:৩৭

সোনাগাজী বলেছেন:




এরা সবাই ছিলো মধুর কেন্টিনের রাজনীতিবিদ ও গ্রেজুয়েট। শেখের অসহায় মৃত্যুর জন্য তোফায়েলের বিচার হওয়ার দরকার।

৭| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:০৫

ডার্ক ম্যান বলেছেন: সার্জেন্ট মহি আলমকে কি চিনতেন?
ডা: মাহফুজুর রহমানকে কি চিনেন?

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ ভোর ৫:৩৯

সোনাগাজী বলেছেন:



তখন দেশে সাড়ে ৭ কোটী মানুষ ছিলেন, আমি অজো গ্রামের ছেলে। চিনতাম জাতীয় লেভেলের রাজনীতিবিদদের।

৮| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:৫৭

সামরিন হক বলেছেন: দুঃখজনক হলেও সত্য বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে কলঙ্কিত করা হচ্ছে এর প্রকৃত ইতিহাস কে বিকৃত করে অথচ কারো যেন কিছুই করার নেই। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে মানুষ সর্বদা সংশয়‌ই থাকবে। দুঃখজনক!

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ ভোর ৫:৪১

সোনাগাজী বলেছেন:



শেখ ভেবেছিলেন, বিএলএফ ( মুজিব বাহিনী ও ভারতীয় বাহিনী ) দেশ স্বাধীন করেছিলো; ওরা চুরি ডাকাতি করলে তেমন কিছু যায় আসে না।

৯| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৩:০৫

কাছের-মানুষ বলেছেন: রক্ষী বাহিনীর সম্পর্কে আমি মানুষের মুখে ভাল কিছু শুনিনি, হুমায়ূন আহমেদের লেখায় তাদের নেতিবাচক দিক উঠে এসেছিল! এরা শেখ হত্যার পর পালিয়ে যায়, আর সেনাবাহিনীও এদের জন্য নিরাপত্তা হিনতায়ভূগত, সেনাবাহিনীর বিকল্প হিসেবে এদের দাড় করানো হয় কিনা এই সন্দেহে!

দেশে মুক্তি যোদ্ধাদের মূল্যায়ন ঠিকভাবে হয়নি তখন, তাদের যোগ্যতা অনুসারে প্রশাষনে চাকরি দেয়া উচিৎ ছিল, আর পাকিস্তানের কর্মচারী হিসেবে যারা ছিল তাদের পুরো প্রশাসনকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো দরকার ছিল সম্মানের সাথে। এর কারণ সেই পাকিস্তান আমলের প্রশাষন পাকিস্তানের মতই হবে! যেমন বিট্রিশ যখন আমাদের উপমহাদেশ ছেড়ে চলে যায়, বিট্রিশ নিজের দেশে তাদের গোল্ডেন হ্যান্ড-সেকে অবসরে পাঠায় কারণ তারা জানে কলোনিতে চাকরিরত বিট্রিশদের মন-মানসীকতা পরিবর্তন হবে না, এদের চাকরি দিলে নিজের দেশের নাগরিকদেরও ওরা এভাবেই ট্রিট করবে!

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ ভোর ৫:৪৬

সোনাগাজী বলেছেন:




৫০ হাজারের মতো ছাত্র যুদ্ধে গিয়েছিলেন নিজের থেকেই; এদেরকে প্রশাসনে নিলে; পাকী ব্যুরোক্রেট ও পাকিস্তান থেকে আগত সৈনিকদের ( ১৯৭৩ সাল, আটকে-পড়া বেংগল রেজি: ) সন্মানের সাথে অবসরে পাঠালে, শেখকে হত্যা করার সুযোগ পেতো না জেনারেলরা।

১০| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:২১

কামাল১৮ বলেছেন: আমাদের গ্রামের ৮/১০জন মুক্তি বাহিনী জিয়ার বদৌলতে এখন পাহাড়ে বসবাস করছে।তারা ছিলো দিনমজুর।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:০৭

সোনাগাজী বলেছেন:


জাতীর জন্য যুদ্ধ করার পর, তাদেরকে "মুজুর" হয়ে থাকতে হয়েছিলো?

১১| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:৫৬

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: আমি অনুভব করি , স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রেক্ষাপট ও
অর্জন দুটোই আপনি প্রত্যক্ষ করেছেন ।

................................................................................
আমি রেসকোর্স ময়দানে শেখ সাহেব এর ভাষন শুনে রোমাঞ্চিত
হয়েছিলাম, যুদ্ধকালীন দুর্দশা প্রতক্ষ্য করেছি আর স্বাধীনতা পরবর্তী
অনেক ঘটনা সমূহ কাছে থেকে প্রতক্ষ্য করেছি ।
প্রয়োজন এখন এসব সত্য ঘটনা ইতিহাসের পাতায় লিপিবদ্ধ করা ।
আপনি এসব লেখা আরম্ভ করুন এবং বই লিখুন ।
প্রয়োজনে আমার সাহায্য নিতে পারেন । প্রিন্টিং লাইনে আমার ১০ বৎসরের
উপর অভিজ্ঞতা আছে ।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:২৪

সোনাগাজী বলেছেন:



ধন্যবাদ; দেখি, সময় পাই কিনা!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.