নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সনেট কবি রচিত সনেট সংখ্যা এখন ১০০৪ (৫ জানুয়ারী ’১৯ পর্যন্ত) যা সনেটের নতুন বিশ্ব রেকর্ড, পূর্ব রেকোর্ড ছিল ইটালিয়ান কবি জিয়েকমো দ্যা ল্যান্টিনির, তাঁর সনেট সংখ্যা ছিল ২৫০।

সনেট কবি

রেকর্ড ভেঙ্গে রেকর্ড গড়ার দারুণ সখ। কিনতু এমন সখ পূরণ করা দারুণ কঠিন। অবশেষে সে কঠিন কাজটাই করে ফেল্লাম। সর্বাধীক সনেট রচনার সাতশত বছরের পূরনো রেকর্ড ভেঙ্গে নতুন রেকর্ড গড়লাম। এখন বিশ্বের সর্বাধীক সনেট রচয়িতা হাজার সনেটের কবি, ফরিদ আহমদ চৌধুরী।

সনেট কবি › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিদয়াত (পর্ব-২)

০৬ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:১০



ইসলামে যা নতুন সৃষ্ট উহা বিদয়াত। ইসলামে যা মন্দ নতুন সৃষ্ট উহা বিদয়াত।বিদয়াতের সংজ্ঞায় এ দু’টি মত প্রচলিত। আমরা দ্বিতীয় মতের পক্ষে।কারণ প্রথম মতনুযায়ী বদলে যাওয়া পৃথিবীর সাথে সমান তালে চলতে মানুষ অক্ষম।
ইসলামে জ্ঞান প্রদান ও গ্রহণের পদ্ধতি ছিল ব্যক্তিগত এবং মুখে মুখে। কিন্তু এখন জ্ঞান প্রদান ও গ্রহণের পদ্ধতি হলো প্রাতিষ্ঠানিক এবং খাতা-পুস্তকের মাধ্যমে। যাতে আবার পরীক্ষা, ফলাফল ও সনদের বিষয় রয়েছে।যা ইসলামের পূর্ব পদ্ধতির পরিপন্থি।বিদয়াতের প্রথম সংজ্ঞা গ্রহণ করলে কোন মুসলমানের পক্ষে আর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষা গ্রহণ সম্ভব থাকে না। এটা তার জন্য হারাম হয়ে যায়। আর যদি ঘটনা এমন হয় তবে জ্ঞানের দিক থেকে মুসলমান কতটা পিছিয়ে পড়ে তা’কি ভাবা যায়?
কোরআন ছিল মুখে মুখে। এরপর সাহাবায়ে কেরামের (রা.) জামানায় কোরআনের গ্রন্থরূপ হলেও সেই জামানায় কোরআনের ছাপানো রূপ ছিল না।কাজেই ছাপানো কাগজে কোরআন পরিবেশন ইসলামের নতুন পদ্ধতি। বিদয়াতের প্রথম সংজ্ঞা গ্রহণ করলে ছাপানো কোরআন স্পর্শ করা নাজায়েজ হয়ে যায়।
মহানবি (সা.) ও সাহাবায়ে কেরামের (রাঃ) জামানায় কোন ছাপানো পুস্তক ছিলনা। কাজেই বিদয়াতের প্রথম সংজ্ঞা অনুযায়ী যে কোন ছাপানো পুস্তক থেকে দূরে থাকতে হবে।
হাদিস গ্রহণ ও প্রচারছিল মুখে মুখে। মহানবি (সা.) ও সাহাবায়ে কেরামের (রা.) জামানায় হাদিসের কোন পুস্তক ছিল না। ছাপার অক্ষরে তো অবশ্যই নয়। কাজেই বিদয়াতের প্রথম সংজ্ঞা অনুযায়ী বর্তমানে প্রচলিত হাদিসের কিতাব স্পর্শ করা নাজায়েজ।একই কথা ফিকাহ এর কিতাবের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
ইন্টারনেট ব্লগ ইত্যাদিতো বিদয়াতের প্রথম সংজ্ঞা অনুযায়ী মহা নাজায়েজ। যে সব লোক বিদয়াতের প্রথম সংজ্ঞা গ্রহণ করে আর বিদ্যালয়, পুস্তক ও ইন্টারনেট বর্জন করেনা। তাদের কথা ও কাজে মিল নেই। কাজেই তারা মুনাফিক।বিদয়াতের প্রথম সংজ্ঞা গ্রহণ করে তারা অতি মুসলমান হতে গিয়ে মুনাফিক হয়ে ইসলাম থেকেই খারিজ হয়ে যাচ্ছে।যেহেতু বিদয়াতের প্রথম সংজ্ঞা অনুযায়ী মুসলমান থাকাই সম্ভব নয়। সেজন্য আমরা দ্বিতীয় সংজ্ঞা অনুযায়ী প্রণপণে মুসলমান থাকার চেষ্টা করছি।
প্রিন্সিপাল ইব্রহীম খাঁর কাফেলা নামক পুস্তকে বিদয়াত বিদয়াত বলে জিগির তোলা দলের স্বল্প শিক্ষিত মুন্সি সাব মেয়েদের স্কুলে যাওয়াকে বলছেন, দলবেঁধে জাহান্নামে যাওয়া।এবার বুঝুন এদের বিদয়াতের নমুনা। এরা কি বলতে কি বলে। এদের এসব প্রচারণায় প্রভাবিত হলে মুসলমানরা কি বর্তমান পৃথিবীর সাথে তাল মিলাতে পারবে? আর বর্তমান পৃথিবীর সাথে তাল মিলাতে অপারগ মুসলমান কি নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে পারবে? বিদয়াত বলতে মুখে ফেনা তোলা সৌদি আরব অকশেষে ইহুদী ও খিস্টানের উপর ভরসা করে টিকে থাকতে চায়। এটা কোন ছুন্নত? এরা এমন লেংটি পরে যে লেংটির এক দিক দিয়ে লজ্জাস্থান ঢাকতে গেলে অন্য দিক দিয়ে বেআবরু হয়ে যেতে হয়।
মহানবি (সা.) তাঁর যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলেছেন। কাজেই আমরাও মূলনীতি ঠিক রেখে তেমনটা করলে সেটা বিদয়াত বা নাজায়েজ হবে কেন? কাজেই আলেম সমাজের মতামতটাই ঠিক। আর তা’হলো, ‘ইসলামে যা মন্দ নতুন সৃষ্ট উহা বিদয়াত’।‘ইসলামে যা ভাল নতুন সৃষ্ট উহা বিদয়াত নয়’।

মন্তব্য ৪৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:১৯

রাজীব নুর বলেছেন:

০৬ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:২৪

সনেট কবি বলেছেন: ঠিক বলেছেন।

২| ০৬ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:২৯

আবু আফিয়া বলেছেন: সকল প্রকার বিদআত থেকে দূরে থাকি।
লেখককে ধন্যবাদ

০৬ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৫

সনেট কবি বলেছেন: কিন্তু আমাদেরকে বুঝতে হবে বিদয়াত আসলে কোনটি?

৩| ০৬ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:২৯

এভো বলেছেন: ভাই কাইন্ডলিং নীচের লিংকে ক্লিক করে এই লেখাটি পড়ুন এবং আপনার মূল্যবান মতামত দিন । আমি ৭ মাসের উপর এই ব্লগে। আমার লেখা প্রথম পাতায় স্থান পাচ্ছে না , তাই দয়া করে আপনারা যদি একটু সাহায্য করেন তাহোলে বাধিত হব । ধন্যবাদ

লিখন মাধ্যমে পশ্চিম বাংলার নাম বিকৃতির অপসংস্কৃতি যার মধ্য লুকিয়ে আছে এক চরম প্রাদেশিকতা ও সাম্প্রদায়িকতার ছাপ

Link -- Click here please

০৬ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৬

সনেট কবি বলেছেন: আপনার লেখা পড়েছি। কামনা করি সিগ্র যেন সেফ হতে পারেন।

৪| ০৬ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৩০

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: বিদায়াত তো বর্জনীয় এটুকু জানি।

বিদায়াত সবচেয়ে ভয়ানক কারন এটা করা হয় নেকি লাভের আশায় অথচ গুণাহর কাজ । তাই আর ক্ষমা চাওয়া হয় না । ফলে পাপ পাপই থেকে যায় ।মাফ মিলে না ।

০৬ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৮

সনেট কবি বলেছেন: বিদয়াতের সংজ্ঞা সঠিক ভাবে নিরুপন হওয়া দরকার।

৫| ০৬ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৩

রেযা খান বলেছেন: ভালো লেগেছে। আমি একটু যোগ করতে চাই-
তাছাড়া আমাদের জানা উচিতঃ
শরীয়তের মানদন্ড ৪টি,
১। কোরআন
২। হাদীস (রাসূল (দ) সাহাবায়ে কেরাম, তাবেয়ীনদের কথা ,কাজ ও মৌন সমর্তনকে বলে)
৩। ইজমাউল উম্মাত (যেখানে সবাই একমত হয়)
৪। কিয়াস (অন্য দলীলের উপর অনুমান করে দলীল দেয়া হয়।যেমন, হায়েজ নিফাসের সময় সহবাস করার অবৈধ হয়, পায়খানার রাস্তা দিয়ে সহবাস করার দলীলের উপর ভিত্তি করে)

০৬ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৯

সনেট কবি বলেছেন: কিন্তু অনেকে ইজমা ও কিয়াছ মানতে চায় না। আর ইজমা মানলে বিদয়াতের দ্বিতীয় সংজ্ঞা গ্রহণ করতে হয়।

৬| ০৬ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৪১

রেযা খান বলেছেন: অবশ্যই দাদা। না মানলে কি করার আছে বলুন!

০৬ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৫১

সনেট কবি বলেছেন: কিন্তু যাদের ধারণা মুসলমানদের অগ্রগতি থামিয়ে দেয়। তাদের থামিয়ে দেওয়া সকলের কর্তব্য।

৭| ০৬ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ধন্যবাদ। খুব সরল আলোচনা মূল বিষয়টা উঠিয়ে এনেছেন।

৪ নীতির মাঝে তারা ৩টিই বাদ দিয়ে আহলে হাদীস গ্রুপ শুধূ হাদীস নিয়ে পড়ে থাকতে চায়! এদের কার্যক্রম সন্দেহজনক।
এটা সরাসরি ইসলামের মূলনীতির বিরোধীতা!

পোষ্টে +++++

০৬ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩২

সনেট কবি বলেছেন: নতুন গজানো এ মতবাদ নিয়ে সারা বিশ্বের মুসলমান বড় জ্বালায় আছে।

৮| ০৬ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


মানু্ষের ভাবনা-চিন্তা, কর্ম-কান্ড,যা মানব সমাজের জন্য ভালো, সেটা গ্রহনযোগ্য

০৬ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৬

সনেট কবি বলেছেন: ভালোতেই আলো, এটা অনেকে বুঝতে চায় না।

৯| ০৬ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৯

প্রামানিক বলেছেন: বিদাতের উপর খুব সুন্দর আলোচনা করেছেন। ধন্যবাদ

০৬ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২০

সনেট কবি বলেছেন: মসলমানদের মাঝে অনেকেই বিভ্রান্তি ছড়ায়। সে বিভ্রান্তি দূর করা না গেলে মুসলমানদের পিছিয়ে পড়া থামানো যাবে না।

১০| ০৬ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: চমৎকার আরেকটি সচেতনমূলক পোস্ট পেলাম।

০৬ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৯

সনেট কবি বলেছেন: কুপ মন্ডুকদের সব কিছুকে বিদয়াত ঘোষণা মুসলমান জাতিকে পিছিয়ে দিচ্ছে। ওরা মুসলমানদেরকে চৌদ্দশত বছর পিছনে নিয়ে যেতে চায়। অথচ নবির (সাঃ) ওয়ারিশ আলেম সমাজ বিদয়াতের সঠিক সংজ্ঞা প্রদান করলেও তারা সেটা গ্রহণ করতে চায় না।

১১| ০৬ ই মে, ২০১৮ রাত ১০:০২

পবন সরকার বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ লেখা।

০৬ ই মে, ২০১৮ রাত ১০:৩৫

সনেট কবি বলেছেন: চেষ্টা করেছি গুরুত্ব সহকারে তুলে ধরতে। কতটা পেরেছি জানিনা।

১২| ০৬ ই মে, ২০১৮ রাত ১০:১৮

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: যে সমস্ত উদাহরণ দিয়ে বিদআ'ত কে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইছেন আর মুসলমানকে মোনাফিক ঘোষণা করে দিলেন সে সমস্ত বিষয় নিয়ে বিতর্ক হয় না। বিতর্ক যেসব বিষয় নিয়ে হয় সেসব বিষয় নিয়ে বলিষ্ঠ কোন মতামতও দিতে পারেন না। এটাই সমস্যা...

০৬ ই মে, ২০১৮ রাত ১০:৪০

সনেট কবি বলেছেন: বিদয়াত নিয়ে মত পার্থক্য আছে। আর এ মত পার্থক্য তারা তৈরী করেছে যারা নতুন মত উপস্থাপন করেছে। তাদের এ নতুন মত মুসলমানদের মাঝে বিভাজন তৈরী করেছে। যাতে তারা ক্ষতিগ্রস্থ্য হয়েছে। নতুবা বিদয়াতে হাসানার সঠিকতায় আলেমদের ইজমা ছিল। কিন্তু গড় পড়তা বিদয়াত পন্থিরা সব বিদয়াতকে একত্র করে তালগোল পাকিয়ে ফেলল।

১৩| ০৭ ই মে, ২০১৮ ভোর ৬:০৩

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: কোন তালগোল পাকানো হয়নি। বরং এতদিনের বিশ্বাসকে কুঠারাঘাত করার কারণে, অনেকের এটাকে গ্রহণ করতে সমস্যা হচ্ছে। আর কিছু না। অবাক লাগে, সঠিক জানার পরও কেন আমরা বিশ্বাস ও ইজমার কারণে বেঠিকটাকে জারি রাখব?

০৭ ই মে, ২০১৮ সকাল ৮:১৬

সনেট কবি বলেছেন: আমি এক দিন মসজিদে একটা কথা বলেছি। পর দিন দেখি আমার কথা দু’রকম উপস্থাপন হচ্ছে। আমি যতই বলছি আমি এমন বলিনি। একজন বলছে আপনি এটাই বলেছেন। এখন মহানবির (সাঃ) কথা ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে কিনা সেটাও পরখ করে দেখা দরকার। বিশেষত পঞ্চম রাবীর বর্ণীত হাদিস পরিবর্তনের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। কাজেই নবির (সাঃ) ওয়ারিশ আলেম সমাজের মতকেও আমলে নেওয়া দরকার। নবি (সাঃ) তাঁর সময়কে অনুমোধন করেছেন, সেই হিসেবে আমাদের সময়ও অনুমোধিত হওয়ার কথা। কাজেই কথাটা মন্দ নতুনই হওয়ার কথা। এর বাইরে কিছু হওয়ার কথা নয়।

১৪| ০৭ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:১৬

নীল আকাশ বলেছেন: কিছু দিন ধরেই দেখছি আপনি ইসলাম ধর্ম নিয়ে আপনার যা ইচ্ছে লিখে যাচ্ছেন । আপনার মনের মাধুরি মিশিয়ে আজকে হাদিস নিয়ে আবার একটা মন গড়া মন্তব্য করলেন। কে বলেছে নবী করীম (দরুদ পড়ুন) সময়ে হাদিস লিপিবদ্ধ করা হয়নি। আপনি সহীহ মুসলিম শারিফ পড়েছেন। বাংলা অনুবাদের পৃষ্ঠা ২৯ নম্বরে যান । পরে দেখুন কিভাবে সে সময় বেশ কিছু সাহাবী কে নবী করীম (দরুদ পড়ুন) নিজেই লেখার জন্য অনুমুতি দিয়েছেন। ২৮ থেকে ৩১ পৃষ্ঠা পর্যন্ত সেটা পষ্ট ভাবে সেটা দেয়া আছে। প্রথম খন্ডের পৃষ্ঠা নম্বর গুলি দিলাম, পড়ে দেখুন। সুনানে আবু দাউদ, মুসনাদ আহমেদ, দারিমী, হাকেম, বায়হাকী হাদিস গ্রন্থে সেটা উল্লেখ আছে আর আপনি বলছেন সেটা নেই। আপনি উনাদের চেয়েও বেশী জানেন নাকি ইসলাম সর্ম্পকে !
এমন কি আবু হুরায়রা (রাজি..) কতৃক সংকলিত এবং ইমাম ইবনে তাইমিয়ার (রাজি..) লিখিত হাদিসের কপি এখনো দামেকস ও বালিনের লাইব্রেরীতে সংরক্ষিত আছে। আল্লাহ আপনকে সত্য জানার তৌফিক দান করুন। আমীন।


০৭ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৩:২৯

সনেট কবি বলেছেন: পোষ্ট আবার পড়ুন। আপনি যে কিতাবের কথা বলেছেন সেটা বাজারে নেই। কাজেই সেটা আমাদের আলচ্য বিষয় নয়। বাজারে যে কিতাব রয়েছে সে কিতাব মহানবি (সাঃ) বা সাহাবায়ে কেরামের যুগে সংকলিত নয়। আর সে সময় ছাপার অক্ষরের কোন কিতাব ছিলনা। এমনকি হজরত ওসমান সংকলিত কোরআনে হরকত ও নোকতা ছিল না। কাজেই যারা নতুন সৃষ্টি বলতেই বিদয়াত বলে থাকে তাদের দৃষ্টিতে কোরআন হরকত ও নোকতা নামক বিদয়াতে ভরপুর।

১৫| ০৭ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১:৩৯

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: আপনার লেখাটা পড়লাম। যুগোপযোগি লেখা, সকলের জ্ঞানের পথ পরিস্কার করবে বলে মনে করি।
এরুপ আলোচনা ব্লগে বেশি বেশি হওয়া দরকার। বিশেষ করে তাওহীদ, রিসালাত, বিদায়াত, শিরক, কুফর, নিফাক ইত্যাদির উপর বস্তুনিষ্ঠ আলোচনা অনেক বেশি প্রয়োজন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে।
আলেম সমাজ এ বিষয়ে এগিয়ে আসলে খুব ভাল হবে। ধন্যবাদ।

০৭ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৩০

সনেট কবি বলেছেন: আলেম সমাজ বহু আগেই তাঁদের মতামত জানিয়ে দিয়েছেন। তারা বলেছেন ভাল নতুন সৃষ্ট বিদয়াত নয়। তাদের দৃষ্টিতে মন্দ নতুন সৃষ্ট বিদয়াত।

১৬| ০৭ ই মে, ২০১৮ দুপুর ২:৩০

তারেক ফাহিম বলেছেন: ‘ইসলামে যা মন্দ নতুন সৃষ্ট উহা বিদয়াত’।‘ইসলামে যা ভাল নতুন সৃষ্ট উহা বিদয়াত নয়’।
আপনার সাথে মত প্রকাশ করছি।

কিন্তু ইজমা মেনে চললে কী হয় গুরু।

০৭ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৩

সনেট কবি বলেছেন: হানাফীরা ইজমাকে ইসলামের মূলনীতি মানে। কোরআন ও হাদিসে কোন সমস্যার সমাধান পাওয়া না গেলে সংখ্যা গরিষ্ঠ আলেমের মতের ভিত্তিতে সমস্যা সমাধান করাকে ইজমা বলে। আহলে হাদিসের লোকেরা ইজমা মানে না।

১৭| ০৭ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:০৪

কাছের-মানুষ বলেছেন: আমাদের সবারই বিদাত থেকে বিরত থাকা উচিৎ।

আপনাকে ধন্যবাদ সনেট কবি।

০৭ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৯

সনেট কবি বলেছেন: সংখ্যাগরিষ্ঠ আলেমের মতে যেটা বিদয়াত তার থেকে অবশ্যই আমাদের দূরে থাকতে হবে। কিন্তু বিদয়াতের নামে মুসলমানদেরকে দেড় হাজার বছর পিছিয়ে দেওয়া যায় না। কারণ এগিয়ে যাওয়া পৃথিবীর সাথে মুসলমানকেও এগিয়ে যেতে হবে।

১৮| ০৭ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: ঠিক বলেছেন।

অনেক ধন্যবাদ চাচাজ্বী।

০৭ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৪০

সনেট কবি বলেছেন: সবাই মিলে ঠিকটাই যদি আমরা বুঝতে পারি তবে পৃথিবী আরো শান্তিময় হবে।

১৯| ০৭ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৬

নীল আকাশ বলেছেন: < আপনি যে কিতাবের কথা বলেছেন সেটা বাজারে নেই। কাজেই সেটা আমাদের আলচ্য বিষয় নয়। বাজারে যে কিতাব রয়েছে সে কিতাব মহানবি (সাঃ) বা সাহাবায়ে কেরামের যুগে সংকলিত নয়। <
আপনি আমার কথা বা লেখা বুঝতে পারেন নি। আমি আপনাকে ইমাম আবুল হুসাইন মুসলিম ইবনুল হাজ্জাজ (র) লিখিত সহীহ মুসলিম শরীফ যেটা বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার, ঢাকা পরশিত সেটা পড়তে বলেছি।

০৭ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৫২

সনেট কবি বলেছেন: ইমাম মুসলীমের কিতাব যদি মহানবি (সাঃ) ও সাহাবায়ে কেরাম না পড়ে থাকেন তবে সেটা আমাকে কেন পড়তে হবে? আপনি আমাকে এমন পুস্তক পড়তে বলেন কেন? আর তা’ছাড়া এ কিতাব তো ছাপার অক্ষর, নোকতা ও হরকত দেওয়া। এটা পাঠ করা কি জায়েজ হবে?

২০| ০৭ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৮

অদৃশ্য বালক বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ৪ নীতির মাঝে তারা ৩টিই বাদ দিয়ে আহলে হাদীস গ্রুপ শুধূ হাদীস নিয়ে পড়ে থাকতে চায়! এদের কার্যক্রম সন্দেহজনক। এটা সরাসরি ইসলামের মূলনীতির বিরোধীতা!
আপনাকে ধন্যবাদ সাথে বোনস হিসেবে আহলে হাদীসের কার্যক্রম কয়েকটি নমুনা দিয়ে দিলাম।

https://www.facebook.com/100005539608779/videos/799498630244783/

https://www.facebook.com/groups/1761906367434517/permalink/1948280035463815/


০৭ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:০৬

সনেট কবি বলেছেন: এখানে একটু আলোচনা করলে সবাই জানতে পারতো। আসলে তাদের কাজ যথেষ্ট সন্দেহ জনক। কারণ তাদের পৃষ্ঠপোষকরা
ইসলাম বিরোধীদের পাবন্দী করে।

২১| ০৮ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:২২

নীল আকাশ বলেছেন: আপনি কথা কাটিয়ে যাচ্ছেন। আপনি বলেছেন নবী করীম (দরুদ পড়ুন) সময়ে কোনো হাদীস লেখা হতো না। আমি সেটা প্রমান দিয়েছি যে নবী করীম (দরুদ পড়ুন) নিজে তার হাদিস কিছু কিছু সাহাবী দের লেখার ও সংরক্ষনের অনুমুতি দিয়েছেন। এটার সুস্পষ্ট প্রমান হাদিসে আছে। ইমাম মুসলীমের কিতাব যদি মহানবি (সাঃ) ও সাহাবি পড়তে যাবেন কেন? কি বলেন এসব ? ইমাম মুসলীম (রা::) কে সেটা কি আপনি জানেন !! তার জন্ম বা মৃত্যু কবে সেটা আপনি কি জানেন!!

আপনি আগে বলেন ইসলামের এইসব মহান লেখকদের (ইমাম মুসলিম, আবু দাউদ, মুসনাদ আহমেদ, দারিমী, হাকেম, বায়হাকী ইত্যাদি) বইতে যে হাদিস গুলি লেখা আছে সেটা আপনি বিশ্বাস করেন কিনা ? কিতাব /ছাপার অক্ষর/নোকতা / হরকত দেওয়া এই সব অনেক পরের কথা। আপনার বাকি কোনো বিষয় নিয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই।

০৮ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৩১

সনেট কবি বলেছেন: তাঁরা তাদের সংকলিত হাদিস সহিহ বলেছেন। কিন্তু তাঁদের কিতাবে তাঁদের হাদিস সহিহ হওয়া সংক্রান্ত কোন হাদিস নেই। কাজেই তাঁদের হাদিস কোরআনের সাথে সাংঘর্ষিক কি না সেটা ক্ষতিয়ে দেখলে ক্ষতি কি? এখন একজন একটা হাদিস বলল কিন্তু গবেষণায় দেখা গেল সেটা আসলে হাদিস নয়। তবেতো উহা মান্যতার তালিকায় আর থাকর না। সে জন্য আমি আল্লাহ ছাড়া কোন কিতাবের লেখককে যাচাইয়ের বাইরে রাখতে নারাজ।

২২| ০৯ ই মে, ২০১৮ সকাল ১০:৪১

নীল আকাশ বলেছেন: আপনার হাদিস সর্ম্পকে যথেস্ট জ্ঞানের অভাব আছে । আপনি হাদিস নিয়ে কি বলেন আপনি নিজেও বোঝেন না । "তাঁরা তাদের সংকলিত হাদিস সহিহ বলেছেন। কিন্তু তাঁদের কিতাবে তাঁদের হাদিস সহিহ হওয়া সংক্রান্ত কোন হাদিস নেই।" - এটা দিয়ে আপনি কি বলতে চেয়েছেন ? সাহীহ শব্দ টার অর্থ কি আপনি জানেন ? এর অর্থ হচ্ছে - এটা আরবি তে একবচন, বহু বচনে সাহাহা, আভিধানিক অর্থ - যার মধ্যে কোনো দোষ বা ত্রুটি পাওয়া যায় না, সনদ সহকারে প্রমানীত, নির্ভরযোগ্য। পারিভাষিক অর্থ - এমন মুসনাদ বা সনদ যুক্ত হাদিস যার রাবী বা বর্ননা কারী প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মুত্তাসিল বা অবিচ্ছিন্ন, আদেল বা ন্যায় নিষ্ঠ, সকল প্রকার ত্রুটি মুক্ত। মুসনাদ বা সনদ কি সেটা বুঝেন? নাকি এটা না বুঝেই হাদিস নিয়ে আপনার যা ইচ্ছে লিখে যাচ্ছেন !

সহীহ বুখারী এবং সহীহ মুসলিম শরীফ কে একত্রে "সাহীহাইন" বলে গন্য করা হয়। বিগত ১০০০ বছর ধরে শত শত মুসলিম মনীষিরা এই দুটি গ্রন্থকে নির্ভুল গন্য করে আসছেন আর আজকে আপনি এসে সন্দেহ করছেন? সাবাস।

নবী করীম (দরুদ পড়ুন) নিজেই লেখার জন্য অনুমুতি দিয়েছেন, লেখার পর দেখেছেন ঠিক নাকি আর সেই সব সাহাবীদের হাতে লেখা হাদিসে সংকলন নিয়ে আপনি সন্দেহ প্রকাশ করছেন? আপনি কি জানেন হযরত আলী ইবনুল আবী তালীব (রাজিআল্লাহু...) নিজে কিছু কিছু শরিয়তে বিধান সংক্রান্ত হাদিস লিখে রাখতেন এবং পরে নবী করীম (দরুদ পড়ুন) কে দেখিয়ে ঠিক করে রাখতেন। সেই হাদিস গুলি পড়তেও আপনার সমস্যা!!! হযরত আলী ইবনুল আবী তালীব (রাজিআল্লাহু...)
হাতে লেখা হাদিস নিয়েও আপনি সন্দেহ করেন !!!!!

আপনার সাথে এই বিষয়ে আমি আর কথা বলবো না। হযরত আলী ইবনুল আবী তালীব (রাজিআল্লাহু...) বলেছেন "মুর্খ দের সাথে তর্ক করোনা কারন তারা তোমাকে তাদের পর্যায়ে নিয়ে যাবে"। হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব (রাজিআল্লাহু...) আপনার মতো লোকদের থেকেই সর্তক থাকতে বলেছেন খুৎবাতে। আপনারই আসল ফিতনা সৃষ্টি করেন।

আল্লাহ আপনাকে সত্য জানার তৌফিক দান করুন। আমীন।

০৯ ই মে, ২০১৮ রাত ৯:৩৪

সনেট কবি বলেছেন: তাঁরা অনেক সাবধানতা অবলম্বন করেছেন এটা সঠিক। কিন্তু তাঁরা আলেমুল গায়েব নন। তাঁরা ভুলের উর্ধ্বে নন। কাজেই তাঁদের কাজ যাচাই মুক্ত হতে পারে না। এমন কি যদি এগুলো কোরআন বা বাস্তবতার পরিপন্থি প্রমাণীত হয় তবে তা’ অবশ্য পরিত্যাজ্য হবে। আপনি যা বলেছেন সেটা নিচক আবেগ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.