নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

World Of Darkness

সাখাওয়াত সনেট

সাখাওয়াত সনেট › বিস্তারিত পোস্টঃ

তবে কি শিল্প সংস্কৃতিতে পিছিয়ে পরছে বাংলাদেশ???

২১ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:২৬

জি বাংলায় সা রে গা মা কিংবা সনি টিভিতে যখন ইন্ডিয়ান আইডল দেখি তখন সুরের মূর্ছনায় সপ্তাকাশে অবস্থান করি। এক একটা প্রতিযোগীর সুর আকাশ ছুঁয়ে যায়.... সুর তাল লয় স্কেল সবকিছু শুনে মনে হয় কিভাবে সম্ভব এত ছোট ছোট বাচ্চাদের পক্ষে এরকম সুরে গান গাওয়া!!!!!
অপর দিকে আমাদের দেশে আর আগের মত সুর নেই। সুর আর গানের দেশ বাংলার সুরে মুগ্ধ হয়েছে সারা বিশ্ব, এখন আর সেই সুর খুঁজে পাওয়া যায়না।
হঠাৎ মটাৎ কিছু ছেলে পেলে গিটার বাজিয়ে গান ধরে। খুব ভালোই বোঝা যায় গিটার কিনেছে শুধুই ফ্যাশনের জন্য। গলার আওয়াজে নেই দম, নেই সুর তবুও তারা নিজেদের শিল্পী বলে।। তাদের কথা বাদ দিলাম আমাদের এখনকার শিল্পীদেরি বা কি এমন গলা?? সফটওয়্যার লাগিয়ে গান গায়।। যেন গলায় বের হয়না......
আর নাচ?? ও কথা বাদই থাক। এখনো যে দেশে ছেলেদের দিয়ে ক্ল্যাসিকাল করানো হয় সে দেশে নাচে উন্নতি হবেনা তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা.....
.
কেন এমন হচ্ছে?? কেন শিল্প সংস্কৃতিতে আমরা এগোতে পারছিনা???
আমার মনে হয় এর কারন আমাদের ভেতর থেকে এসব চর্চার ইন্টারেস্ট কমে যাচ্ছে।।
আমরা যখন ছোট ছিলাম তখন লেখা পড়ার পাশাপাশি অবসরে এসব চর্চা করতাম।।
এখনকার বাচ্চাদের সময় কোথায়???
এমন মনে হয় যেন মানুষের জন্ম হয়েছে শুধুই গোল্ডেন প্লাস পাওয়ার জন্য।। কিছুর দরকার নেই শুধু পড়েই যাও।। বাবা মার মন মানুষিকতাও চেঞ্জ হয়ে গিয়েছে।। নাচ গান খেলা করে কি হবে?? শুধু পড় আর পড়।।
আবার উপর থেকে এখন প্রাইমারি স্কুলের বাচ্চাদের হাতেও স্মার্টফোন।। তারা ঐ বয়সেই ফেসবুক চালায়। যেই বয়সে আমাদের প্রচুর অবসর ছিলো। সেগুলো কাটানোর জন্য খেলতাম, ছবি আঁকতাম কিংবা গল্পের বই পড়তাম। সেই বয়সে এখনকার বাচ্চারা ফেসবুক চালায়।। এত এত পড়া আর ইন্টারনেট ইউজের পর এক্সট্রা এক্টিভিটিস করার সময় কোথায়?
আর ইয়োং জেনারেশন? তারা তো ড্রাগ, প্রেম আর ইন্টারনেটে এডিক্টেড।। তাদেরি বা সময় কোথায়???
.
কিন্তু এভাবে যে দেশ থেকে শিল্প চর্চা পুরোপুরি উঠে যাচ্ছে, শিল্পে দেশ পিছিয়ে যাচ্ছে সেদিকে কার খেয়াল আছে??
এ ব্যপারে সবাই চরমভাবে উদাসীন।।
আমাদের সময় আমরা যখন স্কুলে অনুষ্ঠান করতাম তখন সেগুলো দেখার মত হত।। আর এখন তো বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠান করাই বন্ধ করে দিচ্ছে।। কারন ছেলেপেলেদের উগ্রতা।।
অনুষ্ঠান হলেই মারামারি গ্যাঞ্জাম।। উগ্রতা দেখিয়ে এরা বাপের নাম উজ্জ্বল করে। উগ্রতাই এদের ক্রেডিট।।
দুই একটা প্রতিষ্ঠানে যা প্রগ্রাম হয় শিল্পীদের পার্ফর্মেন্স জুতা মারার মত।।
দেশের প্রধান প্রধান প্রতিষ্ঠানে এখনো ভালো প্রোগ্রাম হয় কিন্ত তা শিল্পে এগিয়ে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট নয়।। অথচ আমরা যেই অবস্থায় স্কুল ছেড়েছিলাম তাতে আজ অনেক এগিয়ে যাওয়ার কথা......
.
ভদ্রতা, শিষ্ঠাচার, বিনয় এসব যেন উঠেই যাচ্ছে দেশ থেকে।। এসব আটকানোর ব্যবস্থা নেওয়া কিন্তু আপনার আমার উপর। নতুনদের ভালোমতো শিক্ষা দেওয়া, তাদের শিল্পে ইন্টারেস্ট করা আমরা চেষ্টা করলেই হয়ে যাবে।। দেশ কে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া কি আমাদের দায়ীত্ব না???
আপনিই পারেন আপনার পরিবারের ছোটরা কোন রাস্তায় যাবে তা দেখিয়ে দিতে।।।
শুধু ক্রিকেট না প্রতিটা ব্যপারে বাংলাদেশ বিশ্বে মাথা তুলে দাঁড়াবে সেটাই আমার কাম্য।।
সবাই ভালো থাকুন, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুন।।।। :) :)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.