![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হুজুররা কি মানুষ নয়? হুজুরদের কি ভুল হতে পারে না?
হ্যাঁ, পারে। মানুষ মাত্রই ভুল। কেউ ভুলের উর্ধে নয়। কিন্তু ভুল আর মিথ্যাচার অথবা চাপাবাজি এক নয়। যখন কেউ ইচ্ছা করে কিছু বলে বা করে তখন সেটাকে ভুল বলা যায় না।
ধরুন ক্লাস এইটে আপনি ফার্স্ট বয় ছিলেন। ছেলে মেয়ের কাছে বলতে গিয়ে বললেন "জানিস আমি ক্লাস সেভেনে ফার্স্টবয় ছিলাম"। অনেকটা সময় অতিবাহিত হওয়ার কারণে আপনি ভুলে গেছেন যে কোন ক্লাসে আপনি ফার্স্ট বয় ছিলেন। সেজন্যই ক্লাস এইট এর পরিবর্তে ক্লাস সেভেন বলেছেন। এটাকে বলে ভুল।
কিন্তু ধরুন আপনি কোন দিন স্কুলেই যাননি। কিন্তু বলার সময় বললেন "জানিস আমি ক্লাস সেভেনে ফার্স্ট বয় ছিলাম"। এটা ভুল না। এটা মিথ্যাচার অথবা চাপাবাজি। যা ইচ্ছাকৃতভাবে করা বা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
খেয়াল করে দেখুন মনোয়ার বলেছে সে অনেকবার রকেটে চড়েছে। যা ভুল নয় বরং চাপাবাজি।
এখন কেউ যদি প্রশ্ন করে "কেন তারেক মনোয়ার কি রকেটে চড়তে পারে না?" তবে সেটা আপনার অজ্ঞতা দর্শায়।
আবার সে বলেছে অক্সফোর্ড এর সিলেবাসভুক্ত স্কুলে সেরা শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছে।
বাংলাদেশ এমন একটা দেশ যে দেশের কোন ছাত্র ভালো কোথাও চান্স পাওয়ার পর প্রতিটা কোচিং সেন্টার তাকে নিজের বলে দাবি করে। সেখানে কোনো প্রতিষ্ঠান যদি অক্সফোর্ডের সিলেবাসে চলে তাহলে অবশ্যই ঢোল দিয়ে তারা প্রচার করবে যে তার প্রতিষ্ঠান অক্সফোর্ডের কারিকুলামে চলে। কিন্তু আপনারা কি কখনো দেখেছেন কোন স্কুলকে এরকম দাবি করতে?
কোন স্কুলের শিক্ষক যদি অক্সফোর্ডের দ্বারা সেরা শিক্ষক নির্বাচিত হয়ে থাকে তবে তারা অবশ্যই সেটা প্রচার করবে। কখনো দেখেছেন কোন স্কুলের শিক্ষক নিয়ে এমন কোনো প্রচারণা?
তাছাড়া মনোয়ার যদি তিনবার সেরা শিক্ষক নির্বাচিত হয়েই থাকে তবে বাকি বছরগুলোতে কে হলো? তারা কোথায়? এতগুলো শিক্ষকের মধ্যে কেউই কি নিজের এত বড় কৃতিত্ব মানুষকে জানান দেবে না?
অক্সফোর্ড একটি বিশ্ববিদ্যালয়। দুনিয়ার অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানকার শিক্ষকদের কি এতই দায় পরে গিয়েছে যে বাংলাদেশের মতো তৃতীয় বিশ্বের একটা দেশ, তার প্রাইমারি স্কুলের ছাত্রদের খাতা তারা দেখবে?
কথা শুধু বললেই হয় না কথার মধ্যে লজিক থাকতে হয়।
এগুলোকে ভুল বলে না নিজেকে জাহির করতে গিয়ে চাপাবাজি বলে। সুতরাং চাপাবাজি কে ভুল বলে চাপাবাজি সাপোর্ট করে নিজেকে কাণ্ডজ্ঞানহীন প্রমাণ করার কোন প্রয়োজন আছে বলে আমার মনে হয় না।
হুজুরের শুধুমাত্র খারাপ দিকটা কেন দেখছেন? ভালো দিকও তো অনেক আছে। আমরা ভালোগুলো গ্রহণ এবং খারাপ গুলো বর্জন করতে পারি।
ভালো এবং মন্দের মধ্যে পার্থক্য করার মত ক্ষমতা আপনার আছে?
যদি থাকতো তবে চাপাবাজিকে ভুল বলে চাপাবাজিকে জাস্টিফাই করতে যেতেন না। এরপরেও যদি মনে করেন যে আপনার ভালো এবং মন্দের মধ্যে পার্থক্য করার যথেষ্ট ক্ষমতা আছে তবে আমি বলব আপনারতো হুজুরের বয়ান শোনার কোন প্রয়োজনই নেই। কারণ আপনি নিজেই ডিসাইড করতে পারেন যে কোনটা ভাল আর কোনটা মন্দ।
যে ব্যক্তি দিনে দুপুরে এত মিথ্যা কথা হাজার হাজার মানুষের সামনে বলতে পারে। সে ব্যক্তির বাকি কথা যেগুলো আমরা জানি না সেগুলো যে সত্য সেটা আমরা কিভাবে গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি? নিজেকে জাহির করতে গিয়ে যে এত মিথ্যাচার করতে পারে সে হাদিস-কোরআনের বানোয়াট ব্যাখ্যা দিয়ে নিজের আইডিওলজি মানুষের মধ্যে ঢুকিয়েও দিতে পারে।
মানুষ ওয়াজ শুনতে যায় ধর্মের কিছু কথা শোনার জন্য। সেখানে হুজুরদের পার্সোনাল লাইফের কথাবার্তা বলার কি প্রয়োজন আমার মাথায় আসেনা। হুজুররা হেলিকপ্টারে আসলো কি রকেটে আসলো, হুজুররা বিরিয়ানি খেলো কি পান্তা ভাত খেলো, হুজুররা কাকে কত টাকা দান করল, বিল গেটস এর সাথে দেখা করল নাকি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে দেখা করল এসবে কী যায় আসে? ওয়াজের ভেতরে এসবের কী রোল আছে? ধর্মপ্রচারে এসবের দরকারই-বা কী? এগুলো শুধুমাত্র নিজেকে একটু উপরে নিয়ে গিয়ে জাহির করার প্রচেষ্টা নয় কি?
হাদিসে আমরা শুনেছি যার মনের মধ্যে তিল পরিমান অহংকার আছে সে কখনো জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। হুজুরদের কথাবার্তা বা জেশজারে কি মনে হয়না তারা প্রচন্ড রকমের অহংকারী?
সৎ এবং ভালো উদ্দেশ্যে বয়ান দেওয়া কোন মানুষ বয়ানের মধ্যে মিথ্যাচার করবে না। যখন কেউ মিথ্যাচার করছে তখন বুঝতে হবে তার উদ্দেশ্য ভালো না। এসব মানুষকে আমাদের বয়কট করতেই হবে। আমাদের সমাজের ভালোর জন্য বয়কট করতে হবে। বিজ্ঞান বা ধর্ম বা সামাজিকতার বিভিন্ন ভুয়া এবং বানোয়াট কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে এই দল। এদের কে সাপোর্ট করবেন না। এরা দেশ, ধর্ম, সমাজ, বিজ্ঞান সবকিছুর জন্য ক্ষতিকর।
২| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৩৩
মেমননীয় বলেছেন: চোরের সাক্ষী গাঁটকাটা!
শাক দিয়ে মাছ ঢাকা (ঢাকার চেষ্টা)!
৩| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:১৪
অনন্য দায়িত্বশীল বলেছেন: আমার তো মনে হয়না সে রকেটে চড়ার কথা বলেছে!! কারণ এইকথা কেউ বিশ্বাস করবেনা এবং এটা বাস্তবসম্মত না এই সেন্সটুকু কমপক্ষে তার আছে।
৪| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৩৩
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ওয়াজের উলংগ মিথ্যুক হুজুররা যদি বর্তমান ইসলামের কাণ্ডারি হয়
তবে ক্রমাগত মিথ্যাচার ছাড়া এই ইসলামকে আর টিকানো সম্ভব না।
৫| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৩:৪৩
মেটালক্সাইড বলেছেন: বিশ্লেষণ ভাল হয়েছে কিন্তু টপিকটা চিলে কান নিয়েছে অবস্থার মত। এটা একটা ট্রেন্ড যেটা দিয়ে এরা নিজেদের উপার্জন বৃদ্ধি করছে আবার প্রবৃদ্ধিও বাড়াচ্ছে।সামগ্রিকভাবে ক্ষতির পরিমাণ মনুষ্ব্যতের উপর প্রতিফলিত হয়। এদিকে ঘোড়ার উস্ফালনের মত প্রবৃদ্ধি বাড়িয়ে এলিট,সুবিধাভোগী,বিশ্বাসঘাতক শ্রেণীর অংশ পুরো জাতিকে কোন অতল গহবরের দিকে ঠেলে দিচ্ছে সেটির ক্ষতির পরিমাণ জেনেও কারো কলম দিয়ে লেখার সাহসও নেই। সামান্য কিছু জোকারের জন্য কলমের কালি শেষ করে ফেলছে সাংবাদিক থেকে ব্লগার পর্যন্ত। প্রায় সমস্ত ব্লগার ,পাঠক জানেন ভবিষ্যত বাংলাদেশের রুপ কি হতে পারে।
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ১:৩৪
রাজীব নুর বলেছেন: ওয়াজওয়ালাদের কথা এত সিরিয়াস ভাবে নেওয়া রকিছু নেই।
যে ওয়াজ করে সে-ও মানুষ।
যে ধর্ষন করে সে-ও মানুষ।
যে দূর্নীতি করে সে-ও মানুষ।
আসল ব্যাপার হচ্ছে মনুষ্যত্ব। যার মনুষ্যত্ববোধ আর মানবতা আছে সেই সেরা মানুষ।