![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
না, এটা খাওয়ার ফল পেপে নয়। আমি বলছি ফুটবলের জন্য বিশ্বখ্যাত উরুগুয়ের ১ বছর আগের প্রাক্তন নির্বাচিত প্রেসিডেন্টের নাম হোসে আলবার্তো পেপে মুজিকা কডার্নের নাম। তিনি ''পেপে'' নামেই সর্বাধিক পরিচিত। তিনি ২০১০ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত আকাশ ছোঁয়া জনপ্রিয়তা নিয়ে রাষ্ট্র শাসন করেছেন। প্রেসিডেন্ট হিসেবে মাসিক বেতন পেতেন ১০ লাখ টাকা (১২৫০০ ডলার)। ১ হাজার ২৫০ ডলার সংসার খরচের জন্য রেখে বাকি টাকা দুস্হদের মধ্যে বিলিয়ে দিতেন। অবসরের পর এখন তিনি স্ত্রীর খামারে ফুল-ফলের চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। সংসারে কাজের লোক রাখেননি। নিজের কাপড় নিজেই পরিস্কার করেন। খামারে উৎপাদিত ফুল-ফল বিক্রি করেন। বাসার সব কাজ নিজ হাতেই করেন। মাটির কুয়ার পানি পান করেন। অবাক হচ্ছেন। গল্প নয় এটা সত্যি ঘটনা। অথচ এ নেতা আমাদের দেশের অধিকাংশ নেতানেত্রীদের মতো হঠাৎ করে রাজনীতিক হননি। ষাটের দশকে কাষ্ট্রোর নেতৃত্বে বিল্পবে অনুপ্রাণিত হয়ে যোগ দেন। ছিলেন গেরিলা নেতা। জেলও খাটেন ১৪ বছর। বামপন্হী দলগুলের সঙ্গে মুভমেন্ট অব পপুলার (এমপিপি) নামে রাজনৈতিক দল গঠন করেন। ১৯৯৪ সালে সাধারণ নির্বাচনে তিনি ডেপুটি এবং ১৯৯৯ সালে সংসদের এমপি (সিনেটর) নির্বাচিত হন। তার নেতৃত্বেই এমপিপির জনপ্রিয়তা বাড়ে। ২০০৫ সালে তিনি সরকারের মৎস্য গবাদিপশু, কৃষি বিষয়ক মন্ত্রী নিযুক্ত হয়ে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৯ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ী হয়ে ২০১০ সালে ১০ মার্চ প্রেসিডেন্টের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। ১৯৩৫ সালে জন্ম নেয়া হোসে মুজিকা পেপে রাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে বাড়তি খরচ হবে শঙ্কা থেকে প্রেসিডেন্টের জন্য নির্ধারিত সরকারি বাড়ি-গাড়ী কোনটাই ব্যবহার করেননি। উরুগুয়ের সাবেক প্রেসিডেন্ট পেপে ক্ষমতায় থাকাবস্হায় খরচ বাঁচাতে রাজপ্রাসাদের বদলে খামার বাড়িতে বসবাস করতেন। এমপি, মন্ত্রিত্ব ও প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করার পরও বর্তমানে তার নিজস্ব সম্পদের মধ্যে রয়েছে একটি গাড়ী ও একটি কুকুর। অথচ আমাদের বিভিন্ন সময় রাষ্ট্রের নীতি নির্ধারণীতে ছিলেন এমন অধিকাংশ নেতাই হাইবৃীড। ক্ষমতায় নেই তারপরও জীবনযাপনে এলাহী কান্ড। রাজনীতিকদের অনেকেই বলে থাকেন এদেশে সংসদ সদস্য হওয়া এখন সবচেয়ে বড় ব্যবসা। পেপের নিরাপত্তার জন্য থাকতো কয়েকজন পুলিশ। আমাদের নেতানেত্রীদের ক্ষেত্রে এটা কল্পনা করা যায়? উরুগুয়ের সাবেক প্রেসিডেন্ট পেপের মতোই আমাদের দেশের অনেক নেতা কুকুর পছন্দ করেন। তারাও বাসা-বাড়িতে কুকুর রাখেন। তাদের একটি কুকুরের পিছনে যে অর্থ খরচ হয় সে অর্থ দিয়ে ৫ সদস্যের একটি পরিবার অনায়াসে সংসার চালাতে পারেন। বছর তিনেক আগে বাংলাদেশের একজন সাবেক প্রেসিডেন্টের কুকুর দুর্ঘটনায় আহত হওয়ায় ওই কুকুরটিকে দ্রুত ইউনাটেড হাসপাতালে নেয়া হয়। চিকিৎসারত অবস্হায় কুকুরটি মারা গেলে কাঁন্নায় ভেঙ্গে পড়েন ওই সাবেক প্রেসিডেন্ট। এ কান্না দেখে তার দলের নেতানেত্রী ও বাসার কর্মচারীরা কাঁদতে শুরু করেন। হাসপাতালে এক বেদনাবিধূর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। একটি কুকুরের মৃত্যুতে বেদনাবিধূর পরিবেশের সৃষ্টি হয় অথচ এবার ঈদে সড়ক দুর্ঘটনায় ১৮৬ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রায় দুইশ মানুষের প্রাণ গেছে। এতোগুলো মানুষের প্রাণ হারানোর পর ওই নেতানেত্রীদের কারো চোখের পানি ফেলতে দেখা যায়নি।
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৬
মূল-উপদল বলেছেন: দ্বিমত, কারন বাংগালী মনন এই ধরনের শাসক হজম করতে পারবে না, আর শাসক আসমান থেকে পয়দা হয় না, আমরা যেমন আমাদের শাসক তেমন, কতজন মানুষ আমাদের দেশে আছে যারা সুযোগ পেলেও শটকাট মারবে না?