![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সশস্ত্র জঙ্গীদের শেকড় অর্থাৎ তাদের রাজনৈতিক মতাদর্শের প্রণেতা ও গুরু এবং আশ্রয়, অর্থ, অস্ত্র ও মন্ত্রদাতাদের প্রতি তীর নিক্ষেপ না করে আমরা শুধু জঙ্গীদের পেছনে ছুটছি। তাতে পরোক্ষভাবে হলেও শত্রুপক্ষের মূল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অটুট থাকছে। ফলে উৎপত্তিস্থল বহাল থাকায় যত জঙ্গী ধরা হচ্ছে তার সমসংখ্যক বা বেশি নতুনভাবে অস্ত্র নিয়ে মাঠে নামছে। আমরা এখন একটা যুদ্ধে লিপ্ত আছি। যুদ্ধটা মূলত রাজনৈতিক, যেখানে এক পক্ষ রাজনৈতিক ফ্রন্টে সুবিধা করতে না পেরে গোপনে তৈরি সশস্ত্র জঙ্গীদের মাঠে নামিয়েছে দ্বিতীয় ফ্রন্ট হিসেবে। ১৯৯৯ সালের ৬ মার্চ যশোরে উদীচীর অনুষ্ঠানে আক্রমণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে জঙ্গীদের সশস্ত্র তৎপরতা শুরু। এরপর থেকে তারা এ তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে এবং ২০০৪-২০০৫ সালে এসে আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে এবং আদালতসহ রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের ওপর আক্রমণ চালায়। তৎকালীন ক্ষমতাসীন সরকারকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দেশের একটি অংশে অর্থাৎ রাজশাহীর বাগমারায় জঙ্গীরা নিজস্ব শাসনও চালু করে। তৎকালীন সরকার সব দেখেও না দেখার ভান করে। ২০০৯ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি ক্ষমতায় এলে পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটে। জঙ্গী দমনে প্রকৃত অর্থে জিরো টলারেন্স নীতির সঙ্গে আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোর সশস্ত্র বিদ্রোহীদের তল্পিতল্পাসহ বাংলাদেশ থেকে উৎখাত করার ফলে কোল্যাটারাল ইফেক্টের কারণে ২০০৯ সাল থেকে গুলশান আক্রমণের আগ পর্যন্ত জঙ্গীরা ২০০৪-২০০৫ সময়ের মতো বড় আকারের সশস্ত্র তৎপরতা চালাতে পারেনি। যারা বর্তমান সরকারকে উৎখাত করে নিজেদের রাজনৈতিক অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে চান এবং যারা মুক্তিযুদ্ধের মূল দর্শনের বিরুদ্ধে, বাঙালী সংস্কৃতির বিরুদ্ধে। যারা এক সময়ে স্লোগান দিয়েছেন আমরা সবাই তালেবান, বাংলা হবে আফগান। সরকার দলসহ মুক্তিযুদ্ধের দর্শনে বিশ্বাসী সব দল ঐক্যবদ্ধভাবে চিহ্নিত শত্রুর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক যুদ্ধ চালাচ্ছে এবং রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে জামায়াতের দ্বিতীয় ফ্রন্ট সশস্ত্র জঙ্গীদের দমন করার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। গুলশান ট্র্যাজেডির পর সারা বিশ্বের মানুষ ও গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্র এবং সরকারগণ নিঃশর্তভাবে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছে। সুতরাং বাংলাদেশের জনগণ অতীতে ভুল করেনি, এখনও করছে না এবং ভবিষ্যতেও করবে না। জঙ্গী দমনে জনগণের ঐক্যের একটা আলামত এখন সর্বত্রই ফুটে উঠছে।
©somewhere in net ltd.