![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলাদেশের পর্যটন স্থানের মধ্যে যেগুলোর নাম প্রথমে চলে আসে তার মধ্যে অন্যতম হল কুয়াকাটা। কুয়াকাটার নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য ও সমুদ্র সৈকত খুব সহজেই পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। সেজন্য কুয়াকাটাকে একটি আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার যথেষ্ঠ সুযোগ রয়েছে। পর্যটন স্থান হিসেবে কুয়াকাটার জনপ্রিয়তা ইতিমধ্যে ক্রমাগতভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। পর্যটন ইতোমধ্যে দেশ-বিদেশে বিকাশমান এবং সম্ভাবনাময় শিল্প হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলা পটুয়াখালীর এক পাশে সাগরের কোল ঘেঁষে কুয়াকাটার অবস্থান। একই স্থান থেকে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের দৃশ্য উপভোগ করা যায় কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত থেকে। যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতার কারণে নৈসর্গিক সৌন্দর্যমণ্ডিত সাগর-সৈকত কুয়াকাটা ছিল অবহেলিত এবং অপরিচিত একটি জনপদের নাম। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতিতে কুয়াকাটা পরিচিত হয়ে উঠছে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে। সাগর-সৈকতের বিমূর্ত ও নান্দনিক সৌন্দর্য উপভোগে কুয়াকাটা এখন ভ্রমণপিপাসু হাজারো দেশি-বিদেশি পর্যটকের মিলনমেলা। পটুয়াখালী-কুয়াকাটা সড়কে নবনির্মিত শেখ কামাল এবং শেখ জামাল সেতু আনুষ্ঠানিকভাবে যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। এর আগে শেখ রাসেল সেতু নির্মাণ শেষে যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। সেতু তিনটি নির্মাণের ফলে পটুয়াখালী হতে কুয়াকাটা পর্যন্ত সড়কে নদীজনিত বিচ্ছিন্নতা আর রইল না। সরাসরি সড়ক নেটওয়ার্কে যুক্ত হলো কুয়াকাটা। পর্যটন শিল্প বিকাশের অন্যতম পূর্বশর্ত হচ্ছে সহজ ও নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ। বাণিজ্যিক স্থাপনা নির্মিত হওয়ার পাশাপাশি একটি পরিপূর্ণ পর্যটন শহর হিসেবে কুয়াকাটা গড়ে উঠবে। পর্যটন ছাড়াও ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প, জাহাজ নির্মাণ শিল্প, বেসরকারি হাউজিংসহ নানান সম্ভাবনায় খাতে বিনিয়োগের উজ্জ্বল সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এর ফলে সমগ্র অঞ্চলের অর্থনীতির যে প্রাণপ্রবাহ, তা আরও গতিশীল হবে। পণ্য পরিবহণে আসবে নতুন গতি। বঙ্গোপসাগরের বিশাল মৎস্য সম্পদ আহরণ ও বাজারজাতকরণ সহজ, ব্যয় ও সময়-সাশ্রয়ী হবে। বেগবান হবে অনগ্রসর এক জনপদের অর্থনৈতিক কর্মকান্ড।
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৪
প্রথমকথা বলেছেন: ভাল লাগল। প্লাস।