![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গত ২৪ আগস্ট বুধবার রাজধানীর কাকরাইলে উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে দুপুর বারোটায় ফুটওভারব্রিজে রিশার ওপর হামলা করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্ত। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিত্সাধীন অবস্থায় ২৮ আগস্ট রবিবার সকাল সাড়ে আটটায় মারা যায় রিশা। সুরাইয়া আক্তার রিশা উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। রিশার কতোই বা বয়স! ১৩ কি ১৪। এ বয়সেই বাবা-মা, আত্মীয়, সহপাঠী বন্ধুদের ছেড়ে চলে গেল। চলে গেল না-ফেরার দেশে। কিন্তু তার তো যাওয়ার কথা ছিল না। তারও একটি স্বপ্ন ছিল। ছিল বাঁচার অধিকার। কিন্তু তাকেই কেন চলে যেতে হলো? কেনই বা একজন মায়ের বুক অকালে খালি হলো? কপালে ছিল! এমন উত্তরে আমি সন্তুষ্ট নই। এভাবে আর কত মায়ের বুক খালি হবে? হয়তো অসংখ্য। কিন্তু এর কি সমাধান নেই! নাকি সমাধানের পথ পরিষ্কার নয়! একের পর এক হত্যা হয়েই চলবে, অপরাধীরা থাকবে ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। হবে না অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার। বিচার কাজ চলতে লাগবে দীর্ঘ থেকে দীর্ঘ সময়। হাজারো নতুন ঘটনার মাঝে চাপা পড়ে যায় পুরোনো বিচারের দাবি। বিচার না পাওয়ার অতৃপ্ত বেদনায় কাঠ হয়ে যায় স্বজনদের বুক। অতীতের হত্যাকাণ্ডগুলোর দৃষ্টান্তমূলক বিচার হলে হত্যাকারীরা সাহস পেত না। হত্যার মতো নেশা তাদের মস্তিষ্কে চেপে বসত না। চোখের সামনেই অপরাধী অপরাধ করে পার পেয়ে যাচ্ছে। অপরাধীরা চলে যাচ্ছে প্রশাসনের দৃষ্টির বাইরে। এসব থেকেই কি তারা উতসাহিত হচ্ছে না? রিশাকে আহত করা হয়েছে প্রকাশ্য দিবালোকে। জনমানুষের সামনেই। দিনের বেলায় চাপাতি চালিয়ে কিভাবে সন্ত্রাসী পার পেয়ে যায় এটা বোধগম্য নয়। আর রাজধানী শহরে দিনের বেলায় কাউকে হত্যা করার মতো সাহস কীভাবে পায় একজন অপরাধী? ঘটনার চার দিন পরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে রিশা। অপরাধী চিহ্নিত এবং আজ শুনলাম অপরাধী গ্রেপ্তার হয়েছে।আমরা চাই এই অপরাধীর এমন শাস্তি হবে যা দেখে অনান্য অপরাধী শিক্ষা নিবে। আর যেন কোন বাবা-মায়ের কোল অকালে শুন্য না হয়।
©somewhere in net ltd.