![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জঙ্গি-সন্ত্রাস দমনে দীর্ঘদিন থেকেই একটি বিশেষায়িত ইউনিট গঠনের প্রক্রিয়া চলছিল। গত কয়েক বছরে জঙ্গিবাদের উত্থানে কাউন্টার টেররিজম ইউনিট গঠনের বিষয়টি আরও জরুরি হয়ে পড়ে। সন্ত্রাবাদে অর্থায়ন, সন্ত্রাসবাদে সহায়ক অপরাধগুলো প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ, ইন্টেলিজেন্স সংগ্রহ, অপারেশন পরিচালনা, মামলা রুজু ও তদন্ত, তদন্তের আগে সন্ত্রাসীদের পর্যবেক্ষণে রাখাসহ জঙ্গি সংক্রান্ত সব ধরনের কার্যক্রম মনিটরিং করতে গত ফেব্রুয়ারি থেকে এ ইউনিটের কার্যক্রম শুরু হয়। সিটিটিসির চারটি বিভাগ রয়েছে। ‘স্পেশাল অ্যাকশন ডিভিশন’, ‘কাউন্টার টেররিজম ডিভিশন’, ‘ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ডিভিশন’ ও ‘সাইবার ক্রাইম অ্যান্ড সাইবার সিকিউরিটি ডিভিশন’। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম ও ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটকে দেশের যেকোনো জায়গায় অভিযান চালানোর ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি এক অফিস আদেশে সিটিটিসিকে এ ক্ষমতা দেওয়া হয়। ঢাকা মহানগর এলাকার বাইরে জঙ্গি ও উগ্রপন্থীদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি ও তল্লাশি অভিযান, আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয়করণ, জিম্মি উদ্ধারসহ বিশেষায়িত অভিযান ও আইনসংগতভাবে কাজ করবে সিটিটিসি। ঢাকার বাইরে অভিযান পরিচালনার সময় সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) বা মেট্রোপলিটনের কমিশনারকে অভিযানের বিষয়ে জানাতে হবে এবং অভিযান পরিচালনাসহ সিটিটিসি ইউনিটের অন্যান্য কাজের সময় দেশের প্রচলিত আইন ও বিধিগুলো অনুসরণ করতে হবে। জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ ছড়িয়ে দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিতেই পুলিশের এই বিশেষায়িত টিম। বাংলাদেশের নবগঠিত কাউন্টার টেররিজম ইউনিট নিয়ে ইউরোপ, আমেরিকাসহ অনেক উন্নত দেশের আগ্রহ লক্ষণীয়। তারা নিজেরাই এই ইউনিটকে শক্তিশালী করতে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন।
©somewhere in net ltd.