![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিদ্যুৎ চাহিদা সামাল দিতে নানা পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। নেপালের সঙ্গে আগামী এক মাসের মধ্যে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে সমঝোতা স্মারক সই হচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে দেশের সীমানা ছাড়িয়ে সরাসরি বিদ্যুৎ উৎপাদনে বাংলাদেশ রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রথমবার বিনিয়োগ করতে যাচ্ছে। নেপালের জল বিদ্যুৎ খাতে দীর্ঘদিন ধরেই বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করছে বাংলাদেশ। এক বিলিয়ন ডলার দেশটির জল বিদ্যুৎ উৎপাদনে বিনিয়োগের জন্য নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে নেপালে জলবিদ্যুৎ
খাতে বিনিয়োগ করা হচ্ছে। সরকার নিজস্ব বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশগুলো থেকেও বিদ্যুত আমদানির চেষ্টা করছে। ভারত থেকে ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আসছে। নেপাল ও ভুটান থেকে বিদ্যুৎ আনার বিষয়ে আলোচনা চলছে। এসব দেশে জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের বিশাল সুযোগ রয়েছে। এজন্য ভারতের সহযোগিতা প্রয়োজন। কারণ দেশটির ওপর দিয়েই বিদ্যুৎ আনতে হবে। ভারত এ বিষয়ে সহযোগিতা করতে রাজিও আছে। একটি খসড়া এমওইউ নেপালে পাঠানো হয়েছে। এই এমওইউ সইয়ের বিষয়ে নেপালের দ্রুত সহযোগিতা কামনা করা হচ্ছে। আগামী এক মাসের মধ্যে এমওইউ সই করা সম্ভব বলে আশা করা হচ্ছে। এখানে নেপাল ছাড়াও ভারত যুক্ত। সেজন্যই দ্বিপক্ষীয় এর বদলে ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা দরকার। ভারত সরকার ইতিবাচক সাড়া দিলে নেপালের কোন আপত্তি থাকবে না। এমওইউ সই হওয়ার পর ভারতের মতো নেপালের সঙ্গে যৌথ স্টিয়ারিং কমিটি ও ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করা হবে। ফলে দেশটির বিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগের বিষয়ে দ্রুত কার্যকর সিদ্ধান্ত নেয়া সহজ হবে। নেপালে জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। এই সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর বিদ্যুৎ সংকটের সমাধান করা যায়। এ জন্য দেশটির পক্ষ থেকে বিনিয়োগ করার জন্য আগ্রহীদের অনুরোধ করা হয়েছে। নেপালে জিএমআর নামে ভারতীয় একটি কোম্পানি জলবিদ্যুৎ উৎপাদন করছে। তারা বাংলাদেশে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বিক্রির প্রস্তাবও দিয়েছে। এছাড়া ভারতের রাষ্ট্রীয় কোম্পানি এনভিভিএন নেপাল থেকে ৫০০ হতে ৯০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বাংলাদেশে বিক্রি করতে আগ্রহী। এজন্য বাংলাদেশ সরকার অথবা বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদী বিদ্যুৎ বিক্রয় চুক্তি সইয়ের প্রস্তাব দিয়েছে তারা। বিদ্যুতের চাহিদা পূরণে সম্ভাব্য সকল প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা হচ্ছে।
২| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৪৩
ইয়াসিরআরাফাত বলেছেন: উন্নয়নের ধারা বেগবান করতে বিদ্যুতের বিকল্প নাই , তাই সরকারের এই সঠিক পদক্ষেপ ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:১১
ওমদামিয়া পাহাড় বলেছেন: ভারত সরকার ইতিবাচক সাড়া দিলে নেপালের কোন আপত্তি থাকবে না।