![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আজ সরকারি ছুটির দিন। বাঙালি জাতির জীবনে সবচেয়ে গৌরবোজ্জ্বল অর্জনের স্মৃতিবিজড়িত দিন আজ। বিজয় দিবস উপলক্ষে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। বিজয় দিবস উপলক্ষে রাজধানীসহ সারা দেশ বর্ণিল সাজে সেজেছে। চারদিক ছেয়ে গেছে লাল-সবুজের পতাকায়। পোশাকপরিচ্ছদেও আছে দেশপ্রেমের ছোঁয়া। পাড়া-মহল্লায় বাজছে দেশাত্মবোধক গান। সব
শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নিচ্ছে বিজয় উৎসবে। সারা দেশের মানুষ ও প্রবাসীরা বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে আজকের দিনটি উদ্যাপন করছে। আজকের উদ্যাপনে আছে বেদনাও। দেশের স্বাধীনতার জন্য যে অকুতোভয় বীর সন্তানেরা জীবন উৎসর্গ করেছেন, কৃতজ্ঞ জাতি গভীর বেদনা ও পরম শ্রদ্ধায় সেই মৃত্যুঞ্জয়ী বীর সন্তানদের স্মরণ করছে। মহান বিজয় দিবসে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেত্রী ও মন্ত্রিপরিষদের সদস্য ও বিভিন্ন বাহিনীর প্রধানেরা। তারপর সর্বসাধারণের জন্য স্মৃতিসৌধ উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। সেখানে নামে মানুষের ঢল। তারা পুষ্পাঞ্জলি নিবেদন করছেন। বিজয় দিবসে রাজধানীসহ সব বড় শহরের প্রধান সড়ক ও সড়কদ্বীপ জাতীয় পতাকায় সজ্জিত করা হয়েছে। রাতে গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনায় করা হবে আলোকসজ্জা। হাসপাতাল, কারাগার, এতিমখানাগুলোতে উন্নত খাবার পরিবেশন করা হবে। ১৯৫২ সালে বুকের রক্তে রাজপথ রাঙিয়ে বাংলা মায়ের সন্তানেরা মাতৃভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠা করে এক অনন্য ইতিহাস সৃষ্টি করেছিলেন বিশ্বে। ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে যে স্বাধিকার চেতনার স্ফুরণ ঘটেছিল, আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় কালক্রমে তা স্বাধীনতার আন্দোলনে রূপ নেয়। বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার জন্য চূড়ান্ত যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে তোলেন। তিনি ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রমনা রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) লাখো জনতার সামনে তাঁর ঐতিহাসিক ভাষণে শত্রুদের মোকাবিলার জন্য যার কাছে যা আছে তা-ই নিয়ে সবাইকে প্রস্তুত থাকতে বলেন। তিনি বলেছিলেন, এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। দেশের বীর সন্তানেরা বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে হানাদারদের বিরুদ্ধে প্রবল প্রতিরোধ সংগ্রামে আত্মনিবেদন করেন। দীর্ঘ ৯ মাস সংগ্রামের পর ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগ, ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রম ও সহায়-সম্পদের বিপুল ক্ষয়ক্ষতির ভেতর দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জন করে বাঙালি। আজ থেকে ৪৫ বছর আগে ১৯৭১ সালের এই দিনে রমনা রেসকোর্স ময়দানে আত্মসমর্পণ করেছিল হানাদার পাকিস্তানি বাহিনী। পৃথিবীর মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটে স্বাধীন বাংলাদেশের। লাল-সবুজ পতাকা ঊর্ধ্বে তুলে ধরে বিজয়ী বাঙালিরা। সেই পতাকা উঁচিয়ে চলছে প্রগতির পথে বাঙালির অভিযাত্রা।
[
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:১২
উত্তরের উপাখ্যান বলেছেন: অগযাত্রা থেমে যাবার নয়। কোন অপশক্তিই আমাদের দাবিয়ে রাখতে পারবে না।