নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বপ্ন বীথি

স্বপ্ন বীথি › বিস্তারিত পোস্টঃ

সক্ষমতা বাড়ছে প্রতিরক্ষা বাহিনীর

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৫২


নতুন নতুন অত্যাধুনিক সামরিক সরঞ্জামে সক্ষমতা বাড়ছে প্রতিরক্ষা বাহিনীর। ফোর্সেস গোল ২০৩০-এর আলোকে সেনাবাহিনীতে নতুন পদাতিক ডিভিশন, ব্রিগেড ও ইউনিট প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি অত্যাধুনিক অস্ত্র ও সরঞ্জাম কেনা হচ্ছে। নৌ-বাহিনীতে সম্প্রতি যোগ হয়েছে চীন থেকে কেনা দুটি সাবমেরিন। অন্যদিকে বিমান বাহিনীকে আরো গতিশীল করতে ৮টি যুদ্ধ বিমান (মাল্টিরোল কমবাট এয়ারক্রাফট) কেনার পরিকল্পনা করেছে সরকার। সব মিলিয়ে দেশের প্রতিরক্ষা বাহিনীকে আরো কার্যকর ও গতিশীল করতে বর্তমান সরকার। গত ৭ বছরে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করেছে। বর্তমান সরকারের সময়ে অ্যান্টি ট্যাংক গাইডেড মিসাইল, অ্যান্টি ট্যাংক উইপন, উইপন লোকেটিং রাডার, গ্রাউন্ড সার্ভেইলেন্স রাডার, সাউন্ড রেঞ্জিং ইকুইপমেন্ট, ভূমি হতে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য মিসাইল, আর্মার্ড পার্সোনেল ক্যারিয়ার, আর্মার্ড রিকভারি ভেহিক্যাল, অত্যাধুনিক সেলফ প্রোপেল্ড গান সিস্টেম, সর্ট রেঞ্জ অ্যান্টি ট্যাংক গাইডেড উইপন, এন্টি ট্যাংক উইপন এবং মাল্টিপল লঞ্চড রকেট সিস্টেম কেনা হয়েছে। এছাড়াও সেনাবাহিনীর এয়ার ডিফেন্স আর্টিলারির জন্য ভিএসহর্ড মিসাইল বাংলাদেশ অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরির অধীনে চীন থেকে টেকনোলজি ট্রান্সফারের মাধ্যমে উৎপাদনের বিষয়টি এবং এফএম-৯০ মডেলের এয়ার ডিফেন্স স্যাম কেনা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সুদৃঢ় করতে সেনাবাহিনীতে সংযোজিত হয়েছে চতুর্থ প্রজন্মের ট্যাংক এমবিটি-২০০০। চীনের তৈরি এই ট্যাংক দক্ষিণ এশিয়ার দেশসমূহে ব্যবহৃত ট্যাংকের মধ্যে অত্যাধুনিক হিসেবে বিবেচিত। এছাড়া জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলায় এবং বাংলাদেশের যেকোনো স্থানে অতি দ্রুততার সঙ্গে রসদ ও জনবল পরিবহনের জন্য অ্যাডহক আর্মি এভিয়েশন গ্রুপের বিমানবহরে সংযোজিত হয়েছে ফ্রান্সের তৈরি দুটি ডফিন হেলিকপ্টার। এমআই-১৭১ হেলিকপ্টার কিনতে চুক্তিপত্র সম্পন্ন করা হয়েছে যা, এ বছরের শেষের দিকে আর্মি এভিয়েশন গ্রুপের বিমানবহরে সংযোজিত হবে। বর্তমান সরকারের আমলে বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে ৪টি ফ্রিগেট, ৪টি করভেট, ১টি হাইড্রোগ্রাফিক ভেসেল, ২টি এলপিসি, ৫টি পিসি, ২টি এলসিইউ, ২টি এলসিটি ও ১টি ফ্লিট ট্যাংকারসহ সর্বমোট প্রায় ২০টি ছোট-বড় যুদ্ধজাহাজ সংযোজিত হয়েছে। সমুদ্র এলাকায় দ্রুত নজরদারি, সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ অপারেশন, জরুরি সেবা ও একান্ত অর্থনৈতিক এলাকায় সার্বক্ষণিক নজরদারির লক্ষ্যে সংযোজিত হয়েছে ২টি হেলিকপ্টার এবং ২টি মেরিটাইম প্যাট্রোল এয়ারক্রাফট (এমপিএ)। নৌবাহিনীকে সম্প্রসারণের লক্ষ্যে নতুন ঘাঁটি হিসেবে বানৌজা নির্ভীক, নেভাল এভিয়েশন কমিশনিং করা হয়েছে। এছাড়া নৌবহরের যুদ্ধক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন জাহাজে দূরপাল্লার মিসাইল ও অন্যান্য যুদ্ধাস্ত্র সংযোজন করা হয়েছে। শত্রুর বিমান ধ্বংস করার লক্ষ্যে ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপণযোগ্য মিসাইল, শত্রুর জাহাজ ও সাবমেরিন ধ্বংস করার লক্ষ্যে অত্যাধুনিক টর্পেডা, শত্রুর সাবমেরিন ধ্বংস করার জন্য আধুনিক প্রযুক্তির ডেপথ চার্জ ও আরডিসি, বিভিন্ন ক্যালিবারের কামানের বিমান ও জাহাজবিধ্বংসী গোলা, সার্ভিলেন্সের জন্য রাডার ও সেনসোরস এবং মিসাইল আক্রমণ প্রতিহত করতে আধুনিক মিসাইল বিধ্বংসী চ্যাপ/ডিকই সংযোজন করা হয়েছে। দেশের প্রতিরক্ষা বাহিনীকে কার্যকর ও গতিশীল করার লক্ষ্যে বিমানবাহিনীর আধুনিকায়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর সাংগঠনিক ও ভৌত অবকাঠামোগত বর্ধিতকরণ, যুগোপযোগী নতুন বিমান, রাডার, সমরাস্ত্র সংযোজন এবং পুরনো সরঞ্জামাদি আয়ুষ্কাল শেষে প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে মানবাহিনীর সুনির্দিষ্ট প্রয়োজনসমূহ মেটানোর সার্বিক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বর্তমান সরকার।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৪

দিমিত্রি বলেছেন: শুধু ক্রয় করার উপর জোড় না দিয়ে দেশীয় মেধা+শ্রমশক্তি কাজে লাগিয়ে অস্ত্র/প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম তৈরী করার উপর জোড় দেয়া উচিত। ভারত, চীন যেমনটা করছে.. 8-|

২| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৪৩

বিবেকিন্দ্রীয়লোচন বলেছেন: ক্রয়ের চূড়ান্ত পরিনতিই বিক্রয় করার সক্ষমতা

৩| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:১৫

উত্তরের উপাখ্যান বলেছেন: এই পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়িত হলে আমাদের প্রতিরক্ষা বাহিনী বিশ্বমানের হবে নিঃসন্দেহে।

৪| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:৫৪

গোফরান চ.বি বলেছেন: ভালো লিখেছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.