![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় বিচার বিভাগের সঙ্গে সরকারের আইসিটি ডিভিশন একযোগে কাজ করছে। রূপকল্প-২০২১ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে বিচার বিভাগকে ডিজিটালাইজ করতে এক হাজার ৬শ ৬৩ কোটি টাকা ব্যয় করবে বাংলাদেশ সরকার। বিচার বিভাগ ডিজিটাইজেশনে একগুচ্ছ পরিকল্পনায় রয়েছে সুপ্রিম কোর্টের রেকর্ড রুম অটোমেশন করা এবং পুরাতন রেকর্ডসমূহ ডিজিটাল পদ্ধতিতে সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা করা। বিচার ব্যবস্থাধীন সকল অফিসকে সংযুক্ত করে একটি ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্কের(ভিপিএন) আওতায় আনার মাধ্যমে দেশে আধুনিক বিচার ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়নে আইসিটি বিভাগ ইতোমধ্যে ‘ই –জুডিসিয়ারী’ নামে একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এই ‘ই-জুডিসিয়ারী প্রকল্পের আওতায় সুপ্রিম কোর্টের ডেটা সেন্টার আপগ্রেড করা এবং ঢাকা ছাড়া দেশের অন্য ৬৩ জেলায় ৬৩টি মাইক্রো ডেটা-সেন্টার স্থাপন করে সুপ্রিম কোর্টের ডেটা সেন্টারের সঙ্গে আন্তঃসংযোগ স্থাপন করা হবে। এছাড়াও বিচারপতি ও বিচারকদের দুই হাজার ল্যাপটপ ও ট্যাব প্রদান করা হবে। এরইমধ্যে ২২০টি ট্যাব বিচারকদের জন্য দেয়া হয়েছে। ৬৪ জেলার মোট ১৪শ কোর্ট রুমকে ই-কোর্ট রুমে রুপান্তর এবং ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ ও ডিজিটাল এভিডেন্স রেকর্ডিং ব্যবস্থার উন্নয়ন করার পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া ৬৪ জেলার বিচারকদের বাসভবনে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। আইসিটি বিভাগ দেশের সকল আদালতকে ইন্টারনেট সংযোগের আওতায় নিয়ে এসেছে। বর্তমানে অনলাইনে কজলিস্ট প্রাপ্তির মাধ্যমে জনগণ তাদের মামলার ফলাফল ঘরে বসেই দেখতে পায়। এছাড়া সুপ্রিম কোর্টে অনলাইন বেইল কনফার্মেশন সফটওয়্যার চালু হয়েছে। জামিন জালিয়াতিরোধে এই সফটওয়্যার বিশেষভাবে কার্যকর হবে। এসব পদক্ষেপের মাধ্যমে বিচার বিভাগ এক নতুন যুগে প্রবেশ করছে।
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৪৭
উত্তরের উপাখ্যান বলেছেন: এ উদ্যোগ এর ফলে মামলা জট থাকবে না আর। প্রশংসনীয় উদ্যোগ।