![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
খুলনা শিপইয়ার্ড-এর মাধ্যমে দেশ প্রথমবারের মত বড় মাপের যুদ্ধজাহাজ নির্মাণের গৌরব অর্জন করতে যাচ্ছে। ৮ শতাধিক কোটি টাকা ব্যয়ে খুলনা শিপইয়ার্ড বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর জন্য যে দুটি ‘লার্জ পেট্রোল ক্রাফট(এলপিসি) নির্মাণ করছে, তার প্রথমটি আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) সকালে লঞ্চিং করবেন নৌ বাহিনী প্রধান এডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদ-ওএসপি, এনডিসি, পিএসসি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতবছর ৬ সেপ্টেম্বর ‘কিল-লে’র মাধ্যমে এ দুটি এলপিসি’র নির্মাণ কাজের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেছিলেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই শিপইয়ার্ড এসব যুদ্ধ জাহাজের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করছে। নৌ বাহিনীর নিয়ন্ত্রণাধীন খুলনা শিপইয়ার্ড এর আগে চীনা কারিগরি সহায়তায় সাফল্যজনকভাবে আরো ৫টি পেট্রোল ক্রাফট নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করে। আগামীকাল সকালে খুলনা শিপইয়ার্ড প্রাঙ্গণে এক জাককমকপূর্ণ অনুষ্ঠানে নৌ-বাহিনী প্রধান এডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদ দেশে নির্মিত প্রথম বড় মাপের যুদ্ধ জাহাজ-এলপিসি রূপসা নদীতে ভাসানোর মধ্যমে নৌ নির্মাণ শিল্পে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে যাচ্ছেন। প্রায় ২১০ফুট দৈর্ঘ ও ৩০ফুট প্রস্থ এবং প্রায় ১৪ফুট গভীরতার এসব সমর নৌযান ঘন্টায় প্রায় ২৫নটিক্যাল মাইল বা প্রায় ৪৭কিলোমিটার বেগে গভীর সমুদ্র সহ উপকুলের লক্ষস্থলে চলতে সক্ষম হবে। দেশের সমুদ্র বিরোধী নিস্পত্তি সহ সীমানা নির্ধারণের পরে ‘ব্লু ইকনমি’র যে দ্বার অবারিত হয়েছে, তা রক্ষায় বাংলাদেশ নৌ-বাহিনীর ভূমিকা অপরিসীম। আর এ লক্ষকে সামনে রেখে সরকার নৌ বাহিনীকে যুগপোযোগী করার যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন এসব লার্জ পেট্রোল ক্রাফট নির্মাণ তারই অংশ। প্রতিটি যুদ্ধ জাহাজে ৭০ জন করে নাবিক থাকছে। জাপানের নৌ জরিপ ও পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ‘ক্লাস এনকেকে’র তত্বাবধানে চীনা কারগরি সহযোগীতায় নির্মিত এ যুদ্ধ জাহাজটিতে ১টি ৭৯.২০মিলিমিটার কামান ছাড়াও আরো একটি ৩০মিলিমিটার অনুরূপ কামান সংযোজন করা হচ্ছে। টর্পোডো ও মিসাইল সমৃদ্ধ এসব যুদ্ধ জাহাজ নির্মাণের মাধ্যমে খুলনা শিপইয়ার্ড সমর শিল্পে উপমহাদেশের বিশষ অবস্থান করে নিতে যাচ্ছে। এসব যুদ্ধ জাহাজ থেকে ১৫কিলোমিটার দুরে সমুদ্র থেকে আকাশে ও ভূমিতে শত্রুর লক্ষস্থলে আঘাত হানার মত মিসাইল সহ অত্যাধুনিক সমর সরঞ্জাম সংযোজন করা হচ্ছে। এছাড়াও যুদ্ধজাহাজ দুটিতে ১টি করে ট্রাকিং রাডার, দুটি করে নেভিগেশন রাডারস ও ১টি হাল মাউন্টড সোনারসহ বিভিন্ন অত্যাধুনিক সরঞ্জাম সংযোজন করা হচ্ছে। প্রতিটি যুদ্ধ জাহাজে চীনে তৈরী ৭ হাজার ৬৪০ অশ্ব শক্তির ২টি করে মূল ইঞ্জিন ছাড়াও অমেরিকার ‘ক্যটার পীলার’ কোম্পানীর ১৬৫ কিলোওয়াটের ২টি করে জেনারেটর ইঞ্জিনও থাকছে। অত্যাধুনিক এসব সমর নৌযান ৬৭৮ মেটিক টন পানি অপসারণ করে ঘন্টায় প্রায় ৪৭কিলোমিটার বেগে ছুটে চলতে সক্ষম।এসব যুদ্ধ জাহাজ বাংলাদেশ নৌ-বাহিনীর বহরে যুক্ত হলে তা দেশের ত্রীমাত্রিক নৌবাহিনী গঠন সহ সমুদ্র সম্পদ রক্ষায় অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করেবে।দেশ যে আধুনিকতায় এগিয়ে যাচ্ছে এই যুদ্ধ জাহাজ নির্মান তার জ্বলন্ত প্রমাণ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:১৯
ওমদামিয়া পাহাড় বলেছেন: দেশ যে আধুনিকতায় এগিয়ে যাচ্ছে এই যুদ্ধ জাহাজ নির্মান তার জ্বলন্ত প্রমাণ।