![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ক্ষুদ্র মেশিনারি শিল্পকে ঘিরে দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে গড়ে উঠেছে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকার বিশাল বাজার। স্থানীয় শিল্পোদ্যোক্তা ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের উদ্যোগেই বগুড়ায় এ শিল্পের বিকাশ ঘটেছে। এ কারণে বগুড়াকে কৃষি যন্ত্রাংশ উৎপাদন জোন ঘোষণারও দাবি উঠেছে। গত কয়েক দশকে বগুড়া অঞ্চলে গড়ে উঠেছে কৃষি যন্ত্রাংশ উৎপাদনের প্রায় দেড় হাজার প্রতিষ্ঠান। দেশের কৃষি যন্ত্রাংশের মোট চাহিদার ৮০-৯০ শতাংশেরও বেশি জোগান দিচ্ছে এসব ওয়ার্কশপ। এক সময় চীন, জাপান, কোরিয়াসহ বিভিন্ন দেশের কৃষি যন্ত্রাংশ এ দেশের বাজার দখল করে থাকলেও একটু একটু করে বগুড়ায় তৈরি যন্ত্রাংশ সেই স্থান পূরণ করছে। এতে একদিকে বিদেশি মুদ্রার সাশ্রয় হচ্ছে। অন্যদিকে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করছে। গুণগতমান ও দামে সহজলভ্য হওয়ায় অবাধে দেশের বাইরে যাচ্ছে এসব শিল্পপণ্য। প্রতিবছর এ খাতে বেচাকেনা হয় প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা, যা দেশের অর্থনীতিকে বেগমান রাখতে বড় ভূমিকা রাখছে। বিপুল সম্ভাবনা থাকলেও এসব ওয়ার্কশপগুলোর চাহিদা অনুযায়ী নির্দিষ্ট জায়গা, পুঁজি সংকট, আধুনিক মেশিন, ব্যাংক ঋণ, শ্রমিকদের যথাযথ ট্রেনিংসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের অভাব রয়েছে। তবে সল্প পরিসরে এ শিল্পের উন্নয়নের জন্য এসএমই (ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প) ফাউন্ডেশন এখানকার শ্রমিকদের ট্রেনিং ও ঋণ সহযোগিতা প্রদান করছে। এতে তাদের বাণিজ্যিক ঝুঁকি কমেছে, বেড়েছে ব্যবসার প্রসার। ভাঙা জাহাজের লোহা-লক্কড়সহ পরিত্যক্ত লোহা গলিয়ে এসব কৃষি যন্ত্রাংশ তৈরি হয়। এখানে এ ধরনের ফাউন্ড্রি শিল্প রয়েছে প্রায় ৫২-৫৫টি। এ ছাড়া বিভিন্ন ছোট, বড় ও মাঝারি ধরনের কৃষিভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ও ওয়ার্কশপ রয়েছে ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৫০০টি। এসব কারখানায় তৈরি যন্ত্রাংশের মধ্যে রয়েছে পানির পাম্প, টিউবওয়েল, সেন্টিফিউগাল পাম্প, লাইনার, পিস্টন, শ্যালো ইঞ্জিনের যন্ত্রাংশ, সাইকেল, রিকশা-পার্টস, পাওয়ার টিলারের চাকা, ফলা, ট্রলি, ধান ভাঙা ও ভুট্টা মাড়াই এবং আখ মাড়াইয়ের মেশিনসহ প্রায় সব কৃষি উপকরণাদি। বর্তমানে এ শিল্পে কর্মসংস্থান হয়েছে প্রায় ২ লাখ মানুষের। এ শিল্পকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে প্রথমেই প্রয়োজন একটি নির্দিষ্ট প্রসেসিং জোন বা স্থায়ী শিল্প এলাকা, স্বল্প সুদে ব্যাংক ঋণ, দক্ষ শ্রমিক, আধুনিক যন্ত্রাংশ, চাহিদামতো কাঁচামাল ও গ্যাসের সরবরাহ। পাশাপাশি বিদেশ থেকে ফিনিশ পণ্য আমদানিতে নিরুৎসাহিত করাসহ দেশি পণ্যের কাঁচামাল আমদানিতে ট্যাক্স কমালে এ শিল্পে বিপ্লব ঘটবে। কারণ এখানে তৈরি এসব যন্ত্রপাতির মান চীন ও জাপানের যন্ত্রপাতির চেয়ে কোনো অংশেই কম নয়। সরকার একটু নজর দিলে রপ্তানি বাজারে বিশাল অবদান রাখতে সক্ষম এ শিল্পখাত।
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৫:৩৬
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনার জীবনে, ১ম বার একটি দরকারী পোস্ট লিখলেন, অভিনন্দন