![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রখ্যাত সাংবাদিক, কলামিস্ট ও বাম রাজনীতিক সর্বজন শ্রদ্ধেয় প্রয়াত নির্মল সেনের একটি কলামের শিরোনাম ছিল ‘স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি চাই’। কলামটি ঠিক কত সালে, কোন মাসে এবং কোন পত্রিকায় ছাপা হয়েছিল, তা স্মৃতিতে আনতে পারছি না। তবে শিরোনামটি যে সে সময় ব্যাপক আলোড়ন তুলেছিল, সে কথা বেশ মনে আছে এবং এখনও অনেক রাজনীতিবিদ ও লেখক ওই শিরোনামের উদাহরণ টেনে বক্তৃতা দেন, পত্রপত্রিকায় ও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে লেখেন।
নির্মল সেন লিখেছিলেন রাজনৈতিক সহিংসতায় প্রাণহানি তথা সংঘাতময় রাজনীতি নিয়ে। তার লেখার মূখ্য উদ্দেশ্য ছিল, হানাহানির রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসা। তবে আমার এ লেখার পটভূমি সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক। এখন সব মহল থেকে জোর দাবি উঠেছে, “সড়কে লাশের মিছিল থামাও।” এই লাশ কোনো সহিংস রাজনীতির ফসল নয়; সারা দেশে লাগাতর সড়ক দুর্ঘটনায় ধারাবাহিক প্রাণহানির এক সুদীর্ঘ বেদনার ইতিহাস। ঢাকার গণমাধ্যমকর্মীদের সংগঠন শিপিং এন্ড কমিউনিকেশন রিপোর্টার্স ফোরামের (এসসিআরএফ) তথ্য মতে, নভেম্বর মাসে সারা দেশে ৩১৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৪২ জন নিহত ও ৭২৫ জন আহত হয়েছেন। এমন দুর্ঘটনা ও হতাহত নভেম্বরেই নয়, গত দেড় দশক ধরে চলে আসছে সারা দেশে।
এমন পরিস্থিতিতে বিভিন্ন মহলের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে প্রাণঘাতি সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাসসহ সড়ক পরিবহন খাতে বিরাজমান বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্য বন্ধে সরকার সড়ক আইন সংশোধন এবং নতুন আইন তথা ‘সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮’ প্রণয়ন করে। তবে সংসদে এ সংক্রান্ত বিলটি সহজে পাস করা সম্ভব হয়নি। বরং এর পেছনে রয়েছে এক রক্তাক্ত অধ্যায়। ‘সড়ক পরিবহন আইন (সংশোধন) বিল’ ২০১৪ সালের মাঝামাঝি সংসদে উত্থাপন করা হলেও পরবর্তী প্রক্রিয়াগুলো অদৃশ্য কারণে দীর্ঘদিন ফাইলবন্দি ছিল। ২০১৮ সালের ২৯ জুলাই দুপুরে জাবালে নূর পরিবহনের বেপরোয়া দুই বাসচালকের পাল্লাপাল্লিতে রাজধানীর বিমানবন্ধর সড়কে হোটেল র্যাডিসনের বিপরীতে জিল্লুর রহমান উড়াল সড়কের নিচে বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী আবদুল করিম রাজীব ও দিয়া খানম মিম নিহত হন। আহত হন আরো অন্তত ২০ জন শিক্ষার্থী। রোববার ওই মামলার রায়ে দুই চালক ও তাদের এক সহকারির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড- দিয়েছেন আদালত।
বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভে ফেটে পড়ে ছাত্রজনতা। শুরু হয় দুর্বার আন্দোলন। দুর্ঘটনার ঝুঁকিমুক্ত সড়কের দাবিতে রাজপথে নেমে আসেন ঢাকাসহ সারা দেশের স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছেলেমেয়েরা। স্বত:স্ফূর্ত আন্দোলনে টানা কয়েকদিন কার্যত অচল হয়ে পড়েছিল সারা দেশ। বাস্তবতা উপলব্ধি করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজেই সরব হন। দুর্ঘটনা রোধে নিবন্ধনবিহীন ও ত্রুটিপূর্ণ গাড়ি এবং লাইসেন্সবিহীন চালকদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরুর নির্দেশ দেন তিনি। শুরু হয় পুলিশের বিশেষ ট্রাফিক পক্ষ। এরপর পুরনো সড়ক আইন ‘মোটরযান অধ্যাদেশ-১৯৮৩’ বাতিল করে নতুন আইন প্রণয়নে তৎপর হয়ে ওঠে সরকার।
ওই বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ‘সড়ক পরিবহন বিল-২০১৮’ সংসদে উত্থাপন করেন। বিলটি পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য সাতদিন সময় দিয়ে সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়। এরপর ১৯ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদে পাস হয় ‘সড়ক পরিবহন বিল-২০১৮’। তবে বিল পাস হলেও তখন তা আইনে রূপ দিতে পারেনি সরকার। ওই বিলের বিরোধীতা করে ঘটনার চারদিন পর প্রথমে বাসচালকদের ও পরে পণ্যবাহী গাড়িচালকদের কথিত কর্মবিরতির নামে সারা দেশে ধর্মঘট ডেকে দেশবাসীকে জিম্মি করে ফেলেন পরিবহন মালিক ও শ্রমিকনেতারা। যদিও শেষপর্যন্ত সরকারের কঠোর মনোভাবের কারণে চারদিন পর কথিত কর্মবিরতির অবসান ঘটে। তবুও নতুন আইন বাস্তবায়ন থেকে বিরত থাকে সরকার।
এবার দেখে নেওয়া যাক ওই বিলে জনস্বার্থবিরোধী কী ছিল যে, পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতারা আপত্তি তুললেন। পাস হওয়া বিলে বলা হয়, এই আইনে যাই থাকুক না কেন, মোটরযান চালনাজনিত দুর্ঘটনায় কোনো ব্যক্তি গুরুতর আহত বা নিহত হলে এ সংক্রান্ত অপরাধ দণ্ডবিধি-১৮৬০-এর এ সংক্রান্ত বিধান অনুযায়ী অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। তবে দণ্ডবিধির ৩০৪বি ধারাতে যাই থাকুক না কেন, কোনো ব্যক্তির বেপরোয়া বা অবহেলাজনিত মোটরযান চালনার কারণে সংঘটিত কোনো দুর্ঘটনায় কোনো ব্যক্তি গুরুতরভাবে আহত বা নিহত হলে চালক সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ডে বা সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
বিলের ১১৪ ধারায় বলা হয়েছে, এই আইনের অধীন অপরাধের তদন্ত, বিচার, আপিল ইত্যাদির ক্ষেত্রে ফৌজদারি কার্যবিধি (১৮৯৮) প্রযোজ্য হবে। ফৌজদারি কার্যবিধির ৩০২ ধারা অনুযায়ী হত্যা প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ডে বিধান রয়েছে। বিলের ৪ ধারাতে বলা আছে, কোনো ব্যক্তির ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকলে বা মেয়াদোত্তীর্ণ লাইসেন্স ব্যবহার করে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত স্থানে গাড়ি চালাতে পারবে না বা চালানোর অনুমতি দেয়া যাবে না। ৫ ধারায় বলা আছে, সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) অনুমতিপত্র ছাড়া কেউ গণপরিবহন চালাতে পারবে না। ৬৬ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি আইনের ৪ ও ৫ ধারা লঙ্ঘন করলে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। এ ধরনের অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ ছয় মাসের কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ২৫ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
৬ ধারায় বলা আছে, অপেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্সের ক্ষেত্রে আবেদনকারীর বয়স কমপক্ষে ১৮ এবং পেশাদার লাইসেন্সের ক্ষেত্রে বয়স কমপক্ষে ২১ বছর হতে হবে। আবেদনকারীর শিক্ষাগত যোগ্যতা কমপক্ষে অষ্টম শ্রেণি পাস হতে হবে। আরো বলা হয়েছে, ড্রাইভিং লাইসেন্স হস্তান্তর করা যাবে না। এই ধারা কেউ লঙ্ঘন করলে তা দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। বিলে বলা হয়েছে, ফিটনেস সনদ ছাড়া বা মেয়াদোত্তীর্ণ সনদ ব্যবহার অথবা ইকোনমিক লাইফ অতিক্রান্ত হওয়া মোটরযান চালালে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। এ ধরনের অপরাধের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ছয় মাসের কারাদ- বা সর্বোচ্চ ২৫ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ড দেয়া যাবে।
১৩ ধারায় বলা আছে, কোনো ব্যক্তির ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকলে বা লাইসেন্স স্থগিত বা বাতিল হয়ে গেলে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ওই ব্যক্তিকে চালক হিসেবে নিয়োগ বা চালানোর অনুমতি দিতে পারবে না। শ্রম আইন অনুযায়ী, লিখিত চুক্তি (নিয়োগপত্র) ছাড়া কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কোনো ব্যক্তিকে গণপরিবহনের চালক হিসেবে নিয়োগ দিতে পারবে না।
নতুন আইনের উপরোক্ত চুম্বক অংশে জনস্বার্থবিরোধী কিংবা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কিছু আছে বলে আমার কাছে প্রতীয়মান হয়নি। তা সত্ত্বেও পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতাদের খুশি রাখতে সরকার নতুন আইন বাস্তবায়নের পথে না হেঁটে আইন পর্যালোচনার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি পর্যালোচনা কমিটি গঠন করে; যেখানে আইনমন্ত্রীও সদস্য ছিলেন। এছাড়া সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিলের বৈঠকে সড়ক খাতে শৃঙ্খলা ফেরাতে প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রণয়নের লক্ষ্যে পৃথক একটি কমিটি গঠন করা হয়; যার আহ্বায়ক করা হয় সাবেক নৌমন্ত্রী ও সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি সাংসদ শাজাহান খানকে। এসব প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দীর্ঘ ১৪ মাস কালক্ষেপনের পর সরকার গত অক্টোবরের তৃতীয় সপ্তাহে প্রজ্ঞাপন জারি করে ঘোষণা দেয়, নতুন সড়ক আইন ১ নভেম্বর ২০১৯ থেকে কার্যকর হবে।
তবে এখানেও সরকারপক্ষের দুর্বলতা ও নমনীয়তা সুস্পষ্টভাবে পরিলক্ষিত। ২০১৮ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর সংসদে পাস হওয়া আইনের অধীনে এ সংক্রান্ত বিধিমালা ২০১৯ সালের নভেম্বর পর্যন্ত তৈরি করতে পারেনি কিংবা করেনি সরকার। এছাড়া সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ঘোষণা দিলেন, নতুন আইন সম্পর্কে মালিক, চালক ও যাত্রীসহ সাধারণ জনগণকে সচেতন করার স্বার্থে এক সপ্তাহ এ আইন বাস্তবায়নে পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ শিথিল থাকবে। এই এক সপ্তাহ বেড়ে দু’সপ্তাহ পার হলো। এরপর বলা হলো, ১৮ নভেম্বর থেকে আইন বাস্তবায়ন হবে।
সরকারের এমন ঘোষণার পর শুরু হলো মালিক ও শ্রমিক নেতাদের সেই পুরনো খেলা। চালকদের কথিত ধর্মঘটের নামে প্রথমে বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়া হলো। এরপর ট্রাক-কাভার্ডভ্যান মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ব্যানারে ধর্মঘট ডেকে অচলাবস্থা সৃষ্টি করা হলো পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রেও। এভাবে সারা দেশকে জিম্মি করলেন কতিপয় পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতা। এমন সময় এই হঠকারীতা শুরু হলো, যখন পেঁয়াজ ও অন্যান্য কাঁচামালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের দাম উর্ধ্বমুখি। ধর্মঘটের কারণে ঢাকাসহ বড় শহরগুলোতে এসব পণ্যের সংকটসহ নানাবিধ জনভোগান্তি সৃষ্টি হলো।
উদ্ভুত পরিস্থিতিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁর বাস ভবনে প্রথমে ট্রাক-কাভার্ডভ্যান মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করলেন। দু’দিন পর একই স্থানে মন্ত্রী বৈঠক করলেন সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের নেতাদের সঙ্গে। উভয় বৈঠকেরই ফলাফল অভিন্ন; নতুন আইনের কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ ধারা প্রয়োগের ক্ষেত্রে ৩০ জুন ২০২০ সাল পর্যন্ত সময়সীমা বর্ধিতকরণ। তাতেই পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতারা আপাতত: শান্ত। আর এ সুযোগে সড়কের অবস্থা আগের মতোই বিশৃঙ্খল। মোদ্দা কথা হলো- নমনীয়তা বা উদারতা যাই বলি না কেনো, নতুন সড়ক আইন পুরোপুরি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সরকারের এই কালক্ষেপন পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতাদের ঔদ্ধত্য ক্রমাগত বাড়িয়ে দিচ্ছে; যা দুর্ঘটনার ঝুঁকিমুক্ত ও সুশৃঙ্খল জনবান্ধব গণপরিবহন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার অন্তরায় বৈ আর কিছুই না।
এখন প্রশ্ন হলো, আইন কী জনগণের স্বার্থে না-কি সড়ক পরিবহন ব্যবসায়ী তথা এক শ্রেণির পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতার স্বার্থে? এ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে- সর্ষের মধ্যেই ভুত। তাহলে এই সর্ষ দিয়ে কীভাবে ভুত তাড়ানো যাবে? সংসদে আইন পাসের দীর্ঘ ১৪ মাস পরও কেনো বিধিমালা প্রণয়ন করা হলো না, কাদের বা কোন কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতে এমন হলো তা যেমন জানা দরকার, তেমনি সড়কখাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএ-কে প্রয়োজনীয় জনবল সমৃদ্ধ ও শক্তিশালী করে এর পরিধি দেশব্যাপি বিস্তৃত করার ক্ষেত্রে কোন অদৃশ্য শক্তি কালক্ষেপন করাচ্ছে- তাও খুঁজে বের করা জরুরি হয়ে পড়েছে।
এ সংক্রান্ত আরেকটি বিষয় নিয়েও অনুসন্ধান দরকার। কয়েকমাস আগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছিলেন, দূরপাল্লার যানবাহনে বিশেষ করে বাসে দু’জন চালক রাখতে হবে; যাতে চলন্ত অবস্থায় একজন চালক ক্লান্ত হয়ে পড়লে অন্যজন স্টিয়ারিং ধরতে পারেন। এছাড়া জাতীয় মহাসড়কে চালকসহ পরিবহন শ্রমিকদের বিশ্রামাগার নির্মাণের নির্দেশও দিয়েছিলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশনা সড়ক দুর্ঘটনার হ্রাসের ক্ষেত্রে অত্যন্ত দূরদর্শীতার বহি:প্রকাশ বলে আমি মনে করি। কিন্তু তাঁর এ নির্দেশনা বাস্তবায়নের দৃশ্যমান অগ্রগতি পরিলক্ষিত হয়নি। কোনো মালিক তাঁর গাড়িতে দু’জন চালক রেখেছেন- এমন নজির এখনও সৃষ্টি হয়নি। তাহলে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা এতোদিনে কেনো কার্যকর হলো না, তা অনুসন্ধান করাও এখন সময়ের দাবি
আশীষ কুমার দে
©somewhere in net ltd.