নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কচুরিফুল

যে শপথে ভর করে স্বাধীন স্বদেশ, কতটুকু পেল তার প্রিয় বাংলাদেশ!

শতাব্দী রায়

যা দেখি তার সবই ভাল, ভাল ভাল লাগেনা...

শতাব্দী রায় › বিস্তারিত পোস্টঃ

আপনাদেরকে স্পষ্ট করে বলছি: আমরা ব্লগার হলেও নাস্তিক নই, আপনারা মুফতী মাওলানা হলেও সাধু নন-

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:১৬

আমি আমার লেখার প্রথমেই বলতে চাই, এটা কোন ক্যাচাল পোষ্ট না, অর্থাৎ রাজাকার-নাস্তিকমূলক ক্যাচাল একেবারেই প্রযোজ্য নয়। একজন মুসলমানের সন্তান হিসাবে, একজন মুসলমান হিসাবে বলছি নবী করিম (সা) এর বিরুদ্ধে কথা বলা শুধু অন্যায় নয়, মহাঅন্যায়। যারা আল্লাহর হাবীবের বিরুদ্ধে কথা বলবে তাদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে, সেটা ব্লগার হোক, ডাক্তার হোক, ইঞ্জিনিয়ার হোক, মাওলানা হোক আর পত্রিকার সম্পাদক হোক।

আবার এ কথাটাও বিবেচনায় রাখতে হবে, যেকোন ধর্মের অবমাননার ক্ষেত্রেও আমাদের সোচ্চার থাকতে হবে। আজকে নবী করিম (সা) এর নামে কোন ব্লগ লেখার কারণে যেমনি এটি গর্হিত কাজ তেমনি আমাদের মসজিদের উপর হামলাও আমরা সহ্য করবো না। আর তাই আমরা কোন মন্দিরে হামলা হলেও নিশ্চুপ থাকবো না। আজকে আমাদের আলেম সমাজ ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা আমাদের ধর্মের অবমাননার জন্য যে প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন তেমনি হিন্দু, বৌদ্ধরা সংখ্যালঘু না হলেও হয়তো তেমনি প্রতিক্রিয়া হতো। আবার আমরা যদি সংখ্যা লঘু হতাম তাহলেও সংখ্যালঘুর নিরীহতা মেনে নিয়ে চুপচাপ সহ্য করা ছাড়া হয়তো উপায় থাকতো না।

পক্ষান্তরে, কোন নাস্তিকের বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন করাও আমার দৃষ্টিতে উচিত না। (দয়া করে গালাগালি শুরু করবেন না। আগে পড়ুন, এবং তার পর প্রতিক্রিয়া ঝাড়তে পারবেন।)

একজন ব্যক্তি নাস্তিক হতেই পারে, সেটা তার ব্যপার। নাস্তিক যেকোন ধর্মের লোকই হতে পারে, হিন্দু-বৌদ্ধ-মুসলমান যেকেউ-ই নাস্তিক হোন না কেন সেটা তার ধর্ম বলে বিবেচনা করতে হবে। কিন্তু নাস্তিকতা এক জিনিস, কোন ধর্মকে হেয় করা ভিন্ন জিনিস। যেকোন ধর্মকে অপমান অপদস্ত করলে তার প্রতিবাদ হবে, শাস্তি হতেই হবে।

আমি মনে হয় প্রসঙ্গ থেকে কিছুটা দূরে সরে এসেছি। আবার মূলে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করছি।

আমি ব্লগার, আপনি ব্লগার, আমরা যারা বিভিন্ন প্লাটফরমে মুক্তমতের, মুক্ত বুদ্ধির চর্চা করছি তারা আজ বড় বেশি বির্তকিত। আমি ব্লগার মানেই নাস্তিক নই। গুটি কয়েক ব্যক্তি যেকোন ব্লগ প্লাটফর্মে রাসুলের অবমাননা করার কারণে ঐ গুটি কয়েক ব্লগারেরই দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হতে পারে। তাই বলে আপনি সকল ব্লগাদের নাস্তিক হিসাবে আখ্যায়িত করতে পারেননা। নবীকে নিয়ে কটাক্ষ তো শুধু ব্লগেই হয়নি! ফেসবুকে হয়েছে, তাহলে ফেসবুকারদের নাস্তিক বলছেন না কেন? কারণ সাধারণ মানুষ অনেকেই ব্লগ কি জিনিস বুঝেন না, এমনকি যে মাওলানা মৌলিবিরা আন্দোলন করছেন তারা শুধু ব্লগ শব্দটিই জানেন, এর বেশি কিছু জানেননা এমন সংখ্যাই বেশি। এখন সাধারণ মানুষকে ব্লগাররা নাস্তিক এ কথাটা যত সহজে বুঝানো যাবে, ফেসবুকাররা নাস্তিক ততো সহজে বুঝানো যাবে না। কারণ আজকালকার মুফতী মাওলানা সাহেবদের বৌ-ছেলেমেয়েরাও ফেসবুকিং করছেন। তাই তারা প্রথমেই ঘরে বাধার সম্মুখীন হবেন। তারপর রিক্সাঅলা থেকে শুরু করে গার্মেন্ট কর্মীরাও ফেসবুক ব্যবহার করেন, তাদেরও ভুল বুঝানো যাবে না। কারন তারা সেটাকে নিজ চোখে দেখে পরখ করে নিতে চেষ্টা করবেন।

আবার মনে হয় প্রসঙ্গের বাইরে চলে এসেছি। দু:খিত। যে কথাটা বলছিলাম- গুটি কয়েক ব্লগার অন্যায় অপরাধ করার কারণে যখন আপনি ব্লগারদের নাস্তিক বলছেন, যখন ব্লগাররা একটা আন্দোলন করার কারনে সেই পুরো আন্দোলনটাকেই নাস্তিকদের আন্দোলন বলছেন তখন তা কতটা যুক্তিযুক্ত? শাহবাগে কি শুধুই নাস্তিকরা আন্দোলন করে? ওখানে তো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ুয়া মানুষও যায় তাহলে কোন যুক্তিতে আপনি তাদের সবাইকে নাস্তিক বলছেন বিনা বিচারে? আচ্ছা মানলাম ওখানে যারা আন্দোলন করছে তাদের কেউ কেউ নাস্তিক। তাই বলে সবাইকে নাস্তিক বলছেন? আপনাকে একটা প্রশ্ন করি? পত্রিকায়, খবরে নিশ্চয় দেখে থাকবেন, অনেক মাওলানা মাদ্রাসার ছাত্রীকে ধর্ষন করার অপরাধে এলাকাবাসী তাকে ধরে পুলিশি দিযেছে, আর নিজের চোখে দেখা বিষয়গুলো না হয় নাই বললাম। তাই বলে কি সকল মাওলানা, সকল মাদ্রাসার শিক্ষকই নারী ধর্ষণকারী?

বিষয়টাকে বিবেচনায় নিতে হবে যে- ধর্মকে শাহবাগের মুখোমুখি করার দায়িত্বটা মাহমুদুর রহমান সাহেব ই নিয়েছেন। তিনি তুরুপের তাষটা খেলে এখন দেখেন কত লক্ষী ছেলের মতো তামাষা দেখছেন। এখন কিন্তু মাহমুদুর রহমান নিয়ে কেউ কোন টু শব্দটি পর্যন্ত করছেন না। তিনি সত্যিই একজন মাথাওয়ালা মানুষ এবং আপাতত দৃষ্টিতে সফলও (আপাতত বলছি এ কারণে , ধর্ম নিয়ে যারাই যুগেযুগে খেলার চেষ্টা করেছে একসময় তাদের অবস্থান হয়েছে ইতিহাসের আস্তকুড়ে।)। কিন্তু ব্যর্থ হচ্ছি আমরা ব্লগাররা। অপবাদের ঝুড়ি মাথায় নিয়ে ঘুড়ছি। এক সময় গর্ব করে বলতাম আমি একজন ব্লগার, এখন বেমালুম চেষ্টা করি চেপে যেতে, জীবনের ভয়তো সবারই আছে? প্রেস্টিজ আর মান-ইজ্জত তো সবারই কম বেশি আছে তাই নয়কি? আর আমাদের ব্যর্থতা আমরা নিজেরাই তৈরি করেছি। কারণ আমরা দ্বিধাবিভক্ত। আমার এ পোস্টেও হয়তো ক্যাচাল শুরু হবে আর আমরা প্রমাণ করবো আমরা আসলেই বিভক্ত। আমাদের ঐক্যদ্ধ হওয়া খুব বেশি দরকার। আমাদের অপবাদ আমাদেরকেই ঘুচাতে হবে। রক্ষা করতে হবে আমাদের মুক্তমতের মাধ্যম ব্লগগুলোকে। কারণ বিএনপি যেমনি রাজনীতি করছে এই ব্লগাদের ধর্মের মুখোমুখি করে ফায়দা লুটার জন্য তেমনি সরকার (আওয়ামীলীগ)ও চেষ্টা করছে ব্লগারদের তুরুপের তাষ বানিয়ে বলির পাঠা করতে। তাই আমাদের প্রয়োজনেই আমাদের সোচ্চার হতে হবো। গলা ছেড়ে আওয়াজ তুলতে হবো আমি নাস্তিক নই, আমি ব্লগার।

এই নাস্তিকতার দোহাই দিয়ে রাতারাতি বিস্তৃতি লাভ করার হেফাজতে ইসলাম প্রতিটা মহানগরে তাদের শাখা তৈরি করে ফেলেছে, প্রতিটা মহানগরে অফিস আছে, আমির আছে আছে সেক্রেটারি জেনারেল, সব অন্য একটা সংগঠনের আদলে, হুবহু মিলে যায়, শুধু নামের একটা অংশ পরিবর্তন ছাড়া।

আর নাস্তিকদের শাস্তির দাবিতে নেমে তারা ধরিয়ে দিয়েছেন ১৩ দফা। সমাবেশে অংশ নেওয়া ৮০ শতাংশ লোকই একটা দাবি ছাড়া বাকিটা বলতে পারবেন না। আর ঐ একটা দাবির জন্যই তারা যেকোন লড়াইয়ে লড়তে রাজি আছে, বাকীগুলোর জন্য না, কিন্তু হেফাজতে ইসলাম এই সূক্ষ দাবিটার পেছনে আদায় করতে চাইছে অযৌক্তিক বাকী দাবিগুলো। এটা নি:সন্দেহে ধোকাবাজি।

তাই এখনি সময়, ধর্ম নিয়ে যে স্ট্যন্ডবাজিটা হয়ে গেলো এবং হচ্ছে, তাকে হেফাজতের ১৩ দফা দিয়েই মোকাবেলা করতে হবে। এটাকের উপর কাউন্টার এ্যাটাক। মাহমুদুর রহমান প্রজন্ম চত্ত্বর, মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে হেফাজতের মুখোমুখি করেছেন, হেফাজত চেষ্টা করছে ইসলাম এবং নারীকে মুখোমুখি করতে।

ইসলামকে হেফাজতকারী একমাত্র আল্লাহ, কোন ব্যক্তিকে ইসলাম ইজারা দেওয়া হয়নি। মতিঝিলে সমাবেশ করলেই ইসলামের হেফাজত হয়না। বরং হেফাজত করতে হবে দক্ষতা, আন্তরিকতা, ধৈর্য্য দিয়ে। যারা একজন নারীর হেফাজত করতে পারেননা, তারা ইসলামের মতো এতো মহৎ, এত বৃহৎ ধর্মকে কিভাবে হেফাজত করবেন? সকল ধর্মের চেয়ে একমাত্র ইসলামই নারীকে বেশি মর্যাদা দিয়েছে।

তাই বলছি, জাগো নারী, সময় এখনি প্রতিবাদ করার, যদি নিজেকে বন্দী না করতে চাও গৃহের চারকোণে, যদি ব্যর্থ করতে না চাও বেগম রোকেয়া, সুফিয়া কামারের মতো অসংখ্য মহৎ নারীর জীবন সংগ্রামকে।

জাগো বাহে, কোনঠে সবে....। যদি বাংলাদেশকে আফগানিস্তান, পাকিস্তান না বানাতে চাও। জয় বাংলা।

সকল ভুলের ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি, ভুল হলে গঠনমূলক সমালোচনা করবেন, গালাগালি নয়।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:২০

পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: সবাইকে মানুষ হওয়ার আহবান।
Click This Link

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:২৭

শতাব্দী রায় বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য। আপনার লেখাটা দেখলাম। বেশ ভালো, সময় উপযোগী একটা লেখা। আসলে আমাদের ভয়কে জয় করতে হবে, নিরবতাকে দূর করতে হবে। চুপ থাকলে চলবে না। জাগতে হবে এখনি।
জাগো বাহে কোণঠে সবে...

২| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:৩২

সৃজনশীলপ্রয়াস বলেছেন: নাস্তিক-মুরতাদ ব্লগারদের কথা বলা হচ্ছে সকলকে না । যারা অপরাধ করেছে তাঁরা নিজেদের অপরাধ বোধ থেকে সামগ্রীক মনেকরে ভুল করছেন। যারা আস্তিক তাঁরা তো নিজেদেরকে নাস্তিক বলা হচ্ছে মনে করছেন না।

বর্তমানে নারীর অধিকার নিয়ে চলছে চরম মিথ্যাচার।
নারীর পূর্ণ অধিকার না সমআধিকার এবং কমোন জেন্ডারকে ইসলাম কি সমর্থন করে?
নারী ও পুরুষের একত্রে বিচরণ বা কমোন জেন্ডারকে ইসলাম সমর্থন করে। ইসলামই একমাত্র ধর্ম যেখানে নারীর অধিকার নিশ্চিত করার হয়েছে ।যারা হজ্জ পালন করেছেন তারা জানেন যে, সেখানকার এবাদত টি কমোন জেন্ডার বা নারী ও পুরুষ একসাথে পালন করে থাকে। আবার আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রঃ) এর কাছে অন্য সাহবীদের স্ত্রীরা শিক্ষাগ্রহন করতে আসতেন সেখানেও কমোন জেন্ডার বা নারী ও পুরুষ একসাথে শিক্ষাগ্রহন করেছেন বলে জানাযায়। কিন্ত ইসলাম নারী ও পুরুষের একত্রে অবাধ মেলামেশাকে সমর্থন করে না বেপর্দা, বেহায়াপনা, অশ্লীলতাকে সমর্থন করে না।

ইসলাময়ে নারীর আধিকার বলতে কি বোঝানো হয়েছে?
যদি কোন স্থানে প্রকৃতিক দুর্যোগে অথবা যেকোন কারনে মহা বিপর্জয় ঘটে শুধুমাত্র একজন নারী্‌ ও একজন পুরুষ জীবিত থাকে সে অবস্থায় যদি একটুকরা কাপড় পাওয়া যায় তাহলে সেটা কিভাবে বন্ঠন করা হবে? অবশ্যয় সেটার সম্পূর্ন ভাবে নারীকে বন্ঠন করা হবে। এটা-ই নারীর অধিকার।

একজন নারীর যে শারীরিক অক্ষমতা রয়েছে সেটাকে বিবেচনা করে সমঅধিকারের পরিবর্তে ইসলাম নারীর পূর্ণ অধিকার নিশ্চিত করেছে। কর্মক্ষেত্রে যেমন নারীর পৃথক বাথরুম থাকা, পৃথক কমনরুম থাকা নারীর অধিকার, নিরাপত্তার ক্ষেত্রে শারীরিক অক্ষমতা বিবেচনা পূর্বক বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থাকরা নারীর অধিকার।

যে সকল মানুষের ইসলামী জ্ঞাননেয় তিনারা এবং মিডিয়া হেফাজতে ইসলাম ঘোষিত ১৩ দফা দাবীর বিরুদ্ধে অত্যন্ত নগ্নভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছে যা অতন্ত দুঃখ্ জনক। আল্লাহপাক আমাদের সঠিক বুঝ দানকরুন আমিন।

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:৫২

শতাব্দী রায় বলেছেন: ভাই, নাস্তিক মুরতাতদের বিচার আপনি আমি চাইতেই পারি। কিন্তু যখন বলছেন নাস্তিক শাহবাগীদের আন্দোলন বন্ধ করতে হবে? এটার কাটছাট কিভাবে করবেন? যখন নাদিয়া শারমীনকে ওভাবে স্পষ্ট মাওলানারা পিটালেন তারপরও সংবাদ সম্মেলনে বলা হল ওরা সরকারের এজেন্ট... তখন আপনি কিভাবে ব্যাখ্যা করবেন? আসলে যুক্তি খাটালে হাজারো যুক্তি আছে...। যখন বলেন আগে নাস্তিকদের শায়েস্তা করি তারপর মিডিয়াকে। যখন একাত্তর চ্যানেলের ক্যামেরা পার্সনকে পিটিয়ে (পিটাইতেই পারে, পিটাইয়া মাইরালাইতে পারে। হুজুরা পিটাইলে সেই জায়গা বেহেস্তে যাবে, ছোটবেলা শোনা কথা)। কিন্তু পিটানোর সাথে সাথে বলে ফেলেন ওগুলা ছাত্রলেগের পোলাপাইন। হইতেই পারে ছাত্রলীগের কিন্তু আপনি কিভাবে নিশ্চিত হলেন, আপনার তো উচি ছিল, আমরা বিষয়টা খতিয়ে দেখবো এবং সময় নিয়ে মন্তব্য করা। এগুলোর ব্যাখ্যাও নিশ্চয় আছে।

৩| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:৩৭

সত্য কথা বলি বলেছেন: মূর্খের মত কথা বলেন কেন ! সকল ব্লগাররা নাস্তিক এ কথা কোন আলেম বা কে বলেছেন ? ঐ সমস্ত নষ্ট আর বিকৃত মানষিকতার অসভ্যদের শাস্তির দাবী জানানো হয়েছে যারা ইসলামের বিরোধিতা করাটাকেই মুক্তমনা বলে ঘেউ ঘেউ করে। তাদেরকে নাস্তিক বললে আপনার গায়ে লাগে কেনো !

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:০০

শতাব্দী রায় বলেছেন: নাহ আমার গায়ে লাগেনি সত্য কথা বলা ভাই/বোন। কিন্তু আমি যে কথাগুলো নিজ কানে শোনেছি তা কি আপনি মিথ্যা প্রমাণ করবেন শক্তি দিয়ে? আপনার কথার জবাব ইতোমধ্যেই উপরের একটি মন্তব্যে দিয়েছি। তারপরও বলছি... আচ্ছা বলেন তো... উনারা কি বলেন নি, নাস্তিক মুরতাত শাহবাগীদের আন্দোলন বন্ধ করতে হবে? বলেন নি সকল ভাস্কর্য ভেঙ্গে ফেলতে হবে? আপনি কি পুরো সমাবেশের বক্তব্যগুলো শোনেছেন? ওখানে অনেক বক্তা অনেক নোংরা বক্তব্য রেছেছেন। আলেম সমাজ হচ্ছেন, পবিত্র সাদা কাপড়ের মতো, তাদের তো বিচক্ষণ হওয়া উচিত ছিল, কোথায় পাক আছে তা খেয়াল রাখা, এবং নাপাকী যাতে না লাগে তার জন্য সর্বোচ্চ সতর্ক থাকা। কিন্তু হয়েছে কি? তার মানে সচেতন ভাবেই কিন্তু করেছেন। আমি আজ হলফ করে বলছি (আমি বলতেই পারি), এই হেফাজতে ইসলাম একদিন প্রমাণ করবে জাস্ট জামাতের জায়গায় হেফাজত। অর্থাৎ সরকার যখন জামাতককে নিষিদ্ধ করার পায়তারা করছে তখন হেজাফতের জন্ম তার আগে নয়, অর্থাৎ জামায়াত বিকল্পটা তৈরি করে রাখলো, সাংগঠনিক কাঠামোও তৈরি করে রাখল। হয়তো আমার ধারণাটা ভুল প্রমাণ হবে, আমি চাই আমার ধারণটা ভুল প্রমাণ হোক। হেফাজত বলছে তাদের কোন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নাই, কিন্তু ভাই, জামাতের লেটেস্ট ভার্সন হেফাজত না হলেও তৃতীয় শক্তির উত্থানের যে গুঞ্জন তা হেফাজতও হতে পারে। এটাও আমার একান্ত চিন্তা। ধন্যবাদ

৪| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:৪৭

পত্রনবিস বলেছেন: ””হেফাজতীদের কাছে সাধারণ আমজনতার মাত্র ০৭ দফা দাবি””
১. খালেদাকে সবার আগে বোরখা পড়িয়ে পর্দা প্রথা চালু করতে হবে।
২. খালেদাকে পাতলা জর্জেট-সিফন পড়ার বদলে ইসলামী পোষাক পড়াতে হবে।
৩. খালেদাকে ভ্রু প্লাক করা, গোলাপী লিপষ্টিক দেওয়া এবং রঙ্গীন চশমা পড়া বন্ধ করাতে হবে।
৪. খালেদার সাথে পুরুষ নেতা-কর্মীদের মেলামেশা নিষিদ্ধ করাতে হবে।
৫. খালেদাকে ইসলামী নিয়ম অনুযায়ী পর-পুরুষের সাথে হজ্বে যাওয়া বন্ধ করাতে হবে।
৬.খালেদাকে ইসলামী রীতি অনুযায়ী বিধবা বেশে সদা চলার ব্যবস্থা করাতে হবে।
৭.জেনারেল জিয়ার মাজার ভেঙে ফেলা এবং জিয়ার মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা বন্ধ করাতে হবে
৮কাবা শরীফ নিয়া মিথ্যা বানোয়াট সংবাদ প্রকাসের জন্য তাকে ডিম থেরাপি দেয়া হোক।
৯ বাঁশেরকেল্লা সহ এদের সকল ১৮+ পেইজ গুলিতে যৌন টা আর চাদে সাইদির ছবি সম্পরকিত মিথ্যা নিউ প্রকাসের জন্য ফাসি দেয়া হোক
আর উক্ত দাবী যদি হেফাজতীরা বাস্তবায়ন করতে না পাড়েন…তাহলে আমজনতা এইসব ইসলামী মুখোশধারী-পাপীষ্ঠ-শয়তানদের ইসলামের নামে ভাওতাবাজী ও অপরাধ করার দায়ে তাদের চিরতরে আফগানিস্থান বা পাকিস্থানে পাঠিয়ে দেওয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করবে[/sb

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:০২

শতাব্দী রায় বলেছেন: শুধু খালেদা জিয়া নন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ অন্যান্য মন্ত্রীরাও আ্পনার দফাগুলোর ধারায় চলে আসলে আসতেও পারেন। কিন্তু ভাই আপনার এই দফাগুলো মানতে হলে তো মুফতী সাহেবদেরকে মাননীয় খালেদা জিয়ার সাথে একবার বৈঠকে বসতে হবে!!!!

৫| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:৪৮

পত্রনবিস বলেছেন: পত্রনবিস বলেছেন: ””হেফাজতীদের কাছে সাধারণ আমজনতার মাত্র ০৯ দফা দাবি””
১. খালেদাকে সবার আগে বোরখা পড়িয়ে পর্দা প্রথা চালু করতে হবে।
২. খালেদাকে পাতলা জর্জেট-সিফন পড়ার বদলে ইসলামী পোষাক পড়াতে হবে।
৩. খালেদাকে ভ্রু প্লাক করা, গোলাপী লিপষ্টিক দেওয়া এবং রঙ্গীন চশমা পড়া বন্ধ করাতে হবে।
৪. খালেদার সাথে পুরুষ নেতা-কর্মীদের মেলামেশা নিষিদ্ধ করাতে হবে।
৫. খালেদাকে ইসলামী নিয়ম অনুযায়ী পর-পুরুষের সাথে হজ্বে যাওয়া বন্ধ করাতে হবে।
৬.খালেদাকে ইসলামী রীতি অনুযায়ী বিধবা বেশে সদা চলার ব্যবস্থা করাতে হবে।
৭.জেনারেল জিয়ার মাজার ভেঙে ফেলা এবং জিয়ার মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা বন্ধ করাতে হবে
৮কাবা শরীফ নিয়া মিথ্যা বানোয়াট সংবাদ প্রকাসের জন্য তাকে ডিম থেরাপি দেয়া হোক।
৯ বাঁশেরকেল্লা সহ এদের সকল ১৮+ পেইজ গুলিতে যৌন টা আর চাদে সাইদির ছবি সম্পরকিত মিথ্যা নিউ প্রকাসের জন্য ফাসি দেয়া হোক
আর উক্ত দাবী যদি হেফাজতীরা বাস্তবায়ন করতে না পাড়েন…তাহলে আমজনতা এইসব ইসলামী মুখোশধারী-পাপীষ্ঠ-শয়তানদের ইসলামের নামে ভাওতাবাজী ও অপরাধ করার দায়ে তাদের চিরতরে আফগানিস্থান বা পাকিস্থানে পাঠিয়ে দেওয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করবে[/sb

০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:০৩

শতাব্দী রায় বলেছেন: কাবা শরীফ নিয়া কে সংবাদ ছেপেছে? মাহমুদুর রহমান? ওরে বাবা, তাহলে সব ঠিক আছে, ওনার বিরুদ্ধে কথা বললে কিন্তু নাস্তিকতার লেটেস্ট সার্টিফিকেট ধরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন।

৬| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:০৪

এস এইচ খান বলেছেন: ভাই, এ দেশে রাস্তা ঘাটে, ট্রেনে বাসে, চায়ের দোকানে, ব্লগস্ফেইয়ারে খালি মোফত ( মাগনা ) মুফতি ঘুর ঘুর করে এই যেমন শতাব্দী রায় বাবুও একজন মুফতি ;)

এত মুফতির ভীরে কে আসল, কে নকল, কি কারনে এরা ফতোয়া দিচ্ছে সেটা আগে খুঁজে বের করতে হবে কি বলেন :-B

৭| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:১৯

ছাত্তির ইন্জিনিয়ার বলেছেন: এখানে ও কেচাল চলছে ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.