নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আজমল হক (আজম)

আজমল হক (আজম) › বিস্তারিত পোস্টঃ

নামাযে আমীন জোরে/আস্তে বলার নিয়ম

২৪ শে এপ্রিল, ২০১২ সকাল ১০:৪৭

রাসুল (সঃ) যেসব নামাযে কেরাত জোরে পড়তেন সে সব নামাযে আমীন জোরে বলতেন এবং পিছনের তারাও আমীন জোরে বলতেন (যাদুল মায়াদ ১ম খন্ড ৫২ পৃঃ; তিরমিযী ৩৪ পৃঃ; নাসাঈ ১৪০ পৃঃ; মেশকাত ১৭৯, ১৮০ পৃঃ);



তিনি আমীন জোরে বললেন (আবু দাউদ ১ম খন্ড ১৩৪, ১৩৫ পৃঃ);



নারী সাহাবী উম্মে হোসাইন (রাঃ) তিনি বলেন- রাসুল (সঃ) আমীন বললেন । আমি পিছনের মেয়েদের কাতার হতে তা শুনতে পেলাম (মাসমাউজ যাওয়াদের ১৮৭ পৃঃ; তুহ্‌ফাতুল আহওয়াযী ১ম খন্ড ২০ পৃঃ; তালিকুল মুমাজ্জাদ ১০৫);



সাহাবীদের মধ্যে ইমাম মুক্তাদি সকলেই যেহরী কেরাতে স্বজোরে আমীন বলতেন (বুখারী ১ম খন্ড ১০৭, ১০৮ পৃঃ);



ইমাম যখন আমীন বলে তোমরাও আমীন বলবে (বুখারী ১ম খন্ড ১০৭ পৃঃ);



শব্দ করে আমিন বল সুরা ফাতেহা শেষ হলে, শব্দ করে আমীন বল তখন তোমরা যদি ফেরেশতাদের সঙ্গে একই সাথে আমীন বল তোমাদের অতীতের সব গুনাহ ক্ষমা করা হবে (বুখারী ১ম খন্ড ১০৮ পৃঃ; বুখারী ১ম খুন্ড বুক অফ আজান ১১১ অধ্যায় হাঃ নং ৭৮০; বুখারী ১ম খুন্ড বুক অফ আজান ১১২ অধ্যায় হাঃ নং ৭৮১; বুখারী ১ম খুন্ড বুক অফ আজান ১১৩ অধ্যায় হাঃ নং ৭৮২);

إذا قال الإمام غير المغضوب عليهم ولا الضالين فقولوا آمين، فإن الملائكة تقول آمين، وإن الإمام يقول آمين، فمن وافق تأمينه تأمين الملائكة غفر له ما تقدم من ذنبه

(সুনানে নাসাঈ ১/১৪৭)





আমীন জোরে বল (মুসলিম ১ম খন্ড বুক অফ সালাহ ১১৬ অধ্যায় হাঃ নং ৮১১-৮১৬);



সাহাবী ওয়ায়িল বিন হুজর (রাঃ) হতে উদ্ধৃত তিনি বলেন, আমি নবী মুহাম্মদ (সঃ) কে (غَيۡرِ ٱلۡمَغۡضُوبِ عَلَيۡهِمۡ وَلَا (ٱلضَّآلِّينَ ‘গাইরিল মাগযূবি আলাইহিম ওয়ালায্‌যল্লীন’ পাঠান্তে آمين ‘আমীন’ বলতে শুনেছি । তিনি (সঃ) আওয়াজকে উচ্চঃস্বরে লম্বা করে টেনে ছিলেন (তিরমিযী ১ম খন্ড ৫৬ পৃঃ);



সাহাবী আবু হুরায়রাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত, লোকেরা আমীন বলা ছেড়ে দিয়েছে! অথচ নবী (সঃ) যখন ‘গাইরিল মাগযূবি আলাইহিম ওয়ায্‌যল্লীন’ তখন এতটা জোরে আমীন বলতেন যে, প্রথম কাতারের সমস্ত লোক তা শুনতে পেতেন এবং মসজিদ বেজে উঠত (ইবনে মাযাহ ১ম খন্ড ৬২ পৃঃ);



আমীন উচ্চঃস্বরে বলার আরও দলিল দেখুন (মুসলিম ১ম খন্ড ১৭৬ পৃঃ; নাসাঈ ১ম খন্ড ১৪৭ পৃঃ; মুয়াত্তা মালিক ৩০ পৃঃ; দারা কুতনী ১২৭ পৃঃ; বায়হাকী ২য় খন্ড ৫৯ পৃঃ; ফাতহুল বারী ২য় খন্ড ২১৭ পৃঃ; নাইলুল আওতার ২য় খন্ড ২৪৪ পৃঃ; আত্‌তারগীব ওয়াত্‌তারহীব ১ম খন্ড ২৩৬ পৃঃ; সুবুলুস সালাম ১ম খন্ড ২৪৩ পৃঃ; তুহফাতুল আহওয়াযী ১ম খন্ড ১০৮ পৃঃ; তালখিসুল হাবীব ১ম খন্ড ৯০ পৃঃ; আকামুল আহ্‌কামুল ১ম খন্ড ২০৭ পৃঃ);



আমীন উচ্চ স্বরে বলার আরও দলিল দেখুন (মিশকাত-মাওলানা নুর মোহাম্মাদ আযমী ২য় খন্ড হাঃ ৭৬৮, ৭৮৭; মিশকাত মাদ্রাসার পাঠ্য ২য় খন্ড হাঃ ৭৬৮, ৭৮৭; বাংলা অনুবাদ বুখারি মাওলানা আজীজুল হক ১ম খন্ড হাঃ ৪৫২; সহিহ আল বুখারি আঃ প্রঃ ১ম খন্ড হাঃ ৭৩৬, ৭৩৮; সহিহুল বুখারী তাঃ পাঃ ১ম খন্ড হাঃ ৭৮০, ৭৮২; বুখারী শরীফ ইঃ ফাঃ ১ম খন্ড হাঃ ৭৪১, ৭৪৩; মুসলিম শরীফ ইঃ ফাঃ ২য় খন্ড হাঃ ৭৯৭, ৭৯৮, ৭৯৯, ৮০০; আবু দাউদ ইঃ ফাঃ ২য় খন্ড হাঃ ৯৩২; তিরমিযী শরীফ ইঃ ফাঃ ১ম খন্ড হাঃ ২৪৮; ইবনে মাযাহ ইঃ ফাঃ ১ম খন্ড হাঃ ৮৩৭, ৮৩৮; জামে তিরমিযী মাওলানা আব্দুন নুর সালাফী ১ম খন্ড হাঃ ২৪১)



আয়িশা (রাঃ) হতে বর্ণিত (এবং ইবনু আব্বাস হতেও) তিনি বলেন যে, রাসুল (সঃ) বলেছেন, ইহুদীরা তোমাদের প্রতি এতটা হিংসা অন্য কোন বিষয়ে করে না যতটা হিংসা সালাম দেয়াতে এবং জোরে আমীন বলাতে করে; অতএব তোমরা বেশী করে জোরে আমীন বল (ইবনু মাযাহ ৬২ পৃঃ);



জোরে আমীন শুনে চটা ইহুদিদের সম্পর্কে আরও দলিল দেখুন (রাফউল উজাজাহ ১ম খন্ড ৩০০ পৃঃ; ইবনু কাসীর ১ম খন্ড ৫৮ পৃঃ; আত্‌তারগীব ওয়াত্‌তারহীব ১ম খন্ড ১৫০ পৃঃ; জামিউল ফাওয়ায়েদ ১ম খন্ড ৭৬ পৃঃ; নাইলুল আওতার ২য় খন্ড ২৪৬ পৃঃ; কানযুল উম্মাল ৩য় খন্ড ১৮৬ পৃঃ);



জানাতে পারেন



১৩) নামাযে সকল ক্ষেত্রে সুরা ফাতেহা শেষে আমীণ আস্তে বলা এর কুরআন ও সহিহ হাদিসের পূর্ণাঙ্গ দলিল জানাবেন ?



(চলবে)

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১২ দুপুর ২:৫৪

আবদুস সবুর খান বলেছেন: ইমাম ইবেন জারীর তাবারী রহ. লেখেন,

‍‍সঠিক কথা হল, উচ্চস্বর ও অনুচ্চস্বর উভয় ধরনের হাদীসই সহীহ এবং তার প্রত্যেক কর্মই একদল আলেমের মাধ্যমে অনুসৃত হয়েছে, যদিও আমার নিকট অনুচ্চস্বরে বলাই বেশি পছন্দনীয়। কেননা অধিকাংশ সাহাবী ও তাবেয়ীর আমল এরূপই ছিল।

(তাহযীবুল আসার, আল জাওহারুন নাকী ফির-রাদ্দি আলাল বায়হাকী ২/৫৮)

২৭ শে এপ্রিল, ২০১২ বিকাল ৫:০৮

আজমল হক (আজম) বলেছেন: তাহলে উচ্চস্বরে আমীণ! বলা যাবে । একটি দলিল হলেও আপনার কাছে আছে । ধন্যবাদ ।

২| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:০১

আবদুস সবুর খান বলেছেন: জ্বি। তবে আস্তে আমিন বলাই “অধিকাংশ সাহাবী ও তাবেয়ীর আমল”। যা উপরে উল্লেখ করা হয়েছে ....

আরো দেখতে পারেন ....

http://www.alkawsar.com/article/384

৩| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ সকাল ৯:২৬

দেশপ্রেমিক পোলা বলেছেন: Amar mote jevabei ameen bla hok na keno, kono shomossha nei. karon 2 pokkhei hadis ase. Tobe jara uccho-sore bole tara jodi mone kore nimno-shore bolle kafir hoye jay taholei bipod. Abar jara nimno-sore bole tara jodi mone kore uccho-shore bolle kafir hoye jay taholei bipod. Amar mone hoy ekjon manusher 2 vabei amol kora uchit, majhe majhe uccho-shore majhe majhe nimno-shore. tahole kono shondeho thaklo na.

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:১২

আজমল হক (আজম) বলেছেন: যার ভুল হয় সে মানুষ ।
যে ভুলের উপর স্থির থাকে সে শয়তান ।
যে ভুলের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চায় সে মুমিন ।
যারা বলে আস্তে আমীন বলার হাদিস আছে, অথচ দলিল বলে না তারা কি হতে পারে ?
অনেকে কিছু দলিল দেয় বা বলে যাতে দেখা যায় আমীন বলতে হবে এটা আছে । আস্তে শব্দটি নেই !!!!!
তারা যুক্তির মাধ্যমে বলে আস্তে বলতে হবে !!!
আপনি আমার সংগ্রহ করা দলিল গুলো ভালো করে যাচাই করে দেখুন জোড়ে বলতে হবে তা স্পষ্ট ।
অস্পষ্ট/ স্পষ্ট দুটিই ঠিক হতে পারে কি ???!!!
কুরআন ও সহিহ হাদিসের আলোকে যে সর্বোত্তম সেটাই সকলের গ্রহন করা উচিত । ধন্যবান!

৪| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ সকাল ৯:৩৪

উকিল সাহেব বলেছেন: আমার নিকট অনুচ্চস্বরে বলাই বেশি পছন্দনীয়।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:১৪

আজমল হক (আজম) বলেছেন: অনেকে কিছু দলিল দেয় বা বলে যাতে দেখা যায় আমীন বলতে হবে এটা আছে । আস্তে শব্দটি নেই !!!!!
তারা যুক্তির মাধ্যমে বলে আস্তে বলতে হবে !!!
আপনি আমার সংগ্রহ করা দলিল গুলো ভালো করে যাচাই করে দেখুন জোড়ে বলতে হবে তা স্পষ্ট ।
অস্পষ্ট/ স্পষ্ট দুটিই ঠিক হতে পারে কি ???!!!
কুরআন ও সহিহ হাদিসের আলোকে যে সর্বোত্তম সেটাই সকলের গ্রহন করা উচিত । ধন্যবান!

৫| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:৫১

রাজাধিরাজ বলেছেন: // সাহাবী আবু হুরায়রাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত, লোকেরা আমীন বলা ছেড়ে দিয়েছে! অথচ নবী (সঃ) যখন ‘গাইরিল মাগযূবি আলাইহিম ওয়ায্‌যল্লীন’// ......শব্দ গুলিতে কারেকশন হবে

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:১৭

আজমল হক (আজম) বলেছেন: জাযাকাল্লাহু খায়রান ।
উক্ত আরবী শব্দটির সঠিক বাংলা উচ্চারন লেখা একটু কঠিন । আপনার মতে কি হতে পারে জানাবেন ।

৬| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:১০

রাতুলবিডি২ বলেছেন: রসুল তো তাশাহুদ ও জোড়ে পড়েছেন বলে সহিহ হাদীস আছে, জোড়ে যারা আমীন বলে তারা লি তাশাহুদ জোড়ে পড়েন?

আমীন তো দোয়া, আর কোরাণে তো মন লাগিয়ে চুপে চুপে দোয়ার কথা বলা হয়েছে!

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:১৪

আজমল হক (আজম) বলেছেন: অনেকে কিছু দলিল দেয় বা বলে যাতে দেখা যায় আমীন বলতে হবে এটা আছে । আস্তে শব্দটি নেই !!!!!
তারা যুক্তির মাধ্যমে বলে আস্তে বলতে হবে !!!
আপনি আমার সংগ্রহ করা দলিল গুলো ভালো করে যাচাই করে দেখুন জোড়ে বলতে হবে তা স্পষ্ট ।
অস্পষ্ট/ স্পষ্ট দুটিই ঠিক হতে পারে কি ???!!!
কুরআন ও সহিহ হাদিসের আলোকে যে সর্বোত্তম সেটাই সকলের গ্রহন করা উচিত । ধন্যবান!

৭| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৩৪

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ভাই.. এই বিভেদ রেখে আসুন অনুভবের মৌলিকতায় সমাধান খুজি।

জোরে আর আস্তের কারণটি কি জনাব জানাবেন? এই প্রসংগে হাদীস বা দলিল!

সূরা ফাতিহার অর্থ নিশ্চয়ই জানেন। এটা অনুভবে ধারন করে পড়লে- ভাবের, পরিবেশের তারতম্যে জোরে আস্তে আমিন হতেই পারে। পারে না কি?

আমি মিছিলে যে উচ্চস্বরে স্লোগান দেই- সাধারন কথায় যেমন তেমন উচ্চ থাকিনা;
ভাষনে বক্তৃতায় যে টোনে কথা বলি- তা সাধারনে যেমন ধারন করি না,
তেমনি অনেক কিছু সাধারন অনুভবেই সমাধান মেলে কিন্তু চোখ মেলে দেখি না, দেখলেও মানি না।

প্রেম যেমন বন্ধু বন্ধুরে নিয়ম রীতি বলে করাতে পারে না, হুবহু অনুসরন করতে গেলে গুবলেট হয়ে যায়-
ধর্মের বিষয়ও তেমনি। প্রয়োজন, বাস্তবতা, প্রাষংগিকতা মিলে অনেক কিছূ নির্ভর করে।

তখন মাইক ছিল না। তখন লাউড স্পিকার ছিল না-
তখন তাদের মাতৃভাষায় কোরআন তারা তিলাওয়াত করতেন- তার আবেগ, মাধূর্য, অনুভব যত গভির হত- খোলাফার আমলেই নিশ্চয়ই তা তেমন গবীর ছিল না, তাই না।

আবার এখনও আপনি গভির অভিনিবেশে সূরা ফাতিহার তাৎপর্য অনুভব করে পাঠ করুন- দেখবেন অজান্তেই জোরে আমীন চলে আসছে।

তাই- অনুরোধ আসুন ধর্মের প্রাণকে ধারন করি। বাহ্যিক বিধানকে নয়।
কারণ ইসলাম এই ফ্লেক্সিবিলিটির অপশনটি খোলা রেখেছে। কারণ এটাই সত্য। পরিবর্তিত পৃথিবীতে পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী। আর তার সাথে তাল মিলাতে না পারলে যে বিশ্ব থেকে ছিটকে যাবে- তা নিশ্চয়ই রাসূল সা: এর চেয়ে বেশি কেউ অবগত ছিলেন না।

এবং বাস্তবিক দেখূন- আজকের অবস্থান। মৌলিক প্রাণহীন বাহ্যিকতায় নিয়ে বিভেদ নিয়ে মুসলিম জাতির কি বিপর্যয়কর অবস্থা!!

যখন অন্যেরা ড্রোন নিয়ে আপনাকে ঘুমের মধ্যে মারে- আপনি স্বপ্নে উটের পিঠে চড়ে সওয়াব হাসিলের ঘোরে মরে যান!!!!!!!

সত্য প্রতিষ্ঠাটা তবে করবে কে?

৮| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৩৮

নীড় ~ বলেছেন: হাইরে মুমিন।

ইহুদীনাসারার সমাজ িকভাবে মঙ্গল গ্রহ থেকে খনিজ আহরন করা যায় তা নিয়া বিজি আর মুমিন মর্দরা বিজি আস্তে জোরে বলা নিয়া।

৯| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৩

মুসলিম উম্মাহ বলেছেন: আমীন আস্তে বলা সম্পর্কে দলিলসমূহ নিম্নে দেওয়া হলো।
১ম দলিল:
হযরত ওমর রা. বলেন, চারটি বিষয় ইমাম অনুচ্চস্বরে পাঠ করবে : আউযু বিল্লাহ, বিসমিল্লাহ, আমীন ও আল্লাহুম্মা রাববানা ওয়া লাকাল হামদ।
أربع يخفيهن الإمام : التعوذ وبسم الله الرحمن الرحيم وآمين واللهم ربنا ولك الحمد
(ইবনে জারীর, কানযুল উম্মাল ৮/২৭৪; বিনায়াহ ২/২১৯)

জবাব:
এই হাদিসটি মুনকাতি হওয়ার কারণে যঈফ। কারণ হাদিসটি ইব্রাহিম নাখয়ী বর্ণনা করেছেন উমার রা. হতে। আর ইব্রাহিম নাখয়ী উমার রা. কে পান নাই।

এছাড়া আরো একটি বর্ণনা রয়েছে আবদুর রহমান বিন আবী লায়লা হতে উমার বিন খাত্তাব রা. এর বর্ণনা। সেটিও মুনকাতি। কারণ আবদুর রহমান বিন আবী লায়লাও উমার বিন খাত্তাব রা. কে পান নাই। (তাহযিবুত তাহযিব)। সুতরাং হাদিসটি দলিলযোগ্যও নয়, প্রমাণিতও নয়।

১০| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৩

মুসলিম উম্মাহ বলেছেন: ২য় দলিল:
২. আবু ওয়াইল রাহ. বলেন, খলীফায়ে রাশেদ আলী রা. ও হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. বিসমিল্লাহ উঁচু আওয়াজে পড়তেন না। তেমনি আউযুবিল্লাহ ও আমীনও।

كان علي وعبد الله لا يجهران ببسم الله الرحمن الرحيم ولا بالتعوذ، ولا بالتأمين، قال الهيثمي : رواه الطبراني في الكبير وفيه أبو سعد البقال، وهو ثقة مدلس.
(আলমুজামুল কাবীর, হাদীস : ৯৪০৪; মাজমাউয যাওয়াইদ ২/১০৮)

জবাব:
হাদিসটি যঈফ। কারণ হাদিসটির সানাদে রয়েছেন, আবু সাঈদ বিন আল মারযাবান আল বাকাল।
ইমাম বুখারী বলেন, তিনি মুনকারুল হাদিস;
ইমাম আমর বিন আলী বলেন, তিনি মাতরুকুল হাদিস;
ইমাম দারাকুতনী বলেন, তিনি মাতরুক;
ইমাম নাসাঈ বলেন, তিনি যঈফ;
ইমাম ইজলী বলেন, তিনি যঈফ;
ইমাম আবু হাতেম বলেন, তিনি হাদিসের ক্ষেত্রে নির্ভরযোগ্য নন।
এছাড়াও আরো অনেকেই এই রাবীর সমালোচনা করেছেন (তাহযিবুত তাহযিব)

এছাড়া আবু সাঈদ বিন আল মারযাবান আল বাকাল মুদাল্লিস এবং মুদাল্লিস রাবীর (বর্ণনাকারীর) আন শব্দে বর্ণিত হাদিস দলিল হিসেবে অগ্রহণযোগ্য। হাদিসটি যঈফ হওয়ার এটিও অন্যতম কারণ।

মোট কথা জমহুর মুহাদ্দিসিনের নিকট তিনি যঈফ। তাই দলিলটি অগ্রহণযোগ্য। অথচ হানাফীরা এসব অগ্রহণযোগ্য যঈফ হাদিসই দলিল হিসেবে দিয়ে থাকে নিজেদের মাযহাবী মতকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য। আর মুকাল্লিদরা সেগুলো প্রচার করে এবং নিজেদের হুজুরদের আকড়ে ধরে অন্ধের মতো।

১১| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৩

মুসলিম উম্মাহ বলেছেন: ৩য় দলিল:
আবু ওয়াইল থেকে বর্ণিত, হযরত ওমর রা. ও হযরত আলী রা. বিসমিল্লাহ উচ্চস্বরে পড়তেন না।
لم يكن عمر وعلي يجهران بسم الله الرحمن الرحيم ولا بآمين.
(ইবনে জারীর তবারী ; আলজাওহারুন নকী ১/১৩০

জবাব:
এই হাদিসটিও যঈফ। কারণ হাদিসটির সানাদে রয়েছেন, আবু সাঈদ বিন আল মারযাবান আল বাকাল।
ইমাম বুখারী বলেন, তিনি মুনকারুল হাদিস;
ইমাম আমর বিন আলী বলেন, তিনি মাতরুকুল হাদিস;
ইমাম দারাকুতনী বলেন, তিনি মাতরুক;
ইমাম নাসাঈ বলেন, তিনি যঈফ;
ইমাম ইজলী বলেন, তিনি যঈফ;
ইমাম আবু হাতেম বলেন, তিনি হাদিসের ক্ষেত্রে নির্ভরযোগ্য নন।
এছাড়াও আরো অনেকেই এই রাবীর সমালোচনা করেছেন (তাহযিবুত তাহযিব)

এছাড়া আবু সাঈদ বিন আল মারযাবান আল বাকাল মুদাল্লিস এবং মুদাল্লিস রাবীর (বর্ণনাকারীর) আন শব্দে বর্ণিত হাদিস দলিল হিসেবে অগ্রহণযোগ্য। হাদিসটি যঈফ হওয়ার এটিও অন্যতম কারণ।

মোট কথা জমহুর মুহাদ্দিসিনের নিকট তিনি যঈফ। তাই দলিলটি অগ্রহণযোগ্য। অথচ হানাফীরা এসব অগ্রহণযোগ্য যঈফ হাদিসই দলিল হিসেবে দিয়ে থাকে নিজেদের মাযহাবী মতকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য। আর মুকাল্লিদরা সেগুলো প্রচার করে এবং নিজেদের হুজুরদের আকড়ে ধরে অন্ধের মতো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.