নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আজমল হক (আজম)

আজমল হক (আজম) › বিস্তারিত পোস্টঃ

বহু বিবাহ ভাল না মন্দ !!!

১৫ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:৩০



সকল প্রশংসা এক আল্লাহর যিনি আমাকে লেখার তৌফিক দান করেছেন । অসংখ্য দুরুদ ও সালাম নবী মোহাম্মদ সা: এর উপর ।



তুমি তোমার পছন্দমত মেয়েকে বিয়ে কর । দুইটি, তিনটি অথবা চারটি । কিন্তু তুমি যদি ন্যায় বিচার করতে না পার । তবে কেবল একজনকে বিয়ে কর (নিসা আয়াত ৩)



স্ত্রীদের মধ্য ন্যায় বিচার বজায় রাখা একজন পুরুষের জন্য খুবই কঠিন কাজ (নিসা আয়াত ১২৯)



চিকিৎসা বিজ্ঞান বলে মেয়ে ভ্রুন ছেলে ভ্রুনের চেয়ে অধিক শক্তিশালী থাকে । তাই ছেলে শিশুর চেয়ে মেয়ে শিশুর জন্ম হার বেশী ।



যুদ্ধে মহিলার চেয়ে পুরুষ বেশি নিহত হয় ।



মহিলার চেয়ে পুরুষরা বেশী দুর্ঘটনায় নিহত হয় ।



সিগারেট সেবনে পুরুষরা বেশী নিহত হয় ।



বিভিন্ন কারনে পৃথিবীতে মহিলার সংখ্যা বেশী ।



নিউইয়র্কে পুরুষের চেয়ে ১০ লক্ষ বেশী মহিলা ।



ইংল্যান্ডে পুরুষের চেয়ে ৪০ লক্ষ বেশী মহিলা ।



জার্মানিতে ৫০ লক্ষ এবং রাশিয়াতে ৭০ লক্ষ বেশী মহিলা ।



যুক্তরাষ্ট্রে পুরুষের চেয়ে ৭৮ লক্ষ মহিলা বেশী ।



প্রত্যেক পুরুষ যদি একজন করে মহিলা বিয়ে করে আরো প্রায় ৩০ লক্ষ মহিলা অবিবাহিত থাকবে ।



ধরুন আমার বোন ৩০ লক্ষের একজন । এখানে তার উপায় সে একজন বিবাহিত ছেলেকে বিয়ে করবে নতুবা গণ-সম্পত্তিতে পরিণত হবে । অথবা চির কুমারী থাকবে ।



চিকিৎসা বিজ্ঞান বলে প্রতিদিন শরীরে যৌন হরমন তৈরী হয় এবং নিঃসৃত হয় ।



তাই সারা জীবন যৌন সংসর্গ ছাড়া কোন পুরুষ বা নারী কুমার/কুমারী থাকতে পারা খুবই দুরুহ ব্যাপার ।



কোন মহিলা বিয়ের পর দুর্ঘটনায় প্রতিবন্দী হয়ে পড়ে ফলে স্বামীর সেবা যত্ন করতে পারে না । এক্ষেত্রে পুরুষ তাকে রেখে আরেকটি বিয়ে করতে পারে । নতুবা তাকে তালাক দিয়ে বিয়ে করতে পারে ।



উক্ত অবস্থায় যাদের সন্তান সন্তানি আছে তারা কি করবে ?



কেউ বলে পরিচারিকা রাখতে পারে ।



পরিচারিকা সন্তানের, স্ত্রী এবং সংসারের কাজ দেখাশুনা করতে পারে কিন্তু পুরুষের দেখাশুনা বা চাহিদা মেটাবে কে ?



এ অবস্থায় আরেকটি বিয়ে করতে পারেন এবং দুজনের প্রতি সমান ব্যবহার করতে হবে ।



অনেকের সন্তান হচ্ছে না এবং দু’জনেই সন্তানের জন্য আগ্রহী । তাহলে স্ত্রী আরেকটি বিয়ের অনুমতি দিতে পারেন এবং সন্তান পেতে পারেন ।



কেউ বলে সন্তান দত্তক নিতে পারে । দত্তক বলতে যদি গরীব শিশু গ্রহন করেন এবং আপনার গৃহে থাকা খাওয়া, পড়া ও বস্ত্রের ব্যবস্থা করবেন সেক্ষেত্রে ইসলামে অনুমতি আছে ।



কিন্তু আইনগত দত্তক নেয়া ইসলামে নিষিদ্ধ । কারন শিশুটির পূর্ব পিতা মাতার পরিচয় বদলানো যাবে না ।



যদি পরে আপনার সন্তান হয় তখন তার চেয়ে নিজের সন্তানের প্রতি বেশী মনোযোগী হবেন ।



আপনার সন্তান বিপরীত লিঙ্গের হলে প্রাপ্ত বয়সে তার সাথে খোলাখুলি ভাবে থাকতে পারবে না ।



অর্থাৎ পর্দা করতে হবে । কারণ তারা রক্ত সম্পর্কের ভাই বোন নয় ।



যদি দত্তক শিশু মেয়ে হয় পালিত বাবার সামনে পর্দায় থাকতে হবে ।



ছেলে হলে পালিত মাকে পর্দায় থাকতে হবে । কারণ সে রক্ত সম্পর্কের কন্যা বা ছেলে নয় ।



ছেলে হলে বিয়ের পর তার স্ত্রীকে পালিত বাবার সামনে পর্দায় থাকতে হবে ।



আরও অনেক জটিলতা আছে যেমন মৃতুর পর উত্তিরাধিকার সম্পত্তির বন্টনের ক্ষেত্রে । এখানে বিস্তারিত উল্লেখ করলাম না । আপনারা প্রয়োজনে জ্ঞানীদের জিজ্ঞাসা করে জেনে নিবেন ।



পুরুষের বহু বিবাহ (সর্বোচ্চ ৪ জন) করার একটাই শর্ত-সকল স্ত্রীর সাথে ন্যায় বিচার করতে হবে ।



এতে মহিলাদেরই বেশী উপকার হবে ।



পৃথিবীতে বৈবাহিক ক্ষেত্রে নারী পুরুষের সমতা রক্ষা পাবে, তাদের সংযত রাখবে, বেশ্যা হতে রক্ষা পাবে এবং তাদের অর্থনৈতিক দায় মুক্ত হবে ।



নারীরা কি একাধিক স্বামী রাখতে পারবে ?



চিকিৎসা বিজ্ঞান বলে-মাসিকের সময় নারীরা মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত থাকে । স্বামী-স্ত্রী মধ্যে অধিকাংশ ঝগড়া এই সময়ে হয়ে থাকে ।



যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদন অনুযায়ী মহিলারা এ সময়ে বেশী অপরাধ করে । একজন মহিলার একাধিক স্বামীর সাথে সমন্বয় করা কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায় ।



একাধিক স্বামী থাকলে সন্তানের ক্ষেত্রে মা কে সনাক্ত করতে পারবেন কিন্তু বাবাকে সনাক্ত করা যাবে না ।



মনোবিজ্ঞান বলে-সন্তান যদি বাবাকে সনাক্ত করতে না পারে সে মানসিক অশান্তিতে ভোগে ।



যদি পুরুষ বন্ধ্যা হয় তবে স্ত্রী কি বিয়ে করতে পারবে ?



কোন ডাক্তারী পরিক্ষা নেই যে পুরুষকে বন্ধ্যা বলে । এমনকি শুক্রকীটবাহী নাড়ীচ্ছেদ করলেও কোন ডাক্তার বলতে পারে না যে, সে পিতা হতে পারবে না ।



স্বামী দুর্ঘটনায় পতিত হলে বা মারাত্মক ভাবে অসুস্থ হলে তখন কি স্ত্রী অন্য স্বামী নিতে পারবে ?



অর্থনৈতিক দিকে যে পরিবার, সন্তান-সন্ততি দেখাশুনা করতে পারে না সেক্ষেত্রে ইসলামে যাকাতের ব্যবস্থা আছে ।



শারিরীক ভাবে অক্ষম বা স্ত্রীকে সন্তুষ্ট করতে পারে না এক্ষেত্রে তালাক গ্রহণ উত্তম ।



অর্থনৈতিক দায়-দায়িত্ব পরিবারের পুরুষের উপর ন্যস্ত ।



বিয়ের পূর্বে একজন মহিলার ভরণ পোষনের দায়িত্ব পিতা বা ভ্রাতার উপর এবং বিয়ের পর তার স্বামীর বা ছেলে সন্তানের উপর ।



কুরআনে আছে-পুরুষেরা নারীদের রক্ষক ও ব্যবস্থাপক কেননা আল্লাহ একজন কে অধিক মর্যাদা দান করেছেন অপর জন থেকে এবং তারা (নারীরা) তাদের (পুরুষদের) সম্পদ ব্যয় করে (নিসা আয়াত ৩৪)



কোন মহিলার পক্ষে একাধিক স্বামী গ্রহণ করে তাদের (স্বামীদের) “অর্থনৈতিক দায়” ভার গ্রহন করা কষ্মিণকালেও সম্ভব নয় ।



উপরের বাস্তব আলোচনা থেকে স্পষ্ট দেখা যায় পুরুষেরা “শর্তসাপেক্ষে” এক সাথে একাধিক স্ত্রী রাখতে পারে কিন্তু নারীরা পারে না ।



তবে নারীরা তালাক নিয়ে অন্যজনকে বিয়ে করতে পারে । এক সাথে একের অধিক রাখতে পারে না ।



পরিশেষঃ একাধিক বা বহু বিবাহ বাধ্যতামুলক নয় । এখানে শর্ত হলো সকলের সাথে ন্যায় বিচার করতে হবে ।



যেমন-কোন পুরুষের ৩টি স্ত্রী আছে । সে যদি একজন কে তার গ্রামের বাড়িতে, একজন কে শহরের বাড়িতে, একজন কে সে যেখানে থাকে সেখানে রাখে ।



তাহলে ইসলামী নিয়মে এটা ন্যায় বিচার হবে না । এটা যায়েজও হবে না ।



বরং সে যদি একই বাসায় রেখে খাওয়া দাওয়া থেকে শুরু করে জীবন ধারনের সমস্ত উপকরণ সমান ভাবে ব্যবস্থা করে, “সকল স্ত্রী তার প্রতি খুশি থাকে” ।



তাহলেই ন্যায় বিচার বলা হবে ।



এটা ইসলামের একটা অনুৎসাহিত নিয়ম । পবিত্র কুরআনে পরিষ্কার উল্লেখ আছে-



স্ত্রীদের মধ্য ন্যায় বিচার বজায় রাখা একজন পুরুষের জন্য খুবই কঠিন কাজ (নিসা আয়াত ১২৯)



পবিত্র কুরআনে একটা বিয়ে করতেই বেশী উৎসাহিত করছে-



কিন্তু তুমি যদি “ন্যায় বিচার” করতে না পার । তবে কেবল “একজনকে বিয়ে কর” (নিসা আয়াত ৩)



কুরআনঃ আর তোমরা তোমাদের স্ত্রীদের সঙ্গে সদাচরণ কর যদি তোমরা তাদের কোন কিছু অপছন্দও কর, হতে পারে আল্লাহ তার মধ্যে প্রকৃত কল্যান তোমরা তা অপছন্দ করছ । এমনকি আপনি যদি আপনার স্ত্রীকে অপছন্দও করেন, আপনাকে তার সঙ্গে দয়া-মমতার আচরণ করতে হবে (নিসা আয়াত ১৯)



হাদিসঃ পরিপূর্ণ মুমিন তারাই, যারা চরিত্রে ও আচরণের দিক দিয়ে সর্বোত্তম এবং তারা যারা তাদের পরিবার ও স্ত্রীদের নিকট সর্বোত্তম (ইবনে হাম্বল এর হাদিস নং ৭৩৬ ও ৭৩৯৬)



আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকল নাড়ি-পুরুষদের বিষয়টি সহজে বুঝার তাওফিক দান করুন ।



বিশেষ করে আধুনিক মনা নাড়িদের বুঝ দিন “এতে তাদের দুনিয়া ও আখেরাতে অশেষ কল্যাণ আছে” ।



আল্লাহ তুমি আমাদের সহীহ বুঝ দান কর । “আমীণ”



যাযাকাল্লাহু খায়রান ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.