নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চিনিলাম আপনারেআঘাতে আঘাতেবেদনায় বেদনায়;সত্য যে কঠিন,কঠিনেরে ভালোবাসিলাম,সে কখনো করে না বঞ্চনা।

সত্যের সারথি সাদেক

সত্য যে বড় কঠিন, কঠিনেরে বাসিলাম ভালো, যে কখনো করেনা বঞ্চনা !

সত্যের সারথি সাদেক › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের নূরলদীন:সৈয়দ শামসুল হক

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১০:৩৪

সৈয়দ শামসুল হক সেই অল্পজনদের একজন যারা রবীন্দ্রনাথের কালীক জীবন ফলক স্পর্শ করেছেন ।সুতরাং তাকে ভাগ্যবান অনায়াসেই বলা যায় । যখন তার সর্ম্পকে সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন ”তিনি তার প্রজন্মের সবচেয়ে সৃষ্টিশীল লেখক, যে দশক থেকে তাঁর উন্থান এর পর থেকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি , অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার যে স্বপ্ন তিনি দেখতেন তার বাস্তব রুপরেখা দেখতে পাই তার সাহিত্য কর্মে ”। তখন তাকে মূল্যায়ন করাটা অনেকটা সাহসের ব্যাপার ।
তার সম্পর্কে বলতে গিয়ে আনিসুল হক বললেন ”এক জীবনে হক ভাই বিস্তর লিখেছেন । সমকালীনদের মধ্যে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের সহযাত্রী, সাহিত্যেও যে শাখায় তিনি হাত দিয়েছেন সেখানেই তিনি সফলতার স্বাক্ষর রেখেছেন । কবিতা লিখেছেন , গল্প লিখেছেন উপন্যাস, নাটক , প্রবন্ধ, আত্মজীবনী,শিশুসাহিত্য, গান , চিত্রনাট্য,- সব কিছুই করেছেন আর করেছেন বিশ্বসাহিত্যের কালজয়ী বইগুলোর ব্যাপক অনুবাদ । শোক বইতে আনিসুল হক লিখেছেন ” সৈয়দ হক আমার শিক্ষক ,তাকে সালাম”
তার বই কিভাবে পড়া শুরু করলাম তা দিয়েই তার সাহিত্য কর্মে দৃষ্টিপাত করতে চাই ।
সময়টা ঠিক মনে না পড়লেও মনে আছে ২০০৭ সালের মাঝামাঝি । তখন আমি মাত্র সপ্তম শ্রেনীতে পড়ি । গ্রীষ্মকালীন ছুটি চলছিল । তো আমাদের বাসার বইয়ের স্তুপ হাতড়াতে গিয়ে বেশ পুরানো একটি বই পেলাম ”কবিতা সংগ্রহ ” ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে প্রকাশিত ১৯৭৯ সনের । সেখানে একজন কবির কবিতা আমাকে বেধেঁ ফেলল । ”রাস্তায় একটি লোকের দেখা ”কবিতার শেষ লাইন গুলো এরকম
”এশিয়ার ধানখেতের দিয়ে
পূর্ণিমার কানন ঘেরা বিদ্যালয়ের দিকে যেতাম
সেই ধানখেতের ভেতর দিয়েই আমি আজ
আমাবস্যায় আগুন ঘেরা বসতির দিয়ে যাই ।
- সৈয়দ শামসুল হক
এই কবিতা পড়ার পর লেখকের অন্যান্য বই খুজতে লাগলাম । পেয়েও গেলাম ”খেলা রাম খেলে যা” । আমার একটি অভ্যাস ছিল পড়ার টেবিলে ঘুমিয়ে পড়া । সেদিন রাতে পড়তে পড়তে ঘুমিয়ে পড়েছি বাবা আমার পড়ার টেবিলে এসে দেখলেন সেই বই , পরদিন সকালে আমাকে ডেকে বললেন কালকে যে বইটা দেখলাম সেটা এখনে পড়া যাবে না, কিছুদিন পরে পড়তে হবে ।
তাঁর লেখার যে নিজস্ব একটি ধারা আছে তা ’খেলা রাম খেলে যা’ পড়ার পর আমার কাছে স্পষ্ট হয়ে গেল । সেই ’খেলা রাম খেলে যা’ থেকেই যৌনতা, আমাদের সম্পর্ক গুলোর নানা মাত্রিক দিক, শরীর , এসব বিষয় তার লেখার প্রধান্য পেয়েছে । কবিতার ক্ষেত্রেও তাই । রাজনৈতিক আকাঙ্খা উত্তেজনা, আর বিশ্বাস থেকে উচ্চারিত কবিতা গুলো ছাড়া বাকি কবিতার জগতে প্রেম আর যৌনতা এসেছে নানা ভাবে । আমাদের সাহিত্যে ’খেলা রাম খেলে যা’ উপন্যাসটি নিয়ে আলোচনা সমালোচনা কম হয়নি । উদ্বাস্তু- উঠতি বাবর আলীর অস্থির মন-মানসিকতা যতটা না বেপরোয়া ;তার চেয়েও বেশি সহায়- সম্বলহীন, আর এসবের কারন তার পিছনের সুদীর্ঘ ইতিহাস । উপন্যাসের শেষে আমরা যখন দেখি বাবর আলীর শিকড় ও লুক্কয়িত বোধ উন্মোচিত হয় তখন আমরা বুঝে উঠি লেখক কিভাবে তার সৃষ্টিশীলতার পরিচয় দিযেছেন সেই ষাটের দশকে । নিখঁত আধুনিকতা ও কুশলতার সঙ্গে চরিত্রের ভিতর জগৎ উন্মোচিত করেছেন দক্ষ কারিগরের মতো;আর একাধারে প্রকাশ করেছেন জীবন ও সমকালীন ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ । এ সম্পর্কে বলতে গিয়ে লেখক নিজেই বলেছেন ......”খেলা রাম খেলে যা এ দেশের সব চেয়ে ভুল বোঝা উপন্যাস । না , এ উপন্যাসের জন্য আমি লজ্জিত নই , বরং আমি লজ্জিত তাদের জন্য যারা উপন্যাসের নেপথ্যে একটি চরিত্র বাবর আলীর বোনকে সম্পূর্ণ ভুলে গিয়ে কেবল বাবলি বা জাহেদার কথা মনে রাখে । ” (ভূমিকা:শ্রেষ্ঠ উপন্যাস :১৯৯০)
এরপর হাতে আসে ”তুমি সেই তরবারী ” একজন মানুষ ছাড়া আরেকজন মানুষের জীবন চলতে পারে না ,হঠাৎ করে একজন মানুষ কেন বিশেষ হয়ে যায় ? সে যদি নেই তো বুকের মধ্যে কোন প্রেরণা নেই - কেন এমন মনে হয় ? আমাদেও চারপাশে অহরহ অনেক ঘটনাই ঘটে , সেগুলো তখনি আমাদের আকর্ষণ করে যখন বলবার ভঙ্গি ভিন্ন হয় । এটি একটি প্রেমের উপন্যাসেই বটে , রচিত হয়েছে লন্ডনের পটভূমিতে এক বাঙ্গালি তরুন দম্পতি কে নিয়ে , স্বামীর এক তরুন বন্ধু তাদের বাসায় সাবলেট থাকত.. চিরায়ত ভাবে যা হতে পারে তা মোটেও নতুন নয়, তবে এটা বলার ভাব ভাষা , প্রকাশের অপরূপ মাধুর্যতা, প্রেমের অন্তর্লীন ব্যথা , তৃষার্ত-পিপাসার্ত প্রেমিকের মনের ব্যাকুলতা , সমর্পণ , গ্লানি আর আবিস্কার এসব কিছু নিয়ে এক অনবদ্য সৃষ্টি ।
এভাবে একে একে পড়ে ফেললাম বালিকার চন্দ্রযান , অন্য এক আলিঙ্গন ,বারো দিনের শিশু ।
বালিকার চন্দ্রযান , অন্য এক আলিঙ্গন এ দুটিই রচিত হয়েছে লন্ডন শহর কেন্দ্রিক বাঙ্গালি গল্প । অন্য এক আলিঙ্গন হলো মানুষ কিভাবে তার স¦ার্থ সিদ্ধি করতে পাওে তার গল্প আর বালিকার চন্দ্রযান- এ বাঙ্গালির শেকড় ছেদের যন্ত্রণা ও বাস্তবতা তুলে ধরা হয়েছে যখন আমরা পাশ্চত্য সমাজ ও সংস্কৃতিতে মিশে যাই । জীবন ও জগতের মৌলিক কিছু প্রশ্নের উত্তর খুজতে গিয়েই তার উপন্যাস সৃষ্টির মূল কারণ । সৈয়দ হকের ভাষায়Ñ
”মানুষ জন্ম নেয় ; কিন্তু সে জন্ম তার উপর চাপিয়ে দেয়া একটি ঘটনা । মানুষ জন্ম নেয় বেড়ে উঠে অচিরেই সে আবিস্কার করে Ñসে হয় এক দুঃশীল দূর্বোধ্য পৃথিবী । কিছু প্রশ্ন ক্রমশঃ বিপুল প্রবল ও বিনাসী হয়ে দেখা দেয় তার কাছে - আমি কে ? আমি কেন ? আমি কোথায় ?
আমি কে?- আমায় ভাবায় ; আমি কেন?- আমাকে ভীত করে ;আমি কোথায় ?-াামাকে ুনঃসক্সগ করে দেয় । আমার অভিজ্ঞতা বলে , এই মৌলিক প্রশ্নগুলো মানুষ বারবার বিবেচনা করেছে এতদা তার মহাকাব্যে, এবং এখন, বিশেষ করে বিশ শতকের প্রায় শুরু থেকেই তার উপন্যাসে । ”
- (ভূমিকা:শ্রেষ্ঠ উপন্যাস :১৯৯০)
উপন্যাসের মতো তার ছোট গল্পের রয়েছে আলাদা একটি ধারা , তাস , রক্ত গোলাপ দিয়ে যিনি শুরু করেছিলেন আর দশকে দশকে তিনি নিজেকে আবিস্কার করেছেন , নির্মাণ করেছেন । ছোট গল্পের শুদ্ধতম আবেগ , গভীরতম অনূভুতি গুলোকে তিনি কলমের আচরে তুলে ধরেছেন আপন ভঙ্গিমায় । তার গল্পে উঠে আসে তার এক নিজস্ব ভৌগলিক গ্রাম জলেশ্বরি । উপন্যাস তো অবশ্যই ছোট গল্পে সৈযদ হক একাধারে মানুষ ও মানুষের যাপিত জীবনের নানা প্রশ্ন ও ব্যাখ্যা ; একই সাথে সমকালীন ভাবনা ,নানান সামাজিক - রাজনৈতিক প্রশ্নের উত্তর ও সন্ধান করেন তিনি তার কথা সাহিত্যে । মুক্তিযুদ্ধ সৈয়দ হকের কথা শিল্পের বড় এক অন্বিষ্ট Ñ নিষিদ্ধ লোবান, ত্রাহি বা এধারার অসংখ্য ছোটগল্পে তিনি মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির বিপন্ন সময়. চরম গ্লানি ও পরম গৌরবগাথাকে নানা ভাবে মূর্ত করেছেন ।
সৈযদ হকের প্রবন্ধে নিখুঁত ভাবে শব্দ চয়ন আর স্থাপত্যশৈলীর সৌন্দর্যে গড়ে ওঠে তার প্রতিটি বাক্য, এর পরতে পরতে সাজানো থাকে যুক্তি, মানবিকবোধ,আর প্রজ্ঞার নিগুঢ় মিশেল ।অসাম্প্রদায়িকতা, মুক্তিযুদ্ধ ,আর চিরায়ত বাঙালির পক্ষে তার দৃঢ় অবস্থান ও সাহসী কলম হাতে তৈরী করেছেন আপন বক্তব্য । তার ’হৃদ কলমের টানে’ কিংবা ’মার্জিনে মন্তব্য’ বাংলা ভাষায় সমৃদ্ধ এ অধ্যায় যা তৎকালীন সময়ে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছিল ।
সৈয়দ হকের বহুধাবিস্তৃত সাহিত্যিক তৎপরতার মধ্যে কাব্যনাট্য একটি স্বতন্ত্র স্থান কওে নিয়েছে । সদ্য স্বাধীন একটি দেশের সাংস্কৃতিক পরিচয় স্পষ্ট করে তোলার একটি তারনা ।মুক্তিযুদ্ধ তখন সাহিত্যের প্রধান বৈষয়িক আশ্রয়,আকাঙ্খা আর উদ্দীপনার সংবেদনভূমিও । তিনি লিখলেন ’পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়’
”মানুষ আসতে আছে যমুনার বানের লাহান
মানুষ আসতে আছে মহররমে ধুলার সমান” ।
বাংলার ইতিহাস ঐতিহ্য তিনি ধারন করেছেন তার নাটক গুলোতে । ”নূরলদীনের সারাজীবন” নাটকটি যদিও তিনি রচনা করেছিলেন রংপুর অঞ্চলের পটভূমিতে কিন্তু তা হয়ে যায় বাংলার ইতিহাসে এক কালজয়ী নাটকে । তিসি যে আমাদের যে আমাদের মাঝে বেচেঁ থাকবেন তার একমাত্র অবলম্বন হতে পারে এই নাটকটি । এই নাটকের ভাষাকে কাব্যের ঝনঝনানিতে বাজিয়ে তুললেন –
”নূরলদীনের কথা মনে পড়ে যায় যখন আমার কন্ঠ বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে যায়
যখন আমারই দেশে আমার দেহ থেকে রক্ত ঝরে যায়
ইতিহাসে , প্রতিটি পৃষ্ঠায়
...আবার নূরলদীন একদিন আসিবে বাংলায়,
আবার নূরলদীন একদিন কাল পূর্ণিমায়
ডাক দিবে, ”জাগো, বাহে ,কোনঠে সবায় ?”
অতঃপর তিনি নব্বই এর দশকে লিখলেন ’ঈর্ষা’। এক পৌঢ় শিল্পী,এক যুবক,তাদেও দু’জনকার দ্বন্দ্বময় প্রেমাস্পদ একনারী,যে নিজেও একজন শিল্পী;এই তিনজন কে নিয়ে লেখা কাব্যনাট্যটি মাত্র সাতটি সাতটি দীর্ঘকাব্যিক সংলাপের মধ্যে বিন্যস্ত । প্রেম, শরীর ,শিল্প , যৌন মনস্তত্ত্ব এ নাটকের ভাবকল্প ।
১৯৫৪ সালে কবিতা রচনার মধ্য দিয়ে তিনি সাহিত্য জগতে প্রবেশ করেন । ১৯৫৯ সালে প্রকাশিত হয় তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ’ একদা এ রাজ্যে’ । তার রচিত অমিত্রাক্ষর ছন্দে ”বৈশাখে রচিত পঙ্ত্তিমালা ” দীর্ঘ বুননে এক অসামান্য কাব্য । তাঁর অসামান্য প্রতিভার পরিচয় পাওয়া যায় ”আমার পরিচয়” কবিতায়Ñ
”তবে তুমি বুঝি বাঙালি জাতির ইতিহাস শোনো নাই-
‘সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই।’
একসাথে আছি, একসাথে বাঁচি, আজো একসাথে থাকবোই
সব বিভেদের রেখা মুছে দিয়ে সাম্যের ছবি আঁকবোই।
একই হাসিমুখে বাজায়েছি বাঁশি, গলায় পরেছি ফাঁস;
আপোষ করিনি কখনোই আমি- এই হ’লো ইতিহাস”।
আঞ্চলিক ভাষায় এক অসামান্য কাব্য তার ”পরানের গহীর ভিতর ” ্যদিও তিনি তা লিখেছিলেন ছদ্ম নামে , হয়তো কবির ভয় ছিল যে পাঠক তা গ্রহণ করবে কি না ? তিনি হয়তো নিজেও বুঝেন নি তিনি কি সৃষ্টি করেছেন । তবে তাঁর জীবদ্দশাই তিনি প্রমাণ পেয়েছিলেন ।
কি আছে তোমার দ্যাশে? নদী আছে? আছে নাকি ঘর?
ঘরের ভিতরে আছে পরানের নিকটে যে থাকে?
উত্তর সিথানে গাছ, সেই গাছে পাখির কোটর
আছে নাকি? পাখিরা কি মানুষের গলা নিয়া ডাকে?
এক কথায় সাহিত্যের এমন কোন শাখা নেই যেখানে তার কোন অবদান নেই ।
এই কাল জয়ী সাহিত্যিকের জন্ম১৯৩৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর কুড়িগ্রামে । ছোটগল্প, কবিতা, উপন্যাস, কাব্যনাট্য, শিশুসাহিত্য, নাটক, প্রবন্ধ সাহিত্যের সব শাখায় সমানভাবে অবদান রাখার জন্য তিনি বাংলাদেশের সব্যসাচী লেখক। লেখালেখি শুরু করেন ১২ বছর বয়স থেকেই। সাংবাদিক হিসেবে পেশাজীবন শুরু করলেও পরবর্তী সময়ে লেখালেখিকেই মূল উপজীব্য হিসেবে নিয়েছিলেন। তাঁর গ্রন্থের সংখ্যা দুই শতাধিক।সৈয়দ শামসুল হক স্বাধীনতা পুরস্কার, একুশে পদক ও মাত্র ২৯ বছর বয়সে বাংলা একাডেমি পুরস্কার পেয়েছিলেন।
আজ তিনি আমাদের মাঝে শারীরিক ভাবে নেই । গত ২৭ সেপ্টেম্বও সবাইকে কাঁদিয়ে অনেক কাজ অপূর্ণাঙ্গ রেখে চলে গেছেন পরপারে কিন্তু তিনিআমাদের মাঝে বেচেঁ থাকবেন কালের অন্তীম পর্যন্ত ।

(লেখক, সাংবাদিক ও শিক্ষার্থী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা)


মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.