নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চিনিলাম আপনারেআঘাতে আঘাতেবেদনায় বেদনায়;সত্য যে কঠিন,কঠিনেরে ভালোবাসিলাম,সে কখনো করে না বঞ্চনা।

সত্যের সারথি সাদেক

সত্য যে বড় কঠিন, কঠিনেরে বাসিলাম ভালো, যে কখনো করেনা বঞ্চনা !

সত্যের সারথি সাদেক › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিশ্বের সেরা দশ সাহিত্যের শহর

২৬ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১:৪৭

স্কটল্যান্ড

১. এডিনবার্গ, স্কটল্যান্ড :
এডিনবার্গে ঢুকতেই অন্যরকম আবেশে যেন সবকিছু ছুঁয়ে যায়। আর দশটা শহরের মতো এর পরিবেশ একরকম নয়। একটা গম্ভীর ভাব সবখানে অনুভব হবে। এর সাথে এই শহর বেশ নিরিবিলি এ শহরটিতে ঢুকার ব্যাপারটিও একদমই আলাদা। বই ছাড়া তাতে ঢুকার কথা যেন কল্পনাই করা যায় না। আপনি ঘুরতে চান তাতে কি, এমন ভাব মেজাজের ছোট্ট এই পাঁচ শ’রও বেশি উপন্যাস আপনাকে কিছুক্ষণের জন্য হলেও অন্য জগতে নিয়ে যাবে। আঠারো শতকের রবার্ট বার্নস থেকে শুরু করে আধুনিক কাল পর্যন্ত বিখ্যাত সবার বই পাওয়া যায়। আয়ান রাঙ্কিন, আলেকজান্ডার ম্যাককল স্মিথসহ অনেকের লেখা বই আছে। এডিনবার্গ বইমেলা অবশ্য ঘুরে ড়াবার মতো যদি আপনার যথেষ্ট সময় না থাকে, তবে সোজা ঢুকে পড়েন সতেরো শতকের রাইটার মিউজিয়ামে। বিপুল পরিমাণ বইয়ের সমাহার এডিনবার্গের তিনপাণ্ডব রবার্ট বার্নস, স্যার ওয়াল্টার স্কট, রবার্ট লুইস স্টিভেনসনের মতো বড় বড় কবি- সাহিত্যিক জ্ঞান গুনীদের উৎসর্গ করা হয়েছে।

আয়ারল্যান্ড
২. ডাবলিন, আয়ারল্যান্ড :
সাহিত্যের জন্য ডাবলিন একেবারে অন্যরকম। দারুণ উৎসব মুখর আয়ারল্যান্ডের এই রাজধানী শহর। এ শহরে কোনো লেখাকে রীতিমতো গিনেসবুকে রেকর্ডভুক্ত হওয়ার মতো করে উদযাপন করা হয়। একেকটি সাহিত্যের আসর এখানে তুমুলভাবে জমে ওঠে। যেন এখানকার সাহিত্য আসরগুলো শুড়িখানার মতো। সাহিত্য আর
সুরায় এক অনবদ্য মিল যেখানে উপভোগ করার মতো। ‘ডাবলিন লিটারেরি পাব ক্রলে’ আপনি ঢুকে যেতে যেতে পারেন। পানশালা আর সাহিত্য এখানে একাকার। একেবারে আনন্দের মধ্য দিয়ে সাহিত্য। অস্কার ওয়াইল্ডের ভাস্কর্য, ডাবলিন এই আসরেই আসতেন জেমস জয়েস এর মতো বিখ্যাত আইরিশ ঔপন্যাসিক ও কবি সাহিত্যিকরা। এখানেই তারা খুঁজে পেতেন তাদের পরম স্বাদ, মর্ম, অধিবিধ্যিক প্রেরণা। যে কারণে ডাবলিনে গড়ে উঠেছে সুপ্রাচীন সমৃদ্ধ এক বিশাল লাইব্রেরি – দি ডাবলিন রাইটার্স মিউজিয়াম। আইরিশদের কাব্য এবং অ্যাংলো- সেক্সন যুগেরও আগের কেলটিকদের ভাষা, গল্প ও কাহিনীর শেকড়সহ দেশটির সাহিত্য-ঐতিহ্য গেঁথে আছে এখানে। এই শহরেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে দি আবে থিয়েটার। যেটি ১৯০৩ সালে বিশ্ববিখ্যাত কবি উইলিয়াম বাটলার ইয়েটস প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এখনো এ প্রতিষ্ঠান থেকে বের হয় শক্তিশালী সাহিত্যকর্ম। তার সাথে আছে ক্ল্যাসিক ও সমকালীন নাট্যকারদের সৃজনশীল কাজ। এই সাহিত্যের শহরেই আছে মধ্যযুগের প্রাচীন লাইব্রেরি। এখানে আপনি ঘুরে ঘুরে সবই দেখছেন হয়ত, কিন্তু যদি ‘বুক অব কেলস’ না দেখেন তাহলে দারুণ মিস করবেন। এটি একটি আলোকিত প্রাচীন পাণ্ডুলিপি। যেটি ট্রিনিটি কলেজের এই লাইব্রেরিতেই সংরক্ষিত আছে।

ইংল্যান্ড
৩. লন্ডন, ইংল্যান্ড :
লন্ডন বা বিলেতের নাম জানে না এমন মানুষ আজকাল খুব কমই পাওয়া যাবে। ইংল্যান্ডের সবচেয়ে পুরনো এবং আধুনিক এ শহর নানা কারণে বিখ্যাত। কিন্তু পড়াশোনা, জ্ঞান চর্চা ও সাহিত্যের জন্য এ শহরের নাম ডাক অনেক লন্ডনে সাহিত্যের অনেক এলাকা আছে, জায়গা আছে, যেটার তালিকাও বেশ লম্বা হতে পারে। প্রাচীন থেকে আধুনিক নানান সাহিত্যের জন্য পরিভ্রমণটাও সে কারণে প্রাণবন্ত হয়ে উঠবে। লন্ডনের আগের দিনের সাহিত্য— যেমন, গল্প উপাখ্যান যা হ্যারি পটারের সাতটি দুঃসাহসিক কাহিনীর চেয়েও অনেক দীর্ঘ হতে পারে। লন্ডন শহর এখনও শেক্সপিয়রের রোমিও জুলিয়েটে মগ্ন এক সপ্তাহে শেষ করার জন্য কম করে হলেও একশোটি বইয়ের তালিকা বলা যাবে। তার মধ্যে তো অবশ্যই শেকসপিয়র আর চার্লস ডিকেন্সের নাম থাকবেই। যারা শার্লক হোমসের ভক্ত তারাও ভ্রমণ
করতে পারেন গুপ্ত পায়ে এ শহরে। আর আপনি যদি অন্যরকম হন, তবে আপনি জেমস বন্ডের কাছেও নত হতে পারেন। ডিউক বারের কাছে এসে আপনি চাইলে আপনার সাহিত্যরুচি কিছুটা বদলে নিতে পারেন। আর ব্রিটিশ লাইব্রেরির কথা তো বলাই বাহুল্য। তবে আপনার মনমতো সাহিত্য-রত্নগুলো আপনাকেই
খুঁজে বের করতে হবে। কারণ এখানে আপনার প্রত্যাশার বইটি একবারে সামনেই সাজিয়ে রাখা হয়েছে, এমনটা নাও হতে পারে।

ফ্রান্স
৪. প্যারিস, ফ্রান্স :
আধুনিক শিল্প সাহিত্য ও দর্শনের তীর্থস্থান বলা হয় ফ্রান্সকে। আর তার মূল কেন্দ্রই হল প্যারিস। রেনেসাঁ’র কথা উঠলেই ফ্রান্সের কথা আসবে। এখান থেকেই শুরু আর্ট – মানে রেনেসাঁ। আপনি ‘কান’ চলচ্চিত্রের কথা শুনেন, কিন্তু কবি ও নাট্যকার অস্কার ওয়াইল্ড-এর কথা শুনেছেন? পিয়েরে- লাচাইসে সিমেট্রিতে তার
সমাধি ফলকে এখনো লেগে আছে বহু কোমল হাতের স্পর্শ আর লিপস্টিক যুক্ত চুমুর দাগ। মানে এখনো অসংখ্য শিল্পপ্রেমীদের ভক্তি তাকে সিক্ত করে যাচ্ছে।
এই একমাত্র আইরিশ নাট্যকার, এ্যাসথেয়টিক (নন্দন) আন্দোলনের অন্যতম ব্যক্তিত্ব ফরাসি না হয়েও যার সমাধিই বিপুল মানুষকে টেনে যাচ্ছে। এই আলোর শহরেই এমন বহু ভিনদেশী সাহিত্যিক শিল্পীরা তাদের অজানা মরমের সুর খুঁজে পেয়েছেন। পেয়েছেন অমর সাহিত্য সৃষ্টির প্রেরণা। বোদলেয়ারের ‘বুড়ো বেশ্যা’র অনুকৃতি
হেমিংওয়ে’র মতো এমন অনেকের নাম বলা যেতে পারে। হতে পারে তারা পোলান্ডের। কিন্তু এই শহরের লে ডিউক্স ম্যাগটসের টেবিলেই তাদের প্রধান সাহিত্য ও শিল্পকর্ম সৃষ্টি হয়েছিল। গল্প, কবিতা, সাহিত্য-শিল্প আর দর্শন আলোচনায় উত্তপ্ত আনন্দময় ঝড় উঠত এই বিখ্যাত ডিউক্স ম্যাগটসর লেখক বুদ্ধিজীবীদের
আড্ডায়। হেমিংওয়ে প্যারিসের ‘সেন্ট জার্মেইন দে ক্যাফে’র এই ডিউক্স ম্যাগটসের আড্ডায় সবসময় আসতেন। এই প্যারিসই তার একসময়ের বসবাসের
ঠিকানা হয়ে উঠেছিল। এছাড়া শিল্প সাহিত্যের আরো জমজমাট আসর বসে শহরের ‘প্যারিস ওয়াকসে’। ফরাসি লেখকদের গর্ব ও প্রাণের জায়গা প্যারিসের
লাইব্রেরিগুলোও। কবি, নাট্যকার, ঔপন্যাসিক, ভিজুয়্যাল আর্টিস্ট ভিক্টোর হুগো, অনরে দে বালজেক-এর মতো ব্যক্তিত্বদেরকে এসব লাইব্রেরি উৎসর্গ করা হয়।
বইপ্রেমীরা প্যারিসের লা প্যাভিলন দাস লেটার্সের মতো হোটেলকে নিজের বাড়ির মতো মনে করে। এই হোটেলের ছাব্বিশটি রুম রয়েছে। প্রতিটি বর্ণমালার একেকটি বর্ণ
দিয়ে একেকটি রুম। প্রতিটি রুমই একজন বিখ্যাত লেখককে উৎসর্গ করা।

রাশিয়া
৫. সেন্ট পিটার্সবার্গ, রাশিয়া :
রাশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর সেন্ট পিটার্সবার্গ। খুবই প্রাণব্ন্ত, জাকজমকপূর্ণ আর নিও-ক্ল্যাসিক্যাল মানের এই শহর। এর সাহিত্যের ইতিহাসের একটি অন্ধকার দিকও আছে। মানে অপরাধ আর বিচারের উপাদান দিয়ে পিটার্সবার্গের যে সাহিত্য গড়ে উঠেছে সেটিই তার অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য। ফিওদর দস্তয়ভস্কি’র বিখ্যাত সাহিত্যকর্ম ‘ক্রাইম এন্ড পানিশমেন্ট’-এর মুখ্য চরিত্র চরম ভয়ঙ্কর রাসকলনিকভের তৎপরতায় তা পরিষ্কার হয়ে ওঠে। পিটার্সবার্গের সাহিত্যে দস্তয়ভস্কির এই
মহাকাব্যিক উপন্যাসের কন্টেন্টই পরবর্তীতে শক্তিশালী ধারা হয়ে ওঠে। দস্তয়ভস্কির বসবাসও এই পিটার্সবার্গেই। এখানেই তিনি তার জীবনের শেষদিনগুলো কাটিয়েছেন। দি ব্রাদার্স কারমাজোভ এখানেই তিনি রচনা করেছেন। শিল্পীর তুলিতে হালচাষ করছেন রাশিয়ান সাহিত্যের প্রবাদপুরুষ লিও তলস্তয়, একই শতকে জন্ম নেওয়া দস্তয়েভস্কি, তলস্তয় ও গোর্কির কারণে রাশিয়া বিশ্বসাহিত্যের এক চিরন্তন বিস্ময় আলেকজান্ডার পুশকিন পিটার্সবার্গের অন্যতম প্রধান সাহিত্য ব্যক্তিত্ব। মাত্র ৩৭ বছর বয়সেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন। অল্প সময়ে তিনি খুব জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। ইউজেন ওনেজিন তার বিখ্যাত সাহিত্য কর্ম। দি আলেকজান্ডার পুশকিন মেমোরিয়াল অ্যাপার্টমেন্ট মিউজিয়াম তারই স্মৃতিতে গড়ে উঠেছে। ‘লিটারেরি ক্যাফে’ এ শহরের সাহিত্যিকদের অন্যতম আড্ডা ও আসরের জায়গা। জীবনের শেষ
ডিনারটি এই লিটারেরি ক্যাফেই করেছিলেন পুশকিন। শেষ আসরটিও এখানেই করেন, এবং তার জীবনের মর্মান্তিক বিদায়ও এই ক্যাফেতে। দুই পক্ষের এক সংঘাতের সময় তিনি ঘোরতর আহত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।

সুইডেন
৬. স্টকহোম, সুইডেন :
শতবছর আগে নোবেল পুরস্কার দিয়ে স্টকহোমকে বিশ্বসাহিত্যের মানচিত্রের নিয়ে আসেন বিখ্যাত আবিষ্কারক, রসায়নবিদ আলবার্ট নোবেল। বিজ্ঞানী ও শান্তি কর্মীদের
পাশাপাশি তার এ পুরস্কার লেখকদের অর্জনকেও মহিমান্বিত করেছিল। তবে স্টকহোমে সাহিত্য রুচি গড়ে ওঠার পেছনে আলবার্ট নোবেলেরও ব্যাপক প্রেরণা কাজ করেছে। স্টকহোমের সাহিত্যের খ্যাতি এতটা বুদ্ধিদীপ্ত দুঃসাহসিক ফিকশনের জন্য নয়, একধরনের থ্রিলার ফিকশনই এ শহরের সাহিত্যের প্রধান ধারা হয়ে উঠেছে। স্টিগ লারসন এর নাম এক্ষেত্রে খুবই উল্লেখযোগ্য। নোবেল পুরস্কারের জন্য স্টকহোম সারা বিম্বের সাহিত্যপ্রেমীদের প্রিয় শহর শহরের প্রধান লাইব্রেরি সিটি মিউজিয়াম হাজার বছরের যে নির্দেশিকা দিয়েছে তাতে স্টিগ লারসনের অপরাধভিত্তিক উপন্যাসের কথাই ধরা যায়। দি গ্রিল উইথ দি ড্রাগন ট্যাট্টো তার বিখ্যাত অপরাধভিত্তিক উপন্যাস। এটি তার বেস্ট সেলিং বই। এছাড়া শিশুদের ভৌতিক ফিকশনও এ শহরে বেশ জনপ্রিয়। পিপ্পি লংগসটকিং ভৌতিক গল্পের প্রভাবশালী নারী চরিত্র। এ চরিত্র শুধু স্টকহোমেই নয়, সারাই সুইডেনেই খুবই জনপ্রিয়। এ্যাস্ট্রিড লিন্ডগ্রেন এ বিখ্যাত চরিত্রের স্রষ্টা। আপনি যদি কখনো স্টকহোমে যান তবে সেখানে তেগনিয়েরলুনদেন
পার্কে লিন্ডগ্রেনের সম্মানে তার মূর্তি দেখতে পাবেন।

ওরেগন
৭. পোর্টল্যান্ড, ওরেগন :
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওরেগন অঙ্গরাজ্যের পোর্টল্যান্ড শহরকে বলা হয় বইয়ের শহর। এই অঙ্গরাজ্যের পতাকাটি যেমন বহু রঙে ঢাকা তেমনি এই শহরটিও চিরসবুজ বই
দিয়ে ঘেরা। বলা হয়, যদি শহরটি বর্ণিল মানচিত্রে ঢাকা না হত তবে এখানে এসে বইয়ের অসংখ্য স্তূপের ভেতর হারিয়ে যেতেন ক্রেতারা। এটি নতুন এবং পুরাতন বইয়ের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে বড় বাজার—পাওয়েল সিটি অব বুকস। পুরো শহরটিই চারদিক থেকে বই দিয়ে ঘেরা। লাখ লাখ ভলিউম বইয়ের স্টক রয়েছে এই শহরে। শহরটিতে রয়েছে ‘হিটম্যান হোটেল’ এর ‘বুকস বাই ইউর বিসাইডস’। এখানে পারসোনাল প্যাকেজ অফার করা হয়। ৪ হাজার ভলিউম সমৃদ্ধ একটি লাইব্রেরি নেয়া যায় এই প্যাকেজে। পুরো লাইব্রেরিটি অতিথি লেখকদের স্বাক্ষরিত বই দিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে। ‘লিটারেচার টু ফিল্ম’ সিরিজের ঘোষণা করা হচ্ছে, পোর্টল্যান্ড এছাড়া এতে হার্ডকভার বই, ডাইজেস্ট, ম্যাগাজিন, রিডিং লাইট, রাতব্যাপী বই ধার নেয়ার সুবিধা প্যাকেজ রয়েছে। শিশুদের সাহিত্য ও পাঠশালার জন্য দান নেয়া হয়। আপনার যদি আরো সাহিত্যিক আগ্রহ থাকে তবে পোর্টল্যান্ডের আর্ট, সাহিত্য ও ঐতিহ্যও ঘুরে দেখতে পারেন।

ওয়াশিংটন
৮. ওয়াশিংটন ডি.সি.:
যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডি.সি.। শহরটিতে বইপোকাদের সবচেয়ে বড় ভিড় জমে ‘লাইব্রেরি অব কংগ্রেস’-এ। ১৮ শতকে প্রতিষ্ঠিত এই লাইব্রেরিটি এখন পর্যন্ত পৃথিবীর বৃহত্তম লাইব্রেরি। লাইব্রেরি অব কংগ্রেসের সুরম্য অট্টালিকাই এর সাহিত্য ও গঠনগত তাৎপর্য বলে দেয়। ভবনটি দেখলে এটির প্রধান পাঠকক্ষও
দেখতে ইচ্ছে করবে; যা অত্যন্ত বিলাসবহুল। পাঠকক্ষের সৌন্দর্য বর্ধনে ব্যবহার করা হয়েছে নকশা খঁচিত কাচ, মার্বেল এবং কক্ষের দেওয়ালেও ঘটেছে অঙ্কন শিল্পের অসাধারণ প্রকাশ। ওয়াশিন্টন ডিসির জাতীয় বইমেলা ওয়াশিংটনের সাহিত্যপ্রেমিদের সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা ওয়াল্ট ওয়াইটম্যান, ল্যাংসটন হিউজ এবং আরো অনেক চারণকবি। শহরের ‘পলিটিক্স অ্যান্ড প্রোজ’ নামক বইয়ের দোকানে নিয়মিত লেখকদের আড্ডাও বসে। এছাড়া নতুন নতুন সাহিত্য আলোচনা নিয়েও মুখর থাকে দোকানটি। কেবল মাত্র সাহিত্য আড্ডার জন্য ‘ক্যাফে অ্যান্ড গ্রিল’ নামক একটি প্রতিষ্ঠান শুক্র ও শনিবার ২৪ঘণ্টা খোলা থাকে।

অস্ট্রেলিয়া
৯. মেলবোর্ন, অস্ট্রেলিয়া :
মেলবোর্নকে অস্ট্রেলিয়ার সাংস্কৃতিক রাজধানী বলে গণ্য করা হয়। মেলবোর্নের সাহিত্যিক ঐতিহ্যের প্রধান অনুষঙ্গ লাইব্রেরি অব ভিক্টোরিয়া। ১৮ শতকের মাঝামাঝি সময়ে এই লাইব্রেরিটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। তখন থেকেই প্রতিষ্ঠাতা সভাপতির ঘোষণার মাধ্যমে লাইব্রেরিটি সকলের জন্য উন্মুক্ত। তবে দুটি শর্তে এই উন্মুক্ত লাইব্রেরিতে ঢোকা যায়। প্রথমত, বয়স অন্তত ১৪ হতে হবে এবং হাত পরিস্কার থাকতে হবে! লাইব্রেরিটিতে তিনটি ভিন্ন গ্যালারিতে নানা ধরনের প্রদর্শনী দেখার সুযোগ আছে। লাইব্রেরির দক্ষিণ পার্শ্বে হুইলার সেন্টারে রয়েছে আড্ডা আয়োজনের ব্যবস্থা। অষ্টভূজ আকৃতির লা ট্রোব রিডিং রুমটি সাজানো হয়েছে বিখ্যাত লেখকদের নানান বাণী ও উক্তি দিয়ে। তার সাথে আছে আরো অনেক আয়োজন। যেখানে ‘হিডেন সিক্রেট’ পর্যটন এলাকা দিয়ে হেঁটে হেঁটে বইয়ের মাধ্যমে মেলবোর্নকে আবিষ্কার করে ফেলতে পারেন। ১০,০০০ ঝরে পড়া বই মেলবোর্নের রাস্তায় দ্যুতি ছড়াচ্ছে এছাড়া আছে শনিবারের বইয়ের বিশাল হাট। সপ্তাহে অন্তত এই একটি দিনে আপনি মেলবোর্নের
‘ফেড স্কয়ারে’ গিয়ে একটু ঢু মেরে আসতে পারেন। যখনই অবসর বোধ করেন, মেলবোর্ন ‘লিটারেরি এ্যাপ’-এর স্রষ্টা ন্যারেল এম. হ্যারিসকেও দেখে আসতে পারেন।
এর সাথে অবশ্যই দেখবেন পশ্চিম মেলবোর্নের ড্রাঙ্কেন পোয়েট। অস্কার ওয়াইল্ডের মতো বিখ্যাত সব লেখকদের পোট্রেট দেখলে হয়ত আপনার সাহিত্য-মনে একটু
ভালো লাগা ছুঁয়ে যেতে পারে। তার সাথে আছে আরো অনেক আয়োজন। যেখানে ‘হিডেন সিক্রেট’ পর্যটন এলাকা দিয়ে হেঁটে হেঁটে বইয়ের মাধ্যমে মেলবোর্নকে আবিষ্কার করে ফেলতে পারেন।

চিলি
১০. সান্তিয়াগো, চিলি :
চিলির এই শহরটি বিশ্ববিখ্যাত গণমানুষের কবি পাবলো নেরুদার কারণে বিশেষ সম্মানিত। এ শহরই পরম কাব্য প্রেরণাময়ী প্রিয় প্রণয়িনী ‘লা চাসকোনা’র সাথে তার গোপন অভিসার ও মিলনভূমি। আর বেলাভিস্তার পাহাড়ে আছে তার বর্ণাঢ্য বাসভূমি। আরেক কবি নোবেলজয়ী গাব্রিয়েলা মিস্ত্রালকে পেয়েও সম্মানিত হল এই শহর। সেরো সান্তা লুসিয়া পার্কে এই মহিয়সী নারীর ম্যুরালসহ তার ছবিসম্বলিত লাতিন আমেরিকার ৫ হাজার ‘পেসো’ ব্যাংক নোট সংরক্ষিত আছে। সান্তিয়াগো শহরের একটি দেয়ালে পাবলো নেরুদার প্রতিকৃতি চিলিতে নতুন বই কিনতে হয় অনেক দামে। চড়া মূল্যের কারণে শহরটিতে পুরনো বই ও সেকেন্ড হ্যান্ড বইয়ের বিশাল সমৃদ্ধ বাজার গড়ে উঠেছে। এছাড়া মনোযোগী ও সিরিয়াস বইপ্রেমীদের জন্য ‘ম্যুসিও ন্যাকোনাল দে বেলাস আরতেসে’র কাছে লাস্তারিয়া স্ট্রিটে সাপ্তাহিক বইয়ের
বাজার বসে। প্রোভিডেনিকা এ্যাভেনু, মিগুয়েল ক্লারো স্ট্রিটেও আছে ছোট ছোট বইয়ের বাজার। ‘ক্যাফে লিতারারিও’ হল চিলির কবি সাহিত্যিকদের বিখ্যাত আড্ডা ও মিলনমেলা। এর লাইব্রেরিও আছে। কয়েকটি ব্রাঞ্চও আছে। ব্লামাসেডা পার্কে আছের ক্যাফে লিতারারিওর একটি লাইব্রেরি। যেখানে ৩০ হাজার বইয়ের একটি সংগ্রহ রয়েছে।

(ইন্টারনেট থেকে এসব নেয়া হয়েছে ২৬।১১।১৬ পুরোনো ঢাকা )

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.