নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চিনিলাম আপনারেআঘাতে আঘাতেবেদনায় বেদনায়;সত্য যে কঠিন,কঠিনেরে ভালোবাসিলাম,সে কখনো করে না বঞ্চনা।

সত্যের সারথি সাদেক

সত্য যে বড় কঠিন, কঠিনেরে বাসিলাম ভালো, যে কখনো করেনা বঞ্চনা !

সত্যের সারথি সাদেক › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের বিজয়ের বীর ও শহীদেরা

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:২৫

আজ ১৬ ডিসেম্বর ! বাংলাদেশের একটি ঐতিহাসিক দিবস।একে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে বিজয় দিবস হিসেবে। যদি অঙ্কের হিসাবে বলি তবে বলতে হয় অনেক প্রাণের বিনিময়ে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটলো।আজ আমরা বিজয়ের ৪৫ বছর উদ্যাপন করছি ।
যাদের বয়স পঞ্চাশোর্ধ্ব কম-বেশি সবারই স্বাধীনতা লাভের প্রেক্ষাপট বা যুদ্ধকালীন স্মৃতি ভেসে ওঠে। বীভৎস্য ঘটনা ও ক্ষত-বিক্ষত করা এ জাতির কী করুণ দশা সৃষ্টি হয়েছিল বিজয় দিবসের পূর্বক্ষণ পর্যন্ত। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর মরিয়া হয়ে এ দেশ দখলে রেখে শাসন করার দুর্দমনীয় ইচ্ছার বিরুদ্ধে এ দেশের জনগণ ক্ষেপে গিয়েছিল অনেক আগে থেকেই।
ভারতবর্ষ বিভক্ত হওয়ার পর থেকেই অনেক না পাওয়ার বেদনা এ দেশের জনগণকে ক্ষেপিয়ে তুলেছিল স্বাধিকার অর্জনের লক্ষ্যে এবং সেই চেতনাকে ধারণ করে বিদ্রোহের দানা ধীরে ধীরে পুঞ্জীভূত হয়ে আন্দোলনের দিকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিল।
একটি ভ্রান্তি নিরসন করতে ইতিহাসের দিকে তাকাতে হবে। ৪৭-পরবর্তী যখন পাকিস্তান নামের রাষ্ট্রটি দু’টি অংশে বিভক্ত হয়ে একটি একক রাষ্ট্র গঠিত হলো। তার একটি অংশ পূর্ব পাকিস্তান অপরটি পশ্চিম পাকিস্তান। তবে এ দু’টির ভৌগোলিক অবস্থান ছিল প্রায় হাজার মাইলের ব্যবধান এবং মাঝখানে বিশাল ভারতের অংশ। বাস্তবতার আলোকে এ দু’টি অংশের গ্যাপ বা ফারাকের কারণে অনেক বিষয়ই দ্বন্দ্ব-সংঘাত বা সমস্যা সৃষ্টির জন্য সহায়ক পরিবেশ ছিল। তথ্য আদান প্রদান থেকে শুরু করে সমস্যায় ও সঙ্কট নিরসনের জন্য রাজনৈতিক যোগাযোগ বা আনুষ্ঠানিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে অনেক ব্যাঘাত সৃষ্টি হতো। না পাওয়ার বেদনা বা অধিকার আদায়ের ক্ষেত্রে এসব বিষয় ছিল বাস্তব সঙ্কট ।
এ সঙ্কট থেকে উত্তরনের জন্য আমাদের বীর আর শহীদেরা তাদের বুকের তাজা রক্ত দিয়ে বাংলার সবুজ জমিনকে লালে লাল কওে দিয়েছেন । তাদের এ অবদান আর জাতির শ্রেষ্ট সন্তান যারা এ যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন তাদের অবদান অস্বীকার করার উপায় নেই । অস্বীকার করার উপায় নেই আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান ।
এ দিনে আমি শুধু কবি হাসান হাফিজুর রহমান এর একটি কবিতা লিখে শেষ করতে চাই । কবি তার “বীর নেই আছে শহীদ” কবিতাটি লিখেছেন , আমাদের এই যুদ্ধকে উপজিব্য ধরে ।

“যখন একদিন শোক সভায় উঠব আমি ,
করতালিতে নয়, অবিরাম দীর্ঘশ্বাসে ,
মূহুর্তেই জান্তব হয়ে যাবো ফের।
তোমরা বলবে, বড্ড প্রয়োজনীয় ছিল লোকটা।
এখন দরকারের ‘ফর্দে’ আছি উদ্বাস্থু, ফিরেও তাকাও না
তোমরা বলবে, অপূরণীয় ক্ষতি হলো
লোকটার তীরোধানে ।
এখন সকল ক্ষতি পূরিয়ে দিতে আছি এক পায়ে দাড়িয়ে আছি
ফিরেও তাকাও না।
মড়া ছাড়া আমাদের কিছুই রোবে না।
তোমাদের হিসেবী খাতায় বীর নেই, শহীদ রয়েছে শুধু ।”
কবিতাটির মর্মার্থ কতটা গভীর আর বিশাল তা যে কেউ হয়তো বুঝবে না , তবে কবি যতটা গভীর ভাবে বুঝানোর চেস্টা করেছেন তা সামান্য হলেও বুঝতে পেওে আমার কাছে এটা মনে হয়েছে যে বর্তমান প্রেক্ষাপটে সবচেয়ে উপযোগী কবিতা ।
সবাইকে বিজয়ের রক্তিম শুভেচ্ছা !

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.