নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চিনিলাম আপনারেআঘাতে আঘাতেবেদনায় বেদনায়;সত্য যে কঠিন,কঠিনেরে ভালোবাসিলাম,সে কখনো করে না বঞ্চনা।

সত্যের সারথি সাদেক

সত্য যে বড় কঠিন, কঠিনেরে বাসিলাম ভালো, যে কখনো করেনা বঞ্চনা !

সত্যের সারথি সাদেক › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাল্টিভার্স ,আমাদের প্যারারাল ইউনিভার্স আর মানুষের জন্ম মৃত্যু???

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১:৪৯

নক্ষত্র খসিল দেখি দীপ মরে হেসে।
বলে, এত ধুমধাম, এই হল শেষে।
রাত্রি বলে, হেসে নাও, বলে নাও সুখে,
যতক্ষণ তেলটুকু নাহি যায় চুকে।
রবীবাবু হয়তো বুঝতে পেরেছেন যে নক্ষত্র এর শেষ বলে একটা কিছু আছে । তার সময়ে এত এতো বিজ্ঞান ছিলো না , থাকলে হয়তো তার সব কথা তিনি কাবতায় বলে যেতেন ।
বিজ্ঞানের যত কনফিউজিং আলোচনা আছে এর মধ্যে মাল্টিভার্স বা অনন্ত মহাবিশ্বের তত্ত্ব অন্যতম । আমরা সবাই বিগ ব্যাং থিউরি জানি এ থেকে অনন্ত মহাবিশ্বের ধারণা পাই । তবে এ ব্যাপরে একটু দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টেছে কিছু ।
এখন আমাদের কাছে একটি প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন মাল্টিভার্স কী?
এস্ট্রো-ফিজিক্সে মাল্টিভার্স বলে একটা টার্ম আছে অনেকেই শুনেছেন বা পড়েছেনও আবার অনেক বস পাবলিকও আছেন এই সব ব্যাপারে। যাই হোক মাল্টিভার্স বা মেটা ইউনিভার্স বা “মাল্টিপল ইউনিভার্স” বলতে আসলে বোঝায় আমরা যে ইউনিভার্সে বাস করছি তার আশেপাশে অবস্থিত সম্ভব সংখ্যক অসীম বা সসীম ইউনিভার্স। কি, অনেক কঠিন হয়ে গেলো। আমরা একটি উদাহরনের মাধ্যমে বিষয়টি পরিষ্কার হতে পারি ...
ধরুন আপনি একিটা একতলা বাড়িতে আছেন যার রয়েছে ৪ টি রূম। কিন্তু আপনি জানেন না কিভাবে এক রুম থেকে অন্য রুমে যেতে হয়। বা একতলার উপরে কোন তলা আছে কি না তাও জানেন না।আবার আপনি যে রুমে আছেন সেই রুমটি থেকে বাকি ৩ টি রুম দেখতে পাচ্ছেন না। কিন্তু রুমে একটা আয়না আছে। আয়নায় একটু মন দিয়ে তাকালেই মনে হয় যেন আয়নার ভেতর দিয়েই ওপারে আরেকটি রুম আছে। যার ভেতরটি ঠিক আপনার রুমটারই মত। মাল্টিভার্স থিওরিটাও অনেকটা সে রকম।

আমাদের এই মহাবিশ্বে রয়েছে প্রায় কয়েকশ বিলিয়ন নক্ষত্র যারা কেউ সূর্যের মত আবার কেউ সূর্যের চেয়ে ছোট অথবা বড়। আর এদের প্রায় প্রত্যেকেরই আশেপাশে অবিরাম প্রদক্ষিণ করে চলেছে নানা রকম গ্রহ। ঠিক যেমনটি রয়েছে আমাদের সূর্যের চারিদিকে।
.
কিন্তু আপনি যে মহাবিশ্বকে দেখছেন সেটি আসলে ৪ রুম বিশিষ্ট একতলা আপনার সেই বাড়িটার একটা রুমের মতই। যে বিশ্বজগতটাকে আপনি ইন্দ্রিয় দ্বারা অনুভব করতে পারেন তার বাইরেও থাকতে পারে এমন অসংখ্য মহাবিশ্ব। যাতে হয়ত রয়েছে আমাদের এই মহাবিশ্বের মত অসংখ্য গ্যালাক্সি,নক্ষত্র,গ্রহ,উপগ্রহ,। কিন্তু আপনি জানেন না সেখানে কিভাবে যাবেন ঠিক যেন ওই রুম ৪টির মত।
.
কারণ তারা ডাইমেনশনাল পর্দা দ্বারা আবৃত অবস্থায় হয়ত আমাদের সমান্তরালেই অবস্থান করছে। ঠিক যেমনটা আপনার ওই রুমটার আয়নায় দেখেছিলেন। আয়নার ওপারে রয়েছে ঠিক আপনার রুমটারই মত অথচ বিপরীত দিকে মুখ করা একটা রুম যেখানে ঠিক আপনারই মত একজন বসে আছে ঠিক আপনার সমান্তরালেই। মাল্টিভার্সটাও ঠিক একই রকম।
.
.
একটি মহাবিশ্বের সমান্তরালে আয়নার প্রতিবিম্বের মত আরও অজস্র মহাবিশ্ব যেখানে হয়ত পদার্থ বিজ্ঞানের নিয়ম গুলো প্রতিবিম্বটার মতই বিপরীত!!
.
এখন প্রশ্ন হল দেখতে পাইনা কেন সেই মহাবিশ্বকে? যেটা নাকি আমাদের সমান্তরালেই বিদ্যমান? এটি একটি থিওরি মাত্র। এর কোন বাস্তব অস্তিত্ব বিজ্ঞানীরা এখনো প্রমাণ করতে পারেন নি। আর তাছাড়া যদিও থেকে থাকে তাহলে তা চতুর্মাত্রিক পর্দা বা সময় প্রবাহের পর্দা দ্বারা আমাদের এই আপন মহাবিশ্ব থেকে আলাদা করা।
.
আর ২য় কারণ আমাদের দৃষ্ট আলোক সংবেদী। আলো দ্বারাই তা সীমাবদ্ধ। কোন বস্তু আমরা ততক্ষন দেখতে পারব না যতক্ষন না তা হতে আলো এসে আমাদের চোখের রেটিনায় পৌছায়। যেহেতু সেই কাল্পনিক সমান্তরাল প্রতিবিম্ব মহাবিশ্বটি ও আমাদের মধ্যে রয়েছে একটি ডাইমেনশনাল বা চতুর্মাত্রা বিশিষ্ট পর্দা তাই সেটি থেকে কোন আলো আমাদের চোখে পৌছানোর কথা না। অবলোহিত, এক্স-রে বা ইউভিএ বা ইউভিবি রশ্মিও আসা সম্ভব না। কেননা চতুর্মাত্রিক পর্দা দ্বারা আলাদা করা মানেই এমন একটা পর্দা যা চারটি মাত্রা (দৈর্ঘ,প্রস্থ,উচ্চতা ও সময়) দ্বারা আমাদের মহাবিশ্ব থেকে আলাদা করা। ফলে সেখান সব কিছুর মাত্রাই আমাদের থেকে ভিন্ন গতিতে চলছে। ঠিক যেন আয়নার সেই প্রতিবিম্বের মতই। আয়নার ওপারে আছে ঠিকই কিন্তু আয়না সরালে আবার সেই আপনার রুমটিই। পেছনে আসলে কিছুই নেই।

এবার একটু থিউরীর দিকে নজর দেয়া যাক...
মাল্টিভার্স হল এমন একটি ধারণা যেখানে মনে করা হয় যে , আমাদের এই বিশ্ব ব্রম্মান্ডে মহাবিশ্ব একটি নয় । মহাবিশ্ব অনেক অনেক এবং অনেক । আমরা সবাই মনে হয় বিগ ব্যাং সম্পর্কে কম বেশী জানি । বিগ ব্যাং তত্ত্ব মতে স্থান কাল সবকিছুর সূচনা হয় একটি মহা বিষ্ফোরণের মাধ্যমে । সৃষ্টির শুরুতে এই মহাবিশ্বের সবকিছু একসাথে জমাট বেধে ছিল । এই মহা বিষ্ফোরণের ফলে সবকিছু আলাদা হয় পরস্পর থেকে দূরে সরে যেতে থাকে এবং এই দূরে সরে যাওয়া আজও থামেনি । মহাবিশ্ব এখনও সম্প্রসারণশীল । এই তত্ত্বকে সম্প্রসারণ তত্ত্ব ও বলা হয় । এখন এই মহাবিশ্বের সবকিছু সৃষ্টির আদিতে এমন ভাবে বিষ্ফোরণ ঘটে , ঠিক একটা সাবানের বুব্দুদ ফাটলে যেমন হয় , তেমন ভাবে । একটি সাবানের বুবুব্দ আস্তে আস্তে প্রসারেত হয়ে হঠাৎ করে ফেটে যা সৃষ্টি করল , তাই আজকের মহাবিশ্ব ।
এখন আমরা আসি মাল্টিভার্সে । বিগব্যাং তত্ত্বই বহু দিন ধরে এই পৃথিবীতে রাজ করে আসছিল । আর এখনও করছে । তবে এই তত্ত্ব থেকে আরেক ডিগ্রি উপরে আরেক তত্ত্ব আবিষ্কার হয়েছে , আর সেটা হল " মাল্টিভার্স তত্ত্ব " । এটা বিগ ব্যাং কে নাকচ করে দেয়নি মোটেও , বরং এর ভিত আরও মজবুত করেছে ।


এই মাল্টিভার্স তত্ত্বের জনক হলেন এ্যলেন গুথ নামক এক ভদ্রলোক । তবে সর্বপ্রথম এই ধরণের একটা ধারণা করেন বিজ্ঞানী জিওনার্দো ব্রুনো । তাকে কোর্পানিকাসের সূর্যকেন্দ্রিক মহাবিশ্ব তত্ত্ব সাপোর্ট করার জন্য পুড়িয়ে মারা হয় ।

মাল্টিভার্স তত্ত্ব এর ব্যাখ্যা???

বিগব্যাং আবিষ্কারের পর বিজ্ঞানী অ্যালেন গুথ চিন্তা করে দেখলেন , আমাদের এই মহাবিশ্ব যেমন ভাবে মহাবিষ্ফোরণের মাধ্যমে স্থান কাল শূন্যতার ভিতর দিয়ে সৃষ্টি হয়েছে , তাহলে এই প্রক্রিয়া তো একাধিক বার ঘটতে পারে । আর মজার কথা হল , বাস্তবে ঘটছেও তাই । মূলত মহাবিশ্ব সৃষ্টির সময় মহাবিষ্ফোরণের পর সাবানের বুদবুদের মত অসংখ্য মহাবিশ্ব আজও তৈরী হয়ে চলেছে মহাবিশ্বের কেন্দ্র থেকে । ফলে প্রতি নিয়ত সৃষ্টি হয়ে চলেছে অসংখ্য মহাবিশ্ব । আর এ প্রত্যেকটা মহাবিশ্ব নিজেদের থেকে পর পর দূরে সরে যাচ্ছে । আর এ ধরণের অসংখ্য মহাবিশ্বের একটিতে আমরা অবস্থান করছি অন্যটা সম্পর্কে জ্ঞাত না হয়ে ।মূলত মহাবিশ্ব সৃষ্টির সময় মহাবিষ্ফোরণের পর সাবানের বুদবুরদর মত অসংখ্য মহাবিশ্ব আজও তৈরী হয়ে চলেছে মহাবিশ্বের কেন্দ্র থেকে ।

প্যারালাল ইউনিভার্স ???
এই মাল্টিভার্সের আরেকটি উপজাত হল এই প্যারালাল ইউনিভার্স তত্ত্ব । এই আপনাদের একটু সহজ ভাষায় ব্যাখ্য করি । খেুন , প্রত্যেক কণারই একটা প্রতিকণা বা বিপরীত ধর্মী কণা আছে । যেমন, ইলেকট্রনের প্রতি কণা হল প্রোটন । এইভাবে , পরমাণুর ভিতর এই পযন্ত যতগুলো কণা পাওয়া গেছে , তার প্রতি কণাও পাওয়া গেছে । এখন এই মাল্টিভার্স থিওরী অনুযায়ী , এই বিশাল বিশ্ব ব্রম্মান্ডে আমরা যদি পজেটিভ হই , তবে আমাদের নিশ্চই নেগেটিভ কোন কিছু আছে । বা আমরা যদি নেগেটিভ হই , তাহলে নিশ্চই আমাদের কোন পজেটিভ কিছু আছে । আর এই তত্ত্ব তখনই কার্যকর হবে যখন এই মাল্টিভার্স সত্য হবে । একইভাবে , আমাদের এই মহাবিশ্বেরও একটা পজেটিভ বা নেগেটিভ মহাবিশ্ব আছে । আর এই ধারণাটাই হল প্যারালাল মহাবিশ্বের ধারণা । হয়ত সেই মহাবিশ্বে আপনি যখন আমার এই লেখা পড়ছেন , আপনার একটা প্রতি মানুষ ঠিক এমন ভাবে বসে আমার এই লেখা পড়ছে । অর্থাৎ এই মহাবিশ্বের প্রতিটি কাজই সেখানে ঘটে চলেছে ঠিক টাইমিং করে । কী , আজব না ?

মাল্টিভার্সের প্রমাণ???

মাল্টিভার্সে কোন মজবুত প্রমাণ এখনও পর্যন্ত হাজির করা সম্ভব হয় নি । তবে পদার্থ বিদ্যার সকল সূত্র এই তত্ত্ব সমর্থন করে ।আর এই সম্পর্কে একটা ঘটনা না বললেই নয় । সেটা হল , এ্যলেন গুথ এই থিওরী আবিষ্কার করার পর এক সাংবাদেক তাকে প্রশ্ন করে বসলেন , মহাবিশ্ব যদি বুদ বুদের মত সৃষ্টি হয়ে প্রসারেত হয় , তবে তাদের মধ্যে তো সংঘর্ষ ঘটার সম্ভাবনা আছে । এমন কি এর ফলে কোন মহাবিশ্ব ধ্বংস হয়ে যেতেও পারে । তা বিষয় টা ভাবনার বিষয় । তখন , ইংল্যান্ডের এক বিজ্ঞানী গবেষণা শুর করলেন এই নিয়ে । তারা জানতেন , এই ধরনের পর্যবেক্ষণ এরর একমাত্র রিসোর্স হল নাসার WMAP(উইলকিনসন মাইক্রোওয়েভ এনিসোট্রবি প্রোব) ডাটা । এই ডাটা হল মহাবিশ্বের বিভিন্ন ঘটনার পটভূমি ব্যাখ্যার জন্য ব্যবহৃত হয় । মহাবিষ্ফোরণের পর মহাবিশ্ব যে আস্তে আস্তে শীতল হলে ৩ ডিগ্রী সেলসিয়াসে গিয়েছিল , তা এই ডাটা থেকেই বের করা হয়েছিল । তারা এই ডাটা বিশ্লেশন করে দেখলেন যে , আমাদের এই মহাবিশ্বের একদম শেষ সিমানায় একধরণের মহাবৈশ্বিক সংঘর্ষের খুব ক্ষুদ্র আঘাতের চিহ্ন রয়েছে । তারা বিভিন্ন প্রযুক্তির মাদ্যমে এই ক্ষত স্থান গুলো চিহ্নিত করলেন । অবশেষে মাল্টিভার্স দাড়ানোর জন্য একটা ভিত পেলো ।
আসলে অন্য যে মহাবিশ্ব গুলো আছে সেগুলো সম্পর্কে বিজ্ঞানীরা সঠিকভাবে কোন কথা বলতে পারেন না । হয়ত সেখানে সবকিছু ভিন্ন । এমন কী পদার্থবিজ্ঞানের নিয়মগুলোও ।
এই হল মাল্টিভার্স থিওরীর মোটামুটি একটা ধারণা । আসলে এটা খুবই বিশাল একটা থিওরী । আমি চেষ্টা করেছি খুব ক্ষুদ্র ভাষায় এটা ব্যাখ্যা করার ।


মানুষের জন্ম মৃত্যু???
এখন যদি প্রশ্ন করা হয় আমাদের মহাবিশ্বে যখন একটা বস্তুর জন্ম হচ্ছে তখন প্যারালাল মহাবিশ্বে সেই বস্তুটির কী ঘটছে। ধরে নিলাম তার সেখানে তার প্রতি-বস্তুর জন্ম হচ্ছে। এ পর্যন্ত ঠিক আছে। কিন্তু অন্যমাত্রার অন্য মহাবিশ্বগুলোতে কী ঘটছে? এখানেই কোয়ান্টাম মেকানিক্স বলছে, যদি আমাদের চারমাত্রিক জগতের জন্ম বা মৃত্যুর কথা হিসাব করি তবে তবে অন্যমাত্রার অন্য মহাবিশ্বগুলোতে একই হিসাব খাটবে না । ধরা যাক, আমাদের মহাবিশ্ব (একই সাথে প্যারালাল মহবিশ্বে) কেউ মৃ্ত্যুবরণ করছে তাহলে আমাদের মহাগতের জন্য এই মৃত্যু নির্দিষ্ট ঘটনা। তাহলে অন্য আরেকটি মহাবিশ্বগুলোর জন্য এই মৃত্যু কোয়ান্টামের ভাষায় নির্দিষ্ট নয়। তখন এরটা হিসেব করতে গেলে অসীম কোনো মানে চলে যাবে। তেমনি অন্য আরেকটি মহাবিশ্বে যদি ওই বস্তুটার মৃত্যুঘটে তবে আমাদের মহাবিশ্বের এই মৃত্যুর হিসাব আসবে অসীম । অর্থাৎ জীবিতও আসতে পারে । এই বিষয় নিয়েই তৈরি হয়েছে নতুন তত্ত্ব। এর নাম ‘বায়োসেন্ট্রিজম’ (biocentrism) তত্ত্ব। সহজ হিসাব যেহেতু মহাবিশ্বের সংখ্যা অসীম সুতরাং জীবন-মৃত্যুর সংখ্যাও অসীম। কোথাও হয়ত সে মৃত। অন্য অসংখ্য মহাবিশ্বে তার জীবিত অবস্থা বিদ্যমান । মানুষের দেহে জীবিত অবস্থায় যে শক্তি থাকে তা মৃত্যুর পরে কোথায় যায় ?এই শক্তি কি মৃত্যুর সময় বিলুপ্ত হয়ে যায়? মোটেই নয়! নতুন এই তত্ত্ব বলছে, এই শক্তি এক মহবিশ্ব থেকে আরেক মহাবিশ্বে সঞ্চালন হয়। আর এই তত্ত্বের সবচেয়ে বড় ভিত্তি শক্তির নিত্যতা সূত্র । এই সুত্র মতে সূত্রের অবিনশ্বর । তাহলে মস্তিষ্কের ওই শক্তি ঝর্না মৃত্যুর পরে কোথায় যায়?
অসীম কালে ও স্থানে মৃত্যুই শেষ কথা হতে পারে না। আইনস্টানের উদ্ধৃতি থেকে বলা বলা যায়, সময় অতীত-বর্তমান-ভবিষ্যতের মধ্যে পার্থক্য শুধু একগুঁয়ে বিভ্রমের। সময়ের বাইরে হিসাব করলে বা অসীম সময়ে হিসাব করলে মানুষের জীবন-মৃ্ত্যুর ফলাফল দাঁড়ায় সে জীবিত অথবা মৃত। অসীম মহবিশ্বের হিসাবে তুচ্ছাতিতুচ্ছ এক মানুষের জীবন-মৃত্যুর হিসাব অতি গৌণ। তবু মৃত্যুই শেস কথা নয়। এই মৃতের যে শক্তিটুকু ছিল তা হয়তো আরেকটা কোনো মহাবিশ্বে জীবন হিসেবে বিকশিত হচ্ছে ।

সবাইকে এতবড় লেখাটা কষ্ট করে পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ।

তথ্যসূত্রঃ উইকিপিডিয়া, জিরো টু ইনফিনিটি, ডেইলি সাইন্স, নাসা, সহ বেশ কয়েকটি মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট ।
পুনশ্চ: ধন্যবাদ , বন্ধু এলএইচ সজীবকে আমাকে এই বিষয়টা নিয়ে লেখার কথা বলার জন্য ।



(লেখকঃশিক্ষার্থী ও সাংবাদিক , জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় , ঢাকা ৩১,১২,১৬,পুরোনো ঢাকা )

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.