নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চিনিলাম আপনারেআঘাতে আঘাতেবেদনায় বেদনায়;সত্য যে কঠিন,কঠিনেরে ভালোবাসিলাম,সে কখনো করে না বঞ্চনা।

সত্যের সারথি সাদেক

সত্য যে বড় কঠিন, কঠিনেরে বাসিলাম ভালো, যে কখনো করেনা বঞ্চনা !

সত্যের সারথি সাদেক › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভারতে ভোটে ধর্ম ব্যবসার দিন শেষ ! বাংলাদেশে কবে ???

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:৩২

অাজ একটি খবর বেশ রমরমা ভাবে ভারত -বাংলাদেশ তো বটেই অনেক আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে বেশ ফলাও করে ছাপিয়েছে আর তা হলো ভারতে ধর্ম নিয়ে আর রাজনীতি কিংবা ভোট চাওয়া যাবে না ।
বিবিসি তে খবর ছাপানো হয়েছে “ভারতের নির্বাচনে নিষিদ্ধ হলো ধর্মের ব্যবহার” নামে ।
প্রথম আলোতে খবর টি ছপানো হয়েছে “ভারতের সুপ্রিম কোর্টের আদেশ:ধর্মের নামে ভোট চাওয়া যাবে না” শিরোনামে ।
খোদ ভারতের আনান্দ বাজার পত্রিকা “ধর্ম-জাত পাতের ভিত্তিতে আর ভোট-যুদ্ধ নয়, জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট” শিরোনামে এবং
দ্য ইন্ডিয়ান টাইমস এ ‍ SC bars parties from seeking votes on religion: Can politics stay separate from identity issues? শিরোনামে নিউজ করে ।
এতে বলা হয় ভোট চাইতে ধর্ম, বর্ণ, জাতি, সম্প্রদায় বা ভাষার তাস আর খেলতে পারবে না রাজনৈতিক দলগুলি। এর ফলে রায়ের পর বিজেপিকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি এনসিপি। এনসিপি নেতা মজিদ মেমন বলেন, “এই রায়ের পর সবচেয়ে বেকায়দায় পড়তে পারে বিজেপি। কারণ, রাম মন্দির ইস্যুকে ফের চাঙ্গা করার চেষ্টা করছে তারা।” বিজেপি-র সুব্রক্ষণ্যম স্বামীর দাবি, “বিজেপি কখনই ধর্মের ভিত্তিতে ভোট চায়নি।”( আনান্দবাজার)

তো দেখা যাক বিস্তারিত কি আছে সেই খবরে

প্রধান বিচারপতি টি এস ঠাকুরের নেতৃত্বে ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের সাত সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ সোমবার সংখ্যাগরিষ্ঠ (৪: ৩) মতের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত দেন বলে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

ভারতের হিন্দুত্ববাদী দল বিজেপি ক্ষমতায় থাকার মধ‌্যে আদালতের এই আদেশ এল।

আদেশে বলা হয়, “নির্বাচনী প্রক্রিয়া ধর্মনিরপেক্ষ চর্চার বিষয়। এতে ধর্মের কোনো ভূমিকা নেই।”

ভোট চাওয়ার ক্ষেত্রে ধর্ম ও বর্ণের ব্যবহারের কারণে নির্বাচনী আইনের অধীনে দুর্নীতির চর্চাও বেড়ে যাচ্ছে বলে আদালত পর্যবেক্ষণ দিয়েছে।

বিজেপি সরকারের আমলে ভারতের গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি রাজ্যের বিধানসভার ভোটের আগে সর্বোচ্চ আদালতের এই সিদ্ধান্তকে ঐতিহাসিক বলছেন বিশ্লেষকরা।

এই পাঁচ রাজ্যের মধ্যে কয়েক সপ্তাহ পরই অনুষ্ঠিত হবে উত্তর প্রদেশের গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন, যে রাজ্যটির ভোটে বরাবরই ধর্ম ও বর্ণের ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। এর বাইরে পাঞ্জাব, উত্তরখণ্ড, গোয়া ও মনিপুরেও ভোট হবে।

আদেশে আদালত বলেছে, মানুষ ও ঈশ্বরের মধ্যে সম্পর্ক ব্যক্তিগত পছন্দের বিষয়। এ ধরনের একটি বিষয়ে রাষ্ট্রের নাক গলানো নিষেধ।
তবে এই মতের বিরোধিতাকারী বিচারকরা বলেছেন, নির্বাচনের ভেতরে ও বাইরে বর্ণ, বিশ্বাস ও ধর্ম নিয়ে আলোচনা সাংবিধানিকভাবে সুরক্ষিত। এটাকে নিয়ন্ত্রিত করা যাবে না।
এ বিষয়ে সিদ্ধান্তের ভার পার্লামেন্টের উপর ছেড়ে দেওয়ার পক্ষে মত দেন ওই তিন বিচারক।

ভারতীয় নির্বাচনে প্রায়ই বর্ণ ও ধর্ম প্রধান প্রভাবকের ভূমিকা পালন করে। ভোটের পাল্লা ভারী করার জন্য বেশির ভাগ দলই ধর্ম ও বর্ণ বিবেচনা করে প্রার্থী মনোনয়ন দেয়।

নির্বাচনে ধর্ম ও বর্ণের ব্যবহারের বৈধতা নিয়ে ১৯৯০ সালে ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য মহারাষ্ট্রে আদালতে প্রথম তোলা একটি মামলার শুনানি করে সোমবার সর্বোচ্চ আদালতের এই আদেশ এল ।
এখন দেখা যাক ভারতের বিজেপি কি তাদের ধর্ম ব্যবসা থেকে বেড়িয়ে আসতে পারেন কিনা ? আরো একটি বিষয় যে বাংলাদশে এরকম একটি আদেশ আছে বলে মনে করেন না কি ? ভারতে তো ধর্ম ব্যবসার একটি পেড়েক রচিত হলো বাংলাদেশে হবে কি ?



(লেখক : জাহিদুল ইসলাম সাদেক ,শিক্ষার্থী ও সাংবাদিক , জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় , ঢাকা, ০৩,০১,১৭, পুরোনো ঢাকা)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.