নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তুলনামুলক শিক্ষাই হচ্ছে সঠিক শিক্ষা, যার মাধ্যমে অন্তত ভালো মন্দ বোঝা যায়। আমি শিখছি কেবল মানুষ হওয়ার জন্য! কেবলই মানুষ!

সত্যবাদী পোলা

ভালবাসায় ভরিয়ে দিতে চাই নিজের জীবনটাকে

সত্যবাদী পোলা › বিস্তারিত পোস্টঃ

আশার সমাধি, ব্যাথার সূচনা- ব্যাক্তিগত মত।

০৮ ই জুন, ২০১৬ রাত ৩:০৫

অনেক দিন পর লিখতে বসলাম। মন চাইলে ফেসবুক এ একটু আধটু লেখালেখি করি, কিন্তু অতটা জোড়ালো কোন লেখক নই আমি। যাই হোক অবজেক্ট বাদ দিয়ে সাবজেক্ট এর দিকে অগ্রসর হতে চাচ্ছি, এরও একটা কারণ আছে। আসলে আমিও তো বাঙ্গালী তাই অবজেক্ট নিয়ে পকর পকর করতে ভালই লাগে।
আজ এক ভাইয়ের সাথে কথা বলছিলাম, উনি খুবই ভদ্র মানুষ আমার জানামতে। বেচারা ভদ্রলোক আজ আমাকে একটি সত্য গল্প শুনিয়েছেন এসপি বাবুল এর স্ত্রী হত্যার কথা বলতে গিয়ে। আসলে গল্পটা আমার মত করে বললে কিঞ্চিত খারাপ দেখায়, তাই তার মত করেই বলছি।
২০০৬ সালে কোন এক পারিবারিক কারণে আমি জেলে যাই। তখন হঠাৎ করেই যাওয়া তে অনেক কিছুই জানতাম না। পুলিশ কোথা থেকে যেন তাবলীগ করা চার জন ছেলে নিয়ে আসে, মুখে আমার মত হাল্কা দাড়ি ছিল। জেএমবি বলে ধরে আনা হয় তাদের। দেখলে মনে হবে অনেক ইনোসেন্ট, কিভাবে যে এরা জঙ্গি হল চিন্তা করেও কিছু পেলাম না। যাই হোক কথা বার্তায় পরে জানতে পারলাম রাস্তা থেকেই ধরেছে এবং এরা সবাই ছাত্র। নাম ঠিকানা পরিচয় হয়ে গেল ভালো ভাবেই। আমি একমাসের মাথায় বের হয়ে গেলাম জেল থেকে। তারপর আর ওদের কথা মাথায় ছিলনা। ২ মাস পর হঠাৎ একদিন পত্রিকার পাতায় দেখলাম ওই চার ছেলের ছবি একেবারে হেডলাইন এ এসেছে। গতকাল গাজীপুরের কালিয়াকৈর এলাকার এক জঙ্গল থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে এবং ওদের কাছে অনেক অস্ত্র, জিহাদি বই, ককটেল ইত্যাদি নিষিদ্ধ জিনিস পাওয়া গিয়েছে। আমিতো পুরাই অবাক, দুমাস আগেই তো ওদের জেলে দেখে আসলাম! সেদিনই দৌড়ে গেলাম জেল গেটে। ওদের সাথে দেখা করার জন্য কল করলাম এবং ওরা আসলো। জিজ্ঞেস করলাম কাহিনী কি? বলল ভাই গতকাল আমাদের বলা হল জামিন হয়েছে। আমরাতো খুশি খুশি বের হলাম। কিন্তু বের হয়েই কেন যেন পা পড়ল আরেক গাড়িতে। কি আর করা! নিয়ে গিয়ে অস্ত্র সামনে রেখে ছবি টবি তুলল। আবার এনে এখানেই ঢুকিয়ে রাখল। একজনকে প্রশ্ন করলাম, আমাদের না জামিন হয়ে গেছে? উত্তর দিল নাহ, তোরা তো জঙ্গি, অস্ত্র পাওয়া গেছে, বই পাওয়া গেছে। ভাই সত্য কথা বলছি নিজের পাঠ্য বইও ঠিক মত পড়িনা তাহলে এ বই কিভাবে পড়লাম বলেন তো!
যাই হোক এক শক্ত অভিজ্ঞতা অর্জন করে ওদেরকে সান্ত্বনা দিয়ে চলে আসলাম। আসলে ব্যাপার হল কি জানো? আমাদের দেশে প্রশাসনে যত নাটক হয়, এফডিসিতেও এত নাটকের শ্যুটিং হয় না। আর যারা সত্যিকারের জঙ্গি তারা জেলের মধ্যে দেদারসে দিন কাটায়, ভিআইপি অবস্থা তাদের। জেল সুপার নিজে গিয়ে তাদের খোঁজ খবর রাখে, আমার নিজের চোখে দেখা।

অবজেক্ট নিয়ে পকর পকর অনেক হল। এখন সাবজেক্ট এ আসি। এসপি বাবুল কিছুদিন আগেই এসপি হয়েছিলেন। আর শুনলাম উনি অনেক সৎ ও ছিলেন। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আমি দুটো ব্যাখ্যা দিতে পারি যদিও কে কিভাবে নেয় জানি না। এক হচ্ছে সৎ হলে যে এসপি পর্যন্ত যাওয়া যায় তা আমার বিশ্বাস হচ্ছে না তাও আবার পুলিশ বাহিনীতে। কারণ পুলিশের মতো নাটকবাজ বাহিনী দেশে আর আছে কিনা জানা নেই, যারা দিনে দুপুরেও মানুষের সাথে নাটক করে বেড়ায়। দুই হচ্ছে উনি সৎ বাই এক্সেপশন, উনি হয়ত এমন কোন বাড়া ভাতে ছাই দিয়েছেন যেটা ওনার নিজের জীবনকেই তছনছ করে দিল। এখন খুঁজে দেখা বাবুল ভাইয়ের উপরই ছেড়ে দিলাম।
ঘটনা যখন কোন দিকেই মোড় নিচ্ছে না, তখন হঠাৎ মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলে দিলেন যে এটা জঙ্গিদের কাজ। তার কাছে আমার প্রশ্ন, এমন ইনফরমেশন আপনাকে কে দিল? তাও এত তাড়াতাড়ি? জাতি তাহলে তিনটি জিনিস ভাবতে পারে। হয় জঙ্গিরাই আপনাকে বলেছে তথা আপনি জঙ্গিদের সাথে যোগাযোগ রাখেন। অথবা আপনি কিছু লুকানোর চেষ্টা করছেন। আর এসব কিছু না হলে একটাই বাকি আছে তা হল আপনার একটা জিনিসের অভাব আছে।(বুঝে নিলে খুশি হব)

কিছুদিন আগে সরকার কর্তৃক আমাদের সবার বায়োমেট্রিক সিম নিবন্ধন করানো হল। বলা হল এতে নাকি অপরাধী সনাক্ত করা যাবে অতি সহজেই। ভালো কথা, কিন্তু মিতু আপুর সেই মোবাইল টা কই যেখানে ম্যাসেজ এসেছিল বাচ্চার স্কুল থেকে? পরে তো শুনলাম স্কুল কর্তৃপক্ষ বলেছে তারা ম্যাসেজ করেনি, তাহলে কে করেছে? আচ্ছা যে করেছে সে মোবাইল নাম্বার জানে কিভাবে? আর স্কুল এর ম্যাসেজ কপি তাও অবিকল? আফসোস এতগুল পুলিশের মাঝখানে মোবাইলটাই নাই হয়ে গেল। তাহলে কি কাকেই কাকের মাংস খাচ্ছে? শুধু জঙ্গি জঙ্গি বলে চিল্লাই আমরা, কিন্তু এ জঙ্গিদের কেন ধরতে পারি না?

দেশের আমজনতা এত কিছু বোঝে না মাননীয় সরকার। শুধু চায় একটু নিরাপত্তা একটু শান্তিতে ঘুমাতে, প্রতিদিন স্বজনহারা আর্তনাদ দেখতেও চায় না, শুনতেও চায় না। শুধু চায় পরিবার পরিজনদের নিয়ে সুখে থাকতে যার স্বার্থেই সবাই ট্যাক্স নামক জ্বালাতন কে ঘাম ঝরানো কষ্টের টাকা দিয়েই পরিশোধ করে।

রইলাম একটি সুন্দর বাংলাদেশের প্রত্যাশায়.....................।।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই জুন, ২০১৬ রাত ৩:৪৩

কামালপা বলেছেন: আমরা শয়তানের দেশে বাস করছি, চারিদিকে শয়তান।

০৮ ই জুন, ২০১৬ রাত ৩:৪৮

সত্যবাদী পোলা বলেছেন: কিংকর্তব্যবিমুঢ় হয়ে যাচ্ছি ভাই, আর ভালো লাগে না এদেশে বাস করতে। ধন্যবাদ কমেন্ট এর জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.