নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

enough is not always enough____

চেঙ্গিস খাঁন

enough is not always enough.....

চেঙ্গিস খাঁন › বিস্তারিত পোস্টঃ

মর্মস্পর্শী আর্তনাদ

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৮:৩৬

আজ ঠিক বিকেল ৫ টা বেজে ৫৩ মিনিটে মারা যাচ্ছি আমি,প্রযুক্তির কল্যাণে নিজের মৃত্যুক্ষণ জানাটা খুব সহজ ব্যাপার হলেও রোবট গুলো অন্যের ব্যাপারে নিশ্চুপ থাকে,নয়তো ওরটাও জেনে নিতাম,দেখতাম ওকে কত দিন একা থাকতে হবে।

এখন ৮ টা বেজে ১৭ মিনিট,ওর হাত টা আমার বাহু থেকে সাবধানে সরিয়ে নেবার আপ্রাণ চেষ্টা ব্যার্থ করে দিয়ে পিট পিট চোখে তাকিয়ে সে আমাকে হালকা আলিঙ্গন করে আবার ঘুমতে গেল।

আজ আমার শেষ দিন,আয়নার সামনে দাড়িয়ে নিজেকে দেখছি আর ভাবছি।চুল গুলোতে একটু পানির ছিটে লাগিয়ে এলোমেল করে নিজেকে দেখছি,একবার চশমা খুলে দেখছি,একবার চশমা পরে দেখছ।বড় ফ্রেমের কালো চশমাটা হলে ভালো হত।প্রায় তিন যুগ ধরে এই সব রিমলেস পরছি ওর জিদে।কিছু কিছু মানুষের জিদ ও অনেক সুন্দর হয়,মনেই হয় না এটা তার জিদ,তবু জিদ।

একটা ঝরঝরে অনুভবে শিহরীত হচ্ছে আমার অনুভূতি,হয়তো শিরা গুলোর জীবিত থাকার আকুতি কিংবা মৃত্যুর পূর্বে শরীরের স্বাদ আস্বাদন করে নিচ্ছে বেঁচে থাকা আকাংখা গুল।

আজও আমি অফিস যাব।ফেরার পথে ২৩ টি নীলকান্তমণি কিনব ওর জন্য।জানিনা মস্তিস্ক কিভাবে এ সংখ্যা টি নির্বাচন করেছে,২৩ কি কোন বিশেষ সংখ্যা!!

২৩ টি নীলকান্তমণি আর সাথে একটি নোট।নোটের কথা গুলো এখনো গোছাতে পারিনি,তবে লিখব নোট,অগোছাল ভাষায় হলেও লিখব।

আমি এক ঘন্টা দেরী করেছি অফিস যেতে,শেষ দিনে এত তাড়াহুড়া করে লাভ কি ভেবে ওর পাশে বসে ঘুমন্ত মুখের অবয়ব আমার মস্তিস্কে আঁকতে শুরু করলাম,চির চেনা মুখায়ব আমার।

তাজা রোধের গন্ধও আজ ঝাঁজালো লাগছে,এমন রোধ আর কোনো দিন ছিল কি!!ছিল হয়তো,কখনো নজরে আসেনি,সেবার একটু বর্ষার জন্য কত হাহাকার ছিল সবার,সে বার ও মনে হয় এমন রোধ ছিল।সে দিন খুব বেশি দিন আগের দিন না,এই তো সে দিন,যে দিন শোনা হয়েছিল মানুষের আর্তনাদ,ভিজেছিল প্রতিটি প্রাণ,প্রতিটি জড় বস্তু.এক ঝাপটা বৃষ্টি ই যেন প্রানের উচ্ছলতা এনে ছিল।

সময় দেখার কোনো ইচ্ছা আমার ছিল না,তবু দেয়ালে টাঙানো ঘড়িটার খট খট শব্দে তাকালাম।

এখন ১ টা বেজে ১৭ মিনিট,ঠিক ১৩ মিনিট পরে আমি বেরবো।এই সময় টাতে নোট লিখব।

বেরোবার আগে রুমের আনাচে কানাচে চোখ রাখলাম,জীবনের একটা বড় সময় কে রেখে যেতে হচ্ছে এই কক্ষে।আমর প্রিয় ছবি হলুদ আকাশে উড়ে চলা পাখিতে চোখের পরশ দিলাম।এই ছবির দিকে তাকালে মনে সবসময়ই একটা শূন্যতা কাজ করতো,অচেনা কোথাও চলে যাবার শূন্যতা।

সর্বসাকুল্যে ৭ টি নীলকান্ত যোগার করেছি ,সংখ্যা বিশেষ কোন মাহত্ব প্রকাশ করে কিনা জানা নেই আমার।

হাটছি আমি,প্রথম পরিচয়ে ই আমি মৃত্যু পূর্ব অবস্থাকে ঘৃনা করতে শুরু করেছি।আমি একটা সাবলীল মৃত্যু চাই,যেখানে মৃত্যুর ঠিক এক মিনিট আগে ও আমার চিন্তা গুলো গোছালো থাকবে,যেখানে মৃত্যুর আগেও আমার অনুভূতি গুলো সুক্ষ থাকবে।

তিনটা বাজার কিছুক্ষণ পরে বাসায় পৌঁছলাম,অবাক করার বদলে নিজেই অবাক হলাম ওকে বাসায় দেখে।ক্যালেন্ডারে তাকিয়ে চমক খেলাম,আজ ১০ অক্টোবর।মৃত্যু ভাবনার গতি এতই প্রসস্ত যে অন্যকিছু ভাবার অভিপ্রায় নেই।এ দিনে আমাদের পরিচয়ের পূর্ণতা পেয়েছিল।ফুল গুলো কি তাহলে অভ্যাস বসত কিনেছি !!

চিৎকার করার আদম্য ইচ্ছা কে দমিয়ে রাখতে পারছি না,আর একটা দিন কি পেতে পারতাম না,আমার জন্য না,ওর জন্য।

ওর কোলে মাথা রেখে শুয়ে আছি আমি,আর মাত্র কিছুক্ষন।

সময় নীতিতে সময় অলীকে দ্রুত,কার্যে ধীর।

ফুলগুলো র‌্যাপে মোড়া,খোলা হয়নি এখনো।সাথে নোটটি,নোটের কথাগুলো মনে করার চেষ্টা করছি আমি



sometimes ,two people find that no matter how close they are and how much they love each other ,life road take them in different direction..

at least for a while...

there are days when i would give anything to look into ur eyes and feel the warmth of ur smile;

days when it seem like this separation will last forever.

when that day will come and we ll be together again .

i know that it will be as if all this time and distance between us never been exist.



বিদ্র: নোটটি ওর আমাকে দেয়া প্রথম কার্ডে ছিল ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.