দূর্ভাগ্যক্রমে আমার সাথে মেয়েটার প্রেম হয়ে যাওয়ার গল্প

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৩৪

ছুটির শেষ ঘন্টাটা বাজার কাটাঁয়
কাটাঁয় ২.২৮ সেকেন্ড পর
মেয়েরা বেরিয়ে আসতে শুরু করল স্কুল
থেকে ।কবজিতে বাধাঁ টাইটান ঘড়িতে চোখ
বোলাল সেজান । জেল
দেয়া চুলে বাঁ হাতটা বুলিয়ে রেডি হল ।
অইযে !বেরিয়েছে । সতর্কতার
সাথে গাঁ বাচিয়ে পিছু নিল তার সেজান ।
ঠিক দেড়হাত ব্যবধানে থেকে হাটঁতে থাকল
তার । ডাভ কন্ডিশনারের সুবাস
ভেসে আসছে তার চুল থেকে ।মুখে তার
বিব্রতভাব দুঠোটঁ চেপে ঢাকার আপ্রান
চেষ্টা ।ওহো !তারটা কে তা তো বলাই হয়নি !
সেজুঁতি মাহজাবিন ।সাহাবুদ্দিন মডেল
সরকারী মহিলা কলেজের প্রথম বর্ষের
ফার্স্ট গার্ল ।
আপাতদৃষ্টিতে বখাটে সেজান সে কলেজের
ম্যাথ টিচারের সুপুত্র ।যোগ্যতা ও মেধায়
সেও পিছিয়ে নয় । প্রেম কত
মুনি সাধুর ধ্যান ভঙ্গ করায় তো সেজান
কোন ছাড়!

-সেজুঁতি!
-আবারো পিছু নিয়েছেন ?আশ্চর্য!
মাথা নিচু করেই
জোরকদমে হাটঁতে হাটঁতে বলে সে ।
-আমার আনসার টা দিলেনা ?
-এত বেহায়া, নির্লজ্জ কেন আপনি?
প্রতিদিন পিছু নেন কেন? চাপা গলায় রাগ
ফুটে সেজুঁতির ।
-ভালবেসেছি যে!
-চার পাচঁটা লাভলেটার ,চকলেট গিফট
দিয়ে ভালভাসা হয়না ।
-তো কি করব বল ?কি করলে বিশ্বাস
করবে তুমি?
থতমত খেয়ে যায় সেজুঁতি ।ছেলেটার ঘিলু
আছে!
-আমার হাত কেটে দিতে পারবেন? কাল মায়ের
হসপিটালের স্কালপেল নিয়ে আসব ।স্বর
খানিকটা নরম করেই বলে সেজুঁতি ।
থমকে যায় সেজান ।লে হালুয়া !এ
যে দেখি ফিল্ম শুরুর আগেই
ক্ল্যাইম্যাক্স!
-পাগলামি করনা সেজুঁতি ।শোন !
তুমি সিরিয়াসলি বল কি করলে বিশ্বাস
করবে আমি তোমায় কত ভালবাসি? তোমার কোন
বয়ফ্রেন্ড নেই ।আমার কাছে তথ্য আছে ।
- আমি প্রেম টেমে বিশ্বাসী নই ।
আশা করি আপনার কানে কোন সমস্যা নেই ।
খোদা হাফেজ । এই খালি!
কথা কটা বলে রিকশায় উঠে পড়ে সেজুঁতি ।
কলেজের সামনে থেকেই রিকশা পাওয়া যায় ।
সেজানের সাথে কথা বলার জন্য এটুকু পথ
হেটেঁ আসে । খবর নিয়েছে সে সেজানের
সম্পর্কে বান্ধবীদের থেকে ।ছেলেটার
ব্যাকগ্রাউন্ড সার্ফ এক্সেল ক্লিয়ার ।
প্রোফাইলও ঝামেলামুক্ত । হুমায়ুন
মতে এ বয়সী মেয়েরা যেমন প্রেমের জন্য
ছোঁক ছোঁক করে সেজুঁতিও তার ব্যতিক্রম
নয় ।তবে খানিকটা বাজিয়ে দেখতে চায়
সেজানকে ।
.
-আজকেও এসেছেন ?আজব!
-তুমি যতদিন আনসার দেবে না ততদিন আসব ।
-আই লাভ ইউ তো কোন প্রশ্ন না ।আনসার দেব
কি করে? হাসি ঠেকাতে পারল না সেজুঁতি ।
লিপ গ্লস দেয়া ঠোটঁ প্রসারিত হতেই
সেজান বুঝল অবশেষে বরফ গলতে শুরু
করেছে গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের ফলে ।
প্রেমের এক্সপেরিয়েন্স না থাকলেও তার
প্রচুর উপন্যাস ও
হিন্দি সিনেমা দেখা আছে তার ।
লাড়কি হাসি তো ফাসি । সশব্দে হেসে উঠল
সেজানও ।

-স্কালপেল এনেছ ?দুষ্টু
হেসে জানতে চায় সেজান ।
-আমার হাত কাটার খুব শখ?
-আগে দাও তো !রহস্যময় হাসে এবার সে ।
পকেট থেকে আলগোছে কাগজ
মোড়ানো স্কালপেলটা বের করে দেয় সে ।
চকিতে এদিক ওদিক তাকিয়ে নিজের
বাঁ হাতের তালুতে চালায় সেজান ।
চাপা স্বরে আর্তনাদ করে ওঠে সেজুঁতি ।
দ্রুত
মাথা থেকে স্কার্ফটা খুলে পেচিঁয়ে দেয়
তার হাতে ।
মনে মনে নিজেকে একশটা লাথি দেয় সেজান ।
ধুস শালা আবেগের বসে পোচঁটা একটু বড়
হয়ে গেছে ।থ্রি জি বেগে রক্ত পড়ছে ।এখন
তো টয়লেট করতে গেলেও প্রবলেম হবে হাত
নিয়ে ।
ওদিকে ঝরঝর করে চোখের
পানি ফেলছে সেজুঁতি ।
হন্যে হয়ে রিকশা খুজঁছে । বড্ড
বাড়াবাড়ি করে ফেলেছে!রিকশাতে উঠে বসল
দুজন ।

-কেন করতে গেলে এটা?
-তুমি যে বিশ্বাস করছিলে না !
-প্লিজ !চুপ কর! কেদেঁই চলেছে সেজুঁতি ।
সুযোগটা কাজে লাগাল সেজান ।ক্লান্তির
ভাব করে সেজুঁতির
কাধে মাথা রেখে চুলের সুবাস নিতে লাগল
। কাদুঁক শালি! সেও অনেক
কেদেঁছে অভিমানে ।মনে মনে বলল সেজান ।
ফার্মেসিতে নেমে ড্রেসিং করার পর
হাসি ফুটল নায়িকার মুখে ।
-ওষুধ গুলো খাবেন কষ্ট করে ।
-ঠিকাছে ।আর কিছু বলবেন না?
-আমি ছাড়া আর কয়জনের পিছে ঘুরেন? আতেঁল
ভাব নেয় সেজুঁতি ।
-আমার বন্ধুদের কাছে জেনে নিয়ো ।
মাথা নিচু করে বলেই সেজান ।
-জেনে তো নিয়েছি ।
চালিয়াতি হাসে সেজুঁতি ।
-তো? আমার আনসারটা দাও না প্লিজ !আমার
রাতে ঘুম হয়না ।
-বাব্বাহ! আশিকি টু?
-নাহ! শুধ দেশি রোমান্স ।
-তোমার ফোনটা দেখি...
পকেটের আইফোনটা বাড়িয়ে দেয় সেজান ।

-হুম.. নাও.. লাস্টে 413 ..রাত নয়টার পর SMS
দিবা । নো কল ।
মৃদু হেসে রিকশায়
গিয়ে ওঠে সেজুঁতি । খুশিতে হাতের
ব্যাথা ভুলে লাফাতে গিয়ে আঁঊ আঁউ
করে চিতকার করে ওঠে সেজান ।
রিকশা থেকে পিছু
ফিরে তাকিয়ে হাসিতে ফেটে পড়ল হিরোইন ।
.
#মিশন_ACCOMPL SHIED 8-)

০ টি +০/-০