নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার পরিচয় আমি।

Md Ashraful Alam Sourov

Md Ashraful Alam Sourov › বিস্তারিত পোস্টঃ

কে এই অসাধারণ পরিবারের সাধারণ মেয়ে সৈয়দা রিমা ইসলাম ?

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:৫৫


সৈয়দা রিমা ইসলাম, জন্ম লন্ডনে।
পিতা সদ্য প্রয়াত সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক​, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী। মাতা শিলা ইসলাম।
রিমা বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় চার নেতার একজন সৈয়দ নজরুল ইসলামের দৌহিত্রী। সৈয়দা রিমা ইসলাম বর্তমানে লন্ডন প্রবাসী।
তিনি লন্ডনের এইচএসবিসি ব্যাংকে কর্মরত আছেন।

রীমা ইসলাম। সদ্য প্রয়াত আশরাফুল ইসলামের মেয়ে। কখনো নাম শুনিনি। দেখিনি। মন্ত্রীর মেয়ে হিসেবে ফেসবুক সেলিব্রেটিও না।পত্রিকা-টেলিভিশনেও তার কোনও সাক্ষাৎকার নেই। গুগল ঘাটলেও একটি ছবি মিলবেনা।
কিন্তু দেশের হোমরা-চোমরাদের ছেলে-মেয়ের কত ভাব। মন্ত্রী-এমপিদের সোনার ছেলেরা ধর্ষণ, ছিনতাই, দূর্নীতি, মাদকের সম্রাট হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। শত শত কোটি টাকার মালিক তারা। কিন্তু দেশের অন্যতম ক্ষমতাধর একজন মানুষের মেয়ে আজ রিক্ত-শুন্য। মা-বাবা নেই। ব্যাংক-ব্যালেন্স নেই। থাকার মতো বাড়িও নেই।
বাবার কফিনের পাশে অশ্রুভেজা এ চাহনির মূল্য নিরুপণ করতে পারবে কি আওয়ামীলীগ?

সৈয়দা রিমা ইসলাম যখন হেলিকপ্টারে করে
কিশোরগঞ্জ জেলার শোলাকিয়া মাঠের উপর দিয়ে শেষ দেখার জন্য আসছিলেন, তখন মনে হয় মেয়েটি বিশাল জনসমুদ্র দেখে প্রথম অনুধাবন করলেন; তার বাবা সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম কতো লক্ষ লক্ষ ভাবশিষ্য রেখে গেছেন।

সাধারণত লন্ডনে যারা বড় হয় তাদের কাছে এমপি মন্ত্রী একটি সাধারণ বিষয়। রিমাও ভেবেছিলেন তার বাবা সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এরকম কোন এমপি কিংবা মন্ত্রী
হয়তো তিনি লন্ডনের অন্যান্য এমপি মন্ত্রীদের মতোই । শুধু তাই নয়, রিমাকে তার মা শীলাও এরকম শিক্ষা দিয়েই বড় করেছেন, সৈয়দ আশরাফ একজন সাধারণ বাবার মতোই একজন সাধারণ এমপি, একজন সাধারণ মন্ত্রী।
একজন সাধারণ নেতা। এমনকি রিমার দাদা অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামও এমনই একজন সাধারণ মানুষ, যাকে জেলে খুন করা হয়েছিলো।

পিতা সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, তিন মেয়াদে মন্ত্রী থাকার পরেও সম্পদ ক্রমাগত কমেছে তার। মৃত্যুকালে পৈতৃক বাড়িটি ছাড়া আর কোন বাড়ি, ফ্ল্যাট কিছুই ছিল না বাবার।
উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া গুলশানের বাড়ি বিক্রি করেছেন মা শীলা ইসলামের চিকিৎসার জন্যে। মা'কে লন্ডন থেকে জার্মানীতে চিকিৎসার জন্য টাকা যোগাড় করতে গিয়ে বিমানের টিকেট পিছাতে হয়েছিল দুইবার। বাবা সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সরকারি বরাদ্দের প্লট নেননি, নেননি শুল্কমুক্ত গাড়ির সুবিধাও।
তার গর্বিত পিতা সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। মহান নেতা, বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় চার নেতার একজন সৈয়দ নজরুল ইসলামের নাতি। সবচেয়ে বড় পরিচয় রিমা একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। বাবা রাষ্ট্রপতির ছেলে হয়েও রণাঙ্গনে যুদ্ধ করেছেন।

ইন্ডিয়ার জেনারেল উবান স্বাধীনতা যুদ্ধ নিয়ে তার বইয়ে যে সাদামাটা, শান্ত আর বুদ্ধিদীপ্ত তরুণ যোদ্ধা আশরাফের কথা বলেছিলেন, তিনিই এই সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।
সেই সৈয়দ আশরাফ ৭৫ সালের ৩ নভেম্বর বাবা সৈয়দ নজরুল ইসলামের মর্মান্তিক মৃত্যুর পর বিলাতে চলে গিয়েছিলেন। সেখানে লেবার পার্টির সাথে সম্পৃক্ত হয়েছিলেন। সৈয়দ আশরাফ বাংলাদেশের সংসদ সদস্য ছিলেন। অথচ হওয়ার কথা ছিল ব্রিটেনের লেবার পার্টির এমপি। ১৯৯৬ সালে উনাকে দেশে ফিরিয়ে আনেন শেখ হাসিনা। তারপর একাধারে ২২ বছর পার্লামেন্টারিয়ান।
শেখ হাসিনার নির্দেশে এমন এক এলাকায় নৌকার জয় ফিরিয়ে এনেছিলেন যার রানিং এমপি ছিল আলবদর তাত্ত্বিক আতাউর রহমান খান। যে খালেদা জিয়াকেও পরোয়া করতো না। তারপর, সৈয়দ আশরাফ ৯৬- এ বিমান প্রতিমন্ত্রী হয়েছিলেন।
আওয়ামী লীগের হাল ধরেছিলেন ওয়ান ইলেভেনের পর। শেখ রেহানার স্বামী ডক্টর শফিক সিদ্দিকী তার এক লেখায় বলেছিলেন- কিভাবে বিপর্যস্ত জিল্লুর রহমান শেখ রেহানাকে দিয়ে অনুরোধ করিয়েছিলেন সৈয়দ আশরাফকে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হতে অনুরোধ করেছিলেন। সেই দিন, এই দুইজনের জন্য বেঁচে গিয়েছিল আওয়ামী লীগ।
সততার প্রতীক সৈয়দ আশরাফ। জাগতিক সম্পদের মোহ তাকে ছুঁতে পারেনি। ব্যক্তিগত জীবনে উদাসীন, দলের জন্য অন্তঃপ্রাণ এই মানুষটাকে নিয়ে দল-মত ভুলে গিয়ে ভেবে দেখুন, কী হারালাম!শত বছরে এমন রাজনীতিবিদ কালেভদ্রেই আসেন এই ভূখন্ডে!

বাবা সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের স্বপ্ন পূরণ ও অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করার লক্ষ্যে কিশোরগঞ্জ-১ আসনে উপনির্বাচনে রিমা ইসলামকে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মনোনয়ন দিয়ে জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ দানের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নিকট সবিনয় অনুরোধ জানাচ্ছি।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.