![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ৪০ পাওয়া ক্লাশের সেই ছাত্র যার বাবা ছেলে ৪০ পাওয়ার খুশী তে গাড়ি কিনে আনে। ভুল বুঝবেন না মোটেও। যা দেখবেন সব ফাপড়, আলগা পার্ট। আমি ভবঘুরে অথবা নষ্ট একটি ছেলে। মেধাবী কিংবা জিনিয়াস হওয়ার খেলায় আমি অংশ নেই না।
পাঁচ ফেব্র“য়ারি, ২০১৩। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যালে সাজা ঘোষিত হলো ’৭১-এর দুর্বৃত্ত কসাই কাদের খ্যাত জামাত নেতা কাদের মোল্লার। তার বিরুদ্ধে আনীত ছয়টি অভিযোগের মধ্যে পাঁচটিই প্রমাণিত হয়; এবং বিজ্ঞ আদালত এই পাঁচ অপরাধের দরুণ তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন। কী বিচিত্র এই দেশ! বিচিত্র এই দেশের বিচার ব্যবস্থা!
যেখানে কাদের মোল্লার এক একটি প্রমাণিত অপরাধের জন্যই মৃত্যুদণ্ড কাম্য। সেখানে পাঁচ পাঁচটি মৃত্যুদণ্ডযোগ্য অপরাধ করেও আদালত তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করলেন।
জানি, আদালতের কার্যক্রম ও রায়কে কটুক্তি করে কোনো বক্তব্য দেয়া যায় না। তাতে আদালতের অবমাননা হয়। এর জন্য শাস্তির বিধান রয়েছে। আমরা তবুও আন্তর্জাতিক অপরাধন ট্রাইবুন্যালের এই রায়ের বিরুদ্ধে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার ঘোষণা করছি।
আদালতের মর্যাদা ক্ষুণœ হলে আদালত অবমাননা হয়, এর জন্য শাস্তি পেতে হয়। কিন্তু আদালত যখন গণমানুষের আবেগকে, গণমানুষের চাওয়াকে, গণমানুষের আকঙ্খাকে অবমাননা করে, তখন এর বিচার কে করবে?
আমাদের এ লেখা, এ বক্তব্য আদালত অবমাননা করেই লেখা হচ্ছে। সজ্ঞানে। আমরা বলতে চাই, যে আদালত গণমানুষের ভাবনাকে ধারণ করতে পারে না, যে আদালত গণমানুষের রায়কে মেনে বিচার সম্পন্ন করতে পারে না, সেই আদালতের বিচার করবার কোনো এখতিয়ার নেই।
আমরা কাদের মোল্লার রায় ঘোষণাকারি সকল বিচারকের বিচার দাবি করছি। এবং রাষ্ট্রের তিন অংশ আইন বিভাগ, শাসন বিভাগ ও বিচার বিভাগের প্রতি আমাদের দাবি, একাত্তরের সকল রাজাকার-আলবদর- আলশামসসহ সকল দেশদ্রোহীদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হোক।
আমরা কাদের মোল্লা, গোলাম আজম, মতিউর রহমান নিজামি সহ সকল রাজাকারদের মৃত্যুদণ্ডের রায় শুনতে চাই। আমরা ঘোষিত মৃত্যুদণ্ড অতিদ্রুত কার্যকর দেখতে চাই।
আমরা বিশ্বাস করি, সরকার, সংসদ ও বিচার বিভাগ জনগণের দাবির প্রতি সম্মান জানাবে এবং কাদের মোল্লার ফাঁসি ঘোষণা করতে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যালের এই রায়ের বিরুদ্ধে দেশের তরুণরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। শাহবাগে চলছে অবস্থান ধর্মঘট। আগামী কাল সকাল সাড়ে আটটা থেকে ‘অকালবোধন’, ‘কবিতাশ্রম’ সহ বিভিন্ন শিল্প ও সাহিত্যকর্মী শাহবাগ মোড়ে অবস্থান ধর্মঘটে অংশগ্রহণ করবে। আমরা দেশব্যাপী এই আন্দোলন জোরদার করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। আপনারা নিজ নিজ অবস্থান থেকে এই আন্দোলনে শামিল হন। বিভক্তি নয়, একতাবদ্ধ আন্দোলনই পারে আমাদেরকে অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে।
সৈয়দ এরশাদুল হক মিলন
সম্পাদক, অকালবোধন
©somewhere in net ltd.