নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবন হলো এক কাপ গরম চা আর একটি জ্বলন্ত সিগারেটের মতো। গরম চা এক সময় জুড়িয়ে যাবে, সিগারেটের তামাকও পুড়ে শেষ হয়ে যাবে।

পয়গম্বর

The woods are lovely, dark and deep, But I have promises to keep, And miles to go before I sleep, And miles to go before I sleep.---Robert Frost

পয়গম্বর › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশ VS কানাডা

২৩ শে মে, ২০১৩ সকাল ৯:৩৪

শিরোনাম দেখেই সবাই হয়তো ভাবতে পারেন, ফুটবল অথবা ক্রিকেট খেলা বিষয়ক কোন লেখা লিখতে বসেছি। ব্যাপারটা আসলে তা নয়। এই লেখার মূল উদ্দেশ্য অন্য। উদ্দেশ্যটা বলছি। তার আগে জানিয়ে রাখছি, অনেক অনেক দিন পর প্রিয় সামহোয়্যারইন ব্লগে লিখছি। শত ব্যস্ততার মাঝেও বার বার ফিরে আসতে চাই প্রিয় সামুতে।



এবার লেখা প্রসঙ্গে আসি। আজ সকালে বাসে করে ডাউনটাউনে যেতে যেতে হঠাৎ মাথায় আসলো যে, এই যে কানাডায় আছি, এখানকার জীবন-যাত্রাসহ অনেক কিছুই ভালো লাগেনা আমার। এমন অনেক বিষয় আছে, যেগুলোতে বাংলাদেশের নিয়মকানুন-ই আমার কাছে হাজারগুণে ভালো। এই এলোমেলো চিন্তাগুলো থেকেই এ লেখার সূত্রপাত।



সুতরাং চলুন জীবনযাত্রা বিষয়ক এবং অন্যান্য সাম্প্রতিক প্রাসঙ্গিক বিষয়ে বাংলাদেশ বনাম কানাডা এর তুলনামূলক চিত্রগুলো অবশ্যই আমার দৃষ্টিতে জেনে নেয়া যাক:



১. প্রথমেই আসবে ওয়েদার অর্থাৎ আবহাওয়ার কথা। কানাডার আবহাওয়ার মতো বিচিত্র কিছু পৃথিবীতে আছে বলে আমার বিশ্বাস নেই। সকালে হয়তো সুন্দর রোদ, দুপুরে বৃষ্টি, বিকালে ঠাণ্ডা আর রাতে হয়তো স্নো পড়ছে, মাইনাস ১০ বা ১৫ ডিগ্রী সে.। প্রতি ঘন্টায় আবহাওয়ার আপডেট রাখাটা যেন অত্যাবশ্যক। আর বাংলাদেশের আবহাওয়া? ডিসেম্বর-জানুয়ারির হালকা শীত ছাড়া সারাবছর মোটামুটি গরম থাকবে, এটা জেনেই ঘরের বাইরে বের হওয়া যায়।



২. এর পর যে বিষয়টা নিয়ে কথা বলতে চাই, সেটা হয়তো অনেকেই পছন্দ করবেননা। ব্যাপারটা সিগারেট বিষয়ক। কানাডায় সবচাইতে কম দামী ২০ শলাকার সিগারেটের প্যাকেটেও দামও ৫ ডলার ১৫ সেন্ট। আমি পোডিয়াম-এর কথা বলছি। যদিও নেটিভদের কিছু সিগারেট সস্তায় পাওয়া যায় (যেমন, বি.বি/ডি.কে), কিন্তু সেগুলো মার্কেটে সহজলভ্য নয়, লুকিয়ে কেনা-বেচা হয়। এখানে খুচরা কোন সিগারেট বিক্রি হয়না। অথচ বাংলাদেশে? ইচ্ছে হলেই রাস্তার যেকোন টং দোকান থেকেই খুচরা বেনসন কিনে খেতে পারতাম। আহা! কি সুন্দর ছিল সেই দিনগুলো!



৩. সিগারেটের মতোই এখানে রাস্তা-ঘাটে কোন টং দোকানে দুধ কিংবা কনডেন্স মিল্কের চা পাওয়াটা দুষ্কর। এখানে আছে টিম হরটন’স, সেকেণ্ড কাপ অথবা স্টার বাকসের কফির দোকান। বাংলাদেশের রাস্তার পাশের টং দোকানগুলোর মর্যাদা কানাডিয়ানরা বুঝতে পারলোনা। অনতিবিলম্বে কানাডার রাস্তাঘাটে টং দোকানে পান-চা এবং খুচরা সিগারেট বিক্রির ব্যবস্থা করা হোক - এই দাবী জানিয়ে গেলাম।





৪. প্রতিবছর অক্টোবর থেকে এপ্রিলের শেষ পর্যন্ত প্রচণ্ড শীতে এখানকার সুন্দরী এবং আকর্ষণীয়া রমণীকূল শরীরে বেশ ভালোই কাপড় রাখেন। কিন্তু যেই শীত শেষে বসন্ত শুরু হলো, ওমনি রমণীকূলের শরীরের কাপড়ের সংখ্যা কমতে শুরু করলো (মুসলিম হিজাবী মহিলারা ব্যতীত)।

আর এখানকার মেয়েদেরকে আল্লাহপাক যেন নিজের হাতে বানিয়েছেন। একটার চেয়ে আরেকটা সুন্দর। কিন্তু এই যে তারা তাদের দেহ বল্লরীর সৌন্দর্য্য এভাবে খুল্লাম-খুল্লা দেখিয়ে বেড়াচ্ছেন, এটা কি ঠিক? আমাদের বাংলাদেশের মা-বোনদের কথা তখন ভাবি (গুলশান-বনানীর ছোট কাপড় পরিহিতা রমণীকূল ব্যতীত)।

কত সুন্দর তারা পর্দা করে চলেন।





যদিও টরন্টো শহরের সাবওয়ে কিংবা রাস্তা-ঘাটে ছেলে-মেয়েদের অবর্ণনীয় কৃতকর্ম (পাঠককূল নিজ দায়িত্বে বুঝে নিবেন আশা করি) কম দেখা যায়, কিন্তু অন্যান্য শহরে সাবওয়ে ট্রেনের ভেতর কিংবা চিপা-চাপায় যুবক এবং যুবমহিলাদের যা চলে, তা আর নাই বা বলি। আল্লাহপাক এদের হেদায়েত করুন। আমিন। (’যুবতী’ শব্দটা না বলে ’যুবমহিলা’ শব্দটি লিখলাম, কেননা বি.টি.ভি-তে খবর পাঠক-পাঠিকারা যুবতীদের ’যুবমহিলা’ বলেন)





৫. কানাডায় ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়াটা একটা বড় বিষয়। ড্রাইভিং পরীক্ষার আগে লেসন নিয়ে, G1, G2, G টেস্ট দিয়ে পরীক্ষায় পাশ করে লাইসেন্স নিতে হয় যা অনেক কষ্টসাধ্য একটা ব্যাপার বলেই আমি মনে করি। তার উপরে এই লাইসেন্স বাবদ খরচের কথাতো আছেই। অথচ বাংলাদেশে কত আরামে ছিলাম। আমার এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু ৮-১০ বছর মোটর সাইকেল চালালো বিনা লাইসেন্সে। পুলিশ ধরলেই ১০০-২০০ টাকা ঘুষ দিয়ে ছাড়া পেয়ে যেতো। গাড়ির যে লাইসেন্সটা তুলেছিল সে, সেটাও ঘুষের টাকা দিয়ে তোলা। কত আরাম!



কানাডার ট্রাফিক আইন বড় কঠিন বিষয়রে ভাই। একটু এদিক-ওদিক অমান্য করলেই পুলিশের গাড়ি পেছন থেকে এসে খপ্ করে ধরে বিশাল অঙ্কের টিকিট ধরিয়ে দেবে। শুধু তাই না, অপরাধের গুরুত্ব অনুযায়ী লাইসেন্সের পয়েন্ট কেটে নিতে পারে কিংবা লাইসেন্স বাতিল-ও করে দিতে পারে। আর পার্কিং? দু:খের কথা কি বলবোরে ভাই, বাংলাদেশে বড়ই আরামে ছিলাম। ইচ্ছা মতো পার্কিং করা যেত। যেন আমার শ্বশুড়ের রাস্তা, আমার ইচ্ছা মতো পার্কিং করবো, কার কি? আর এখানে? রাস্তা-ঘাটে পার্কিং করতে শুধু ডলার আর ডলার গুণতে হয়। পার্কিং ফি না দিয়ে চুরি করে গাড়ি পার্কিং করার আরেক হ্যাপা। পার্কিং পুলিশ ছোঁক ছোঁক করে। ধরতে পারলেই বিশাল অঙ্কের ফাইন করে দেবে। সেই ফাইন না দিয়ে পালাবে কোথায়?



৬. কানাডায় রিক্সা বা সি.এন.জি নেই কেন? এই প্রশ্ন জাতির বিবেকের কাছে করলাম আজ। ঢাকায় কি সুন্দর রিক্সার মেলা। জ্যামে জর্জরিত হলেও রিক্সায় বসে খোলা আকাশ দেখতে দেখতে গন্তব্যে যাওয়া যায়। আর সি.এন.জি ভাড়া করতে হলে সি.এন.জি ড্রাইভারদের পা ধরতে হলেও সি.এন.জির সবুজ রঙ কিন্তু দেখতে ভালোই লাগতো। আর এখানে? কি আর বলবোরে ভাই, টরন্টো শহরে আছে টিটিসি (টরন্টো ট্রানজিট কমিশন), মিসিসাগা শহরে আছে মাই-ওয়ে ট্রানজিট। এরকম এক এক শহরে এক এক ট্রানজিট দিয়ে রেখেছে কানাডা সরকার। তার মানে হলো যে শহরের ট্রানজিট ব্যবহার করবেন, সেই শহরের ট্রানজিটের ডলার গুণতে হবে। এমন না যে, মাত্র ২০-২৫ টাকা দিয়ে উত্তরা থেকে বাসে করে গুলিস্তান চলে গেলাম। আর কানাডার ট্যাক্সি ভাড়াতো নাই বা বললাম। শুধু এতটুকু বলতে পারি, বাংলাদেশের কালো বা ইয়েলো ট্যাক্সিক্যাবে ছিনতাই ভয় থাকলেও ট্যাক্সি ভাড়া অনেক অনেক কম।





৭. আমার দৃষ্টিতে পৃথিবীর খারাপ মানুষগুলোর মধ্যে র‌্যাঙ্কিং করলে সেখানে টরন্টো পুলিশ-ও থাকবে। কেন বলছি এ কথা জানেন? ট্র্যাফিক আইন অমান্য করলে এখানে পুলিশ নির্দয়ের মতো জরিমানা করে। কোন কথাই শুনতে চায়না। অথচ বাংলাদেশের সার্জন্টরা কত ভালো, অপরাধ করলেও নিজেদের মধ্যে ’আপোষ’ করে নিতে পারতাম!



আর এখানে ক্রাইম হলে কি হয়? টরন্টো পুলিশ চিরুণী দিয়ে আাঁচড়ানোর মতো করে নিমিষেই ক্রিমিনাল খুঁজে বের করে ফেলে। কত খারাপ! আর বাংলাদেশের সুযোগ্য ডিটেকটিভ ব্রাঞ্চ কিংবা পুলিশ ভাইরা বিডিআর হত্যা রহস্য, সাগর-রুণী হত্যাকাণ্ডসহ আরও কত হত্যাকাণ্ডের রহস্যের জট খুলতে দীর্ঘ সময় নিয়ে গবেষণা করেন। এই ’গবেষণা’ বিষয়টা বাংলাদেশী পুলিশভাইরা টরন্টো পুলিশদের একটু শিখাতে পারেননা? আর বাংলাদেশের পুলিশ কিংবা থানা মানেই হলো টাকার লেনদেন। আর টাকার লেনদেন মানেই হলো সহজে ’কাজ’ হয়ে যাওয়া। টরন্টোসহ সমগ্র কানাডায় থানায় ডলারের লেনদেন কেন হয়না, এটা আমার বোধগম্য নয়।



৮. কানাডাতেও ফকির দেখেছি আমি। ’ফকির’ শব্দটা বলা ঠিক হবেনা হয়তো। কারণ এরা সাবওয়ে-তে গান গেয়ে, যন্ত্রানুসঙ্গিত বাজিয়ে টাকা উপার্জন করে। আর যারা নিতান্তই দরিদ্র এবং গান বাজনা জানেনা অথবা থাকার জায়গা নেই (হোমলেস) কিংবা ’বাম’, তারা হয়তোবা কালে-ভদ্রে আপনার কাছে এসে টাকা বা সিগারেট চাইতে পারে। অর্থাৎ এখানে ভিক্ষা দিতে চাইলেও সহজে আপনি সরাসরি ফকির-কে দিতে পারবেননা। কিন্তু বাংলাদেশ-ই ভালো ছিল। পথে-ঘাটে ফকির-মিসকিন। আপনার টাকা দিতে ইচ্ছে করলেই দেখবেন একসাথে কয়েকশত ভিক্ষা ব্যবসায়ী ভিক্ষুক মানুষ এসে দাঁড়িয়ে গিয়েছে। ঝামেলা একেবারেই কম।



৯. কানাডার শহরগুলোর ভেতরে এরা গাছ-পালা দিয়ে নয়নাভিরাম পার্ক বানিয়ে রেখেছে। কিন্তু দু:খের বিষয় হলো, কানাডিয়ানরা এখনো বাংলাদেশীদের থেকে শিখতে পারেনি কিভাবে পার্কের ভেতর উচ্চস্বরে গান বাজাতে হয় এবং শব্দ-দূষণ ছাড়াও পার্কে আবর্জনা ফেলে কিভাবে পার্ককে দূষিত করতে হয়। বাংলাদেশের পার্কের হকারদের মতো কাউকে এখানে খুঁজে পাওয়াটা দুষ্কর। এই বিষয়টা আমি কোন ভাবেই মেনে নিতে পারছিনা। কারণ, ঢাকা শহরের পার্কগুলোতে ছিনতাইকারীর ভয় থাকলেও হকার এবং গভীর রাতের নিশি পাখিদের উপদ্রব না থাকলে পার্কে বসে চা-পান-বিড়ি এবং বিনোদন কিভাবে মিলবে?





১০. কানাডার রাস্তাগুলোর প্যাঁচ আমি এখনও ধরতে পারিনা। রাস্তায় নামলে যেদিকে তাকাই শুধু ফ্লাইওভার আর ফ্লাইওভার। আমার প্রশ্ন এত ফ্লাইওভার বানানোর যৌক্তিকতা কি? কানাডিয়ানরা কি জানেনা যে, চট্রগ্রামের বহুল প্রত্যাশিত বহদ্দারহাটের ফ্লাইওভারের গার্ডার ভেঙ্গে কত মানুষ মারা গেল? তারপরেও কানাডা সরকার এত এত ফ্লাইওভার কেন বানায়? এদের মনে কি ভয়-ডর বলে কোন কিছু নেই?



১১. আমার মনে প্রায়-ই একটি প্রশ্ন ঘুরপাক খায়, এই কানাডিয়ান জাতি কি ’হরতাল’-এর নাম শোনেনি? কি আজব এক জাতি, এখানে ক্ষমতায় যাবার জন্যে বাংলাদেশের মতো হরতাল করে দেশের ক্ষতি, গাড়ি ভাঙচুর, জ্বালাও-পোড়াও, মানুষ মারা - এগুলোর কিছুই হয়না! আশ্চর্যের বিষয়! বাংলাদেশের থেকে কত পিছিয়ে আছে কানাডিয়ানরা তা যদি তারা বুঝতো!



১২. সেদিন আমার এক কানাডিয়ান বন্ধু জ্যাক আমাকেতো বলেই বসলো, এই যে সাভারে রানা প্লাজায় এ্যাত মানুষ তোমাদের মারা গেল, সরকারপ্রধান ক্রিমিনালদের ব্যাপারে কিংবা উদ্ধার কাজে কি ব্যবস্থা নিয়েছে? উত্তরে গর্বের সাথে তাকে আমি বললাম, আমাদের সরকার প্রধান এবং তার মন্ত্রীরা নিজেদের দলের লোকজনদের বড়ই ভালোবাসেন। এখানে মানুষ মারা যাওয়াটা মুখ্য বিষয় নয়, মুখ্য বিষয় হলো কে কার ওপরে দোষ চাপিয়ে পার পেতে পারে এবং নিজের দলের লোককে সেভ করে সরকারের ভাবমূর্তি ঠিক রাখতে পারে -- বিবেচ্য বিষয় সেটাই। কানাডার কোন মন্ত্রী কবে সেটা করতে পেরেছে? আর কিছুদিন যেতে দাও, আবার নতুন ঘটনা আসবে, নির্বাচনের মওসুম আসবে, বাংলাদেশের হতভাগ্য ইমোশনাল মানুষজন আরও বড় চোরদেরকে নির্বাচিত করে ক্ষমতায় বসাবে। নির্বাচনের উত্তাপে রানা প্লাজার নিরীহ মানুষগুলোর মৃতদেহ নিয়ে কারও মাথা ব্যাথাই থাকবেনা।



১৩. কানাডায় ’কালো বিড়াল’ আছে কিনা, সেটা জানার সুযোগ এখনও হয়নি। আমাদের বাংলাদেশ-ই ভালো। কালো বিড়াল থলে থেকে বের হয়ে এলেও দপ্তরবিহীন মন্ত্রীত্বতো কেউ ঠেকিয়ে রাখতে পারেনি! আর পদ্মা সেতু নিয়ে কানাডা সরকার যা করছে, সুযোগ থাকলে তার বিরোধিতা করতাম। না হয় একটু ’লেনদেন’ হলোই বা। এত বড় একটা সেতু করতে বড় মানুষদেরকেতো খুশী রাখতেই হয়। এ নিয়ে এত মাতামাতির কি আছে?



আর আমাদের সরকারের মদদপুষ্ট সংবাদমাধ্যমগুলোকেও ধন্যবাদ জানাই আমি। খুব বেশিদিন কোন খবরের ফলোআপ না থাকলে এমনিতেই মানুষ ভুলে যায় সবকিছু। নিত্যনতুন খবর দিয়ে মানুষজনের মন অন্য দিকে সরিয়ে বাংলাদেশীদের মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার মতো মহান কাজ তারা করে যাচ্ছেন অবিরত।



*******************



শেষ করছি আমার সেই বোকার হদ্দ কানাডিয়ান বন্ধু জ্যাকের কথা দিয়ে। সেদিন হঠাৎ-ই সে আমাকে প্রশ্ন করে বসলো, তোমাদের বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী মুখে দুর্নীতিবিরোধী কথা বলেন, অথচ তার বর্তমান মন্ত্রীসভাতেইতো দুর্নীতিগ্রস্ত চোর-বাটপারদের আখরা!

উত্তরে আমি তাকে সাবধান করে দিয়ে বললাম, আমাদের বর্তমান সরকারপ্রধানের কতগুলো ডিগ্রী আছে তুমি জান? জ্যাক একটু অবাক হয়ে বললো, না জানিনা। আমি তখন তাকে তার চোখে আঙ্গুল দিয়ে জানালাম, আমাদের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে বুঝে শুনে কথা বলবে, বুঝলে? কেননা তিনি অনেকগুলো ডিগ্রীর অধিকারী! বোকার হদ্দ জ্যাক কি বলে জানেন? বলে যে, পদ্মাসেতুর দুর্নীতি বিষয়ে সিবিসি নিউজের সাক্ষাতকারে যেভাবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে সরাসরি তার পরিবার এবং মন্ত্রীদের দুর্নীতি বিষয়ক প্রশ্ন করা হয়েছে, সেখানে নাকি মানসিকভাবে অসুস্থ বাংলাদেশের নির্লজ্জ প্রধানমন্ত্রী ’লিসেন’ ’লিসেন’ করতে করতে কোন উত্তরই ঠিক ভাবে দিতে পারেননি।



আমিও জ্যাকের কথার উত্তর না দিয়ে মাথা নিচু করে ওর সামনে থেকে চলে এলাম।



বি.দ্র: ছবিগুলো ইন্টারন্টে থেকে সংগৃহীত

মন্তব্য ৩০ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৩০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে মে, ২০১৩ সকাল ৯:৫১

ব্লগ ৪১৬ বলেছেন: হা হা হা.......ভালো লিখিছেন।

২৯ শে মে, ২০১৩ রাত ৩:৩৩

পয়গম্বর বলেছেন: ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্যে। :)

২| ২৩ শে মে, ২০১৩ সকাল ৯:৫২

মোটামানুষ বলেছেন: ঢাকায় আইজকা ভালোই বৃষ্টি হচ্ছে।

আপনার পোস্টের ছবিগুলো ব্লগারদের উষ্ণ রাখতে সাহায্য করবে।

২৯ শে মে, ২০১৩ রাত ৩:৩৪

পয়গম্বর বলেছেন: জীবনে উষ্ণতার প্রয়োজন আছে, তাইনা ? :)

৩| ২৩ শে মে, ২০১৩ সকাল ১০:২৬

ভুল্কিস বলেছেন: পোষ্ট ভালৈছে না ছবি ভালৈছে ঠাহর করতে পারতেছিনা !

২৯ শে মে, ২০১৩ রাত ৩:৩৬

পয়গম্বর বলেছেন: একটাকার কয়েন নিয়ে এবার টস্ করে ডিসিশন নিয়ে ফেলেন :P

৪| ২৩ শে মে, ২০১৩ সকাল ১০:৩২

ক্যাপ্টেন ম্যাকক্লাস্কি বলেছেন:
বাংলাদেশের সাথে কানাডার কোন তুলনা হতে পারেনা।
বাংলাদেশের চেয়ে বহুগুন বড় কানাডার জনসংখা বাংলাদেশের একটি জেলার চেয়েও কম। কানাডার শাসকরা এদেশ চালাতে আসলে পাগল হয়ে বনে চলে যেতে হত।

এত অনিয়ম অব্যবস্থাপনা নিয়ে দেশটি যে চলছে এটিই তো বেশী!

২৯ শে মে, ২০১৩ রাত ৩:৩৮

পয়গম্বর বলেছেন: এত অনিয়ম অব্যবস্থাপনা নিয়ে দেশটি যে চলছে এটিই তো বেশী! >>> বাংলাদেশের বর্তমান রাষ্ট্রপ্রধানতো সেটা মানতে রাজী নন, আপনি বললেই হলো?! :P

৫| ২৩ শে মে, ২০১৩ সকাল ১০:৫৩

দ্যা ফ্রীল্যান্সার বলেছেন: বল্লেন নারীর খুল্লাম খাল্লা পোষাক কি ঠিক? আর সবগুলো ছবি দিয়ে রাখলেন ঠিক যাকে ঘৃণা করেন বলে মনে করেন!! আশ্চর্য ভন্ডামী! তাদের যেমন এ পোষাক পড়া ঠিক না, আপনারও তো ওদের দিকে তাকানোর কথা না। কিন্তু ছবির সিলেকশন দেখে তো মনে হলো আপনি কেবল বেছে বেছে এদের দিকেই তাকান! কি আশ্চর্য দ্বিখন্ডিত মানসিকতা!

২৯ শে মে, ২০১৩ রাত ৩:৩৯

পয়গম্বর বলেছেন: "দ্বিখন্ডিত মানসিকতা" টার্মটা জটিল লাগলো! কসম কইরা বললাম =p~

৬| ২৩ শে মে, ২০১৩ সকাল ১০:৫৪

নতুন বলেছেন: আমাদের দেশে খালেদা হাসুর পরিবার তন্ত্র আছে......... কানাডাতে আছে তেমন কিছু ... নাই...

থাকলে কানাডার মানুষ ও বলতে...

সকল দেশের সেরা সেজে আমার কানাডা...... ডাাাাাা.. :)

২৯ শে মে, ২০১৩ রাত ৩:৪০

পয়গম্বর বলেছেন: সকল দেশের সেরা এখন বাংলাদেশ - এটাই আমার শেষ কথা, খেলা ফাইনাল এ্যাণ্ড গেম ইজ ওভার!

৭| ২৩ শে মে, ২০১৩ সকাল ১১:২০

হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো লাগলো কানাডা কথন।

২৯ শে মে, ২০১৩ রাত ৩:৪১

পয়গম্বর বলেছেন: হাসান মাহবুব ভাই, কেমন আছেন? ব্লগে সাথে থাকার জন্যে ধন্যবাদ :)

৮| ২৩ শে মে, ২০১৩ সকাল ১১:৫৭

আদার ব্যাপারি বলেছেন: ক্যাপ্টেন ম্যাকক্লাস্কি বলেছেন:
বাংলাদেশের সাথে কানাডার কোন তুলনা হতে পারেনা।
বাংলাদেশের চেয়ে বহুগুন বড় কানাডার জনসংখা বাংলাদেশের একটি জেলার চেয়েও কম। কানাডার শাসকরা এদেশ চালাতে আসলে পাগল হয়ে বনে চলে যেতে হত।

এত অনিয়ম অব্যবস্থাপনা নিয়ে দেশটি যে চলছে এটিই তো বেশী!

২৯ শে মে, ২০১৩ রাত ৩:৪২

পয়গম্বর বলেছেন: ব্লগে সাথে থাকার জন্যে আদার ব্যাপারি ভাইয়ের জন্যে ধইন্যা পাতা :)

৯| ২৩ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১২:০৫

চলতি নিয়ম বলেছেন: ইচ্ছে হলেই রাস্তার যেকোন টং দোকান থেকেই খুচরা বেনসন কিনে খেতে পারতাম। আহা! কি সুন্দর ছিল সেই দিনগুলো!

এর চাইতে বড় অসুবিধা আর একটাও নাই.... =p~

২৯ শে মে, ২০১৩ রাত ৩:৪৪

পয়গম্বর বলেছেন: ভাই, কথাটা আসলেই সত্য বলেছি। আই রিয়েলি মিস বাংলাদেশী বেনসন :(

১০| ২৩ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১:২৮

গোবর গণেশ বলেছেন: চলতি নিয়ম বলেছেন: ইচ্ছে হলেই রাস্তার যেকোন টং দোকান থেকেই খুচরা বেনসন কিনে খেতে পারতাম। আহা! কি সুন্দর ছিল সেই দিনগুলো!

এর চাইতে বড় অসুবিধা আর একটাও নাই.... =p



ক্যাপ্টেন ম্যাকক্লাস্কি বলেছেন:
বাংলাদেশের সাথে কানাডার কোন তুলনা হতে পারেনা।
বাংলাদেশের চেয়ে বহুগুন বড় কানাডার জনসংখা বাংলাদেশের একটি জেলার চেয়েও কম। কানাডার শাসকরা এদেশ চালাতে আসলে পাগল হয়ে বনে চলে যেতে হত।

এত অনিয়ম অব্যবস্থাপনা নিয়ে দেশটি যে চলছে এটিই তো বেশী!

২৯ শে মে, ২০১৩ রাত ৩:৪৫

পয়গম্বর বলেছেন: :|| /:)

১১| ২৮ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১২:০৩

টেকনিসিয়ান বলেছেন: ৩নং এ...... টং দোকানে দুধ কিংবা কনডেন্স মিল্কের চা পাওয়াটা দুষ্কর।


এখানে ৩ ললনার ছবি কেন ভাই ??? এরা কি কোন আহবান করছে ? :-P :-P

২৯ শে মে, ২০১৩ রাত ৩:৪৭

পয়গম্বর বলেছেন: নিজ দায়িত্বে বুঝে নিন জনাব :)

১২| ২৬ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:৪১

নাসের০১৯ বলেছেন: ভাই, আমি এখোনো সিদ্দান্ত নিতে পারতেছিনা কানাডা-তে আসবো কি আসবো না! চাকরি বাকরি কেমন আছে? কিছু মনে না করলে একটা কথা জিগ্গসা করি, আপনি কি পেশার সহিত জড়িত আছেন? মানে পড়ালেখার পাশাপাশি আপনি টুকটাক কি করেন? তাতে আপনার চলে কিনা?
আর হ্যাঁ, চমৎকার হয়েছে লেখাটা।

২৭ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৯

পয়গম্বর বলেছেন: চলে আসুন তাড়াতাড়ি। দেরী করলেই লেট হয়ে যাবে :P আর চাকরী নিয়ে ভেবে ভেবে মাথার চুল পাকানোর দরকার নেই। ব্যবস্থা একটা হয়ে যাবে, আল্লাহভরসা :)

১৩| ২৬ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১:২০

মাহবু১৫৪ বলেছেন: হা হা হা

ভাল লাগলো অনেকদিন পর আপনার লেখা পড়ে।

এবার ১ টা ১ টা করে আসি -

১। এখানের আবহাওয়া আমার কাছে চরম বিরক্তিকর এক বিষয়। সামার ছাড়া বাকি ৮ মাস কষ্টের সীমা নাই। -৪৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রায় আর কতদিন ভাল লাগে!

২। ধুমপানে বিষপান

৩। এরা নিয়ম নীতির বাহিরে একটা কিছুও করবে না।

৪। রমণীকুল সুন্দরী হলেও এদের দেহের সাইজ অতীব বিচ্ছিরী। বেসাইজের রমনীই বেশি!

৫। ট্রাফিক আইন চরম কড়া।

৬। ট্যাক্সিতে না উঠে হেটে যাওয়াও ভাল

৭। হ ম ম

৮। আমি এমন ও দেখেছি সিগারেট কিংবা দেয়াশলাই আছে কি না সবার কাছে জিজ্ঞেস করে না পেলে নিজের পকেট থেকেই বের করে টানতে থাকে তারা। তাহলে আমাদের জিজ্ঞেস করার কি দরকার ছিল এদের?

৯। হ ম ম

১০। বড় বড় শহরে পথ হারানোর ভয় থেকেই যায়। এত অলি গলি!!

১১। শান্তি প্রিয় জাতি ওরা। এসব বুঝে না

১২। হ ম ম

১৩। হ ম ম

২৭ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩১

পয়গম্বর বলেছেন: এত সুন্দর মন্তব্য এর আগে খুব কমই পেয়েছি। :) ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্যে :)

১৪| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১০:৪৭

আজিব দুনিয়ার মানুষ। বলেছেন: ক্যাপ্টেন ম্যাকক্লাস্কি বলেছেন:
বাংলাদেশের সাথে কানাডার কোন তুলনা হতে পারেনা

সত্যিই তাই। বাংলাদেশ তো একটি দূর্নীতিগ্রস্ত দরিদ্র দেশ।

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৩:৫৪

পয়গম্বর বলেছেন: মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।

১৫| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ১১:০০

জামান শেখ বলেছেন: এই ব্লগে শুধু একজনের ঋন শোধ করতে পারবো না। সে হলো পয়গম্বর। আপনার লেখায় কানাডা বিষয়ক অনেক কিছু আমি জেনেছি। আমি ইমিগ্রেশনের জন্য ইসিএ শেষ করেছি। আমি একজন গ্রাজুয়েট সিভিল ইঞ্জিনিয়ার এবং ডিপ্লোমা আর্কিটেক্ট। আমার জন্য কিউবেক এ জব এভেইলিবিটি কতটুকু। প্লিজ জানাবেন।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২২

পয়গম্বর বলেছেন: আমার জন্য কিউবেক এ জব এভেইলিবিটি কতটুকু। <<< আপনার এই প্রশ্নটির সরাসরি কোন উত্তর আমার জানা নেই কারণ ভালো চাকুরী পাবার বিষয়টি অনেকটাই অনিশ্চিত। তারপরেও আমার নিচের কথাগুলো অনুগ্রহ করে পড়বেন:

১. ক্যুবেক প্রভিন্সের যে কোন শহরে আপনি গেলেই (যেমন, মনট্রিয়ল, ক্যুবেক সিটি ইত্যাদি) ফ্রেঞ্চ ভাষা জানাটা অনেকটা অলিখিত নিয়ম। তারমানে এই নয় যে, ইংরেজি সেখানে চলেনা। যারা বাই লিঙ্গুয়াল, তাদের জন্যে প্রফেশনাল জবের অপশনগুলো অনেক বেশি।
২. আমার ব্যাক্তিগত মতামত হলো, কানাডায় প্রফেশনাল জব পাবার জন্যে এখানে এসে এখানকার এডুকেশন সিস্টেমের ভেতর দিয়ে যাওয়াটা জরুরী। একই সাথে রেফারেন্স এবং অভিজ্ঞতা - এ দুটোই প্রয়োজন। আপনি এখানে আসার পর ম্যাকগিল/ কনকর্ডিয়া/ লাভাল বিশ্ববিদ্যালয়ে আপনার প্রফেশনাল ফিল্ড বিষয়ক সাবজেক্ট-এ পড়াশুনার খোঁজখবর নিতে পারেন।
৩. প্রফেশনাল জবে ডাক পাবার জন্যে আপডেটেড রিজিউমি থাকাটা খুব জরুরী। আপনার রিজিউমিটি কানাডিয়ান সিস্টেমের আদলে তৈরি করে নিন। এরপর জবসাইট গুলোতে ঢুকে অ্যাপ্লাই করতে থাকুন।
৪. চেষ্টা করুন নেটওয়ার্ক বাড়ানোর। পরিচিত জনের মাধ্যমে জব পাওয়াটা সহজতর।
৫. ভলান্টিয়ার জব - বিষয়টিকে সিরিয়াসলি নিন। চেষ্টা করুন আপনার নিজস্ব পড়াশুনা/ক্যারিয়ার ফিল্ড-এর কোন অর্গানাইজেশনে ভলান্টিয়ার জব করার।

আপনার জন্যে শুভেচ্ছা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.