নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবন হলো এক কাপ গরম চা আর একটি জ্বলন্ত সিগারেটের মতো। গরম চা এক সময় জুড়িয়ে যাবে, সিগারেটের তামাকও পুড়ে শেষ হয়ে যাবে।

পয়গম্বর

The woods are lovely, dark and deep, But I have promises to keep, And miles to go before I sleep, And miles to go before I sleep.---Robert Frost

পয়গম্বর › বিস্তারিত পোস্টঃ

অ্যাডভেঞ্চার ইন ক্যুবেক - পর্ব ২

১৪ ই মে, ২০১৫ সকাল ৮:১৩



পর্ব ১ এর পর: view this link
ক্যুবেক সিটির 'গাখ্ দ্যু প্যালে' ( Gare du Palais ) ট্রেন স্টেশন থেকে ট্যাক্সি নিয়ে পড়ন্ত বিকেলে যখন আপার টাউনের সেন্ট অ্যানি রোডের জাখদাঁ (Hotel Jardin Ste-Anne) হোটেলে এসে উঠলাম, বাইরে তখনও সূর্য্যের আলো ঝলমল করছে। হোটেল রুমে ব্যাগগুলো কোনমতে রেখেই সঙ্গী নাইকন ডি-৯০ কে নিয়ে বের হয়ে পড়লাম শহর দেখার উদ্দেশ্যে। ওল্ড ক্যুবেক সিটির আপার টাউনে আমাদের হোটেল, যেটি ক্যুবেক শহরের বিখ্যাত গ্র্যাণ্ড হোটেল 'শাঁত্যু ফ্রন্টনেক' থেকে পায়ে হাঁটা পথ। অতএব, আলো থাকতে থাকতেই পায়ে হেঁটে চলে এলাম সেন্ট লরেন্স নদীর ধারের বিশালাকার 'শাঁত্যু ফ্রন্টনেক' -এর সামনে।

Hotel Jardin Ste-Anne এর সামনে

আমার নাইকন ক্যামেরায় তোলা ওল্ড সিটির লোয়ার টাউনের কিছু ছবি:










মামা দেখি রাস্তার ধারে ভায়োলিন বাজিয়ে টাকা ইনকাম করছেন

১৯৮০ সালে Fairmont Le Château Frontenac কে ন্যাশনাল হিস্টোরিক সাইট অব কানাডা'র অন্তর্ভূক্ত করা হয়। অবর্ণনীয় সৌন্দর্য্য আর রূপের আধার ওল্ড ক্যুবেকের আঁকাবাঁকা সরু পথে হাঁটতে হাঁটতে আমরা যেন ফিরে গেলাম চারশো' বছরের সেই পুরনো শহরটিতে। নাইকন ক্যামেরা দিয়ে একের পর এক তুলতে থাকলাম আপার টাউন ওল্ড ক্যুবেক সিটির রূপ সৌন্দর্য্য। view this link
Château Frontenac এর কিছু ছবি:





টরন্টো থেকে ক্যুবেক সিটিতে আসার আগে হোটেল নিয়ে খুব দুশ্চিন্তায় ছিলাম। বিভিন্ন অনলাইন ওয়েবসাইট, ব্লগ ইত্যাদি থেকে এতটুকু অন্তত: বুঝতে পেরেছিলাম যে, আপার টাউনের 'শাঁত্যু ফ্রন্টনেক' -এর কাছাকাছি হোটল নেবার ব্যাপারেই সবাই রেকমেণ্ড করেছে। প্রায় মাস দু'য়েক আগে বুক করা আমাদের সেন্ট অ্যানি রোডের হোটেল জাখদাঁ-ও ছিল 'শাঁত্যু ফ্রন্টনেক' থেকৈ পাঁচ মিনিটের পায়ে হাঁটা পথ। ক্যুবেক আসার আগে হোটেল নিয়ে যতটা দুশ্চিন্তা করেছিলাম, এস দেখলাম আমাদের হোটেলটি আশাতীত রকমের ভালো, সুন্দর এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। যদিও এখানে কোন রিসেপশন ডেস্ক কিংবা সকালের ব্রেকফাস্টের ব্যবস্থা নেই। ঠিক পাশের হোটেল 'শ্যাম্পেইন' -এ তাই 'চেক-ইন' করতে হলো।

ওল্ড সিটির লোয়ার টাউনের আরও কিছু ছবি:






আপার টাউনের ছবি

পরদিন খুব সকালে উঠে ব্রেকফাস্ট সেরে নিলাম হোটেলের কাছেই 'সেন্ট অ্যানি রোডের ওপর 'পেঁ বেনি' রেস্টুরেন্টে, যেখানে জাখদাঁ -তে থাকার সুবাদে সকালের ব্রেকফাস্টে ২০% ডিসকাউন্ট পেলাম।

'পেঁ বেনি' তে ফ্রেঞ্চ ব্রেকফাস্ট

'পেঁ বেনি''র ইন্টেরিয়র

পুরনো শহরের সব খাবার দোকানের সামনেই মেন্যু লিস্ট দামসহ টাংগানো থাকে

তারপর পাশেই 'ইনফরমেশন সেন্টার' থেকে ঘোরাঘুরি সংক্রান্ত আরও কিছু তথ্য নিয়ে নিলাম। আপাতত আজকের প্ল্যান পায়ে হেঁটে ওল্ড কুইবেক সিটির আপার এবং লোয়ার টাউন ঘুরে দেখা। এর ফাঁকে দুপুর দুইটায় রিভার ক্রুজে 'মো মোরেন্সি ফলস' পর্যন্ত ঘুরে আসার জন্যে 'ইনফরমেশন সেন্টার থেকেই ক্রুজের টিকিট কনফার্ম করে নিলাম।

পায়ে হাঁটা পথে ওল্ড ক্যুবেক সিটির আপার টাউনের আরও কিছু ছবি:





এই ঘোড়ার গাড়িতে চড়তে ৯০ ডলার লাগবে। মাত্র ৪৫ মিনিটের ট্রিপ।

ইনফরমেশন সেন্টার থেকে আমাদের যাত্রা শুরু হলো পায়ে হেঁটে ওল্ড সিটি আপার টাউনের পার্লামেন্ট পর্যন্ত। ক্যুবেক পার্লামেন্টের পর থেকেই 'নিউ ক্যুবেক সিটি' শুরু হয়েছে। পর্যটকদের জন্যে পার্লামেন্টের ভেতরে সকাল ১১.৩০ এবং বিকাল ৪ টায় ইংরেজিতে ফ্রি গাইড ট্যুরের ব্যবস্থা আছে।

এই রাস্তায় আর একটু গেলেই পার্লামেন্ট

আপার টাউন

আপার টাউন

আপার টাউন

আপার টাউন

পার্লামেন্টের ঠিক পাশেই রয়েছে 'প্লেইন অব আব্রাহাম' বা 'ব্যাটল ফিল্ড'। এখানেই ইংরেজ এবং ফ্রেঞ্চদের মাঝে দীর্ঘ সাত বছর যুদ্ধ হয়েছিল যে যুদ্ধে ফ্রেঞ্চরা ইংরেজদের কাছে আত্মসমর্পণ করে। পরবর্তীতে ফ্রান্স আর কখনোই ক্যুবেকের আধিপত্য গ্রহণ করতে পারেনি। ১৭৬০ খ্রীষ্টাব্দে ক্যুবেকের ওপর থেকে ফ্রেঞ্চরা সম্পূর্ণরূপে ক্ষমতা হারায়। ইংরেজ-ফ্রান্স যুদ্ধ শেষে ১৭৬৩ সালে ফ্রেঞ্চরা ইংরেজদের কাছে কানাডার অনেক কলোনী হস্তান্তর করে।
নিচের ছবিগুলো সব আপার টাউনের:
view this link










দুপুর দেড়টার দিকে Terrasse Dufferin এর সামনে দিয়ে আপার টাউনের শাঁত্যু ফ্রন্টনেকের সামনে অবস্থিত 'ফিউনিকুলার' নামের এক ধরনের লিফট যোগে নেমে এলাম লোয়ার টাউনে। তারপর পায়ে হাঁটা পথে চলে এলাম রিভার ক্রুজের জন্যে নির্ধারিত ফেরীর সামনে।

আপার টাউন থেকে দেখা লোয়ার টাউন

ফিউনিকুলার থেকে দেখা লোয়ার টাউন

ফিউনিকুলার দিয়ে নিচের লোয়ার টাউনে নামছি। জনপ্রতি ২.২৫ ডলার করে নেয়

রিভার ক্রুজের দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে পরের পর্ব খুব শীঘ্রই পোস্ট করবো আশা করছি। তার আগে দেখে নেই ওল্ড ক্যুবেকের আপার টাউনের আরও কিছু ছবি:
















এবার লোয়ার টাউনের আরও কিছু ছবি:








এবং সবশেষে লোয়ার টাউন থেকে দেখা শাঁত্যু ফ্রন্টনেক

পর্ব ৩ view this link পর্ব ৪ view this link

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই মে, ২০১৫ সকাল ১০:৪০

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: দারুন একটা ছবি ব্লগ। মনে হলো আপনার সাথেই ঘুরছি। ধন্যবাদ এমন একটা পোস্ট দেয়ার জন্য।



একটা প্রশ্ন ছিল, নতুন ভার্সনে কি আপনার ছবি আপলোড করা ইজি লাগছে কি না??

১৪ ই মে, ২০১৫ সকাল ১১:২০

পয়গম্বর বলেছেন: নতুন ভার্সনে ছবি আপলোড সহজতর মনে হয়েছে। ছবিগুলো কম্পিউটার থেকে সরাসরি ড্র্যাগ করে নিয়ে আসাটা আকর্ষণীয় একটি ফিচার। তবে এই পোস্টটি কিছুক্ষণ আগে দিলাম, এখন দেখি প্রথম পাতায় এটি নেই।, অর্থাৎ হারিয়ে গিয়েছে। :(

২| ১৪ ই মে, ২০১৫ সকাল ১১:৪৩

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনার পোস্ট তো নির্বাচিত পাতায় আছে ভাইয়া!!!

১৪ ই মে, ২০১৫ সকাল ১১:৪৮

পয়গম্বর বলেছেন: হ্যাঁ, দেখলাম। ধন্যবাদ :)

৩| ১৪ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১২:১৭

বিদগ্ধ বলেছেন: অনেক ছবি দিয়েছেন, ধন্যবাদ।
ছবিগুলো কতকিছু যে দেখতে পেলাম, তবু কৌতূহল মেটে না :(

বাড়ি গাড়ি রাস্তাঘাট সবই আছে, শুধু আমাদের দেশের মতো মানুষ সেখানে নেই।
রিভার ক্রুজ দেখার অপেক্ষায় রইলাম।

১৪ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৪

পয়গম্বর বলেছেন: মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ। পরের পর্বের ছবিগুলো সিলেক্ট করছি। আশা করি খুব শীঘ্রই পোস্ট শেয়ার করবো। :)

৪| ১৪ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১:১৮

আলোরিকা বলেছেন: ঘুরে বেড়ালাম ছবির দেশে ...... সুন্দর ! :)

১৪ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১:২৫

পয়গম্বর বলেছেন: ব্লগে সাথে থাকার জন্যে ধন্যবাদ। :)

৫| ১৪ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১:৩০

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: সুন্দর সুন্দর যতসব ছবি। ধন্যবাদ।

১৪ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১:৩২

পয়গম্বর বলেছেন: বাঙালী ভাইকেও ধন্যবাদ জানাচ্ছি। :)

৬| ১৪ ই মে, ২০১৫ বিকাল ৪:৫২

মানস চোখ বলেছেন: ভাই রাস্তাঘাট এত ফাঁকা ক্যা্ন ???? লোকজন কি রাস্তায় বের হয় না??
ছবি গুলো চমৎকার !!!!!

১৪ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৪

পয়গম্বর বলেছেন: টরন্টোর তুলনায় লোকজন অবশ্যই কম। এখানে সন্ধ্যা হতে না হতেই দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়, রাস্তা-ঘাট আরও জনশূন্য হয়ে পড়ে। মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ। :)

৭| ১৪ ই মে, ২০১৫ রাত ৮:৩৪

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: দৃষ্টিন্দন ছবিতে ক্যুবেক দেখা হলো... এবার নৌবিহারের পালা...

১৪ ই মে, ২০১৫ রাত ৯:৫৯

পয়গম্বর বলেছেন: ধন্যবাদ মইনুল ভাইকে :)

৮| ১৫ ই মে, ২০১৫ দুপুর ২:০৮

উলাম বলেছেন: ভুতুরে শহর নাকি? লোকজন নাই কেন?

১৫ ই মে, ২০১৫ রাত ১০:৩৭

পয়গম্বর বলেছেন: লোকজন এমনিতেই একটু কম। ওল্ড ক্যুবেক পুরো শহরটাই আসলে ট্যুরিস্ট স্পট। তাই এখানে কোন প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড নেই। সুতরাং ট্যুরিষ্ট আর লোকাল কিছু ব্যবসায়ী ছাড়া এখানে মানুষ খুঁজে পাওয়াটা কঠিন।

৯| ১৬ ই মে, ২০১৫ সকাল ১০:৩৪

আমিনুর রহমান বলেছেন:


চমৎকার বর্ননা ও ছবি। বেশ পরিচ্ছন্ন ও নীরব শহর মনে হলো।

১৬ ই মে, ২০১৫ সকাল ১০:৪০

পয়গম্বর বলেছেন: সত্যিই একদম নীরব শহর। ধন্যবাদ আমিনুর ভাই।

১০| ০৬ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:২৯

নুরুল পলাশ বলেছেন: অাপনার ক্যা‌মেরার হাতও চমৎকার। ছ‌বিগু‌লো যেন কথা বল‌ছে। প‌রের প‌র্বের অ‌পেক্খায়

০৮ ই জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:১৪

পয়গম্বর বলেছেন: ক্যামেরার জ্ঞান আমার খুবই সীমিত। সব ক্রেডিট দিতে হয় সুন্দর স্থান আর আমার নাইকন ডি-৯০ কে। আমি এর শুধু ধারক এবং বাহকমাত্র।

১১| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৪

এফ আই রাজীব বলেছেন: যেন আমিও ছিলাম আপনার সাথে,পড়তে পড়তে যেন চলছি একসাথে, ধন্যবাদ, এমন লেখনি আর চাই।

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:২৩

পয়গম্বর বলেছেন: ব্লগে সাথে থাকার জন্যে ধন্যবাদ রাজীব।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.