নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবন হলো এক কাপ গরম চা আর একটি জ্বলন্ত সিগারেটের মতো। গরম চা এক সময় জুড়িয়ে যাবে, সিগারেটের তামাকও পুড়ে শেষ হয়ে যাবে।

পয়গম্বর

The woods are lovely, dark and deep, But I have promises to keep, And miles to go before I sleep, And miles to go before I sleep.---Robert Frost

পয়গম্বর › বিস্তারিত পোস্টঃ

ট্রিপ টু টোবারমোরী - পর্ব ২

১২ ই জুন, ২০১৫ দুপুর ১:০৩



পর্ব ১ এর পর view this link
টোবারমোরী'র মূল আকর্ষণ কি? এ প্রশ্নের উত্তরে অনেকে অনেক জায়গার নাম বললেও আমি কিন্তু বিশেষভাবে বলতে চাই একটি জায়গার নাম। আর সেটি হলো জর্জিয়ান বে সাগরের ওপর দিয়ে নৌকো করে 'ফ্লাওয়ারপট আইল্যাণ্ড' view this link ঘুরে আসা। কানাডা'র ওন্টারিও প্রভিন্সের উত্তরে অবস্থিত টোবারমোরী থেকে মাত্র ৬.৫ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত ফ্লাওয়ারপট আইল্যাণ্ডটি মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন একটি জনমানবহীন দ্বীপ। ঘন বনে ঘেরা এই দ্বীপটিতে একটি বাতিঘর, বিশাল এক গুহা ছাড়াও ঘন বনের ভেতর দিয়ে পায়ে হাঁটা ট্রেইল রয়েছে। ফ্যাদম ফাইভ ন্যাশনাল মেরিন পার্কের অন্তর্ভূক্ত ফ্লাওয়ারপট আইল্যাণ্ড-এ যেতে হলে নৌকা বা লঞ্চ ছাড়া গতি নেই। আনুমানিক ৬০ বছর আগে এখানকার বাতিঘরে সরকারী এক কর্মচারী বাস করতেন। তখন টোবারমোরী'র মূল ভূখণ্ড থেকে এই দ্বীপটিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হতো। কিন্তু বর্তমানে কোন মানুষ এখানে আর থাকেনা এবং সোলার পাওয়ার দিয়েই দ্বীপটির বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়। ফ্লাওয়ারপট আইল্যাণ্ড -এর নামকরণটি একটু বিচিত্র। এই দ্বীপে বড় বড় দু'টি পাথরের চাঁই প্রাকৃতিকভাবেই ফুলদানির মত আকার ধারণ করায় এই দ্বীপটিকে সবাই 'ফ্লাওয়ারপট আইল্যাণ্ড' নামেই ডাকে।

টোবারমোরী থেকে ফ্লাওয়ারপট আইল্যাণ্ডের উদ্দেশ্যে দিনের বেলায় নির্দিষ্ট সময় পর পর বোট/লঞ্চ ছাড়ে। দুই ধরণের সার্ভিস এরা দিয়ে থাকে। এক. টোবারমোরী থেকে আপনাকে সরাসরি ফ্লাওয়ারপট আইল্যাণ্ডে পৌঁছে দেবে এবং পরবর্তীতে বোটের নির্দিষ্ট সময়ে আপনি আবার টোবারমোরী ফেরত আসবেন। এই ট্যুরটি Drop Off Tour নামে পরিচিত এবং দাম প্রায় ৪০ ডলার। অপর ট্যুরটি Stay Aboard Tour, যেটিতে আপনি নৌকা/ লঞ্চ থেকে না নেমে শুধু ফ্লাওয়ারপট আইল্যাণ্ডের চারপাশ থেকে ঘুরে আসবেন। এটি প্রায় ৩০ ডলার দাম। উল্লেখ্য যে, ফ্লাওয়ারপট আইল্যাণ্ডে প্রবেশের জন্যে অতিরিক্ত জনপ্রতি প্রায় ৫ ডলার করে দিতে হবে যেটি নৌকার টিকেট কাটার সাথেই রেখে দেবে।

টোবারমোরী থেকে ফ্লাওয়ারপট আইল্যাণ্ডের উদ্দেশ্যে প্রথম নৌকা/ লঞ্চটি ছাড়ে সকাল ৯.৩০ এবং ফ্লাওয়ারপট আইল্যাণ্ড থেকে শেষ বোট ছেড়ে আসে বিকাল ৪.৩০ মিনিটে। অর্থাৎ কেউ যদি বিকাল ৪.৩০ এর বোট না ধরতে পারে, তাহলে তাকে রাতের বেলায় ওই জনমানবহীন নির্জন দ্বীপেই থেকে যেতে হবে। ব্যাপারটা একটু ভয়ঙ্কর বটে। কারণ ফ্লাওয়ারপট আইল্যাণ্ডে যাবার পর আমরা নিজের চোখেই বড় বড় সাপ দেখেছিলাম। অন্যান্য জীবজন্তু কি আছে না আছে, সেটা অবশ্য আর জানা হয়নি। তবে ইমার্জেন্সি একটি ফোন নম্বর দেওয়া আছে যেখানে বিপদ আপদে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। কিন্তু একবার ভেবে দেখুনতো যদি কোন কারণে ফ্লাওয়ারপট আইল্যাণ্ডে যাবার পর শেষ বোট মিস হয়ে গেল আর আপনার ফোনটির নেটওয়ার্ক-ও ঠিক মতো কাজ করছেনা?! অথবা ফোনের চার্জ শেষ হয়ে গিয়েছে?! ভাবতেই গা শিউরে ওঠে!

টরন্টো থেকে টোবারমোরী আসার আগেই আমরা বোটের টিকেট অনলাইনে কেটে রেখেছিলাম। মূলত: দু'টি কোম্পানীর বোট/লঞ্চ এই রুটে পর্যটকদের পরিবহন করে। একটি হলো ব্লু হিরণ, যেটিতে আমরা গিয়েছিলাম। আরেকটির নাম ব্রুস অ্যাঙ্কর। ব্লু হিরণ লঞ্চটিকে 'গ্লাস বটম' নামে ডাকা হয়। কারণ, এই লঞ্চের নিচের দিকে গ্লাস দিয়ে সাগরের তলায় দেখা যায়।

ওয়েন সাউণ্ড শহরের 'কমফোর্ট ইন' হোটেল থেকে দেড় ঘন্টা ড্রাইভ করে টোবারমোরী আসতে আসতে সকাল প্রায় ৯.৩০ বেজে গেল। পড়িমড়ি করে ব্লু হিরণের সুপ্রশস্থ লঞ্চে উঠে পড়লাম আমরা। তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে একটা ভুল অবশ্য হয়েই গেল। যেহেতু মোটামুটি বিকাল পর্যন্ত আমাদের ওই দ্বীপে থাকার প্ল্যান, তাই দুপুরের খাওয়া সাথে নেওয়াটা উচিত ছিল। কিন্তু সেটা বেমালুম ভুলে গেলাম। এরপর দ্বীপে নেমে ঘোরাঘুরি করে সবাই ক্লান্ত আর ক্ষুধার্থ হয়ে গেলাম অল্প সময় পরেই।

লঞ্চ ঘাট

লঞ্চ ঘাট

লঞ্চঘাট

ব্লু হিরণের টিকেট কাউন্টার

ঘাটে বাধা আমাদের ব্লু হিরণ কোম্পানীর গ্লাস বটম লঞ্চ

আমাদের লঞ্চ

লঞ্চের পেছনের দিকে

যাত্রা হলো শুরু

ফ্লাওয়ারপট আইল্যাণ্ড যাবার শুরুতে আমরা চলেছি কাছাকাছি একটি বাতিঘর আর ডুবন্ত জাহাজ দেখতে

ডুবন্ত জাহাজ - লেক হিউরনে এই জাহাজটি ১৮৮৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ডুবিয়ে দেওয়া হয়

ডুবন্ত জাহাজ

ডুবন্ত জাহাজ

বাতিঘর

লঞ্চের উপরের ডেক-এ

আমাদের ব্লু হিরণ লঞ্চের নিচের কেবিন-এ

ওই দেখা যায় ফ্লাওয়ারপট আইল্যাণ্ড

আর অল্প সময় পরেই পৌঁছে যাব আইল্যাণ্ডে

ফ্লাওয়ারপট আইল্যাণ্ড

ফ্লাওয়ারপট আইল্যাণ্ড থেকে দেখা জর্জিয়ান বে

ব্রুস অ্যাঙ্কর কোম্পানীর লঞ্চ

ব্রুস অ্যাঙ্কর কোম্পানীর টাগ বোট

লঞ্চ থেকে দেখা ফ্লাওয়ারপট আইল্যাণ্ড

লঞ্চের ড্রাইভারের রুম

ফ্লাওয়ারপট আইল্যাণ্ড-এ নামছি আমরা

ওই যে দূরে ফ্লাওয়ারপট আইল্যাণ্ড - টোবারমোরী থেকে যেতে প্রায় ৪৫ মিনিট লেগেছে

ফ্লাওয়ারপট আইল্যাণ্ড-এর স্বচ্ছ পানির পাশে

ফ্লাওয়ারপট আইল্যাণ্ড-এর স্বচ্ছ পানির পাশে

এই যে ফ্লাওয়ারপট

ফ্লাওয়ারপট আইল্যাণ্ড

ফ্লাওয়ারপট আইল্যাণ্ড

ফ্লাওয়ারপট আইল্যাণ্ড

ফ্লাওয়ারপট আইল্যাণ্ড-এর ডেক

ফ্লাওয়ারপট আইল্যাণ্ড

ফ্লাওয়ারপট আইল্যাণ্ড

ফ্লাওয়ারপট আইল্যাণ্ড

ফ্লাওয়ারপট আইল্যাণ্ড

ফ্লাওয়ারপট আইল্যাণ্ড

ফ্লাওয়ারপট আইল্যাণ্ড

ফ্লাওয়ারপট আইল্যাণ্ড

খুব কাছ থেকে দেখা ফ্লাওয়ারপট

ফ্লাওয়ারপট আইল্যাণ্ড

ফ্লাওয়ারপট আইল্যাণ্ড

ফ্লাওয়ারপট আইল্যাণ্ড

ফ্লাওয়ারপট আইল্যাণ্ড

ফ্লাওয়ারপট আইল্যাণ্ড-এর গুহা

ফ্লাওয়ারপট আইল্যাণ্ড-এর গুহা

ফ্লাওয়ারপট আইল্যাণ্ড-এর গুহা

ফ্লাওয়ারপট আইল্যাণ্ড-এর গুহা

ফ্লাওয়ারপট আইল্যাণ্ড-এর গুহায় যাবার পথে

ফ্লাওয়ারপট আইল্যাণ্ড এর ভেতরের পায়ে হাঁটা ট্রেইল

ফ্লাওয়ারপট আইল্যাণ্ড এর ভেতরের পায়ে হাঁটা ট্রেইল

ফ্লাওয়ারপট আইল্যাণ্ড এর ভেতরের পায়ে হাঁটা ট্রেইল

ফ্লাওয়ারপট আইল্যাণ্ড থেকে ফিরে আমাদের গাড়ি ছুটে চললো এবার সবল বিচের উদ্দেশ্যে। অন্যান্য বিচের সাথে এই বিচের কিন্তু একটা পার্থক্য রয়েছে। এই বিচে সাগরের একদম পাশেই আপনি গাড়ি নিয়ে পার্ক করতে পারবেন।

সবল বিচ

সবল বিচ

সবল বিচের পানিতে সমুদ্রস্নান শেষে চললাম সবল ফলস দেখার উদ্দেশ্যে:








কাছাকাছি আরও একটি বিখ্যাত সমুদ্র সৈকত দেখার লোভ সামলাতে পারলামনা। অতএব এবার আমাদের গাড়ি ছুটে চললো ওয়াসাগা বিচের উদ্দেশ্যে। চলুন দেখে নেই তাহলে ওয়াসাগা বিচে তোলা কিছু ছবি:













ওয়াসাগা বিচ থেকে টরন্টো যখন ফিরলাম, তখন ঘড়িতে বাজে রাত ১১ টা। শান্ত মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্যের নয়নাভিরাম পরিবেশ থেকে আবারও ঢুকলাম ব্যস্ত শহুরে জীবনে। কিন্তু মন পড়ে রইলো তখনও টোবারমোরী'র প্রকৃতির কোলে।

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই জুন, ২০১৫ দুপুর ২:০১

পয়গম্বর বলেছেন: যথারীতি এই পোস্টটিও প্রথম পাতায় আসলোনা। অ্যাডমিন কি একটু দৃষ্টি দেবেন?

২| ১৩ ই জুন, ২০১৫ বিকাল ৫:২০

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনার পোস্টটি প্রথম পাতায় প্রকাশিত হয়েছে। একটু অপেক্ষা করলেই দেখবেন যে প্রকাশিত হয়েছে।

১৪ ই জুন, ২০১৫ দুপুর ১:৩০

পয়গম্বর বলেছেন: মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ কাল্পনিক_ভালোবাসা কে। আমি অ্যাডমিনের কাছে কৃতজ্ঞ। কারণ এ পর্যন্ত বেশ কিছু সমস্যা নিয়ে ইমেইল করেছিলাম। অনেক আন্তরিক সাড়া পেয়েছি।

৩| ১৪ ই জুন, ২০১৫ সকাল ৯:৪৬

সুফিয়া বলেছেন: খুব ভাল লাগল। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।

১৪ ই জুন, ২০১৫ দুপুর ১:৩০

পয়গম্বর বলেছেন: ব্লগে সাথে থাকার জন্যে ধন্যবাদ সুফিয়াকে।

৪| ১৪ ই জুন, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৬

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনার ভ্রমন পোস্টগুলো দুইবার না পড়ে আনন্দ পাওয়া যায় না। আমি আবারও পড়লাম! চমৎকার। মনে হলো আপনার বর্ণনা আর ছবির মাধ্যমে ঘুরে আসলাম। এত দারুন একটা ভ্রমন পোস্ট দেয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আপনি আরো বেশি বেশি ঘোরাফেরা করুন। আপনার চোখে আমরাও কানাডা ঘুরে দেখি! :) :D

১৪ ই জুন, ২০১৫ রাত ৮:২৫

পয়গম্বর বলেছেন: আমি চেষ্টা করি ছবি এবং বর্ণনার ধারাবাহিকতাটুকু রক্ষা করতে। অর্থাৎ, ঠিক যেভাবে বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছি, ছবিগুলো সেই ক্রমানুসারেই দেয়া। আপনাকেও ধন্যবাদ ব্লগে সাথে থাকার জন্যে।

৫| ১৪ ই জুন, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৭

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আচ্ছা ছবিগুলো দিতে কি খুব কষ্ট হয়েছে? আমাদের নতুন সিস্টেমে ছবি আপলোড করা কি সহজ লাগছে?

১৪ ই জুন, ২০১৫ রাত ৮:২২

পয়গম্বর বলেছেন: নতুন সিস্টেমে ছবি আপলোড করা পানির মতো সহজ কাজ। পুরো ব্যাপারটা আমার বেশ পছন্দ হয়েছে। তবে ইদানিং প্রায়ই যেটা হয়, পুরো লেখাটি ছবিসহ ড্রাফট করার পর পোস্ট করতে গেলেই দেখা গেল সেটি প্রথম পাতায় আসছেনা। আমি জানি, ব্লগারদের কাছে সবকিছু সহজভাবে উপস্থাপনের জন্যে সামহোয়্যারইন অ্যাডমিন এবং সঞ্চালকদের কতটা পরিশ্রম করতে হয়। এজন্যে তাদেরকে আমার আন্তরিক ধন্যবাদ।

৬| ১৪ ই জুন, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৭

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: সুন্দর।

১৪ ই জুন, ২০১৫ রাত ৮:২৬

পয়গম্বর বলেছেন: ধন্যবাদ।

৭| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৬

অপেক্ষায় নাজির বলেছেন: 'গ্লাস বটম' দেখার শখটা মিটলোনা :|

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:৪৩

পয়গম্বর বলেছেন: এই যে দেখুন:

৮| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৪

মনিরা সুলতানা বলেছেন: অসাধারন ভ্রমন কাহিনী
অপূর্ব সব ছবি এর পূর্নতা দিয়েছে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ :)

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:৪০

পয়গম্বর বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ মনিরা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.