নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এসো---ছোঁও--- সম্পূর্ণ পাথর হয়ে গেছি কিনা দেখো।

স্পর্শিয়া

স্পর্শিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

পাথরকুঁচি জীবনের দিন ও রাত্রীগুলো

১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৫


দ্বিতীয় জীবন
পাথরকুঁচির জীবনের দ্বিতীয় অধ্যায়ের আগের অংশটুকু

আজকাল আমার একা থাকতেই ভালো লাগে। কারো সামনে যেতে ইচ্ছে করেনা। মাঝে মাঝে মনে হয় এর চাইতে মৃত্যুই ভালো ছিলো। এই বিভৎস্য জীবন আমি চাইনা। মরে যেতে ইচ্ছে করে আমার। কয়েকবার আত্মহত্যার প্ল্যানও করেছিলাম। প্রতিবারই বিফল হয়েছি। আসলে প্রথমবার ফ্যানের সাথে ওড়না ঝুলিয়ে মৃত্যুচেষ্টাটা বোকার মত হয়ে গেলো। কাউন্সেলরের নির্দেশে ম্যাডাম প্যাট্রেসিয়া আমার হাতের নাগালের সব দড়ি রজ্জু গায়েব করে দিয়েছেন। আমি বসে বসে নীলনক্সা কষি। আমার মৃত্যুর নীলনক্সা। আসলে মৃত্যু বলছি কেনো? সেই আমার মুক্তি। এ দুঃসহ দূর্বিসহ জীবন থেকে সেই কি মুক্তি নয়?

আমি মুক্তি চাই। চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে করে আমি এ জীবন চাইনা। কি দোষ করেছিলাম আমি যে আমাকে এমন দূর্বিসহ জীবন পোহাতে হবে? খুব ইচ্ছে হয় বিধাতাকে ডেকে জিগাসা করি আমার ভাগ্যে এমন কেনো লেখা হলো? কিন্তু কোথায় বিধাতা? কেমন করে ডাকলে শুনবেন তিনি?

এ হাসপাতালে রুকমনির মা বলে একজন পৌঢ়া মহিলা আসে। ঘর দুয়ার ঝাড়া মোছার জন্য। সে আমাকে দুঃখ পেতে নিষেধ করে। সে বলে এ জীবনে যার যত বেশি দুঃখ পরজীবনে নাকি তার তত বেশি সুখ হয়। এই কথা শুনে আমার খুব হাসি পায়। আমি জিগাসা করেছিলাম, পরকালে আমার ঠিক কেমন সুখ হবে বলে মনে হচ্ছে তার। সে বলে সগ্গে আঙ্গুর বেদানা ফলফলুরি যখন যা চাইবেন তাই খাইতে পাইবেন আপামনি। আপনার চেহারা হবে মা দুগ্গার মত। আপনার আশে পাশে থাকবে শতেক দাসীবাঁদী, আপনার পরনে থাকবে রাণীর লাহান ডেরেশ। কপালে তারা জ্বলজ্বল করবে। আমি আমার অনেক দুঃখের মাঝেও হেসে ফেলি। ওর বর্ণনার জ্বলজ্বলে তারার কথা শুনে আমার তারা হতে ইচ্ছে করে।

স্বর্গ নরক, বেহেস্ত দোযখ আমি বুঝিনা ।শুনেছি মানুষ মৃত্যুর পরে তারা হয়ে যায়। ঐ দূর গগণ থেকে তাকিয়ে দেখে তার ফেলে আসা মাটির ধরণীকে। আমিও তারা হতে চাই। দূর থেকে দেখবো আমার মা, বাবা, বোন, বোনের ছোট্ট মেয়েটিকে। যার জন্য প্রায়ই আমার বুকের ভেতরে এক দলা কষ্ট উথলে ওঠে। আমি গিলে ফেলি। কাউকে কখনও বলিনা। ম্যাডাম প্যাট্রেসিয়া ও আমার কাউন্সেলর প্রায়ই আমাকে জিগাসা করেন আমি কাউকে দেখতে চাই কিনা। আমি দৃঢ়ভাবে বলি, না আমি কারু সঙ্গে দেখা করতে চাইনা। আমার খুব আমার বোনের পিচ্চি মেয়েটাকে দেখতে ইচ্ছে করে তবুও আমি চাইনা । আমার যে সুন্দর মুখের স্মৃতি ওর মনে আঁকা আছে, সেটা আমি নষ্ট করতে চাইনা। আমি জানি আমার এই বিভৎস্য কলঙ্কিত মুখ দেখলে ভীষন ভয় পেয়ে যাবে সে। সারাজীবন একটা বাজে স্মৃতি নিয়ে কাটাবে। আমি চাইনা আমার জীবনের সবচাইতে প্রিয় ছোট্ট ঐ মানুষটা আমার জন্য একটা বিচ্ছিরি স্মৃতি নিয়ে জীবন পার করুক।

কেনো বেঁচে আছি? কেনো আমাকে বাঁচিয়ে রাখা হলো এসব শত শত ভাবনা আছন্ন করে আমাকে। রুকমনির মায়ের কথাই কি ঠিক তাহলে? এইভাবে কি বিধাতা পরীক্ষা করছেন আমাকে? কিন্তু কিসের পরীক্ষা? কি সে পরীক্ষার নাম? মাঝে মাঝে যখন আমার কিশোরীবেলার কথা ভাবি, দু বেনী দুলিয়ে স্কুলবেলা, এক্কা দোক্কা আর চি বুড়ি খেলার দিনগুলো, প্রতিবছর বার্ষিক পরীক্ষার পর মামাবাড়ি বেড়াতে যাবার দিনগুলি। অদ্ভুত ভালো লাগা আর কষ্ট ঘিরে থাকে আমাকে। মন্দ মধুর স্মৃতির দোলাচলে দুলতে থাকি আমি।

মনে করি এসব স্মৃতি নিয়েই কাটিয়ে দেওয়া যাবে বাকীটা জীবন। মাঝে মাঝে অসহ্য লাগে। আরও কতটা কাল বাঁচতে হবে আমাকে? কি নিয়ে বাঁচবো আমি? মানুষের জীবন কাল পরিক্রমায় গড়ায়। ছেলেবেলা, কিশোরবেলা, যৌবন, তারুন্য, বার্ধক্য বা পৌঢ়ত্ব। এসব প্রতিটি বেলায় সে আস্বাদন করে জীবনের নানা মধুর আস্বাদ। রোজ ঠিক বেলা দশটায় এ হাসপাতাল গলিটার পথ ধরে একটি মা দুটি ছোট ছোট শিশুকে নিয়ে যায় স্কুলে।

এ পথটি এমনিতে নির্জন । কখনও কদাচিৎ ফেরিওয়ালা বা আইস্ক্রিমওয়ালা ভুল করে ঢুকে পড়ে এ নির্জন গলিতে। কখনও তারা আর ফিরেও আসেনা। শুধু এই দুটি বাচ্চাকে নিয়েই এই মা রোজ চলে যায় এ পথ ধরে। আমি চুপি চুপি পর্দার আড়াল থেকে ওদেরকে দেখি। বাচ্চা দুটি কি যে মিষ্টি। একটা ছেলে একটা মেয়ে। মাঝে মাঝে ওদের হাতে ধরা থাকে রঙ্গীন হাওয়াই মিঠাই, কখনও বা বেলুন। আমার কি যে ভালো লাগে ওদেরকে দেখতে। আমি রোজ বেলা দশটা বাজার আগ দিয়েই দৌড়ে আসি জানালায়। চুপি চুপি দাঁড়িয়ে থাকি পর্দার আড়ালে। ওরা কখনও আমাকে দেখতে পায় না। বড়জোর ২০ সেকেন্ড। এর মাঝেই পার হয়ে যায় ওরা এ পথ টুকু।

এরপর আমি ওদেরকে নিয়ে ভাবতে বসি। মাটা স্কুল গেটে দাঁড়িয়ে থাকবে নাকি বাড়ি ফিরে রান্না বসাবে ওদের জন্য? বাচ্চারা নিশ্চয় ঝাল খেতে পারেনা। মা ওদের জন্য রান্না করবে মুরগীর কোর্মা বা মিষ্টি পায়েস। আমার বোনের মেয়েটার কথা মনে পড়ে। আচ্ছা আমি এখানে চলে আসার পরে ও কি আমাকে খোঁজে? ওতো খুব ছোট ছিলো। ওর কি মনে আছে আমার কথা?

ভেতরে ভেতরে আমি মাতৃত্ব অনুভব করি। কিন্তু এসব কথা কাউকে বলিনা আমি .....

মন্তব্য ৬০ টি রেটিং +১৮/-০

মন্তব্য (৬০) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:০৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ভাবনার গভীরতা দানা বাঁধছে!!!

আসলে দৃষ্টি ভঙ্গিটাই অনেক কিছূ। আমি কোন দৃষ্টিকোন থেকে দেখতে চাইছি! সেভাবেই জীবন আমাকে তথ্য উপাত্ত যুক্তি সরবরাহ করে।
কেউ দু:খকে হাসি মূখে মানতে পারে ওখানে দাড়িয়েই! আবার কেউ দু:খ বিলাস করে অবচেতনেই।

চলুক আপনার গল্প!!!

১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:০৫

স্পর্শিয়া বলেছেন: দুঃখকে হাসিমুখে মেনে নেওয়াটা বড় কঠিন। ধন্যবাদ বিদ্রোহী ভৃগু। শুভকামনা।

২| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:২০

রিকি বলেছেন: আমি মুক্তি চাই। চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে করে আমি এ জীবন চাইনা। কি দোষ করেছিলাম আমি যে আমাকে এমন দূর্বিসহ জীবন পোহাতে হবে? খুব ইচ্ছে হয় বিধাতাকে ডেকে জিগাসা করি আমার ভাগ্যে এমন কেনো লেখা হলো? কিন্তু কোথায় বিধাতা? কেমন করে ডাকলে শুনবেন তিনি?

ময়ুরাক্ষী আপু গতদিন আপনার এই গল্পের দ্বিতীয় পর্বে বলেছিল, স্পর্শিয়া, নিকটার মত আপনার গল্পের কথাগুলোও স্পর্শ করে যায়। আপুর কথায় সহমত। চলতে থাকুক গল্প।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:১৪

স্পর্শিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ রিকি। শুভকামনা।

৩| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৮

সাহসী সন্তান বলেছেন: আমি মুক্তি চাই। চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে করে আমি এ জীবন চাইনা। কি দোষ করেছিলাম আমি যে আমাকে এমন দূর্বিসহ জীবন পোহাতে হবে? খুব ইচ্ছে হয় বিধাতাকে ডেকে জিগাসা করি আমার ভাগ্যে এমন কেনো লেখা হলো? কিন্তু কোথায় বিধাতা? কেমন করে ডাকলে শুনবেন তিনি?

-পদ্মা নদীর মাঝি উপন্যাসে জেলে পল্লীর মাঝিদের একটা আক্ষেপ ছিল যে, 'সৃষ্টিকর্তাকে ডাকলেও তিনি সে ডাকে সাড়া দেন না। তার কাছে গরিব নিম্ন শ্রেনীর মানুষের কোন মূল্য নেই! তিনি থাকেন ঐ নদীর ওপার , ভদ্রলোকদের মহল্লায়! সুতরাং এখান থেকে ডাকলে সে ডাক তার কানে পৌছাবে না!

আপনার গল্পের উপরি উল্লেখিত লাইনে ঠিক তেমন ধরনের কিছু আক্ষেপ লক্ষ করলাম। যে গুলো হৃদয় ছুয়ে যাওয়ার মত! অনেক ভাল লাগলো!

শুভ কামনা জানবেন!

১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:১৯

স্পর্শিয়া বলেছেন: এই উচ্ছসিত প্রশংসা আমার প্রাপ্য নয়। আক্ষেপের কথা কি বলবো আর।

৪| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


পড়লাম; এ ধরণের লেখাগুলো আমি বুঝতে পারিনা, এগুলো কি গল্প, উপণয়াস, নাকি বস্তবতা!

১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:২১

স্পর্শিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ লেখাটা কষ্ট করে পড়ার জন্য। এটা পাথরকুঁচির জীবনের গল্প।

৫| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০০

গেম চেঞ্জার বলেছেন: হাজার বছর ধরে, পদ্মা নদীর মাঝি, রক্তাক্ত প্রান্তর, পানকৌড়ি

এগুলো আদর্শ সাহিত্য। আমি হিমু সিরিজের চেয়ে সাহিত্যিক মূল্য দেই এগুলোকে। সাস ভায়ার কমেন্টে মনে হলো।

স্পর্শিয়া'কে বলি। আপনার লেখাগুলো হৃদয়ে রোপিত সবুজ ক্ষেতে কয়েকরাশ প্রবাহ এসে দোল খাইয়ে যায়। ভাল থাকুন।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:২৫

স্পর্শিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ এত প্রশংসার জন্য।

৬| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২২

শায়মা বলেছেন: ভীষন মন খারাপ হলো আপুনি!:(

১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৩৫

স্পর্শিয়া বলেছেন: মন খারাপ করবেন না। ভালো থাকুন।

৭| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:১৫

সুমন কর বলেছেন: চাপা কষ্ট লেখায় ফুঁটে উঠেছে......

ভালো হয়েছে। +।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৩৬

স্পর্শিয়া বলেছেন: এটি পাথরকুঁচির চাপা কষ্ঠের কথা। ধন্যবাদ সুমন কর।

৮| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:০১

মিমমা সুলতানা মিতা বলেছেন: এটা একটা এসিডদগ্ধ মেয়ের গল্প। যে মেয়েটি অনেক সুন্দর সাবলিল ছিল। কিন্ত পাড়ার বা মহল্লার কিছু বখাটে অথবা কারো হিংশ্রতার শ্বিকারে মেয়েটি ১টা চোখ হারায় সাথে মুখের একটা অংশ। স্পর্শিয়া কে বলছি, তুমি লিখ, যা মন চাই, যেমন মন চাই, যেভাবে মন চাই লিখ, এটা বেচে থাকার জন্য পাথর কুচির জন্য খুব প্রয়োজন। যা বাস্তবে বলা যায়না তা লিখলে মনের ক্ষতস্থান শুকাই কিছুটা হলেও। খুব সুন্দর সাবলিল হচ্ছে। পাথর কুচির বাহিরের অংশটা অমানুষগুলো নষ্ট করতে চাইলেও হ্রিদয়ের প্রতিভাকে জাগ্রত করে দিয়ে গেছে সেই সব অপরাধীরা। পাথর কুচির হৃদয় হবে আরো উন্নত, আরো প্রতিভা উন্নত, কারন যত সব মহিয়সীরা যুগে যুগে যুগান্তর সৃষ্টি করে গেছেন তারা সকলেই অনেক অনেক বিভসস কষ্ট পেয়ে যুগান্তর সৃষ্টি করে গেছে। বেচে থাকো অনন্ত কাল, তোমার কর্মের মাঝে, ট্যাঁই আর হতাশা না।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:২২

স্পর্শিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ মিমমা সুলতানা মিতা। হ্যাঁ এটা একটা এসিডদগ্ধ মেয়ের গল্প। তবে মেয়েটা জানেনা গল্পের শেষটা কোথায় তাই যা খুশি মন চাই তাই সে লিখছে। কবে শেষ হবে নাকি মাঝ পথে থেমে যেতে হবে জানেনা সে। ধন্যবাদ আপনাকে।

৯| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৫৫

মিমমা সুলতানা মিতা বলেছেন: মাঝ পথে থামার কোনো যুক্তি ই নেই। তোমাকে একটা গল্প বলি। এটাও বাস্তব, খুব বাস্তব, একেবারে সত্য ঘটনা। একটা মেয়ে ছিল অনেক সুন্দরী, কিন্ত একটা হাত আর একটা পা ছিল ডিফেক্ট তাইই সে জন্ম থেকেই একটা পা টেনে টেনে হাটতো। এরপরেও মেয়েটা ছিল আশাবাদি। কারন সে অনেক সুন্দর ছিল। তার পা পর্যন্ত চুল গুলো তাকে আকর্শনীয় করে তুলেছিল। কিন্ত দুর্ভাগ্য এস এস সি পরিক্ষার আগে তার সেই রুপের ভান্ডার চুল গুলো তেলের মিলে রডের সাথে জড়িয়ে মাথার চুলের স্কীন সহ উপড়ে যায়। তারপর তো দীর্ঘ জীবন হাস্পাতালে কাটাতে হয়। কিন্ত তার সৌন্দর্য্য আর ফিরে আসেনা, ডাক্তার বলে দেই মাথায় আর কোনো দিন চুল উঠবে না। কি যে দুর্বিসহ কষ্ট সেই মেয়েটির সেই দিন গুলো, চিরদিনের জন্য তার যোউবনের শপ্ন গুলো কবর দিয়ে সে জীবনের সাথে যুদ্ধ করতে লাগলো। তখন সে মৃত্যুর কথা ভাবতো। কিন্ত তার মা তাকে শপ্ন দিত। বলতো তোমার বড় হতে হবে লেখা পড়া শিখতে হবে। নিজের পায়ে দাড়াতে হবে। সমাজ ক্যা দেখিয়ে দিতে হবে তুমি ও পারো জীবন ক্যা নিজের মতন করে উপভোগ করতে। বিয়ে করে সন্তান জন্ম দেয়াটাই জীবন না। জীবন মানে কর্ম। কর্মের মাঝে বেচে থাকা, বিয়েতে, ছেলেমেয়েতে কোনো সুখ নেই। সব সাময়িক। এক সময় সংসারে আবেগ কেটে গেলে জীবনের কোনো মানে থাকে না। তার চেয়ে তুমি নিজেকে সাজাও, নিজেকে যোগ্য করে গড়ে তোলো। সমাজ ক্যা উপহার দাও তোমার যোগ্যতা তোমার কর্ম। কিন্ত তুমি মরে গেলে কারো কিছু হবেনা, শুধু আমি কষ্ট পাবো, তুমি কি আমাকে কষ্ট দিতে চাও? এই জন্য কি আমি তোমাকে জন্ম দিয়েছিলাম। সেদিন সেই মেয়েটি তার মাএর অনুপ্রেরনা আর ভালবাসায় বাচতে শিখেছিল। কাজ পাগল হয়ে গেছিল সেই মেয়েটি। তার ২ বছরের মাথায় মেয়েটি তার এক মাত্র বন্ধু, এক মাত্র অবলম্বন মা ক্যা হারিয়ে ফেলল চিরদিনের জন্য। মা মরে যাবার পর স্বার্থপর বাবা মেয়েটিকে শুনিয়ে শুনিয়ে বলতে লাগলো এমন অচল মেয়ে নিয়ে আমি চলবো কিভাবে? আফসোস করতে লাগলো। মেয়েটি তার বাবা ক্যা বিয়ে করতে বলল আর তার বাবা বিয়ে করলো। এরপর সৎ মা তাকে অনেক কষ্ট দিত। সে সহ্য করতে না পেরে ১ ভাই এর বাসায় গেল, সেই ভাবি তাকে অপমান করে তাড়িয়ে দিল। আর এক ভাবির ক্যাঁচে গেল সেও তাড়িয়ে দিল। তার আর কোনো জায়গা ছিলনা যাওয়ার। অনেক কষে সে ডিগ্রি পাশ করলো আর একটা এনজিওতে জব করতে লাগলো। তারপর সে একাই থাক্তো। এক সময় সে কাজ পাগল হয়ে গেল। পৃথিবীর বুকে সে খুব একা হয়ে গেল। কাজ ছাড়া কিছু বুঝতোনা, ট্যাঁই সে অফিসের প্রিয় পাত্রী হয়ে গেল। কিন্ত সেখানেও তার শত্রু লাগলো। এরপর মেয়েটি চিন্তা করললো আর চাকুরী নয়। এর মাঝে মেয়েয়াটি হোমিওপ্যাথিতে ৪ বছরের ডিএইচএমএস করলো। কিছু টাকাও জব করে গুছিওয়ে নিল। এখন সে একজন হোমিওপ্যাথি ডাক্তার নিজেই চেম্বার দিয়েছে জীবনের প্রয়োজনে। এখন সে স্বাধীন। এই পুরুষ শ্বাসিত সমাজ ক্যা চোক্ষে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে পেরেছে সে অচল নয় বরন স্বাভাবিক মানুষের চেয়ে অনেক উর্ধে। বোন এসব কিছু ই ধর্যের বেপার। মানষিক ভাবে প্রস্তুতি আর আল্লাহ ক্যা ভয়। আর সহজ জীবন যাপন মানুষ ক্যা অনেক উচুতে নিয়ে যায়। তাইই বিপদে কখোনো মনো বল হারানো উচিত নয়, তোমার পাথর কুচিকে এই গল্পটা শুনিয়ো। জীবনে থেমে যেন সে না যায়। জীবন অনেক সুন্দর শুধু সাজিয়ে নিতে হবে নিজের মতন করে। অন্যের মতন করে নয়

১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:১৯

স্পর্শিয়া বলেছেন: মিমমা আপা আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি গল্পের জন্য। পাথরকুঁচিকে গল্পটা শোনাবো। তাকে বাঁচতেই হবে।

১০| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:০৩

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: স্পর্শিয়ার , লিখা ও ছবি দুটোই হৃদয়স্পর্শী !!!
পোস্টে ভাল লাগা ।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:২২

স্পর্শিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

১১| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৪৫

শূণ্য মাত্রিক বলেছেন: ভালোলাগা রেখে গেলাম আপি :)

১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৫৯

স্পর্শিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ শূন্যমাত্রিক।

১২| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:০৫

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: এই পর্বটাও খুব মন দিয়ে পড়ছিলাম। যতটা মন দিয়ে পড়লে গল্পের আড়ালে বলা বাস্তবটা অনুভব করা যায় আর সেইসাথে যে লিখছে তাকেও। বুঝতে পারছি বলবোনা, ধরতে চেস্টা করছি অনুভুতিগুলো।

পাথরকুচির জন্য অনেক শুভকামনা রইলো।

১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৫

স্পর্শিয়া বলেছেন: যতটা মন দিয়ে পড়া হোক গল্পের আড়ালের বাস্তবতাটা বোঝা কখনও সম্ভব না। সে যন্ত্রনার কথা ভাষায় লিখে প্রকাশ করাটাও সম্ভব না। সে পথ ধরে যে যায় সেই জানে সে যাতনার ভাষা। সহমর্মিতার জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
শুভকামনা।

১৩| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:৫৬

এস কাজী বলেছেন: গল্পের প্রতিটা কথা স্পর্শ করেছে। অনেক সুন্দর। ভাললাগার।

১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৫

স্পর্শিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ এই লেখা পড়ার জন্য এস কাজী।

১৪| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:০১

রুদ্র জাহেদ বলেছেন: আমি মুক্তি চাই। চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে করে
আমি এ জীবন চাইনা। কি দোষ করেছিলাম আমি যে
আমাকে এমন দূর্বিসহ জীবন পোহাতে হবে? খুব
ইচ্ছে হয় বিধাতাকে ডেকে জিগাসা করি আমার
ভাগ্যে এমন কেনো লেখা হলো? কিন্তু
কোথায় বিধাতা? কেমন করে ডাকলে শুনবেন তিনি?

গল্পে গল্পে বিষাদময় স্মৃতিচারণ করতে করতে হাসি-কান্নার চিহ্ন। স্স্পর্শিয়া আপুনি তোমার লেখাগুলি হৃদয় স্পর্শ করে।

১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৭

স্পর্শিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ রুদ্র জাহেদ। ভালো থাকুন।

১৫| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:২৯

জেন রসি বলেছেন: গল্পে অনুভুতিগুলো খুব জীবন্ত।মনে হয় খুব তীব্রভাবেই তা আমাদের স্পর্শ করছে। গল্পের এই পর্বে নিঃসঙ্গতার এক অন্যরকম আবহ ছিল যা পাঠকের মন খারাপ করে দিতে বাধ্য। চমৎকার হচ্ছে।

১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫২

স্পর্শিয়া বলেছেন: জীবন্ত অনুভুতি কাকে বলে জানিনা। নিসঙ্গতা এক অদ্ভুত জিনিস কখন কাকে যে গ্রাস করে। চারিদিকে পৃথিবীর এত কোলাহল। তবুও কোথাও কেউ নেই। প্রশংসার জন্য ধন্যবাদ জেন রসি।

১৬| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:৫৪

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: মর্মস্পর্শী!

১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৩

স্পর্শিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ লেখাটা পড়ার জন্য।

১৭| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৯

রেজওয়ানা আলী তনিমা বলেছেন: এরপর আমি ওদেরকে নিয়ে ভাবতে বসি। মাটা স্কুল গেটে দাঁড়িয়ে থাকবে নাকি বাড়ি ফিরে রান্না বসাবে ওদের জন্য? বাচ্চারা নিশ্চয় ঝাল খেতে পারেনা। মা ওদের জন্য রান্না করবে মুরগীর কোর্মা বা মিষ্টি পায়েস। আমার বোনের মেয়েটার কথা মনে পড়ে। আচ্ছা আমি এখানে চলে আসার পরে ও কি আমাকে খোঁজে? ওতো খুব ছোট ছিলো। ওর কি মনে আছে আমার কথা?

ভেতরে ভেতরে আমি মাতৃত্ব অনুভব করি। কিন্তু এসব কথা কাউকে বলিনা আমি .....

কি সুন্দর লাইন গুলো। আপনার সাবলীল লেখনী খুব ভালো লাগলো। শুভেচ্ছা।

১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৪

স্পর্শিয়া বলেছেন: রেজওয়ানা আন্তরিক ধন্যবাদ রইলো ।

১৮| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: অসহ্য রকম বেদনাময়।

১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:০৬

স্পর্শিয়া বলেছেন: লেখাটা পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

১৯| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৮

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: দুঃখকে হাসিমুখে মেনে নেওয়া ছাড়া কোন উপায় নেই যদিও বিষয়টা বড় কঠিন।





ভালো থাকবেন নিরন্তর।

১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:০৭

স্পর্শিয়া বলেছেন: নিয়তি খন্ডানো সম্ভব নয় হয়তো। ধন্যবাদ

২০| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:০০

ধ্রুব অন্যকোথাও বলেছেন: খুবই হৃদয়স্পর্শী গল্প।ভাষার ব্যবহার চমতকার।আগের পর্বগুলোতে গভীরতা টা জমাট বাধেনি।এখানে এসে অনেকটাই নির্দিষ্ট রূপ পেয়েছে।নারী চরিত্রের পয়েন্ট অফ ভিউ বাংলাদেশের সাহিত্যে খুবই রেয়ার।
আমার একটা জিনিস ই ভালো লাগেনি তা হল, কেমন একটা বাক্সে আটকা পড়ে গিয়েছেন মনে হচ্ছে।ট্র্যাজেডি টাইপের লেখা গুলোতে কিংবা সিনেমাগুলো দেখা/পড়ার সময় এক পর্যায় গিয়ে বুঝাই যায় এরপর আরো ভয়ংকর এবং আরো হতাশাজনক কিছু আসছে।আপনার লেখাতে এই ব্যাপারটা আছে।যার ফলে অনুমেয় হয়ে যাচ্ছে সব পরিনতি।আশা করছি সামনে নতুনত্ব এবং আরো ভালো কিছু পাবো।

১২ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:২৯

স্পর্শিয়া বলেছেন: এটা গল্প কিনা আমি জানিনা। আর গল্পের এত শত ছকও জানা নেই আমার। যা মনে আসছে লিখছি। ধন্যবাদ আপনাকে।

২১| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৬

নুর ইসলাম রফিক বলেছেন: পোস্ট করেছি: ৬টি
মন্তব্য করেছি: ১০৩টি
মন্তব্য পেয়েছি: ১৬০টি
ব্লগ লিখেছি: ১ সপ্তাহ ৬ দিন
অনুসরণ করছি: ০ জন
অনুসরণ করছে: ১৫ জন

কি করে সম্ভব একটু বুজিয়ে বলবেন কি দয়া করে।

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৭

স্পর্শিয়া বলেছেন: আপনার প্রশ্নটা বুঝতে পারিনি। দয়া করে বুঝিয়ে বলবেন।

২২| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:০১

নুর ইসলাম রফিক বলেছেন: অল্প দিনে আকাশ ছোয়া জনপ্রিয়তার রহস্যটা কি বলবেন।

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:১৫

স্পর্শিয়া বলেছেন: আকাশ ছোঁয়া খুব কঠিন। জানালার ভেতর থেকে খুব কম আকাশটুকু দেখা যায় নুরভাই। ভালো থাকবেন। শুভকামনা।

২৩| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:০৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: স্পর্শিয়া ,



মানুষের জীবনে যে কতো সহস্র জটিলতা -----------

এ পর্বের লেখাটা কেমন যেন ঝুলে গেছে মনে হলো আমার কাছে ।

ভালো থাকুন, লেখায় থাকুন ।

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:২০

স্পর্শিয়া বলেছেন: আহমেদ জী এস বলেছেন: স্পর্শিয়া ,



মানুষের জীবনে যে কতো সহস্র জটিলতা -----------

জটিলতা কাটাতে হবে। যুদ্ধ করতে হবে । সব প্রতিবন্ধকতা কাটাতে হবে। কিন্তু আমি জানিনা সেটা কি করে সম্ভব। এত মানষিক দৃঢ়তা কোথায় পায় মানুষ?
আমি যা মনে আসে লিখছি। কোথায় কেমন কি হলো জানিনা।

ধন্যবাদ আহমেদ জী এস ভাই। শুভকামনা।

২৪| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৪

দর্পণ বলেছেন: এরপর আমি ওদেরকে নিয়ে ভাবতে বসি। মাটা স্কুল গেটে দাঁড়িয়ে থাকবে নাকি বাড়ি ফিরে রান্না বসাবে ওদের জন্য? বাচ্চারা নিশ্চয় ঝাল খেতে পারেনা। মা ওদের জন্য রান্না করবে মুরগীর কোর্মা বা মিষ্টি পায়েস। আমার বোনের মেয়েটার কথা মনে পড়ে। আচ্ছা আমি এখানে চলে আসার পরে ও কি আমাকে খোঁজে? ওতো খুব ছোট ছিলো। ওর কি মনে আছে আমার কথা?

ভেতরে ভেতরে আমি মাতৃত্ব অনুভব করি। কিন্তু এসব কথা কাউকে বলিনা আমি .....

স্যালুট টু ইউ। আপনি একজন অসাধারণ লেখিকা। অনুভুতি প্রকাশের এক আশ্চর্য্য ক্ষমতা রয়েছে আপনার। আপনার লেখক জীবন সফল হোক।

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৪৯

স্পর্শিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ দর্পন। অনুপ্ররনাময় মন্তব্য। ভালো থাকবেন।

২৫| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩২

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: বেশ বেদনাদায়ক হয়ে উঠছে গল্পের বিস্তারে ।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৪

স্পর্শিয়া বলেছেন: পাথরকুঁচিদের সহনশীলতা অনেক বেশি। বেদনাকে বেদনা মনে হলেও ...

২৬| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৭

সৈয়দ জায়েদ আহমদ বলেছেন: বেশ গভীরতায় হারিয়ে গেলাম কিছুক্ষনের জন্য।। শুভ কামনা রইলো।

০১ লা নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৭

স্পর্শিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ সৈয়দ জায়েদ আহমেদ।

২৭| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:১৮

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: টানা সবকয়টা পর্ব পড়া শুরু করেছি, এই পর্বে এসে যেন পাথরকুঁচি'কে নিজের চোখে দেখতে পারছি। জানালার পর্দা'র ফাঁক গলে পাথরকুঁচি'র চাহনি; সাথে সেই মা এবং তার দু'সন্তানকে, হাতে হাওয়াইমিঠাই নিয়ে হেঁটে যাচ্ছে নীরব গলি পথ ধরে। এই পর্বে পাথরকুঁচি'র কষ্টগুলো নিজেতে অনুভূত হচ্ছে।

পরের পর্বে গেলাম।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:২৩

স্পর্শিয়া বলেছেন: আমার লেখাগুলো পড়বার জন্য আপনাকে অন্তর থেকে ধন্যবাদ। পাথরকুঁচিদের কষ্টগুলো কেউ যদি সামনে থেকে দেখতো তবে হয়তো বুঝতো মানুষের জীবন এক নিমেশে আনন্দ উচ্ছলতা থেকে দুখের সাগরে কিভাবে পতিত হতে পারে।

২৮| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:২৯

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: সত্য বলতে এর আগে পাথরকুঁচিদের কথা শুনেছি, কিন্তু এভাবে নয়। আপনার লেখনীর গুণে যেন স্বচক্ষে দেখতে পাচ্ছি।

যথার্থই বলেছেন, পাথরকুঁচিদের কষ্টগুলো কেউ যদি সামনে থেকে দেখতো তবে হয়তো বুঝতো মানুষের জীবন এক নিমেশে আনন্দ উচ্ছলতা থেকে দুখের সাগরে কিভাবে পতিত হতে পারে।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:০৪

স্পর্শিয়া বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ বোকামানুষ বলতে চায়। কেনো এই মন্তব্যগুলোর কোনো নোটিফিকেশন পাইনি বুঝলাম না।

২৯| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: ভেতরে ভেতরে আমি মাতৃত্ব অনুভব করি। কিন্তু এসব কথা কাউকে বলিনা আমি ..... -- একেবারে শেষের এই একটা কথাই ভীষণ নাড়া দিয়ে গেলো, স্পর্শিয়া!
আবার কেউ দু:খ বিলাস করে অবচেতনেই -- ১ নং মন্তব্যের এই কথাটা বোধহয় একটু হার্শ হয়ে গেছে, আমার কাছে মনে হলো।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:১৫

স্পর্শিয়া বলেছেন: মন্তব্যের জন্য আর আমার লেখাটা মন দিয়ে পড়বার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ খায়রুলভাই।

৩০| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:১০

খায়রুল আহসান বলেছেন: দিনটা আমার জন্মদিন ছিল।

১৩ ই মে, ২০১৭ রাত ৮:৪১

স্পর্শিয়া বলেছেন: হ্যাপী বার্থডে ! :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.