নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এসো---ছোঁও--- সম্পূর্ণ পাথর হয়ে গেছি কিনা দেখো।

স্পর্শিয়া

স্পর্শিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

পাথর চোখে দেখা পাথরকুঁচি জীবন- ৫ম পর্ব

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:০৪


দ্বিতীয় জীবন-১ম পর্ব
পাথরকুঁচির জীবনের দ্বিতীয় অধ্যায়ের আগের অংশটুকু- ২য় পর্ব
পাথরকুঁচি জীবনের দিন ও রাত্রীগুলো-তৃয় পর্ব
পাথরকুঁচি জীবনের স্বপ্ন ও কান্নারা-৪র্থ পর্ব

এই সেন্টারটিতে একটা ছোট্ট লাইব্রেরী আছে। ছোট্ট বলছি এইজন্য যে তাতে বই এর সংখ্যা খুব কম। এক আলমারীতে শুধুই শিশুতোষ বই পুস্তক। আর দুটি ছোট আলমারীতে নানারকম বই। এখানে আমি কখনও কোনো শিশু দেখিনি। তবুও শিশুতোষ বই কেনো এখানকার আলমারীতে রাখা আছে ঠিক বুঝিনা আমি। কাউকে এ ব্যাপারে কিছু জিগাসাও করিনি কখনও। বসে বসে সেসব ছোটদের গল্পগুলোও পড়ে ফেলি আমি। রুপকথার গল্প, দৈত্যি দানো। ছোটবেলায় কি সাংঘাতিক প্রিয় ছিলো আমার রুপকথা। রুপকথার বন্দিনী রাজকন্যার দুঃখে কত যে কষ্ট পেতাম। ফুঁপিয়ে কাঁদতাম।

নিজেকে বন্দিনী রাজকন্যা ভাবতে ইচ্ছে করে । কোনোদিন কোনো রাজপুত্র আসবে, আমাকে উদ্ধার করে নিয়ে যাবে এ মৃত্যুপুরী থেকে। পরমুহুর্তেই শিউরে উঠি আমি। রাজকন্যারা তো অনেক সুন্দর হয়। এত বেশী সুন্দর যে তাদেরকে দেখলে চোখের পলক পড়েনা। কিন্তু আমি? না না কোনো রাজপুত্র কখনও না আসুক আমার এই পাষানপুরীতে।

এই বাড়িটাকে আমার পাষানপুরীর মতনই মনে হয়। কোন এক অদ্ভুত কারণে এইখানে কেউ কারো সাথে কথা বলেনা, গল্প করেনা। সবাই যেন মন মরা বিষন্ন হয়ে থাকতেই এইখানে এসেছে। অবশ্য মাঝে মাঝে তাদের আত্মীয় স্বজনেরা আসে। ভিজিটরস রুমে তারা খুব আস্তে কথা বলে। কখনও কখনও কান্নার রোল ওঠে।সময় পেরুলে ঘন্টা বাজে যখন তখন সবাই একে একে বিদায় নেয়। আবার পাষান পুরীতে নেমে আসে নিস্তব্ধতা।

এ সেন্টারটিতে শুধুই মেয়েরা রয়েছে। সব মেয়েরাই বয়সে তরুনী। শুধু একজন পৌঢ়া মহিলা আছেন তিনি চুপচাপ বাগানের ধারের সিড়িটার উপর বসে থাকেন। কখনও কারো সাথে কথা বলেন না। অন্যান্য যারা আছে আমি কখনও তাদেরকেও খুব একটা কথা বলতে দেখিনা। আমি কখনও তাদেরকে বলতে শুনিনি, জানতে চাইতে দেখিনি কে কেনো এই অবস্থার শিকার হলো। কি হয়েছিলো তাদের ঠিক। মেয়েরা একখানে হলে কথা বন্ধ রাখতে পারেনা। কিন্তু এখানে কেনো যেন সবাই বোবা হয়ে গেছে।

আমিও বোবা হয়ে গিয়েছি। আমি লিখি। সকালে, দুপুরে বিকেলে রাতে যখন যা মনে আসে লিখে রাখি। আনা ফ্রাঙ্কের মত হয়তো কখনও আমার এ ডায়েরী পড়ে আমার মা বা আমার বোন কাঁদবে। আমি চাইনা তাদেরকে আর কষ্ট দিতে, তারা আমার জন্য কাঁদুক তা আমি একদমই চাইনা। তাই আমি তাদের সাথে দেখা করিনা। আমার কাউন্সেলর বলেন আমি মানষিক রোগে ভুগছি। কি যেন একটা মেডিকেল টার্মও বলেন তিনি। আমি সেটা শুনতেও চাইনা।

ভিজিটরস রুমের পেছনের দিককার যে ছোট্ট বারান্দাটা আছে সেই বারান্দার বন্ধ দরজার খড়খড়িটায় একটু ফাকা করে রেখেছি আমি। ভিজিটরস টাইমে আমি সেখানে চোখ পেতে দাঁড়িয়ে থাকি চুপি চুপি। সবার আত্মীয় স্বজনদেরকে দেখি। তাদের কথা শুনি। আড়িপাতা খুব খারাপ স্বভাব আমি জানি সেটা। তবুও আমি আজকাল সেটাই করি। জেনে শুনেই করি। কারণ আমি দেখি মানুষের কত রকম দুঃখ, কষ্ট, কত রকম তার কারণ, কার কেমন আত্মীয় স্বজন, কেমনভাবে রিএ্যাক্ট করছে তারা অথবা হয়তো কি দেখতে চাই আমি তা নিজেই জানিনা।

হয়তোবা দীর্ঘ ক্লান্তিকর এক ঘেয়ে জীবনটাতে আনন্দের উপকরন আমার এসব নানারকম দুঃখগুলোই দেখে চলা। তবে একটা জায়গায় এসে এই সেন্টারের সকলের দুঃখ একটাই। আমরা সবাই এখানে দ্বিতীয় জীবন কাটাচ্ছি। গ্লানিময় দ্বিতীয় জীবন। প্রথম জীবনটা আমরা ফেলে রেখে এসেছি এক সোনালী অতীতে। সে অতীতটা থেকে কোনো কোনো মানুষ কখনও কখনও এখানে উঠে আসে আমাদেরকে দেখতে। আমি আর প্রথম জীবনের সাথে আমার কোনো সম্পর্ক রাখতে চাইনা।

আমি মাঝে মাঝে চোখ বুজে একটা ভয়ংকর দৃশ্য দেখি। ভয়ংকর বলছি এ কারণে যে, সে দৃশ্য চোখে ভেসে উঠলেই,ভয়ে সারা শরীরে কাঁটা দেয় আমার। আমি দেখি একদিন এমনই এক ভিজিটরস আওয়ারে আবির আমার মুখোমুখি বসে আছে। আমার হাত দুটো ধরে রেখেছে সে। আমার খুব লজ্জা করছে। লজ্জার কারণ আমার এই কুৎসিত মুখের দিকে তাকিয়ে আছে আবির। আবির কি আমাকে ঘেন্না পাচ্ছে? ভয়ে কেঁপে উঠি আমি। আমার এ কলঙ্কিত মুখ আমি দেখাতে চাইনা আবিরকে। আমি মুখ নীচু করে বসে থাকি।

আবির কি কোনোদিন আমার খোঁজে এই হাসপাতালে চলে আসবে? ভীষন খারাপ লাগতে শুরু করে আবার। হার্টবিট বেড়ে যায়। আমার নিশ্বাস বন্ধ হয়ে আসে। না এটা কিছুতেই সম্ভব না। খুব খারাপ হবে সেটা। আমি মনে মনে সব সময় একটু বিষ খুঁজি। কোথায় যদি পাওয়া যেত। লুকিয়ে রাখতাম। আমার দৃঢ় বিশ্বাস কখনও সেটা প্রয়োজন হবে আমার। আমাকে একটু বিষের ব্যাবস্থা করতেই হবে। যে করেই হোক। আমি মনে মনে বিষ খুঁজে বেড়াই।

আমি সারাটা হাসপাতাল হেঁটে বেড়াই একা একা। এ বিশাল ভবনটির কয়টা জানালা, কয়টা দরজা কোথায় কি আছে সে আমি চোখ বুজে বলে দিতে পারবো। দোতলা রুমগুলো ফাকা পড়ে থাকে নিরর্থক। অনেক পুরোনো আমলের এ সুবিশাল ভবনটিতে এত উঁচু ছাদ। ছাদে বসে থাকতে আমার খুব ভালো লাগে। কিন্তু ম্যাডাম প্যাট্রেসিয়া ছাঁদের দরজায় তালা দিয়ে রাখার কড়া নির্দেশ দিয়েছেন কেন যেন। হয়তো উনি আমাদেরকে বিশ্বাস করেন না।

আমি মাঝে মাঝে দুপুরবেলা সিড়ি বেয়ে উপরে উঠে যাই ছাদের দিকে। ছাদের দরজার দুই পাল্লার কড়াতে লাগানো রয়েছে বিশাল তালাটা। দুই পাল্লা ফাকা করে যতখানি চোখ যায় তাকিয়ে থাকি আমি। কখনও দুইটা বা তিনটা শালিক। কখনও বা চুড়ুয়েরা কিচির মিচির করে ঘুরে বেড়ায় ছাদে। পাখিদের জীবনটা কি মজার। যেথায় খুশী উড়ে চলে যায়। একদিন একটা চুড়ুই নির্ভয়ে চলে আসলো আমার দরজার পাল্লার কাছে। একটুও ভয় না পেলে ঘাড় কাৎ করে তাকিয়ে রইলো আমার দিকে। আমি দরজার ফাকা দিয়ে ওর দিকে হাত বাড়িয়ে দিলাম। খুব দুঃখ হলো। আমার হাতে কোনো খাবার ছিলোনা?

আমার মনে পড়লো আমার ছোটবেলায় পোষা কবুতরের কথা। ছোট পিচ্চি বাচ্চাদুটোকে বাজার থেকে এনেছিলেন বাবা। তাদেরকে গম খাওয়াতাম আমি। হাত থেকে খাবার খুটে খেত তারা। আমার অনেকগুলো পোষা মুরগীও ছিলো। যদিও সেসব মায়ের শখ ছিলো কিন্তু রোজ সকালে আর সন্ধ্যায় ওদের ছোট্ট ঘরটার হুড়কো খুলে দেওয়া বা বন্ধের কাজটা আমিই করতাম। গুনে গুনে সন্ধ্যায় ঘরে তুলতে হত ওদেরকে। কত কথা মনে পড়ে আমার।

আমি ছাদের সিড়িঘরে সিড়ির উপর একা একা বসে থাকি। একরকম অদ্ভুত শীতলতা এই বন্ধ সিড়িঘরে। একধরনের বদ্ধ সোদা গন্ধও আছে এ সিড়িঘরটিতে। আমার নানাবাড়ির ছাদের সিড়িঘরটাও তালা দেওয়া থাকতো। সেখানেও ঠিক এমনি গন্ধ ছিলো। ধান সিদ্ধ করা ডোল রাখা থাকতো সেখানে। তার এক অন্যরকম গন্ধ। তপ্ত গনগনে ছাদের উপর যখন বৃ্ষ্টি পড়ে তখনও এক পোড়া পোড়া গন্ধ ওঠে। সে গন্ধটুকুও আমি চোখ বুজে মনে করতে চেষ্টা করি। আমি অতীতের মাঝে নিজেকে খুঁজতে থাকি। দ্বিতীয় জীবনে আমার কোনো আনন্দ নেই। সোনালী অতীতের সেই প্রথম জীবনের সুখস্মৃতিগুলিই আমার একমাত্র আনন্দের উপকরণ।

একদিন একটা আশ্চর্য্য ঘটনা ঘটলো। আমার নামে একটা পারসেল এলো। পারসেলের গায়ে বিদেশী টিকেট। বিদেশী ঠিকানা।আমার এত্ত ভয় লাগছিলো। আমি নিশ্চিৎ ভাবছিলাম এটা আবিরই হবে।আবির ছাড়া কে পাঠাবে আমাকে বিদেশ থেকে এমন একটা পারসেল?
ম্যাডাম প্যাট্রেসিয়া আমাকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন। তিনিই প্যাকেটটা আমার হাতে দিয়ে মিটি মিটি হাসছিলেন। আমার এত রাগ লাগছিলো। প্যাকেটটা খুলতেই বেরিয়ে এলো একটি বিশাল সুদৃশ্য কার্ড। কার্ডটা খুললেই একটা অদ্ভুত সুন্দর টুং টাং মিউজিক বেজে উঠলো আর তাতে শুভেচ্ছাবাণী লেখা। কিন্তু আরও অদ্ভুত ব্যাপার যেটা সেটা হলো সাথে একটি চাকুরীর অফার লেটার। আমি তো কোথাও চাকুরীর জন্য আবেদন করিনি তাহলে কি এটা? পাঠালোই বা কে?

চিঠিটা পাঠানো হয়েছে এই হাসপাতালটি যে এনজিও এর অধীনে চলে তার সদর দপ্তর থেকে। তারা আমাকে তাদের এনজিওতে একটি চাকুরীর অফার দিয়েছে। এখুনি নয় সেখানে যেতে হলে আমাকে ৬ মাসের কম্পিউটার কোর্স আর ল্যাঙ্গুয়েজ কোর্স করতে হবে। সব ব্যাবস্থাই করবেন এই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আমি একই সাথে খুশি হলাম আবার বিমর্ষও হলাম। বিমর্ষ হবার অনেক কারণ আছে আমার কিন্তু খুশির কারণটা বলি।

আমার এ চেনা পৃথিবী থেকে অন্তত আমি পালিয়ে যেতে পারবো। অজানা কোনো দূর দেশে। আমার প্রিয়জনেরা আমাকে ভেবে আর কষ্ট পাবেনা। তারা জানবে আমি ভালো আছি। সুখে আছি। চোখের সামনে এই জলন্ত অভিশাপ দেখে অহর্নিশ যে কষ্টে তারা ভুগতো। আমাকে না দেখে দেখে সে কষ্টের তীব্রতা কেটে যাবে একদিন। আবিরও আমাকে ভুলে যাবে। আবিরের সংসার হবে। সন্তান হবে।আমি ওদের কাছে হয়ে যাবো কোনো এক মৃত মানুষ।

সন্তান! সন্তানের কথা মনে হতেই মনে পড়লো একটা ঘটনা। আপুর যেবার মেয়ে হলো। আপুর শ্বাশুড়ি মানে আবিরের মা আক্ষেপ করছিলেন, প্রথম নাতনী মানে বড় ছেলের প্রথম সন্তান ছেলে হলেই তিনি খুশি হতেন বেশি, আবির দুষ্টুমী করে বলেছিলো, বড় ছেলের মেয়ে হইসে তো কি হইসে আপনার ছোট ছেলে আছেনা? তাড়াতাড়ি বিয়ে দেন ছোটছেলের নিশ্চয় ছেলে সন্তান হবে। কথাটা বলে আবির হাসছিলো, চোখ টিপ দিয়েছিলো আমার দিকে। আমার তখন লজ্জায় ধরণী দ্বিধা হও অবস্থা।

আচ্ছা আবিরের সন্তান কি ছেলে হবে নাকি মেয়ে? সেদিন কি তার মনে পড়বে সেই কথাটা। যে সন্তানের মা হবার কথা ছিলো আমার আর সেটা নিয়েই দুষ্টুমী করেছিলো আবির একদিন। ছেলে হলে তার নাম কি হবে? অথবা মেয়েটা? তারা কি আবিরের মত দেখতে হবে। ছেলেটা কি হবে ওর মত? ঝাঁকড়া বাবড়ী চুলের গোলগোল বুদ্ধিদীপ্ত দুটো চোখ। আবিরকে আমার খুব মনে পড়তে থাকে। আমার খুব কষ্ট হয়।

আমার চোখ দিয়ে অবিরল পানি ঝরছে। আমি চোখ মোছার চেষ্টা করিনা। মনের অর্গল খুলে কাঁদি। বুকের ভেতরে পাষান হয়ে জমে থাকা সব কষ্টগুলো গলে যাক। জল হয়ে বের হয়ে যাক চিরজীবনের জন্য আমাকে ছেড়ে। সবাইকেই ছাড়তে হলো শুধু এই চোখের জলটাই আমাকে ছাড়লোনা।

আমি যখন কাঁদি-
আমার পাথর চোখের কোনা দিয়েও জল গড়িয়ে পড়ে। অক্ষিবিহীন পাথর চোখে জল গড়াতে পারে এ আমার জানা ছিলো না।
তবে কি আমার জীবন্ত চোখটির দুঃখে আমার পাথর চোখও কাঁদে?

মন্তব্য ৫২ টি রেটিং +১৫/-০

মন্তব্য (৫২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:২০

প্রামানিক বলেছেন: ভাল লাগল। ধন্যবাদ

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৫

স্পর্শিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

২| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:২৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: স্পর্শিয়া ,



পাথরকুঁচির কাঁটায় ক্ষতবিক্ষত এক হৃদয়ের স্পর্শ দিয়ে গেলেন পাঠককে ।

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৫৭

স্পর্শিয়া বলেছেন: পাথরকুঁচির হৃদয় এখন পাথর। ধন্যবাদ আহমেদভাই।

৩| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৫০

জেন রসি বলেছেন: If we must die, let it not be like hogs
Hunted and penned in an inglorious spot,
While round us bark the mad and hungry dogs,
Making their mock at our accursed lot.
If we must die, O let us nobly die,
So that our precious blood may not be shed
In vain; then even the monsters we defy
Shall be constrained to honor us though dead!
O kinsmen! we must meet the common foe!
Though far outnumbered let us show us brave,
And for their thousand blows deal one death-blow!
What though before us lies the open grave?
Like men we'll face the murderous, cowardly pack,
Pressed to the wall, dying, but fighting back!

Claude McKay

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:০০

স্পর্শিয়া বলেছেন: প্রস্তর হৃদয়ের সাথে প্রস্তরের যুদ্ধ অনিশেষ। ধন্যবাদ জেন রসি।

৪| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৫৭

রিকি বলেছেন: আমি অতীতের মাঝে নিজেকে খুঁজতে থাকি। দ্বিতীয় জীবনে আমার কোনো আনন্দ নেই। সোনালী অতীতের সেই প্রথম জীবনের সুখস্মৃতিগুলিই আমার একমাত্র আনন্দের উপকরণ। নতুন করে কিছুই বলার নাই...চলতে থাকুক.

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:০১

স্পর্শিয়া বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ রিকি। ভালো থাকুন।

৫| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৫৮

গেম চেঞ্জার বলেছেন: এক ফোঁটা কান্না, এক ছটাক সমবেদনা, এক লাইন বাক্য ছাড়া আর কোন সম্বল নেই পাথরকুঁচিকে দেবার মত...

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:১২

স্পর্শিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ গেম চেঞ্জার। সাথে থাকবার জন্য প্রথম থেকে।

৬| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৪২

হাসান মাহবুব বলেছেন: স্পর্শিয়া, আপনার লেখা বরাবরই স্পর্শ করে বেদনার গহীন মানসপট। ভালো থাকুন।

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৩

স্পর্শিয়া বলেছেন: প্রশংসাময় বাক্যে কৃতজ্ঞতা হাসান মাহবুব।

৭| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:০৩

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: পড়লাম। মন্তব্য করবার মত কিছু খুজে পাচ্ছিনা। তবে একটা কথা, কোনোদিন আবীরেরা ফিরে আসলে ফেরানো ঠিক হবেনা। আমি বিশ্বাস করি ভালোবাসার কাছে শারীরিক সৌন্দর্য্য কোনো ব্যাপার হয়ে দাড়ায়না।

শুভকামনা রইলো।

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৭

স্পর্শিয়া বলেছেন: বিশ্বাস করতে চাই আপনার কথা। তবু মনে হয়,

কি যাতনা বিষে
বুঝিবে সে কি সে
কভু আশিবিষে দংশেনি যারে....

৮| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:৩২

রুদ্র জাহেদ বলেছেন: আমি যখন কাঁদি-
আমার পাথর চোখের কোনা দিয়েও জল
গড়িয়ে পড়ে। অক্ষিবিহীন পাথর চোখে জল
গড়াতে পারে এ আমার জানা ছিলো না।
তবে কি আমার জীবন্ত চোখটির দুঃখে আমার
পাথর চোখও কাঁদে?
শেষ এখানে এসে একদম মর্মে ছুঁয়ে দিলো মনে হয়--

নতুন করে আর কিছু বলার নেই।বরাবরের মতোই অসাধারন।খুব নির্মল-ঝরঝরে রোমন্হন।যা লেখক চরিত্রের গভীরে গিয়ে বর্ণনা করতেছেন বলে মনে হয়।ফলে পুরোটা এক নিঃশ্বাসে পড়ার পর আবার পড়ার তাড়না দেয়।কোনো বিরক্তি আসে না!
স্পর্শিয়া দারুন।স্পর্শিয়া আপুনি ভালোবাসা জানবেন।

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৭

স্পর্শিয়া বলেছেন: লেখার প্রশংসাগুলো আমাকে আপ্লুত করছে। বুকের ভেতরের ব্যথার নদী ঢেলে দেওয়া যায়না ভাষার জালে। ধন্যবাদ রুদ্রভাই।

৯| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:০৪

ডাঃ মারজান বলেছেন: ভালোবাসা হারায় না, ফিরে ফিরে আসে। ভাবতে ইচ্ছা করে হয়ত আবির কোন একদিন ফিরে আসবে,পাথরকুচির হাত দুটি ধরবে।

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৩

স্পর্শিয়া বলেছেন:



আবিরের ফিরে আসা পাথরকুঁচির কাম্য নয়। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

১০| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৩৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন:

পাথকুচির পাথরেও ফোটে ফুল
দু:খ গুলো বদলে যাক
হেসে উঠুক নতুন সূর্খ
ভেঙ্গে যাক মনের একপেশে ভুল! ;)



আর জানেন নিশ্চয়ই পাথর কুচির পাতা থেকেই নতুন গাছ জন্মে! বুঝতেই পারছেন আপনার বেদনার মহাকাব্য আপনাকে নতুন উপহার দিতে যাচ্ছে- নতুন ফুল.. নতুন সূখ.. সাহিত্যে যোগ হতে যাচ্ছে নতুন শক্তিশালী লেখীকার!

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫১

স্পর্শিয়া বলেছেন:



এমন অনুপ্রেরনামূলক মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ বিদ্রোহী ভৃগু।

১১| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৪

সুমন কর বলেছেন: আপনি কি আগে লিখতেন?

চমৎকার হয়েছে। +।

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:০৮

স্পর্শিয়া বলেছেন: আমি লিখি। সকালে, দুপুরে বিকেলে রাতে যখন যা মনে আসে লিখে রাখি।

ধন্যবাদ সুমন কর।

১২| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৭

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: পড়ুক না কয়েক ফোঁটা জল...... তাতেই তো পাতর কুচি ভারমুক্ত হবে। পাথর কুচির অব্যক্ত বেদনা গুলো কয়েক ফোঁটা জল হয়ে পড়ুক। :(

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:১১

স্পর্শিয়া বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ দেশ প্রেমিক বাঙ্গালী

১৩| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:০৮

আলোরিকা বলেছেন:
'তবে কি আমার জীবন্ত চোখটির দুঃখে আমার পাথর চোখও কাঁদে?' ........... অসাধারণ !!!!

পাথরকুঁচি কে অভিনন্দন - শুভেচ্ছা :)

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:১২

স্পর্শিয়া বলেছেন: আলোরিকা আপনাকে ধন্যবাদ।

১৪| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৬

farhan বলেছেন: Excellent

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৪

স্পর্শিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৫| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৩০

গোর্কি বলেছেন:
সুন্দর লেখায় ভাললাগা।

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৪৪

স্পর্শিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ গোর্কী।

১৬| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৩৮

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: একজন শক্তিমান লিখকের আগমন ধ্বনি শুনতে পাচ্ছি ।
( অথবা আগমন অনেক আগেই ঘটেছে , যার ধ্বনি আমি শুনতে পাইনি)
অভিনন্দন নিন ।

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৪৫

স্পর্শিয়া বলেছেন: মাঝে মাঝে ভাবছি এত প্রশংসা কি আমার প্রাপ্য?
মনে হয় না। খেলার ছলে এই লেখালিখির শুরু।
ধন্যবাদ গিয়াসভাই।

১৭| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩২

সাহসী সন্তান বলেছেন: স্পর্শিয়া আপু! আমার পোস্টে আপনাকে নিয়ে যে লেখাটা আমি লিখেছি সেটা কি মুছে দেবো? কিংবা আপনার নামের সাথে মিথিলা নামের যে নিক নেমটার কথা আমি উল্লেখ করেছি, আপনি চাইলে পোস্ট এডিট করে আমি মিথিলার ব্যাপারটা ওখান থেকে মুছে দিতে পারি! দয়াকরে মন্তব্যের উত্তরটা একটু দ্রুত বলবেন! আপনি চাইলেই শুধুমাত্র আমি এমনটা করতে পারি! কারণ বিষয়টা নিয়ে অনেক ব্লগারই আপত্তি করছেন!

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৫৪

স্পর্শিয়া বলেছেন: এই মন্তব্যের উত্তরের মনে হয় আর কোনো প্রয়োজন নেই। আপনার সর্বাঙ্গিন মঙ্গল কামনা করছি।

১৮| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৮

দর্পণ বলেছেন: স্পর্শিয়া, আপনার লেখক জীবন সার্থক হোক। আপনি কে বা কার কথা লিখেছেন জানিনা। তবে অনুভুতিগুলি বড় সত্য। আমি বা অনেকের মনেই ধারনার জন্ম নেবে এ শুধু গল্প নয় , এ হয়তো কোনো জীবন থেকেই নেওয়া। কিন্তু যার গল্পই হোক বা যার জীবনই হোক না কেনো তার গোপনীয়তা রক্ষার পূর্ণ অধিকার আপনার আছে । আপনি লেখা থামাবেন না। লিখে যান । ভবিষ্যতে আমরা একজন গুণী লেখিকা পাবো। আপনার জন্য অন্তর হতে শুভকামনা রইলো। ভালো থাকবেন খুব খুব বেশি।

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৫৫

স্পর্শিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ দর্পনভাই। শুভকামনা।

১৯| ১৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৭

কিরমানী লিটন বলেছেন: দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: পড়ুক না কয়েক ফোঁটা জল...... তাতেই তো পাতর কুচি ভারমুক্ত হবে। পাথর কুচির অব্যক্ত বেদনা গুলো কয়েক ফোঁটা জল হয়ে পড়ুক।

নাওন্দনিক ভালোলাগা
সতত অভিবাদন...

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৫৬

স্পর্শিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ কিরমানী লিটন। ভালো থাকবেন।

২০| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:১০

উধাও ভাবুক বলেছেন: পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় ...

২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৮

স্পর্শিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ উধাও ভাবুক।

২১| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:০২

জুন বলেছেন: প্রথম থেকেই পড়েছি আর ভেবেছি শেষটা যেন এক দু:স্বপ্ন হয়। এত জীবন ঘনিষ্ঠ লেখা যে আমার দুচোখেও জল এনে দিল।
অনেক অনেক ভালোলাগা স্পর্শিয়া।
+

২০ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:২৪

স্পর্শিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ জুন আপা। শুভকামনা।

২২| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫১

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: খুব রেশ নিয়ে এগুচ্ছে লেখাটি ।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৮

স্পর্শিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ ।

২৩| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:১২

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: অসাধারণ।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৮

স্পর্শিয়া বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ।

২৪| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১২

ক্যাটালিয়া বলেছেন: বুকটা হাহাকার করে উঠলো! পরম করুনাময় আল্লাহ আপনাকে মাফ করুন!

১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:০৮

স্পর্শিয়া বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ক্যাটালিয়া। শুভকামনা।

২৫| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৮

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: আমার কেন যেন মনে হচ্ছে, এ আপনার নিজ জীবনেরই গল্প; যদিও মনপ্রানে চাই আমার ধারনা মিথ্যে হোক। আপনার লেখনীতে আকর্ষণী ক্ষমতা আছে, লিখে যাবেন আজীবন এই কামনা করছি।

আমি যখন কাঁদি-
আমার পাথর চোখের কোনা দিয়েও জল গড়িয়ে পড়ে। অক্ষিবিহীন পাথর চোখে জল গড়াতে পারে এ আমার জানা ছিলো না।
তবে কি আমার জীবন্ত চোখটির দুঃখে আমার পাথর চোখও কাঁদে?
+++

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫২

স্পর্শিয়া বলেছেন: একটাবার পাথরকুঁচিদের কথা ভেবে দেখুন। পাথর না হয়ে যাওয়া জীবন্ত চোখগুলোও পাথর হয়ে যাবে। সব কটি পর্ব ধৈর্য্য নিয়ে পড়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ বোকা মানুষ বলতে চায়।

২৬| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৫৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: স্পর্শিয়ার লেখাগুলো আমার হৃদয়ের গভীরে স্পর্শ করে যায়! কি আবেগ দিয়েই না লিখেন আপনি, একেবারে অভিভূত হয়ে যাই!
এ লেখার ভাল লাগা কিছু কথাঃ
মেয়েরা একখানে হলে কথা বন্ধ রাখতে পারেনা। কিন্তু এখানে কেনো যেন সবাই বোবা হয়ে গেছে।
রোজ সকালে আর সন্ধ্যায় ওদের ছোট্ট ঘরটার হুড়কো খুলে দেওয়া বা বন্ধের কাজটা আমিই করতাম। গুনে গুনে সন্ধ্যায় ঘরে তুলতে হত ওদেরকে - :)
তবে কি আমার জীবন্ত চোখটির দুঃখে আমার পাথর চোখও কাঁদে? - Sad!
অনেকদিন তো হয়ে গেল, তারপর কী হলো?
আপনি এখন আর ব্লগে লিখছেন না কেন? আশাকরি তাড়াতাড়ি আবার ফিরে আসবেন।

১৩ ই মে, ২০১৭ রাত ৮:৩৯

স্পর্শিয়া বলেছেন: ফিরে এসেছি ভাইয়া।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.