নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কাকতাড়ুয়া

স্পাউট রক

প্রতিটি জিনিসের ভিন্ন ভিন্ন সৌন্দর্য বোঝার ক্ষমতা মানুষের নেই ,যদি কোনো মানুষের থেকে থাকে তবে সে মহামানব নয়ত মহাবেকুব ।

স্পাউট রক › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্মৃতির পাতায় ১৩ টি বছর ।

১০ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫১

টেস্ট অঙ্গনে ১৩ বছর ।



টেস্টে অভিষিক্ত হওয়ার ওই দিন

আজ ।



চারদিকে সাজ সাজ রব । ইতিহাসের

সাক্ষী হতে চায় সবাই । আগের দিনই

দেশের প্রথম টেস্টের টিকিট বিক্রির

দায়িত্বপ্রাপ্ত

ব্যাংকটি জানিয়ে দেয় , প্রথম দিনের

খেলার সব টিকিট

নাকি বিক্রি হয়ে গেছে । এ

নিয়ে এন্তার হুলুস্থুল । টিকিট

না পাওয়ার কারণে দেশের ক্রিকেট

ইতিহাসের প্রথম টেস্ট

ম্যাচটি যদি মাঠে বসে দেখা না হয় ,

সারা জীবন গল্প করে বেড়ানোর

মতো একটা ব্যাপার

যে হাতছাড়া হয়ে যায় !

টেলিভিশনে খেলা দেখাবে , কিন্তু

তাতে ইতিহাসের

সাক্ষী হতে চাওয়া ক্রিকেটপ্রেমীর

পাত পূর্ণ হয় নাকি !

আজ থেকে ১৩ বছর আগের

সময়টা অবতরণিকায় একটু

তুলে আনা হলো । ইতিহাস রচিত হওয়ার

ওই মুহূর্তটিতে দেশের

ক্রিকেটপ্রেমীদের

ব্যাপারটা অনেকটা এমনই ছিল ।

ভারতের বিপক্ষে দেশের প্রথম টেস্ট

ম্যাচটিতে জাতীয় দলের সাফল্য-ব্যর্থতার চেয়েও বড় ছিল ইতিহাস

রচনার বিষয়টি । ইতিহাস মুখ্য বিষয়

হলেও প্রত্যাশার ব্যাপারটিও

একেবারে কম ছিল না সেদিন । জয়ের

চিন্তা ছিল না । কিন্তু সম্মানজনক

পারফরম্যান্সের বাইরে সেদিন অন্য

কিছু ভাবতে রাজি ছিলেন

না ক্রিকেটপ্রেমীরা ।

তবে প্রত্যাশার বাইরে গিয়ে ম্যাচের

প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের অনন্য

পারফরম্যান্স ক্রিকেটপ্রেমীদের

আনন্দের মাত্রা সেদিন

বাড়িয়ে তুলেছিল অনেক গুন । স্বপ্নের

মতো তিনটি দিন শেষে চতুর্থ

দিনে এসে টেস্ট ক্রিকেটের কঠিন

জগতের সঙ্গে সেদিন বাংলাদেশের

প্রথম পরিচয় ঘটে । প্রথম

ইনিংসে ৪০০ রানও যে টেস্ট ম্যাচ

ড্র করা কিংবা জয়ের জন্য যথেষ্ট নয় ,

বাংলাদেশের ক্রিকেটার ও

দর্শকেরা খুব ভালোভাবেই সেদিন

পেয়ে গিয়েছিলেন পাঠটা । দ্বিতীয়

ইনিংসে মাত্র ৯২ রানে অলআউট

হয়ে বাংলাদেশ সেদিন

বুঝতে পেরেছিল

টেস্টে ভালো করতে আরও দীর্ঘ , বন্ধুর

পথ পাড়ি দিতে হবে বাংলাদেশকে ।

টেস্ট ক্রিকেটের তপ্ত

ভূমিতে পা রাখার ত্রয়োদশ

বার্ষিকীতে এসেও সেই

পথচলা এখনো চলছে বাংলাদেশের ।

আমরা শিখছি । নিজেদের

দুর্বলতাগুলোকে ঠাহর

করে এগিয়ে চলেছি নিরন্তর । ১৩

বছরে মাত্র পাঁচটা টেস্ট জয়ের

রেকর্ড একটু মন খারাপ করে দিলেও

প্রত্যাশার মাত্রাটা দিনকে দিন

বেড়েই চলছে । গত দেড়-দুই

বছরে টেস্ট ক্রিকেটে শক্ত

পায়ে এগিয়ে যাওয়ার

ব্যাপারটি আমাদের

আশাবাদী করে তুলেছে দারুণভাবে ।

১৩ বছর আগে আমিনুল ইসলাম , আকরাম

খান , নাঈমুর রহমান , মোহাম্মদ

রফিকরা যে ‘রিলে রেস’ টি শুরু

করে দিয়ে গিয়েছিলেন , আজ সাকিব ,

তামিম , মুশফিক ,

মাশরাফিরা সে রিলের

ব্যাটনটি এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন দৃপ্ত

আবেগে । ব্যাটনের হাত-বদলে আগের

চেয়ে বেড়েছে গতি , কিন্তু

ফিনিশিংটা এখনো অনেক দূরে । আরও

দুই একটি প্রজন্মকে হয়তো এই রিলের

ব্যাটন টেনে নিয়ে যেতে হবে ।

সাকিব-

মুশফিকরা ফিনিশিংয়ে পৌঁছে যেতে পার

পরম পাওয়া । নতুন প্রজন্ম না হয় নতুন

রেসেরই গোড়া-পত্তন করবেন । নতুন ওই

রেসটি হবে শীর্ষে পৌঁছানোর ।

প্রত্যাশার সঙ্গে সমর্থনের

মাত্রাটা যেখানে , সেখান

থেকে ব্যর্থ হওয়ার প্রশ্নই ওঠে না ।

দেশের টেস্ট মর্যাদা প্রাপ্তিতে এ

দেশের ক্রিকেট অন্তঃপ্রাণ মানুষের

অবদান যে অনেক । প্রজন্ম

থেকে প্রজন্মান্তরে এই ভালোবাসা আর

সমর্থনই যে আমাদের ক্রিকেটের বড়

শক্তি ।



(পরিমার্জিত)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.