![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছোট বেলা থেকেই গান শুনতে খুব ভালো লাগে। এখনো ভালো লাগে। রবীন্দ্র সংগীত, দেশাত্ববোধক গান, বাউল গান, এক সময় ব্যান্ড এর গানও বেশ ভালো লাগতো।
বাড়ির একমাত্র রেডিওটা আমার দখলে থাকতো বেশিরভাগ সময়। খুশিতে মন ভরে যেত যখন ঘোষণা আসতো একটু পর অমুক শিল্পীর কণ্ঠে পর পর দুটি রবীন্দ্র সংগীত শুনবেন। মনে হত সব সময় কেন রবীন্দ্র সংগীত হয় না। কলেজ এবং উপজেলা অডিটোরিয়াম বাড়ির কাছেই। যে কোন দিবসে গানের আয়োজন হত সন্ধ্যায় , ছোট হলেও আমি গান শোনার জন্য রয়ে যেতাম অনুষ্ঠানে। শেষে বাড়ি থেকে বড় ভাই গিয়ে ডেকে নিয়ে আসতেন। অনেক সময় পাশের বাড়িতে ক্যাসেট ভাড়া করে এনে রাতভর জারি গান চালাতে, রাত জেগে শুনতাম।
গান শোনার পাশাপাশি শীতকালে বেশ ওয়াজ শুনতাম। সারা রাতের প্রোগ্রাম। ওয়াজে শুনতাম গান বাজনার সাথে জড়িত শিল্পীরা শুকরে পরিণত হবে। শুধু ওয়াজে না বড় জনেরাও একই কথা বলতেন।
এখন গানের শিল্পীরা যদি শুকরে পরিণত হন তাহলে যারা শোনে তাদের তো একই পরিণত হওয়ার কথা। মোটকথা আল্লাহ তার প্রতি নাখোশ। তাদেরকে শুকরে পরিণত করে আল্লাহ তাদের নিশ্চয়ই জান্নাতে নিবেন না। আর জাহান্নাম মানেই আগুনের লীলাখেলা।
জাহান্নামের আগুনের ভয়ে কার না কলিজা কেঁপে না উঠে। এত পরিষ্কার পরিণতির কথা জেনেও গান শোনার প্রতি আগ্রহ কমে না। জাহান্নামের ভয়ে কত কিছুই করা থেকে বিরত থাকলাম কিন্তু গান শোনা থেকে দূরে ঠকতে পারলাম না। এই আগ্রহ না কমার কারনটা আজ ও বের করতে পারি না
০৯ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৭
সপ্তম৮৪ বলেছেন: সমাজের বিরাট একটা অংশ দ্বিধাদ্বন্দে ভোগে এদের জন্য। ভালো লাগার বিষয় ছাড়তেও পারে না ফলে পাপ বোধে ভোগে।
২| ০৯ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১২
চাঁদগাজী বলেছেন:
মোল্লারা মানুষকে পাপ মাফের কথা বলে, অকারণ অপরাধবোধের জন্ম দেয়, ফালতু
১৪ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:১৮
সপ্তম৮৪ বলেছেন: এই অপরাধবোধ থেকেই অনেকেরই সাংস্কৃতিক বিকাশ হয়ে ওঠে না।
৩| ০৯ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:০৪
নতুন বলেছেন: মোল্লারা গান হারাম বলে কিন্তু কোরানে কোথাও গান হারাম বলা নাই।
চাঁদগাজী বলেছেন: গান, বাজনা, সাহিত্য মানুষের সংস্কৃতি মনের ভুবনের অংশ, ইহা মানুষের অনুধাবন; এখানে ভুল নেই, ভ্রান্তি নেই, আছে প্রশান্তি।
১৪ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:২০
সপ্তম৮৪ বলেছেন: আমরা দক্ষিণ এশিয়ার মানুষ শুইন্যা মুসলমান। মোল্লাদের থেকে যা শুনি তাই মানি। আমাদের অনেক কিছুই অজানা।
৪| ০৯ ই জুলাই, ২০২০ রাত ৮:৫৭
নেওয়াজ আলি বলেছেন: আগে শীতকালে ওয়াজ যেমন হতো তেমনি নাটক হতো , শরিয়তি মারফতি গান হতো । এখন ওয়াজ হয় তবে কম । আর গুলি হয়না তেমন।
১৪ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:২৩
সপ্তম৮৪ বলেছেন: এখন হুজুররা আধুনিক হয়েছে। স্টুডিওতে ওয়াজ করে ইউটুবে এ লোড করে। লক্ষ লাখ মানুষ দেখে শুনে। এদের অতি প্রচারে মানুষ বেশি ভীতু হয়ে সংস্কৃতি বিমুখ হয়েছে। খুবই খারাপ লক্ষণ
৫| ০৯ ই জুলাই, ২০২০ রাত ১০:৫৬
রাজীব নুর বলেছেন: গান শুনলে পাপ হয় না। গান তো মনকে আনন্দ দেয়। এই আনন্দে পাপ নাই।
১৪ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:২৫
সপ্তম৮৪ বলেছেন: আমরা যেহেতু শুইন্যা মুসলমান তাই হুজুররা যা বলে তাই হাদিস কোরানের আইন বলে মানি। অথচ গান মানুষের মনকে কোমল করে। মনে প্রশান্তি আনে
৬| ১০ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:৪১
পদ্মপুকুর বলেছেন: ভিন্ন একটা শিরোনাম দিয়েও লেখাটার সাথে একদমই মিলিয়ে দিয়েছেন।
১৪ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:২৬
সপ্তম৮৪ বলেছেন: দ্বিধা দন্দ্বের ব্যাপার তো তাই এই শিরোনাম দিছিলাম
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
গান, বাজনা, সাহিত্য মানুষের সংস্কৃতি মনের ভুবনের অংশ, ইহা মানুষের অনুধাবন; এখানে ভুল নেই, ভ্রান্তি নেই, আছে প্রশান্তি। ওয়াজে যারা যা বলছে, তার পুরোটাই বানোয়াট; ওরা জানে না, ওরা কি বলে।