নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শ্রাবণ আহমেদ (নিরব)\nট্রেইনার অব \"উই আর স্টুডেন্টস\" ঢাকা।

শ্রাবণ আহমেদ

শ্রাবণ আহমেদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি ছেলের প্রেমের গল্প

২২ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:০১

সামান্য ভুল
লেখক: Srabon Ahmed (অদৃশ্য ছায়া)
.
আগামীকাল থেকে জেএসসি পরীক্ষা শুরু। এ নিয়ে বাধনের কোন চিন্তাই নেই। তবে সোহান, সোহেল আর ফয়সালের চিন্তার শেষ নেই।
চিন্তা ভাবনাকে পেছনে ফেলে একটু মজা মাস্তি করার জন্য  সন্ধ্যাবেলা তারা ঘুরতে বের হয়। আগামীকাল যতই পরীক্ষা হোক না কেন, এই সন্ধ্যাবেলায় যদি একটু ঘুরতে বের না হয়। তবে তাদের পরীক্ষাটা মোটেও ভালো হবেনা। তারা প্রায়শই বলে থাকে, মন ফ্রেশ তো দুনিয়া ফ্রেশ।
পিচ ঢালা রাস্তা,  রাস্তার মাঝে বড় বড় গর্ত। এ যেন মানুষকে আহত করার জন্য একটা ফাঁদ। সূর্যের আলোটা এখনো রয়ে গিয়ছে। খানিক বাদেই সূর্যটা তার নিজ স্বত্তাকে আড়াল করে নেবে রাতের অন্ধকারের ভেতরে।
বাধন, সোহান, সোহেল আর ফয়সালের এই সন্ধ্যাবেলা হেঁটে চলার নির্দিষ্ট কোন গন্তব্য নেই। তারা হাঁটছে তো হাঁটছেই।
হাঁটাহাঁটির এক পর্যায়ে ফয়সাল বাধনের উদ্দেশ্যে বলে ওঠে, দোস্ত তোর দোয়া তো সব জায়গাতেই কাজে লাগে।
তখন বাধন বলে, তো?
ফয়সাল একটু চুপ থেকে কিছু একটা ভেবে বলে, দোস্ত আমার জন্য একটু দোয়া করিস। যাতে কালকে পরীক্ষার হলে আমার পাশে সুন্দর একটা মেয়ে বসে। তার এই কথা বলার সাথে সাথে সোহান আর সোহেলও বলে ওঠে একই কথা।
বাধন তাদের কি বলবে ভেবে পাচ্ছেনা। আসলে সেও এমনটা আশা করছে। যাতে তার পাশেও কোন সুন্দরী একটা মেয়ে বসে।
তারা হাঁটছে আর এই বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করছে। তবে তাদের এই আলোচনার আওয়াজটি বেশ চড়া। কিছুটা দূর থেকেও তাদের কথাগুলো শোনা যাচ্ছে।  তারা হাঁটতে হাঁটতে খেয়ালই করেনি যে, তারা তাদের প্রিন্সিপাল স্যারের বাসার নিচ দিয়ে যাচ্ছে। হঠাৎই গেটের কাছ থেকে কে যেন তাদেরকে উদ্দেশ্য করে বলে ওঠে, কিরে, কার পাশে কে বসবে?
কথাটা শুনে বাধন পেছনে তাকিয়ে দেখে প্রিন্সিপাল স্যার দাঁড়িয়ে। তৎক্ষণাৎ সে আমতা আমতা করে বলে, স্যা.. স্যা.. স্যার ক কই? কে কার পাশে বসবে। আমরা তো এমনিই আড্ডা দিচ্ছিলাম।
স্যার বাধনের কথায় হুংকার দিয়ে বললো, কাল তোদের পরীক্ষা। আর আজ এখন আড্ডা কিসের? যা বাসায় গিয়ে পড়তে বস।
.
অাচমকা এভাবে স্যারের কবলে পড়বে, এটা বাধন কল্পনাতেও ভাবেনি। সে তাড়াতাড়ি করে সেখান থেকে চলে আসার জন্য সোহান, সোহেলকে বলতেই সে দেখে তার সাথে কেউ নেই। অবাক হয় সে। তাহলে কি তারা পালিয়েছে? হয়তো হবে তাই।
কিন্তু একটা বিষয় বাধনের মাথায় আসছেনা। তাদের স্যার এখানে কেমনে? সে বিষয়টা ভালো করে উদঘাটন করতেই দেখতে পায়, আরে এটা তো স্যারেরই বাসা। আর তারা স্যারের বাসার নিচ দিয়েই যাচ্ছিলো।
তবে একটা বিষয় ভেবে সে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললো। সেটা হলো, স্যার তাদের পুরো কথাটুকু শুনতে পায়নি। বাধন হেঁটে চলেছে বাড়ির দিকে। পিচ ঢালা পথ পেড়িয়ে যকন সে কাঁচা পথে পা রেখেছে, ঠিক তখনই কোথথেকে যেন ঐ তিন জন এসে হাসির।
- কিরে দোস্ত? বেঁচে আছিস তো? (ফয়সাল)
- ঐ শালা গাঁধা, ও যদি বেঁচে নাই থাকবে তবে ও এখানে কিভাবে? (সোহেল ফয়সালকে উদ্দেশ্য করে বলে কথাটা।)
বাধন চুপ করে আছে। সে কোন কথা বলছে না। তার কি বা বলার আছে! এরকম কয়েকটা হারামি বন্ধু যার আছে, সে বেঁচে থেকেও মরা। সবসময় প্যারার উপর রাখে।
- কিরে কথা বলছিস না কেন? (সোহান)
- তোরা আজ যা করলি সেটা আমি কোনদিনও ভুলবো না। তোরা না, তোরা না, তোরা আসলে একটা...। কি বলবো নিজেই ভেবে পাচ্ছিনা। তোরা আসলে বন্ধু না, তোরা আমার শত্রু।
- শান্ত হ দোস্ত। আর কি হয়েছে খুলে বল।
- কি হয়েছে মানে? কি হয়নি সেটা বল। তোরা আমাকে একা রেখে পালালি কেন?
- হাহাহা।
বাধনের কথা শুনে ফয়সাল, সোহেল, সোহান, তিনজনই হাসিতে গড়াগড়ি খেতে থাকে। যেন বাধন কোন জোকস শোনাচ্ছে তাদের। হাসি থামিয়ে ফয়সাল বলে
- আরে বেডা তখন না পালালে স্যারের খপ্পরে পড়তাম।
- তোরা পড়তি আর আমি মনে হয় পড়তাম না?
- আচ্ছা সরি, বাদ দে। এখন বাড়ি চল।
- তোদের সবার জন্য আমি বদ দোয়া করে দিলাম। তোদের পাশে যেন কালো প্যাঁচা বসে।
- না দোস্ত, তুই এটা বলতে পারিস না। তাড়াতাড়ি বদ দোয়া তুলে নে।
- নিবো না, এটা তোদের শাস্তি।
.
নিশী রাত, জ্যোৎস্নায় আলোকিত চারিদিক। বড় আম গাছটার পাতার ফাক দিয়ে অর্ধ গোলাকার জ্যোৎস্নাটা উঁকি দিয়ে জানান দিচ্ছে, তার জীবনটা বড় সুখের। তার নেই কোন পরীক্ষার প্যারা, নেই কোন কাজকর্ম। রাতে একবার উঠবে। আবার সূর্যের আলো ফোটার আগেই সে তার নিজ বাসভূমিতে ফিরে যায়।
জ্যোৎস্নাটার দিকে তাকিয়ে বাধন ভাবনায় ডুবে আছে। বড় বড় ভাইদের মুখে সে শুনেছে, তারা নাকি পরীক্ষার হলে গিয়েই দেখেছিলো তাদের পাশে সব সুন্দরী মেয়েদের সিট। পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে চুটিয়ে প্রেমও করেছিলো কিছুদিন। বাধনের মনেও সেই আশাটাই জেগে উঠছে বারবার। তার পাশে যেন একটা সুন্দরী মেয়ে বসে।
তার ভাবাভাবির এই সুন্দর মুহূর্তটাকে ধুলোয় মিশিয়ে দিয়ে তার মা তাকে ডাক দেয়।
- বাধন,  আয় খেয়ে নে। রাত হয়েছে অনেক। কাল না তোর পরীক্ষা?
- হ্যাঁ মা।
- তবে রাত জেগে বারান্দায় বসে আছিস কেন?
- রাতের পরিবেশ টা দেখছিলাম। অনেক সুন্দর না মা?
- হ্যাঁ অনেক সুন্দর।  এখন খেয়ে দ্রুত শুয়ে পড়। কালকে সকালে উঠতে হবে।
.
পরদিন সকালে....
- কিরে বেডা? এখনও ঘুমাই আছস? ওঠ,  পরীক্ষা দিতে যাবিনা?
বাধন ঘুম ঘুম চোখে তাকিয়ে দেখে ফয়সাল তাকে ডাকছে। সে ঘুমের ঘোরেই বলে, কিসের পরীক্ষা?  তুই যা, আমি যাবো না। কি পরীক্ষা হয় সেটা আমাকে বলিস।
- ঐ শালা,  আজকে আমাদের জেএসসি পরীক্ষা, ক্লাসের সাপ্তাহিক পরীক্ষা না, বুঝছস?
জেএসসির কথা শুনতেই বাধন বিছানা ছেড়ে লাফিয়ে ওঠে। উঠে সে তার মাকে ডাকতে থাকে। তার মা রান্না ঘর থেকে বলে, আসছি বাবা।
- দোস্ত দেখ তো কয়টা বাজে?
ফয়সাল ঘড়ি দেখে বলে ছয়টা বেজে পাঁচ মিনিট।
- কি?
- হ্যাঁ।
- তাহলে এতো সকালে তুই কি করছিস এখানে? খাড়া তোরে আজ খাইছি আমি। শালা গাঁধা পরীক্ষা দশটায়। আর তুই এখন এসে আমারে ডাকছিস?
- আরে এতো চেতস ক্যা? তোর ভালোর জন্যই তোরে ডাকছি। এখন উঠে পড়তে থাক। তাহলে পরীক্ষার হলে খুব ভালোভাবে লিখতে পারবি।
- আমি লিখতে পারবো কি না পারবো সেটা আমি দেখবো। তুই বলতে এসেছিস কেন?
- আরে আমি তোর বন্ধু না?
- বন্ধু ঠিক আছে, কিন্তু এর ভেতরে নিশ্চয়ই অন্যকোন কারণ আছে।
- ধুরে বেডা, কোন কারণ টারণ নেই। তুই পড়, আমি আসি।

ফয়সাল চলে যায়। বাধন ঘুম থেকে উঠে ফ্রেস হয়ে পড়তে বসে। পড়া যেমন তেমন তার ভাবনাটাই বেশি। যে, তার পাশের সিটে কে বসবে? এসব ভাবনা ভাবতে ভাবতেই তার কয়েক ঘন্টা চলে যায়। সে ঠিক মতো পড়তেও পারে না।
নয়টার দিকে আবার ফয়সাল তাকে ডাকতে আসে। পরীক্ষার কেন্দ্রটা বেশি দূরে নয়, এজন্য তারা বেশ কিছুক্ষণ আড্ডা দিয়ে তারপর পরীক্ষা দিতে চলে যায়।
এখনও বিশ মিনিট বাকি। সোহান, সোহেল দুজনই আগে থেকে এসে বসে আছে। অবশ্য তাদের এতো দ্রুত আসার ফলটা পক্ক হয়েছে। পাশে তাদের নাদুস নুদুস দুইটা বিড়াল ছানা বসেছে। নাদুস নুদুস বলার কারণ, মেয়ে দুইটা একটু মোটা টাইপের। তবে চেহারাতে কেমন যেন একটা নেশা আছে।
ফয়সালের পাশের সিট এখনও ফাঁকা। বাধনেরও একই অবস্থা।
- দোস্ত আমাদের পাশে কি কোন মেয়ে টেয়ে বসবে না? (ফয়সাল)
- আরে ধৈর্য ধর। বসবে না কেন?
খানিক বাদেই একটা মেয়ে ঢুকলো হলের মধ্যে। আহা, কি অপরুপ সৌন্দর্য তার চাহনিতে। চোখ দুটোর দিকে তাকিয়ে থাকলে নির্ঘাত মায়ার জালে আটকা পড়বে তারা। বাধন ফয়সালের দিকে তাকিয়ে দেখে সে হা করে মেয়েটার দিকে তাকিয়ে আছে। মাথায় একটা টোকা মেরে বাধন বললো, ঐ বেডা অমন হা করে কি দেখিস?
- কি দেখি মানে? পরী দেখি বেডা।
- ঐ চোখ নামা বলছি। ওটা তোদের ভাবি লাগে।
ফয়সাল অবাক হয়ে বাধনকে জিজ্ঞেস করে, ভাবি লাগে মানে? মেয়েটা কি তোর ভাইয়ের বউ?
- আরে ধুর ভাইয়ের বউ হতে যাবে কেন? ওটা আমার বউ। তোদের ভাবি।
- কি? কবে বিয়ে করলি?
- করবো সামনে। খবরদার আর তাকাবি না ওর দিকে। এখন শুধু দোয়া কর সে যেন আমার পাশে এসে বসে।
মেয়েটা তাদের দিকেই আসছে। এসেই সোজা ফয়সালকে বললো, একটু উঠবেন প্লিজ। ওইটা আমার সিট।
ফয়সাল না উঠে হা করে অপলক চেয়ে আছে তার দিকে। সেটা দেখে বাধন তাকে কলম দিয়ে খোঁচা মেরে বললো, ঐ ঐভাবে তাকিয়ে আছিস কেন? বললাম না, ওটা আমার ভবিষ্যৎ বউ? ও তোদের ভাবি লাগে?
কথাটা বলতেই মেয়েটা বড় বড় চোখ করে বাধনের দিকে তাকায়।
- কি বললেন আপনি? আবার বলুন। (মেয়েটা)
বাধন জিহ্বায় কামড় দিয়ে আমতা আমতা করে বলে, ক.. কই.. কিছু না তো!
মেয়েটা আর কথা না বাড়িয়ে একটা মুচকি হাসি দিয়ে তার সিটে বসে পড়ে। বাধন মন খারাপ করে বোকার মতো তার দিকে হা করে তাকিয়ে থাকে। আহা! এতো সুন্দর একটা রমনী তার পাশে না বসে ঐ হারামীটার পাশে বসলো।
- কিরে দোস্ত, কি ভাবিস? (ফয়সাল)
বাধন মনটা খারাপ করে বলে
- কিছু না রে।
- মন খারাপ? মেয়েটা তোর পাশে বসে নি বলে?
- আরে সেজন্য  না। মেয়েটার জন্য মন খারাপ হবে কেন? ও যেখানেই বসুক না কেন, ও তো আমার।
- যাক বাদ দে। এখন অপেক্ষা কর তোর পাশে কোন রমনী এসে বসে! সে যদি এই রমনীর চেয়ে সুন্দরী হয় তবে কি সেও তোর ভবিষ্যৎ বউ হয়ে যাবে?
- দেখি তো আগে। বউ হবে কি গার্লফ্রেন্ড হবে, সেটা পরে দেখা যাবে। আগে দেখতে দে কে বসে আমার পাশে।
.
সময় চলে যাচ্ছে তার নিজ গতিতে। এখনও পাঁচ মিনিট বাকি পরীক্ষা শুরু হওয়ার। বাধন তার সিট থেকে উঠে গিয়ে ফয়সালের পাশে বসে মেয়েটার সাথে ভাব জমানোর চেষ্টা করছে। মেয়েটার পাগল করা মুচকি হাসিটা বারবার বাধনকে উদাস করে তুলছে। সে অপলক চেয়ে অাছে মেয়েটার মুখপানে। ঠোঁটে হালকা লিপস্টিক দেওয়া, চোখে কাজল, চুলগুলো খোলা, মাঝে মাঝে দক্ষিণা বাতাস জানালা দিয়ে ঢুকে মেয়েটার চুলগুলোকে এলোমেলো করে দিয়ে যাচ্ছে। আর বাধন ঠিক এসবের দিকেই আনমনে তাকিয়ে রয়েছে। মন চায়ছে একটু ছুঁয়ে দিতে তাকে।
হঠাৎই কারও ডাকে তার ভাবনাতে ছেদ পড়ে। সে তাকিয়ে দেখে স্যার তাকে ডাকছে।
- জ্বী.. জ্বী... জ্বী  স্যার।
- তোমার সিটে গিয়ে বসো।
- জ্বী স্যার।
বাধন তার সিটে বসতে গিয়ে বড় ধরনের একটা ধাক্কা খায়। কি ভাগ্য তার!
তার পাশেও একটা মেয়ে বসেছে। তবে অন্যদিকে ঘুরে আছে বলে মুখটা দেখা যাচ্ছে না। কিন্তু অনুমাণ করে সে যে, এই মেয়েটাও ব্যাপক সৌন্দর্যের অধিকারীনি।
এদিকে খাতা দেওয়া শেষ। সবাই রোল রেজিস্ট্রেশন পূরণ করছে। আর বাধন তার পাশের মেয়েটাকে দেখার বৃথা চেষ্টা করছে।
বিষয়টা ফয়সাল লক্ষ করে। সে বলে, দোস্ত পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করলে এমন শত শত মেয়ে পাওয়া যাবে। আগে ভালো করে পরীক্ষা দে। আর ঐ মেয়ের দিকে এতো তাকিয়ে থাকার কি আছে? তুই না আমার পাশের মেয়েটাকে পছন্দ করলি? 
- হুম করলাম, তো?
- তো ঐ মেয়েটার দিকে ওভাবে তাকিয়ে আছিস কেন?
- আরে কেন আবার? যদি কোন সাহায্য লাগে সেজন্য।
- ও গুড আইডিয়া। তাকিয়ে থাক রোল পূরণ করা বাদ দিয়ে।
.
পরীক্ষা শেষে সবাই যে যার যার মতো চলে যাচ্ছে। কিন্তু ফয়সালের পাশের মেয়েটা এখনও তার সিটে বসে আছে। তাকে দেখে মনে হচ্ছে সে কারো জন্য অপেক্ষা করছে। বাধন এগিয়ে যায় তার দিকে। সে বলে, হাই আমি বাধন।
- আমি স্বর্ণালী। (মেয়েটা)
- কেমন হলো পরীক্ষা?
- ভালো, আপনার?
- তোমাকে দেখলে খারাপ ছাত্রেরও পরীক্ষা ভালো হবে।
- মানে?
- না, কিছু না।
মেয়েটা আবার একটা মুচকি হাসি দেয়।
বলে, ভালো থাকবেন আসি। আগামী পরিক্ষার দিন দেখা হবে। ততদিন ভালো থাকবেন।
স্বর্ণালী মেয়েটা চলে যাওয়ার পর ফয়সাল বাধনকে বলে, দোস্ত মেয়েটা তোকে বোধ হয় পছন্দ করে ফেলেছে।
- কি বলিস? কিভাবে বুঝলি যে মেয়েটা আমাকে পছন্দ করে ফেলেছে?
- আরে ঐ যে যাওয়ার সময় বলে গেলো না, ভালো থাকবেন?
- হুম।
- আরে বেডা ওটাই হলো পছন্দের সূচনার বহিঃপ্রকাশ।
- কি সব ভুলভাল আবুল মার্কা বুঝ দিস আমায়। মেয়েটা বসেছে তোর পাশে। পছন্দ করলে তোকে করবে। আমাকে কেন?
- তোকে করার কারণ আছে।
- কি কারণ বল শুনি?
- একদিকে তুই যেমন দেখতে সুন্দর, অন্যদিকে এই খানিক সময়ের মধ্যে তোর সাথেই মেয়েটার বেশি কথা হয়েছে।
- আচ্ছা বাদ দে। একদিনের কথাতেই কেউ কাউকে পছন্দ কিংবা ভালোবেসে ফেলে না। দীর্ঘ সময় প্রয়োজন এর জন্য। চল বাইরে চল।
সোহান আর সোহেল দুজনের একটু তাড়া থাকায় তারা আগে থেকেই বাড়ি চলে যায়। বাধন আর ফয়সাল বাইরে গিয়ে স্কুলের মাঠের এক কোণে দাঁড়িয়ে কথা বলতে থাকে। কথা বলার এক পর্যায়ে ফয়সালের চোখ আটকে যায় উত্তর ভবনের নিচ তলার বারান্দাতে। সে বাধনকে ডাক দিয়ে বলে, দোস্ত দোস্ত।
বাধন অন্যদিকে মগ্ন থাকায় শুধু হ্যাঁ হু করে।
- দোস্ত ঐ দোস্ত।
- হু।
- আরে বেডা ওদিকে একবার তাকিয়ে দেখ। আমাদের ভাবি দাঁড়িয়ে আছে।
ভাবির কথা শুনতেই বাধন ফয়সালের দেখানো দিকে তাকায়। দেখে বারান্দার এক পাশে স্বর্ণালী দাঁড়িয়ে।
- ঐ বেডা ও আমাদের ভাবি লাগে? নাকি তোর ভাবি লাগে?
- ঐ হলো একটা।
- হবে কেন? আজ থেকে ওকে সম্মান করবি।
- হুম, করবো। তবে দোস্ত মেয়েটাকে দেখে মনে হচ্ছে সে কারো জন্য অপেক্ষা করছে।
- হু, হতে পারে।
- কার জন্য বলতে পারিস?
- আশ্চর্য আমি কি করে জানবো কার জন্যে অপেক্ষা করছে।
- তুই না জানলে জানবে কে?
- মানে?
- মানে হলো মেয়েটা তোর জন্যই অপেক্ষা করছে। চল একটু কথা বলে আসি।

বাধন আর ফয়সাল এগিয়ে যায় স্বর্ণালীর দিকে। ধীরে ধীরে সবাই চলে যাচ্ছে স্কুল থেকে। পরীক্ষা শেষ হয়েছে প্রায় আধা ঘন্টা হবে। কিন্তু স্বর্ণালী এখনও যাচ্ছে না কেন? তাহলে কি সে তার বয়ফ্রেন্ড কিংবা অন্যকারো জন্য অপেক্ষা করছে? মনে মনে এসবই ভাবতে থাকে বাধন।
- ম্যাম কি কারো জন্যে অপেক্ষা করছেন? (বাধন)
- অপেক্ষা না করলে কি এখানে দাঁড়িয়ে থাকতাম? (স্বর্ণালী)
- উরিম্মা, এ দেখি পুরাই হট!
- কি?
- না কিছু না। তো, কার জন্য অপেক্ষা করছো?
- আমার আম্মুর জন্য।
অাম্মুর কথা শুনে বাধন যেন হাফ ছেড়ে বাঁচে। সে বলে
- তোমাকে একটা কথা জিজ্ঞেস করতে পারি?
- হু, করেন।
- তোমার কি বয়ফ্রেন্ড আছে? মানে তুমি কি কারো সাথে রিলেশন করো?
প্রশ্নটা শুনে স্বর্ণালী বেশ কিছুক্ষন চুপ থেকে কি যেন ভেবে উত্তর দেয়
- হ্যাঁ আছে, কেন বলুন তো?
মুহূর্তেই বাধনের স্বচ্ছল মুখখানা কালো হয়ে যায়। সে বলে, না এমনিই কিছু না, আসি তাহলে।
.
বাধন আর ফয়সাল চলে যায়। বাধনের বিষন্ন মাখা মুখটা দেখে ফয়সাল বলে, দোস্ত চিন্তা করিস না। পরীক্ষা দিতে থাক, আরও কত শত সুন্দর মেয়ে পাবি। আর এই প্রথম দিনেই তোর এই প্রশ্নটা করতে হবে কেন মেয়েটাকে। কিছুদিন গেলে তারপর করলেও তো পারতি।
বাধন কোন উত্তর দেয় না। সে অানমনে অস্পষ্ট ভাবে কি যেন একটা বলে। যা ফয়সাল বুঝতে পারে না।
.
আবার পরশুদিন পরীক্ষা। বাধনের পরীক্ষা দেওয়ার কোন মন মানসিকতায় নেই। জীবনের প্রথম যাকে পছন্দ করলো সে, তার নাকি বয়ফ্রেন্ড আছে! প্রেমের আগেই বুঝি বেদনায় জর্জরিত হলো সে।

পরশুদিন পরীক্ষার হলে....
- বাধন....
স্বর্নালী বাধনকে ডাকছে। কিন্তু বাধন কোন রেসপন্স করছে না। পরীক্ষা শুরু হয়েছে আধা ঘন্টা হবে। কিন্তু এই আধা ঘন্টায় বাধন কারো সাথে কোন কথা বলে নি। ফয়সালের সাথেও না।
তবে এরই মধ্যে ফয়সাল স্বর্ণালীকে বাধনের ভালোবাসার কথা বলে দিয়েছে। আর সেটা শুনেই স্বর্ণালী তাকে ডাক দিচ্ছে।
বাধনকে কোন রেসপন্স করতে  না দেখে সে আবার ডাক দিলো
- বাধন..
বাধন এবারও কিছু বললো না। পরে অবশ্য স্বর্ণালী তাকে অনেকবার ডেকেছে। কিন্তু তাতেও সে কোন রেসপন্স করে নি।

পরীক্ষা শেষ হলে বাধন ফয়সালকে বলে চলে আসতে যাবে ঠিক সেসময় স্বর্ণালী রাগী কন্ঠে তাকে ডাক দেয়।
- আপনার সমস্যা কি হ্যাঁ?
বাধন নির্লিপ্ত নয়নে জবাব দেয়
- কই, কোন সমস্যা নেই তো?
- তবে কথা বলছেন না  কেন?
- এমনিই।
- আসলে সেদিন আমি আমার মায়ের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। মা বলেছিলো ১০ মিনিটের মধ্যেই চলে আসবে, কিন্তু আধা ঘন্টা পার হয়ে যাওয়ার পরেও মা যখন আসছিলো না, তখন মেজাজটা হট হয়ে যায় আমার। আর তার উপরে আপনি এসে আবার অমন অদ্ভুত প্রশ্ন করে বসলেন, তাই আমিও সরাসরি বলে দিলাম যে আমার বয়ফ্রেন্ড আছে।
- হুম
- আমি সরি, আমি জানি আপনি এতে কষ্ট পেয়েছেন।
- হুম।
- কিন্তু শোনেন, আমি কোন প্রেম ট্রেম করতে পারবো না।
- হুম।
- কি হু হু করছেন কখন থেকে।
- হুম।
- আসি আমি।
- হুম।
স্বর্ণালী চলে যায়। সে চলে যেতেই বাধন লুঙ্গি ড্যান্স দিতে যাবে, ঠিক তখন সে লক্ষ করে যে সে লুঙ্গি পড়ে আসে নি। তবুও মনে মনে সে হাফপ্যান্ট ডান্স দিলো। আর বললো, মেয়ে তুমি প্রেম ট্রেম করবে না? তোমাকে করতেই হবে। তোমাকে আমার প্রেমে পড়তেই হবে।
.
পরীক্ষাও প্রায় শেষ হয়ে এসেছে। আর মাত্র তিনটা পরীক্ষা বাকি।
পরীক্ষার দিন বাধন যথারীতি, যথা সময়ে এসে তার বেঞ্চে বসে আছে। সে অপেক্ষা করছে কখন স্বর্নালী আসবে। খানিক বাদেই স্বর্ণালী এসে তার সিটে বসে। এতোদিনে অবশ্য স্বর্ণালীও বাধনকে ভালোবেসে ফেলেছে।  আর বাধন তো সেই আগে থেকেই ভালোবাসে। কিন্তু কেউ কাউকে বলতে পারে না। বাধন পণ করেছে এই তিনটা পরীক্ষার মধ্যে সে তার ভালোবাসার কথা স্বর্ণালীকে বলে দেবে।
পরীক্ষা শুরু হয়ে গিয়েছে। সবাই পরীক্ষা দিতে ব্যস্ত। হঠাৎই বাধনের পাশের মেয়েটি বাধনের থেকে কলম চায়। বাধন তার দিকে অতিরিক্ত একটা কলম বাড়িয়ে দেয়। আর এই বিষয়টা স্বর্নালী দেখে ফেলে। সে বাধনের দিকে রাগী চোখে তাকিয়ে থাকে। অবশ্য শুধু কলম দেওয়া নেওয়া হলে কোন ব্যাপার ছিলো না। কিন্তু বাধন সেই মেয়েটির সাথে হেসে হেসে কথা বলতে থাকে। এটা দেখেই স্বর্নালীর রাগ হয় খুব। রাগ যখন চরম পর্যায়ে ঠিক তখন তার দু'চোখ বেয়ে অঝোড় ধারায় জল পড়তে থাকে। বিষয়টা বাধন লক্ষ করে। কিন্তু সে কাঁদছে কেন সেটা তার অজানা।

সবাই পরীক্ষা দিচ্ছে কিন্তু স্বর্ণালী চুপচাপ বসে চোখের জল ফেলছে। চোখের দিকে তাকালে অগ্নিঝড়া তীর্যক রশ্মি দেখা যায়।
বিষয়টা হলরুমে থাকা ম্যামটি লক্ষ্য করেন। তিনি উঠে এসে স্বর্ণালীকে বলেন
- কি রে মা,  কি হয়েছে তোর? পরীক্ষা না দিয়ে চুপচাপ বসে বসে কান্না করছিস কেন?
স্বর্নালী কোন উত্তর দেয় না। সে শুধু এক দৃষ্টিতে বাধনের দিকে চেয়ে থাকে। বিষয়টা ম্যাম লক্ষ্য করেন। তিনি আবার বলেন
- স্বর্ণালী তোর কি হয়েছে?
স্বর্ণালী এবার কান্নাজড়িত কন্ঠে জবাব দেয়
- না মা, কিছু হয়নি।

ম্যামকে মা বলতে দেখে বাধন ফয়সালসহ  সবাই অবাক হয়ে যায়।
পরীক্ষা শেষ হলে স্বর্নালী বাধনের শার্টের কলার ধরে বলে, ঐ মেয়ের সাথে তোর কিসের এতো সখ্যতা? কিসের এতো হাসাহাসি? সে কলম আনলো কি না আনলো তাতে তোর কি? তুই ওকে কলম দিবি কেন?
স্বর্নালীর মুখে এমন কথা শুনে বাধন অবাক হওয়ার অভিনয় করে বলে, আশ্চর্য!  মেয়েটার কলমের কালি ফুরিয়ে গিয়েছিলো। তাই আমি তাকে কলমটা দিয়েছি।
- এখন থেকে আর কাউকে কলম দিবি না। কোন মেয়ের সাথে হাসাহাসি করবি না।
- কেন?
- কেন বুঝিস না?
- না তো!
- হারামি তোরে বুঝাচ্ছি খ্রা।
বলতে না বলতেই স্বর্নালী অনেকগুলো কিল ঘুসি বাধনের বুকে বসিয়ে দেয় এবং তারপরেই আবার বাধনকে জড়িয়ে ধরে। বাধন অবাক হয়ে যায় তার এমন কান্ড দেখে।
সে বলে, স্বর্নালী কি করছো এসব? ছাড়ো। সবাই দেখছে তো!  স্বর্নালী তাকে জড়িয়ে ধরেই বলে, দেখলে দেখুক। তাতে আমার কি?
বাধনের একদিকে যেমন ভালোলাগা কাজ করছে। অন্যদিকে তেমন আনইজিও ফিল হচ্ছে। এর আগে এভাবে কেউ কখনও তাকে জড়িয়ে ধরে নি। সে নিজেকে ছাড়িয়ে নিতে বলে ওঠে
- তোমার মাও কিন্তু দেখছে।
মায়ের কথা শুনতেই স্বর্নালী বাধনকে ছেড়ে দেয়।
তারপর চারপাশে তাকিয়ে দেখে কোথায়ও তার মা নেই। সে আবার কয়েকটা আদর মাখানো কিল ঘুসি দেয় বাধনকে।

রাতে খাবার খাওয়ার সময় এই বিষয়টা মনে হতেই বাধন হেসে ওঠে। তাকে হাসতে দেখে তার মা বলে, কি হয়েছে তোর? অমন করে হাসছিস কেন?
বাধন বলে, ও তুমি বুঝবে না।
বাধন চেয়েছিলো সে নিজেই তাকে প্রপোজ করবে। কিন্তু কি থেকে কি হলো, সবকিছুই তার মাথার উপর দিয়ে গেলো।
.
জেএসসি পরীক্ষা শেষ হলো। দুজনের কথা বলা, দেখা করার পরিমাণ কমতে থাকলো। তবে ভালোবাসার পরিমাণটা বিন্দুমাত্রও কমলো না। স্বর্নালীর পরিবার জানতো তাদের এই রিলেশনের বিষয়টা। তারাও মেনে নিয়েছিল।
প্রতিটা ভালোবাসাতে যেমন আদর ভালোবাসা, ঝগড়া, মারামারি, খুনসুটি থাকে, ঠিক তাদেরও ছিলো।
তাদের ভালোবাসার যখন দুই বছর পূর্ণ হয়। তখন সবকিছু একেবারে ভিন্ন হয়ে যায়।
অবশ্য এই ভিন্নতার পেছনে বাধনেরই দোষ ছিলো।

সেদিন স্বর্ণালী গ্রামের মেঠোপথ ধরে একটা ছেলের হাত ধরে হেঁটে যাচ্ছিলো। দূর্ভাগ্যবশত সেই দৃশ্যটা সাগর দেখে ফেলে।সে দেখা মাত্রই দৌড়ে গিয়ে বাধনকে জানায় বিষয়টা।  বাধন সাগরের কথায় বিশ্বাস না করলে সাগর তাকে হাত ধরে টেনে নিয়ে যায় এবং বলে, এবার দেখো ভাইয়া।
স্বর্নালীকে এ অবস্থায় দেখে বাধনের মাথায় রক্ত উঠে যায়। পরদিন সে স্বর্ণালীকে দেখা করতে বলে।
স্বর্ণালী দেখা করতে এলে বাধন তাকে কোন প্রকার প্রশ্ন না করে তার ব্যাগে থাকা স্কেল বের করে পিটাতে থাকে। আর বলতে থাকে,  তুই যে আমার সাথে এমনটা করবি, সেটা আমি কল্পনাতেও ভাবিনি। ঐ ছেলের সাথে তোর সম্পর্ক কি? বাধন কথাগুলো বলছে আর মারছে। স্বর্ণালী মেয়েটা ব্যাপক ফর্সা ছিলো। তার হাত দুটো মুহুর্তেই রক্ত বর্ণ ধারণ করে। তবুও সে কিছু বলে না। তার দু'চোখ বেয়ে অঝোড়ে জল পড়তে থাকে। বাধন যখন স্কেল দিয়ে মারতে মারতে ক্লান্ত, তখন সে স্বর্ণালীর বাহুতে একটা ঘুসি মারে। তবু স্বর্ণালী কোন টু শব্দও করে না।
সেদিন বাধন স্বর্ণালীর সাথে ব্রেকাপ করে চলে আসে। তার ভেতরে স্বর্ণালীর জন্য ঘৃণার জন্ম হতে থাকে। ঠিক তারই দু'দিন পর সে জানতে পারে ঐ ছেলেটি তার মামা ছিলো। কিন্তু সেই মুহূর্তে বাধনের আর কিছুই করার ছিলো না।
এদিকে আবার তার কলেজে ভর্তির সময় চলে আসে। তারা দুজনেই সে বছর এসএসসি পাশ করে। বাধন পড়ালেখার জন্য ঢাকাতে চলে আসে। আর স্বর্ণালী গ্রামেই রয়ে যায়।
.
.
.
- তারপর কি হলো ভাই? (আমি)
ছেলেটি দোকানদার মামাকে আরো দুইটা চা দিতে বললো।
আমি ছেলেটিকে আবারও প্রশ্নটা করলাম
- ভাই তারপর কি হলো? বাধন আর স্বর্ণালীর মধ্যেকার দুরুত্বটা কি পরে লাঘব হয়েছিলো? নাকি এখনও রয়েই গিয়েছে।
- এখনও রয়েই গিয়েছে।
- ভাই সেই বাধন ছেলেটা এখন কোথায় আছে বলতে পারেন? তাকে কাছে পেলে আমি ইচ্ছামত কয়েকটা উত্তম মধ্যম দিতাম।
আমার কথা শুনে ছেলেটি তার ফোন বের করে একটা ছবি দেখিয়ে বললো
- এটাই সেই বাধন।
ছবিটা দেখা মাত্র আমি অবাক হয়ে গেলাম।আমি বললাম
- তাহলে সেই বাধন নামের ছেলেটি আপনি?
- হ্যাঁ, আমি।
আমি বাধনের চোখে জল দেখতে পেলাম। হ্যাঁ, সে কাঁদছে। হয়তো সে এখনও স্বর্ণালীকে ভালোবাসে।  আমি তাকে আবার জিজ্ঞেস করলাম
- ভাই আপনার স্বর্ণালী এখন কোথায় আছে কেমন আছে?
বাধন কোন উত্তর দেয় না। সে চায়ের বিলটা মিটিয়ে পিচঢালা পথটি ধরে হাঁটতে থাকে।
.
আজ বাধনের থেকে সেই গল্পটা শোনার দেঁড় বছর পূর্ণ হলো। ছেলেটিকে আজ আবারও দেখলাম ফুট ওভারব্রিজে। তাকে ডাকও দিলাম।  কিন্তু সে শুনলো না। আমার বড় জানতে ইচ্ছে করছে, তাদের এখনকার জীবনের গল্পটা। বাধন কি তার স্বর্ণালীকে ফিরে পেয়েছে? নাকি এখনও তাদের মধ্যে সেই দুরুত্বটা রয়েই গিয়েছে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:০০

রাজীব নুর বলেছেন: লালন শাহের হাতে মাঝে মাঝে সাকোস মাছের লেজ দিয়ে বানানো একটা চাবুক থাকত। সাকোস বা শাপলা মাছ দেখতে কচ্ছপ আকৃতির এবং লেজ লম্বা। তাঁর মনে কোনো গান জাগলে সেটা শিষ্যদের শোনাতেন।

২| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৯

নীল আকাশ বলেছেন: এর পরের বার বিউটি পার্লার আর গার্লস স্কুলের সামনের ঘটনা নিয়ে লিখবেন!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.