নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শ্রাবণ আহমেদ (নিরব)\nট্রেইনার অব \"উই আর স্টুডেন্টস\" ঢাকা।

শ্রাবণ আহমেদ

শ্রাবণ আহমেদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার তাকে নিয়ে লেখা দ্বিতীয় গল্প

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:২২


প্রত্যাশা
লেখক: Srabon Ahmed (অদৃশ্য ছায়া)
.
প্রত্যাশিত কোনো কিছু পাওয়াটা খুবই দুষ্কর। তবে সবার ক্ষেত্রেই যে এমনটা হবে, সেটা কিন্তু নয়। আমি বলছি না যে, আপনার প্রত্যাশিত জিনিসটা আপনি পাননি কিংবা আপনার অতীব বেগ পোহাতে হয়ছে। আমার ক্ষেত্রে এমনটা হয়েছে এবং হচ্ছে বলেই উক্ত কথাটি লিখেছি।
সময়ের বিরামহীন স্রোতে কত কিছুই তো প্রত্যহ গত হয়ে যায়। তার কোনো কিছুই কিন্তু আমরা মনে রাখি না। যেটা যাবে, সেটাকে মনে রাখার কী দরকার বলুন? আপনি যাকে পছন্দ করেন কিংবা ভালোবাসেন। তার থেকে অন্তত আপনি সুলভ মাধূর্যপূর্ণ আচরণটা প্রত্যাশা করেন। কী, ভুল বললাম কিছু?
হয়তো!
তবে একটা বিষয়ে আপনি সদা সচেতন থাকবেন, কাউকে অধিক গুরুত্ব দেবেন না। কেননা অধিক গুরুত্বের মূল্যায়নটা আপনি উক্ত ব্যক্তি হতে প্রত্যাশা করলেও পাবেন না। কথাটা বিশ্বাস না হলে একটু প্রত্যক্ষ করেই দেখুন না।
.
শিশির কণারা যেমন প্রত্যাশা করে, সূর্য যেন না ওঠে এবং তারা যেন ঘাসের বুক থেকে বিলীন না হয়ে যায়। কিন্তু দেখেন, তাদের সেই প্রত্যাশাটা কিন্তু প্রত্যাশাই থেকে যায়। নির্দিষ্ট সময় পরে সূর্য তার নিজ অস্তিত্ব প্রকাশ করে সমস্ত শিশির কণাকে ঘাসের বক্ষ হতে নিশ্চিহ্ন করে দেয়। ঠিক তেমনটা আমার সাথেও ঘটে চলেছে প্রতিনিয়ত।
আমি যার আশায় প্রতিটা প্রহর ব্যাকুল থাকি, সে কি না সেটা বুঝেও আমাকে ইগনোর করে। অবশ্য আমাকে তার ভালো না লাগার দু'টো কারণ রয়েছে। তন্মধ্যে একটি হলো, আমি দেখতে সুন্দর নই। আর অপরটি হলো, আমি ধনীদের অন্তর্ভুক্ত নই।
.
তাকে যতবার আমি আমার মনের কথা ব্যক্ত করেছি, সে ততবারই আমাকে ফিরিয়ে দিয়েছে। আসলে সে তো আর সরাসরি আমাকে বলতে পারে না যে, শ্রাবণ তুই দেখতে সুন্দর না। এজন্য তোকে আমার পছন্দ না এবং তোকে ভালোবাসতে পারবো না। তাই সে আমাকে ইগনোর করার মধ্য দিয়ে সেটা বুঝিয়ে দেয়।
.
কোনো কিছু সম্পর্কে বুঝতে শিখেছি ইন্টারমিডিয়েটে পড়ালেখা করা কালীন সময়ে। একদম শান্তশিষ্ট ভদ্র ছেলে যাকে বলে, তার সবটুকুই আমার মধ্যে ছিলো। তবে এখন যে সেটা নেই তা কিন্তু নয়?
আমার বন্ধুদের মধ্যে সবাই প্রেম নামক ভালোবাসার বন্ধনে জড়িয়ে গিয়েছিলো তখন। শুধু বাকি ছিলাম আমি। আর বাকি থাকার কারণটাও ছিলো সরল। কেননা ক্লাসের হ্যাবলা মার্কা ছেলে ছিলাম আমি। একশো জন ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে আমি কেবলই নূন্যতম একজন। আপনারা হয়তো লক্ষ করে থাকবেন, যেখানে একাধিক লোকের সমাগম অর্থ্যাৎ যেমন ধরুন কোনো মেলা, সেখানে আপনি কিন্তু অতি তুচ্ছ, নগন্য একটি প্রাণী।
ঠিক সেরকম ছিলাম।  মাত্র একশো জনের মাঝেও আমাকে কেউ চিনতো না। ক্লাসের মাঝখানে বসতাম, কখনও বা পিছনে। স্যার ম্যামেরা কোনো প্রশ্ন জিজ্ঞেস করলে চুপচাপ থাকতাম। যদিও সেটা পারতাম, তবুও কিছু বলতাম না। কেননা মনের মধ্যে সংশয় কাজ করতো।
ক্লাসের অন্যরাও বলতো না। তবুও তাদেরকে সবাই চিনতো। কারণ, তারা ক্লাসের মধ্যে এমন সব কার্য ঘটাতো। যার দ্বারা তাদেরকে না চেনার কোনো উপায়ই ছিলো না। আমি যদি কখনও কোনো বন্ধুকে বলতাম, দোস্ত তোরা এত এত মেয়ে পাস কোথা থেকে? তখন তারা হাস্যের স্বরে বলতো,  তুই বাচ্চা মানুষ বুঝবি না। বড় হ, তবেই বুঝবি কিভাবে এতো মেয়ে পাই এবং প্রেম করি।

আহা! আমি এখনও বুঝে উঠতে পারিনি তারা এতো এতো মেয়ে এখনও কোথা থেকে পায়? তবে এখন আর আমি আগের সেই শ্রাবণ নেই। নিজেকে বদলে ফেলেছি পুরোটা। নতুন ভার্সিটি, নতুন স্থান, এসবে নিজেকে মানিয়ে নিয়েছি। চঞ্চল হতে শিখেছি। কোনো মেয়েদের দিকে চোখ তুলে তাকানোর সাহস হয়নি কখনো। কিন্তু আজ আমি দিব্যি একটা মেয়ের দিকে ঘন্টার পর ঘন্টা তাকিয়ে থাকি। ভার্সিটিতে ভর্তি হয়ে একটা মেয়েকে ভালো লাগে আমার। পূর্বের গল্পে তার সম্পর্কে কিছু বর্ণনা দেওয়া আছে। মেয়েটা দেখতে অতীব সুন্দরী, সেটা আমার চোখে। তবে কার চোখে কেমন সেটা  বলতে পারবো  না। ব্যবহার আচার, যেমন নমনীয়, ঠিক তেমনি সে দেখতেও অপরুপা। তার দিকে তাকিয়ে থাকলে কখন যে সময় পার হয়ে যায়, সেটা বুঝতেই পারি না। একদিন কথার ছলে তাকে বলি, জেবু আমি তোকে পছন্দ করি। সে হেসে উড়িয়ে দিয়ে বলে, আর কতজনকে পছন্দ করিস শুনি?
.
রাত জেগে ফেসবুকে চ্যাটিং করে তাকে বিরক্ত করা, রাত একটা দুইটার দিকে ফোন করে কথা বলা, কারণে অকারণে ভালোবাসি বলা, এ যেন আমার নিত্য রুটিন হয়ে গিয়েছে। প্রথম প্রথম সে বিরক্ত হতো না। কিন্তু আমার তাকে বিরক্ত করার পরিমাণটা বেড়ে যাওয়ায় সে আমার সাথে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে। তবু আমি তাকে বিরক্ত করতে থাকি। অবশ্য এটাকে বিরক্ত বললে ভুল হবে। কেননা, নিজ পছন্দের মানুষকে ভালোবাসার কথা জানানোটা মোটেও বিরক্তের অন্তর্ভুক্ত নয়। তাকে আমি এত পরিমাণে পছন্দ করি, যা ভাষ্যে প্রকাশযোগ্য নয়। তার চালচলন, কথা বার্তা, মুচকি হাসি, চাহনি, সবকিছুই আমাকে মুগ্ধ থেকে মুগ্ধতর করে।  তাকে এক নজর দেখলে হৃদগহীনে এক ধরনের ভালো লাগা কাজ করে। মনে চায় তাকে সারাজীবন আমার সম্মুখে বসিয়ে রেখে দেখতে থাকি। যত দেখি তাকে মন ভরে না।

মাঝে মাঝে সে আমাকে দেখানোর ছলে আমারই বন্ধু আলভীর হাত ধরে টানাটানি করে। ভেতরটা তখন জ্বলে যায় আমার। মনটা চায় আলভীকে ধরে কয়েকটা দেই। বেটাকে ডাক দিয়ে বলেওছি, আর যেন জেবু তোর হাত না ধরে।
কিন্তু বেটা বলে, আমি কী তার হাত ধরি নাকি? সেই তো আমার হাত ধরে। তাতে আমি কী করবো?

আসলেও তো তাই। তবে সে কী করবে? তবু আমি তাকে বলি, এখন থেকে জেবু  তোর হাত ধরতে আসলে হাত দুটো পকেটে পুরে রাখবি। যেন সে ধরতে না পারে।  আর যদি তোর হাত সে ধরে, তবে তোর খবর আছে।

সহসা কখনো মনটা চায় জেবুর হাতটা ধরে বলি,
প্রিয় সখি, তোমার জন্য মনটা ব্যাকুল,
ভালোবাসি যে তোমায়।
দাও না একটু ঠাঁই ঐ মনে একবার,
রেখে প্রেম আঙিনায়।

কিন্তু বলা হয়ে ওঠে না। তার হাত দুটো আর ধরা হয়ে ওঠে না। প্রিয় সখি তুমি কেন বোঝো না তোমাতেই বিভোর আমি।
.
কখনো উদ্বিগ্ন নয়নে দূর আকাশের পানে চেয়ে থেকে ভাবি, প্রত্যাশিত জিনিস কেন পাওয়া যায় না! আমাকে একটু ভালোবাসলে তার কী এমন ক্ষতি হয়ে যাবে! ফেসবুকে লেখালেখির সুবাদে কতশত মেয়ের থেকে প্রপোজাল পেয়েছি, তার হিসাব নেই। তারা কিন্তু দিব্যি আমাকে ভালোবেসে চলেছে প্রত্যহ। যদি কখনো তাদের মধ্যে কেউ আমার মুখাকৃতি দেখে, তবে আমি নিশ্চিত তারা অচিরাৎ পিছু হটবে। মনে মনে বলবে, যে না চেহারা আবার ভাব ধরে।
আসলে আমি ভাব ধরি না। ভার্চুয়ালের প্রেম নামক সম্পর্ককে বিশ্বাস করি না। হ্যাঁ, আমিও করতাম বিশ্বাস। যদি আমার সাথে ঐ ঘটনাটা না ঘটতো।
.
জেবুকে প্রথম দেখি ক্লাসে। তবে তখনও তাকে ভালোভাবে প্রত্যক্ষ করিনি। যেদিন তার এবং তাদের সাথে ক্যান্টিনে খেতে যাই। সেদিনই তাকে ভালো করে দেখি। মেয়েটার বর্ণনা পূর্বের গল্পে গল্পায়ন করা হয়েছে।
তারপর থেকেই তার পিছু লেগে থাকি। প্রথম যেদিন তাকে তার প্রতি আমার পছন্দের কথা, ভালো লাগার কথা বলি, সেদিন সে স্বাভাবিকভাবেই ব্যাপারখানা মজা হিসেবে নিয়েছিলো। অবশ্য সেদিন আমার তাকে পছন্দের কথা বলাটাও মজার মতোই ছিলো।

মাঝখানে বেশ কয়েকটা দিন চলে গিয়েছে। জেবু আমার একটা সুন্দর নামও রেখেছে। নামটা কিন্তু আপনাদের কাছে মোটেও সুন্দর বলে মনে হবে না। কেননা সেই নামটা শুধু তার কাছেই সুন্দর হবে, যে সেই নামটা ভালোবেসে গ্রহণ করে নিবে।
তার দেওয়া সেই অনন্য, অনবদ্য, মনোমুগ্ধকর নামটি হলো "ছেঁচড়া।"
কী অবাক হচ্ছেন? হাসছেনও বটে। আহা দাদা, হাসির কিছু নেই। নামটা কিন্তু অনেক সুন্দর। সদ্য শুনেছেন তাই হয়তো ভালো লাগছে না। কিন্তু যখন অভ্যস্ত হয়ে যাবেন, তখন নিশ্চয়ই ভালো লাগবে।

আপনাদের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, আমার সখি আমাকে এই নামটা উপহার দিলো কেন? আমি কিন্তু তখন উত্তরে একটা কথায় বলবো, "ভালোবেসে।"
.
আপনি লক্ষ্য করলে দেখবেন, টাকার পিছনে ছুটা মানুষগুলো কখনও চাইবে না রাত্রি হোক। কেননা রাত্রি হলে টাকার উৎসটাও অন্ধকারে ঢেকে যায়। কিন্তু দেখবেন, যে ব্যক্তি রাত্রিকে ভালোবেসে নিয়েছেন। সেই ব্যক্তি কিন্তু রাত্রিকেই চাইবেন।
ঠিক তেমনি আমি জেবুর কাছ থেকে একটা সুন্দর নামের আশা করেছিলাম। আশাটা অবশ্য এখনও বহাল আছে। তবে সে এখন যে নামটি দিয়েছে, সেটাও কিন্তু মন্দ নয়।

গোধূলী লগ্নে নীল কিংবা লাল শাড়িতে কখনও আপনি আপনার প্রেয়সীকে দেখেছেন? হ্যাঁ, দেখেছেন হয়তো। কারণ, আপনার প্রেয়সী আছে। কিন্তু বিশ্বাস করুন, আমি দেখেনি আজ পর্যন্তও।
আসলে দেখার তো কোনো উপায়ই দেখছি না। সে তো আমাকে পছন্দই করে না। আর সে আসবে লাল, নীল শাড়ি পড়ে গোধূলী লগ্নে দিঘির পাড়ে? এটাও একটা প্রত্যাশা ছাড়া কিছু নয়।

সবাই চায় তার প্রিয় এবং ভালোবাসার মানুষটি শিশির ভেজা ঘাসে কিংবা উত্তপ্ত রৌদ্র মাঝে পিচঢালা পথে হাতে হাত রেখে একটু হেঁটে চলুক। রাত্রি হলে ল্যামপোস্টের আলোয় বসে কিছুক্ষণ গল্প করুক। কখনও বা চায়, জ্যোৎস্না উচ্ছ্বাসিত অম্বরের পানে
তাকিয়ে জ্যোৎস্না বিলাস করুক।
কিন্তু দেখেন উক্ত চাওয়াটা কিন্তু সবাই পায় না। যারা পায় না, হয়তো আমিও তাদের অন্তর্ভুক্ত, তাদের মধ্যেই একজন!
.
সেদিন রাতে আমি ঘুমিয়ে আছি। ঘুমানোর আগে জেবুর সাথে খানিকক্ষণ মেসেন্জারে কথা বলেছি অবশ্য। তবে কথা বলার অন্তে তার থেকে আনফ্রেন্ড হওয়াটা প্রাপ্য ছিলো আমার। অতিরিক্ত বিরক্ত করি আমি মেয়েটাকে। যার প্রেক্ষিতেই সে আমাকে আনফ্রেন্ড করে দেয়।
ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে তাকে নিয়েই স্বপ্ন দেখছি। স্বপ্নের সারাংশ এমন, "আমি তাকে যতই ভালোবাসার কথা ব্যক্ত করি, সে ততই অন্য একটি ছেলের দিকে নিজের হাতটা বাড়ায়।"
স্বপ্নের মধ্যেও সে আমার হতে চায় না। হায়রে! 

মাঝে মাঝে ভাবি আমি, আমার সকল লেখালেখি তাকে ঘিরে, তাকে নিয়েই লিখবো। কিন্তু মনে সংশয় জেগে ওঠে। যদি সে কিছু বলে? কিন্তু সে সংশয় আমার কেটে গিয়েছে। আজ লাইব্রেরীতে বসে কথা বলার সময় তার থেকে অনুমতি নিয়েই লিখতে বসেছি। অবশ্য অনুমতিটা আমি জোর করেই নিয়েছি। সে চায় না আমি তাকে নিয়ে গল্প লিখি। তবুও আমি লিখতেছি। আসলে সে চাইলেই বা কী, না চাইলেই বা কী? আমার মন, আমার ফোন, আমার হাত, সবকিছুই আমার। আমি কাকে নিয়ে লিখবো না লিখবো, তাতে কারো কিছু আসে যায় বলে আমার মনে হয় না।
হ্যাঁ, বিপরীত পক্ষে কিন্তু অনেকেরই আবার এতে আসে যায়। কারণ, এখন যদি আমি দেশদ্রোহী, কিংবা কারো বিপক্ষে খারাপ কথা লিখি তবে সেটাতে কারো না এসে গিয়ে পারবে না।
কিন্তু এসবের সাথে ভালোবাসার বিষয়টি সম্পূর্ণই ভিন্ন।
.
পাঠকেরা গল্প পড়ে ভাববে, কী লিখেছে লেখক সাহেব! এটা কোনো গল্প হলো নাকি? আজাইরা প্যাচাল জুড়ে বসেছে। সময়টাই নষ্ট করলাম শুধু।

এরকম মনে হওয়ারই কথা। আসলে গল্প যে লিখবো, কী করে লিখবো? কাকে নিয়ে লিখবো? কাল্পনিক ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে কিছু লিখতেও ভয় লাগে। না জানি কখন পিঠের উপর কয়েকটা পড়ে। তবে, এই যে হ্যাঁ,  আপনাকেই বলছি- আগামী গল্পে পুরো কাল্পনিক টপিক পাবেন। যেটা পড়তে পড়তে আপনার মন চায়বে, পড়তেই থাকি।
আমি জানি এই গল্পটার, দুঃখিত এই লেখাটার মধ্যে ভালোলাগার মতো কোনো কিছুই পাননি। কেননা এখানে কোনো ঘটনাবলীর উল্লেখ নেই। যেই গল্পে ঘটনা থাকে, সেই গল্পেই মজা নিহিত থাকে।
তবে এটুকু বলতে পারি, আমার উপরিউক্ত কথাগুলো হয়তো বুঝতে পেরেছেন।
.
আর কিছু লিখতে মন চাইছে না। তবুও প্রেয়সীর তোরে কবিতা একটা লেখায় যায়।
কী বলেন?

প্রেয়সী, তোমার তরে হইলাম উদাসীন।
বাড়াইলা প্রেম অভীপ্সা, কাটে না আর দিন।
তোমার কথা ভেবে মোর রাত্রি প্রহর যায়।
চক্ষু দু'টো খোঁজে সর্বক্ষণে শুধুই তোমায়।
তুমি ছাড়া আমি সঙ্গহীন।

সখি, তোমার ঐ চোখ দু'টোতে মারাত্মক নেশা।
একটুখানি চাইলেই যে হারাই আমি দিশা।
তোমাকে দেখতে মনটা মোর চায় সর্বক্ষণ।
সময় অসময়ে দেখি, তোমায় নিয়ে স্বপন।
তুমি আমার হৃদয়াঙ্গীন।

মিষ্টি মিষ্টি দেখতে তুমি, আহ! কী সেই রুপ।
মন চায় পড়তে প্রেমে দিতে একটু ডুব।
সহসা কী দেখলাম সখি, সেটা ভাবি মনে।
বিশ্বাস কর সখি, তোকেই ভাবি প্রতিক্ষণে।
তুই ছাড়া আমি প্রাণহীন।
.
জেবু তোকে এতো এতো এতো পরিমাণে পছন্দ করি, ভালোবাসি, যা সত্যই বলে বোঝাতে পারবো না রে। তুই বুঝেও কেন না বোঝার ভান ধরিস?
বলবি একটু?

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:২৪

রাজীব নুর বলেছেন: বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে লেখা কবিতা।

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:০২

শ্রাবণ আহমেদ বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয়

২| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:৫৮

মোঃ ফখরুল ইসলাম ফখরুল বলেছেন: মুগ্ধতা :-B

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.