নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শ্রাবণ আহমেদ (নিরব)\nট্রেইনার অব \"উই আর স্টুডেন্টস\" ঢাকা।

শ্রাবণ আহমেদ

শ্রাবণ আহমেদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কাহিনী কি সত্যি?

০৬ ই জুলাই, ২০১৯ দুপুর ১:৩৬

কাহিনী কি সত্যি
পর্ব-২
লেখক: Srabon Ahmed (অদৃশ্য ছায়া)
.
ডাইনিং পেরিয়ে নিজের রুমে ঢুকতেই স্বাধীন ভাই বলে উঠলেন, কী ছোট ভাই? কাহিনী কি সত্যি? আমার পুরো শরীর তখন ঘামে ভিজে একাকার। খিদেও লেগেছে প্রচুর। এমন একটা সময়ে ভাইয়ার অমন প্রশ্ন শুনে আমি থতমত খেয়ে বললাম, কী কাহিনী? ভাইয়া কিছু বললেন না। আমি ভাবতে লাগলাম, তাহলে কী ভাইয়া ঐ বাসের ঘটনাটা জেনে গিয়েছে! না না, ভাইয়া বাসের ঘটনা জানবে কী করে?
তিনি আবার বলে উঠলেন, "যা শুনলাম, তা কি সত্যি?"
আমি মৃদু স্বরে বললাম, কী শুনেছেন?

ভাইয়া আমার কথার কোনো উত্তর না দিয়ে হাসতে লাগলেন। কিছুক্ষণ পর হাসি থামিয়ে বললেন, ভয় পেয়ো না। আমরা আমরাই তো।
.
স্নান সেরে ভাত খেতে বসেছি মাত্র। ঠিক তখন রুমমেট নাঈম নামের ছেলেটি বলে উঠলো, তাহলে ঘটনাটা সত্যিই!
আমি নাঈম ভাইকে বললাম, ভাই কী হয়েছে বলুন তো? আমি কিন্তু টেনশনে আছি। কিছুই বুঝতে পারছি না আপনাদের কথা। নাঈম কিঞ্চিৎ হাসলো মাত্র, কিন্তু কিছুই বললো না।

রাতে ঘুমানোর সময় স্বাধীন ভাইকে বললাম, ভাই দুপুরে কী যেন বলছিলেন, কাহিনী সত্য না কী যেন একটা!
- আরে ওসব কিছুই না। তুমি ঘুমিয়ে পড়ো। কালকে না তোমার ভার্সিটি আছে?
- হুম আছে।
- তাহলে দ্রুত ঘুমিয়ে পড়ো।

আমি ভাইয়াকে আর কোনো প্রশ্ন না করে ঘুমিয়ে পড়লাম। সকালে এলার্ম টোনে ঘুম ভাঙলে দ্রুত ঘুম থেকে উঠে পড়লাম। আজকে একটু সকাল সকাল ভার্সিটি যেতে হবে। রাতে সৌরভ টেক্সট করেছিলো, আজকে নাকি জেবু ভার্সিটিতে আসবে। তাই আর দেরি না করে ব্যাগটা কাঁধে ঝুলিয়ে বাসা থেকে বের হলাম। ঘড়ির দিকে একবার চোখ বুলিয়ে নিলাম। সকাল সাতটা বেজে চল্লিশ মিনিট।

মিরপুর-১ এ পৌঁছে যা দেখলাম, তা দেখে আমার চক্ষু ছানাবড়া। ফার্মগেট যাওয়ার প্রতিটি বাসে চড়ার জন্য একেকটা লাইন তৈরি হয়েছে। নিউ ভিসনের জন্য একটা, তানজিলের জন্য একটা, দিশারী সিটিং সার্ভিস, তাই ওটার লাইনে তেমন কোনো ভীড় নেই। আমি কিছু সময় দাঁড়িয়ে থেকে ভাবলাম, নাহ এভাবে হবে না। তার চেয়ে বরং গাবতলীর বাসে চড়ে টেকনিক্যাল পর্যন্ত যাই। তারপর ওখান থেকে ফার্মগেটের বাসে চড়া যাবে। যেই ভাবা সেই কাজ। উঠে পড়লাম গাবতলীর বাসে। টেকনিক্যাল নেমে "গাবতলী-৮" বাসে চড়ে রওনা দিলাম ভার্সিটির উদ্দেশ্যে।

আজ রাস্তায় তেমন কোনো জানজট নেই।
প্রফুল্ল মনে বাসের সিটে হেলান দিয়ে চোখ দু'টো বন্ধ করে বসে আছি। কিছু সময় যেতে না যেতেই কন্ট্রাক্টর মামা বলে উঠলেন, যারা ফার্মগেট যাইবেন, তারা এইখানে নাইমা যান।
আমি চোখ খুলে দেখলাম আসাদ গেইটে চলে এসেছি। দ্রুত নেমে পড়লাম বাস থেকে। তারপর সংসদ ভবনের ফুটপাত ধরে হাঁটা ধরলাম ভার্সিটির দিকে। অবশ্য রিক্সা নিতে পারতাম। তবে রিক্সা নেওয়ার কোনো ইচ্ছাই ছিলো না আমার। কেননা সংসদের সম্মুখ দিয়ে হাঁটতে খুব ভালো লাগে আমার। মাঝে মাঝে লাল, নীল, সাদা, হলুদ পাখিদের সমাগম দেখা যায়।
.
ভার্সিটিতে পৌঁছে দেখি কয়েকজন ছাত্র-ছাত্রী এসেছে মাত্র। আমি সোজা আমাদের ক্লাসরুমে চলে গেলাম। বেন্চে ব্যাগটা রেখে নিজেকে প্রস্তুত করছি, কিভাবে জেবুকে মনের কথা বলা যায়।

যথাসময়ে ক্লাস শুরু হয়ে গেলো। কিন্তু জেবুর আসার কোনো নাম গন্ধও দেখছি না। ওদিকে সৌরভও আসেনি। একটা ক্লাস শেষ হলে সৌরভকে কল দিলাম, বন্ধু কোথায় তুই?
- এই তো জ্যামের মধ্যে বসে আছি।
- থাক বসে থাক, জেবু আসবে কখন?
- ও আর মেরী রওনা দিয়েছে, ঘণ্টা খানেকের মধ্যে পৌঁছে যাবে।
- কী? ঘণ্টা খানেক?
- হুম।
- ধুর বেটা ফোন রাখ। মেজাজটাই খারাপ করে দিলি।
.
ফোনটা রেখে দরজার দিকে তাকাতেই দেখি জেবু আর মেরী ক্লাসে ঢুকছে। আহ! জেবু মেয়েটা যেন কোনো মানুষ নয়, যেন সে সাক্ষাৎ পরী। আজ তাকে এতো সুন্দর লাগছে কেন? সেজেগুঁজে আসে না তেমন, তবুও এতো সুন্দর কেন সে? নাকি তাকে পছন্দ করি বলেই এমন মনে হচ্ছে! সে যাই হোক, আজকে তাকে আমার ভালো লাগার কথা জানাতেই হবে। সে যেমন করেই হোক।

পরবর্তী ক্লাস শেষ হতেই মেরী আর জেবু আমাকে ডাক দিলো। আমি তো তখন খুশিতে আত্মহারা। আহা! প্রেয়সী নিজে থেকেই ডাকছে আমাকে। গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে যেতেই জেবু বলে উঠলো, এদিকে কী হ্যাঁ?
আমি অবাক হয়ে বললাম, কোনদিকে কী? তুই তো ডাকলি আমাকে।
- হ্যাঁ ডাকলাম, কিন্তু এদিকে কী?
- কোনদিকে?

তখন পাশে থেকে মেরী বলে উঠলো, তুই ক্লাস করতে এসেছিস? নাকি জেবুকে দেখতে এসেছিস?
- কেন?
- ক্লাস বাদ দিয়ে ওর তাকিয়ে তাকিয়ে ছিলি কেন?
- তবে কী তোর দিকে তাকিয়ে থাকবো?

মেরীর কথার সাথে তাল মিলিয়ে জেবুও বললো, হ্যাঁ তুই আমার দিকে তাকিয়ে ছিলি কেন?
আমি মৃদুমন্দ ভাব ছেড়ে সতেজ মনে বললাম, "চোখ আমার, মন আমার, সবকিছু আমার। আমি কোন দিকে তাকিয়ে থাকবো না থাকবো, সেটা আমার একান্তই ব্যক্তিগত ব্যাপার। তাতে তোর কী?"
- আমার কী মানে? তুই আর আমার দিকে আর তাকাবি না।
- তাকাবো। যখন মন চাইবে, তখনই অপলক তাকিয়ে থাকবো। পারলে নিজেকে আড়াল করে রাখিস।
- তুই, তুই একটা....
- আমি একটা কী?
- কিছু না।
- জেবু একটা কথা ছিলো।
- বল।
- তোকে ভালো লাগে আমার।
- তোর তো সব মেয়েকেই ভালো লাগে।
- সবার থেকে তোকে একটু আলাদাভাবে ভালো লাগে। হয়তো এই ভালো লাগার নাম ভালোবাসা।

জেবু আর কোনো কথা বললো না। মেরীর দিকে তাকিয়ে দেখলাম সে ভীষণ রেগে আছে। তাতে আমার কী? আমি কী কারো রাগ দেখি নাকি?
.
ক্লাস শেষ হলে গতদিনের মতো বাসায় এসে রুমে ঢুকতেই স্বাধীন ভাই আবারও বলে উঠলেন, কী ছোট ভাই? কাহিনী কি সত্যি?

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৩:১৩

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি কি মিরপুরের বাসিন্দা?

০৭ ই জুলাই, ২০১৯ সকাল ১১:৫৪

শ্রাবণ আহমেদ বলেছেন: জ্বী দাদা।

২| ০৬ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৩:৩০

শায়মা বলেছেন: কি কাহিনী?

০৭ ই জুলাই, ২০১৯ সকাল ১১:৫৬

শ্রাবণ আহমেদ বলেছেন: অপেক্ষা করুন, জানতে পারবেন। পরে নিশ্চিত আপনিও ট্রাই করবেন।

৩| ০৬ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



বিরক্তিকর

৪| ০৬ ই জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৬

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: পড়লাম।

৫| ০৭ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১২:৩০

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: ভালোইতো লাগল। আর কোন পর্ব দিবেন নাকি?

০৭ ই জুলাই, ২০১৯ সকাল ১১:৫৬

শ্রাবণ আহমেদ বলেছেন: হ্যাঁ দাদা।

৬| ০৭ ই জুলাই, ২০১৯ সকাল ১০:১৩

ইসিয়াক বলেছেন: ভালো

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.