![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রূপময় বঙ্গপ্রকৃতি
লেখক: Srabon Ahmed (অদৃশ্য ছায়া)
.
অবারিত মাঠ, সবুজ সজীব ধানক্ষেতের কোল ঘেষে হেঁটে চলা সরু পথ। মাঠের মধ্যখানে ঠাঁই দাঁড়িয়ে থাকা অশ্বত্থ বৃক্ষ। অদূরে, নদীতে বয়ে চলা কলকল ধ্বনি, এ যেন রূপময় এ প্রকৃতির প্রাণ।
রাখাল বালক মধ্যাহ্নে গুড়মুড়ি নিয়ে সেই অশ্বত্থ বৃক্ষতলে বসে ক্ষুধা নিবারণ করে। দূরে পালের গরু, মহিষগুলো ছায়াবৃত প্রান্তরে লকলকে তৃণে খোঁজে আহার সামগ্রী।
অপরাহ্নে রাখালের বাঁশির সুর, যেন মোহময় সে লগ্ন। বাঁশির সুরে উদাসীন রমণী অলক্ত চরণে কলশি কাঁখে নিভৃতে হেঁটে যায় নদীর পানে। রাখাল অনিমেষ নেত্রে চেয়ে রয় রমণীর সে ফুটন্ত যৌবনে।
ছোট ছোট চারাগাছ, বড় হওয়ার স্বপ্ন দেখে। আনাড়ি বকরি সে গাছগুলো খেয়ে ফেলে। অজ্ঞ মোড়লে বিচার বসিয়ে নিরীহ বকরিটার ক্রুর শাস্তি দেয়।
প্রতি নিশিতে দূর হতে ভেসে আসে গলা ছেড়ে গাওয়া সে মধুময় গান। ক্লান্ত কৃষকের তন্দ্রাভাব কেটে যায় সে গানের সুরে। কান দু'টো খাড়া করে রাতভর শোনে সে গান।
কোনো এক প্রাতঃকালে তম মাতৃগর্ভ হতে নবজীবনের সূচনা ঘটে স্বৰ্ণশস্যশালিনী এ বঙ্গে। দুরন্ত শিশু ঘুড়ি হাতে ছুটে চলে দূর-বহুদূর।
শেষ খেয়া চলে গেছে অদূরে। নববধূ দাঁড়িয়ে আছে সে পানে চেয়ে। কখন ফিরবে মাঝি এ খেয়া ঘাটে? ওপারে চাতকের ন্যায় চেয়ে আছে নববধূর অভাগা বাপ। মাঝি ফেরে না, ফেরে না মাঝি।
নিয়ম করে প্রতি রাতে খুঁকিকে "কাজলা দিদি" কবিতার চরণগুলো শোনাতে হয় মা'কে।
"বাঁশ বাগানের মাথার উপর চাঁদ উঠেছে ওই,
মা'গো আমার শোলোক-বলা কাজলা দিদি কই?"
খুকিটা চেয়ে থাকে বাড়ির কোণে থাকা বাঁশ বাগানের দিকে। এই বুঝি তার কল্পলোকে থাকা কাজলা দিদি নেমে এলো ঐ চাঁদের দেশ হতে।
বর্ষার জলে যখন চারিপাশ থৈ থৈ করে। ঠিক তখন গাংচিল উড়ে আসে দূরদেশ হতে এই বঙ্গে। বর্ষা চলে যায়, গাংচিল নিজ দেশে পাড়ি জমায়। বিরামহীন ভাবে চলতে থাকে খেটে খাওয়া কৃষকের চলমান জীবন।
গ্রামের পাঠশালাতে জড়ো হয় সদ্যপ্রস্ফুটিত হাঁটতে শেখা শিশু। পণ্ডিত মশাই যত্নসহকারে বিদ্যা শেখান। আলোর পথ দেখান একটু একটু করে।
আহ! আমার বাংলা, মনোহর এই তোমাতে নিত্য খুঁজে চলি তোমার পূর্বরূপ। তুমি কী পারবে সেই সোনালীরূপে আবার প্রতীয়-মান হতে? আমি অধম, তোমার সেই সোনালী দিনের প্রতীক্ষায় প্রহর গুনবো রোজ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে আগস্ট, ২০১৯ দুপুর ২:২৩
রাজীব নুর বলেছেন: গ্রাম আর গ্রাম নাই রে ভাই।
কিন্ডার গার্ডেন স্কুল, কমিউনিটি সেন্টার, পার্লাম, ফাস্ট ফুড সব আছে। হাতে হাতে মোবাইল। মোবাইলে জিবি আছে।