|  |  | 
| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস | 
সকাল সকাল বিনোদন দিতে হাজির হয়ে গেলাম আমি কবিসাপ।
.
সেদিন সকাল সকাল সৌরভ কল করে বললো, ভন্ডু তাত্তাড়ি কলেজে আয়।
আমি ঘুম ঘুম চোখে ফোনের স্ক্রিনে একবার চোখ বুলিয়ে নিলাম। দেখলাম সকাল ৮ বেজে ৩৫ মিনিট। তাড়াতাড়ি করে বিছানা ছেড়ে লাফ দিয়ে উঠে বসলাম।
সৌরভকে বললাম, দুই মিনিট দাঁড়া। বিশ মিনিটে আসছি আমি।
.
চুলের এপাশ ওপাশ পানি মেরে শার্টটা গায়ে দিতে দিতে বাসা থেকে নামলাম। রাস্তায় এসে দ্রুত বাসও পেয়ে গেলাম। কলেজে পৌঁছাতে বেশি সময় লাগলো না। কেননা শনিবারে ঢাকার শহরে তেমন একটা জ্যাম থাকে না।
কলেজের সামনে নেমে সৌরভকে কল দিলাম। বললাম, কুতায় ঠুমি ভন্ডু? 
সে সিক্ত কণ্ঠে বললো, আমি শহীদ মিনারের সামনে। 
ওর সিক্ত কণ্ঠ শুনে মনটা কেঁদে উঠলো। ক্যান্টিনে ঢুকে একটু পানি নিলাম চোখের নিচে। যাতে ওকে গিয়ে বলতে পারি, ভন্ডু তোর কান্না ভেজা কণ্ঠ শুনে আমার চোখেও পানি চলে এসেছে।
.
শহীদ মিনারের সামনে গিয়ে দেখি বেটা ব্যাগ কাঁধে করে দাঁড়িয়ে আছে। কাছে গিয়ে পিঠে একটা থাবা মেরে বললাম, কিউবে? এত দ্রুত তলব ক্যা?
ভন্ডু আমার নাকের পানি চোখের পানি এক করে বললো, "কবিসাপ, অহনা আমার সাথে ব্রেকাপ করছে। বিশাল মাপের কষ্টরে। কী করবো এখন আমি? ওকে ছাড়া আমি বাঁচতে পারবো না রে।"
ওর কথা শুনে মনে মনে অনেক অনেক প্রচুর প্রচুর বিশাল মাপের হাসি হাসলাম। মদনায় কয় কি? অহনা নাকি ব্রেকাপ করছে। আহা এই খুশিতে বেটা পার্টি না দিয়ে কান্না করছে কেন? 
আমি নিজের হাসিকে কন্ট্রোল করে বললাম, ভন্ডু যা হবার তা তো হয়েই গেছে। চিন্তা করিস না। তোর জন্য আরেকটা অহনা খুঁজে আনবো।
সে কান্না করেই যাচ্ছে। আর বলছে, আমি বাঁচবো না রে ওকে ছাড়া। আজ বাসায় গিয়ে হাত কাঁটবো।
ওর কথা শুনিয়ে আমি ধমক দিয়ে বললাম, কী বললি? হাত কাঁটবি?
ও বললো, হ হাত কাঁটবো।
আমি বললাম, ভীষণ কষ্ট পেয়েছিস?
ও কান্না করতে করতে বললো, হু ভীষণ কষ্ট। কষ্টে আমার বুকটা ফেটে যাচ্ছেরে।
ওর কথা শুনে আমি বুঝে ফেললাম, বেটা পীরের লেভেলে চলে গেছে। আমি ওকে বললাম, কখনও প্যান্টের চেনে তোর নু*নু আঁটকায়ছে? 
ও বিস্ময় চোখে চেয়ে বললো, না।
আমি বললাম, তাহলে কুইক বাথরুমে যাবি। প্যান্টের চেনের চিপায় নু*নু আঁটকাইয়ে চলে আসবি। 
মদনা কী বুঝলো না বুঝলো। এক দৌঁড়ে বাথরুমে চলে গেলো। খানিকপর দেখি সম্পদের উপরে হাত রেখে বাথরুম থেকে বের হচ্ছে।
আমার সামনে এসে অধিক সিক্ত কণ্ঠে বললো, দোস্ত জ্বলে যাচ্ছেরে।
আমি বললাম, অহনার কথা কি আর মনে পড়ছে?
ও বললো, না মনে পড়ছে না। তবে আমার সম্পদে প্রচুর যন্ত্রনা হচ্ছে। কিছু একটা কর।
আমি বললাম, এবার তো বুঝেছিস, প্যান্টের চেনের চিপায় নু*নু আটকানোর কষ্টের কাছে গার্লফ্রেন্ডের ছ্যাঁকা কিছুই না।
ভন্ডু আমার মাথা নেড়ে "হু" বললো।
.
রাস্তার পাশে থাকা আইসক্রিম বিক্রেতার কাছ থেকে কিছু বরফ নিয়ে ওকে বললাম, যা এবার তোর সম্পদে লাগা এটা।
.
গার্লফ্রেন্ডের ছ্যাঁঁকা
লেখক: Srabon Ahmed (অদৃশ্য ছায়া)
 ১১ টি
    	১১ টি    	 +২/-০
    	+২/-০  ০১ লা নভেম্বর, ২০১৯  সকাল ১১:৫২
০১ লা নভেম্বর, ২০১৯  সকাল ১১:৫২
শ্রাবণ আহমেদ বলেছেন: হাহাহা
২|  ০১ লা নভেম্বর, ২০১৯  সকাল ১১:৪১
০১ লা নভেম্বর, ২০১৯  সকাল ১১:৪১
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: হে!
হে হে!
হে হে হে!!!
হে হে হে হে!!!!
আপনার ভন্ডুর সম্পদ নিরাপদ থাকুক
আরো কোন এক অহনার জন্য।
  ০১ লা নভেম্বর, ২০১৯  সকাল ১১:৫৩
০১ লা নভেম্বর, ২০১৯  সকাল ১১:৫৩
শ্রাবণ আহমেদ বলেছেন: দোয়া করবেন আমারর ভন্ডুর জন্য
৩|  ০১ লা নভেম্বর, ২০১৯  দুপুর ১২:৪৮
০১ লা নভেম্বর, ২০১৯  দুপুর ১২:৪৮
কিরমানী লিটন বলেছেন: ভালো লাগলো - খুব মজা পেলাম.....
  ০১ লা নভেম্বর, ২০১৯  বিকাল ৩:১৩
০১ লা নভেম্বর, ২০১৯  বিকাল ৩:১৩
শ্রাবণ আহমেদ বলেছেন: ধন্যবাদ
৪|  ০১ লা নভেম্বর, ২০১৯  দুপুর ১:৫৯
০১ লা নভেম্বর, ২০১৯  দুপুর ১:৫৯
অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন: 
ভাষার বিকৃতি মেনে নিতে পারলাম না ভাই 
দুঃখিত ।
  ০১ লা নভেম্বর, ২০১৯  বিকাল ৩:১৩
০১ লা নভেম্বর, ২০১৯  বিকাল ৩:১৩
শ্রাবণ আহমেদ বলেছেন: ধন্যবাদ দাদা, পরবর্তীতে আর হবে না।
৫|  ০১ লা নভেম্বর, ২০১৯  বিকাল ৩:৫৫
০১ লা নভেম্বর, ২০১৯  বিকাল ৩:৫৫
মার্কো পোলো বলেছেন: হ্যা
৬|  ০১ লা নভেম্বর, ২০১৯  রাত ১০:২৮
০১ লা নভেম্বর, ২০১৯  রাত ১০:২৮
মা.হাসান বলেছেন: ভালো লাগলো। আপনি কবিতার বাইরে মাঝে মাঝে গদ্যও লিখবেন প্লিজ।
৭|  ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৯  ভোর ৪:৪৯
০৩ রা নভেম্বর, ২০১৯  ভোর ৪:৪৯
জগতারন বলেছেন: আমি বললাম, তাহলে কুইক বাথরুমে যাবি। প্যান্টের চেনের চিপায় নু*নু আঁটকাইয়ে চলে আসবি।
মদনা কী বুঝলো না বুঝলো। এক দৌঁড়ে বাথরুমে চলে গেলো। খানিকপর দেখি সম্পদের উপরে হাত রেখে বাথরুম থেকে বের হচ্ছে।
আমার সামনে এসে অধিক সিক্ত কণ্ঠে বললো, দোস্ত জ্বলে যাচ্ছেরে।
আমি বললাম, অহনার কথা কি আর মনে পড়ছে?
ও বললো, না মনে পড়ছে না। তবে আমার সম্পদে প্রচুর যন্ত্রনা হচ্ছে। কিছু একটা কর।
আমি বললাম, এবার তো বুঝেছিস, প্যান্টের চেনের চিপায় নু*নু আটকানোর কষ্টের কাছে গার্লফ্রেন্ডের ছ্যাঁকা কিছুই না।
ভন্ডু আমার মাথা নেড়ে "হু" বললো।  
 
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৯  সকাল ১১:৩৩
০১ লা নভেম্বর, ২০১৯  সকাল ১১:৩৩
রাজীব নুর বলেছেন: হে হে
হে হে হে
হে হে হে হে