নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জাফনার মা

শ্রাবনসন্ধ্যা

"শ্রাবণসন্ধ্যা" নিকটি কোন কারন ছাড়াই পছন্দ করা, এখন মাঝে মাঝে এটাকে নিজের নামই মনে হয়।

শ্রাবনসন্ধ্যা › বিস্তারিত পোস্টঃ

চাইলাম তুমুল বৃষ্টি, পেলাম তুমুল ঝড়, বাঁধভাঙ্গা পানি.... আইলার তান্ডব

২৬ শে মে, ২০০৯ বিকাল ৩:০২

গ্রীষ্মের তীব্র তাপদাহে অন্য সবার মত আমরাও অতীষ্ট হয়ে পড়েছিলাম। এত প্রচন্ড তাপদাহ অনেক বছর দেখিনি! মাঠ ফেটে চৌচির, এই চৌচির কথাটা আমরা বইতে ছোট বেলায় পড়েছি, এখনো বলতে গেলে অবলীলায় বলে ফেলি। কিন্তু এর যাতনা যে কি, তা যারা মাঠে ফসল ফলাতে যান তারা হাড়ে হাড়ে টের পান। পৃথিবীর যেন আকন্ঠ পিপাসা, এত এত সেচের পানি নিমীষেই গিলে ফেলছে, মাটি আবার সেই শুকনো!

তাই খুব চাইছিলাম তুমুল বৃষ্টি হোক, সব ভেসে যাক। আর ভাল লাগে না! মে মাস শেষ হয়ে এল এতটুকু বৃষ্টি নেই, ঢাকায় আবার খুব বৃষ্টি হচ্ছে, অথচ উপকূলের এই এলাকা গুলোতে বৃষ্টিরে নামগন্ধ নেই। সবাই শুধু বৃষ্টি চাই। আমার ষ্টাফরা বলছে, আল্লাহ, ভগবান কবে যে বৃষ্টি দেবেন তার কে জানে!



যখন তিন নম্বর সংকেত শুনলাম, বন্ধুরা, পরিবার পরিজন খবর নিল, কেমন আছ? কোন সমস্যা? আমার রাগ হয়! কোথায় কি তিন নম্বর? এখানে এখনো রাতের আকাশে তারা ঝিলমিল করে! এই বুঝি প্রথম, রাতের আকাশের তারাকে ভাল লাগে না। আমরা মেঘমুক্ত আকাশ চাই না, তারা ভরা আকাশ চাই না। আমরা মেঘের গর্জন শুনতে চাই, তুমুল বৃষ্টির শব্দ শুনতে চাই। পৃথিবীর পিপাসা মিটে যাক। মাটির শুকনো পোর স্পেস গুলো সব ভরে যাক, পানির স্তর উপরে উঠে আসুক। এ খরা থেকে মুক্তি চাই।আকাশে মেঘের আনাগোনা শুরু হয়, তিন নম্বর সঙকেতে আমরা বরং একটু খুশি হয়ে উঠি।



উপকূলের নদীগুলোর নিয়ম প্রকৃতি ভারী আলাদা। এখানে জোয়ার ভাটা হয় দেখার মত। ভাটার সময় নদীগুলো শুকিয়ে মৃতপ্রায় খালের মতন হয়ে যায়, আবার যখন জোয়ার হয় তখন নদীগুলোকে দেখায় পূর্ণযৌবনা, দুকূল ছুঁয়ে যায় পানি। এহেন নদীটি তিন নম্বর সংকেত এর খবরে আরো একটু খুশিতে ডগমগ করতে করতে আরো ফুলে ফেঁপে ওঠে। জোয়ারের সময় তার দুকূল উপচে ওঠে। বৃষ্টি নামে, আমরা খুশিতে ভিজি, ভরা সন্ধ্যায় বৃষ্টিস্নাত হই। রাতের ঝোড়ো হাওয়ায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সারা রাত ছাপিয়ে পরদিন বা তারপরদিনও তার দেখা মেলে না। মিলবে কি ভাবে? পরদিন থেকেই ঝোড়ো হাওয়া। আমাদের নিয়মিত কাজ বন্ধ করে আমরা অপেক্ষা করি ঝড় থামার। তারপরও ২.৫ ইঞ্চি বৃষ্টি হওয়াতে মন খুশিতে ভরে ওঠে, মনে হয় এমন আরো দুদিন হোক, ভেসে যাক ডুবে যাক সব। আমার জাফনা সারাক্ষন বৃষ্টিতে ভিজে, একটু পরপর ভিজে আসে।



এর মাঝেই আসতে থাকে দুঃসংবাদ। একর পর এক। দাকোপ এ বাঁধ ভেঙ্গে গেছে, ভেসে গেছে গরু বাছুর, ধান ভর্তি দানের গোলা, বাড়ী ঘর সব সবকিছু। মানুষগুলো কাছের স্কুলঘরে ঠাঁই নিয়েছে। কজন নিতে পেরেছে কে জানে! চালনা বাজার দেড় ফুট পানির নীচে। ঘুর্ণিঝড় আইলা তার ডানা মেলে উড়ে যাচ্ছে আমাদের উপর দিয়ে। তার সোহাগে কাজীবাছা নদী ভরা জোয়ার আসবার আগেই ফুসে ওঠে, সে কি রূপ তার। মাটির বাঁধ এর নরম জায়গা ভেঙ্গে পানি উপচে পড়ে বাজার ভেসে গেছে। এবার প্রাণপণ ঠেকানোর চেষ্টা। কিছুদুর পরপর বাঁধ উপচে লোনা পানি ঢুকছে ভিতরে।



বিকেল হতে পানির তোড় আরো বাড়ে, প্রমত্তা নদী কাকে বলে এবার চাক্ষুষ দেখা। সে কি জল! চারদিক শুধু থই থই জল, আর উত্তাল ঢেউ, সব রকম নৌকা ফেরী চলাচল বন্ধ দুপুর থেকে। "পূর্ণিমার আগে ভারী অমাবস্যার লেজে ভারী" ঘূর্ণিঝড় আইলা এসেছে অমাবস্যার পরে তাই জোয়ারের এত তেজ। এদিকে পূবের ঝোড়ো বাতাস, তাইতে জল কমার নাম নেই। কেননা পূবের বাতাসে জল বাড়ে, অর্থাৎ পূবের বাতাস সাগরের জল কে ডাঙ্গার দিকে টেনে নিয়ে আসে, নামতে দেয় না। বিকেল এ ভাটার সময়ও নদীর কূল সমান জল। এই যদি ভাটা হয় তাহলে জোয়ারে কি হবে! মাটি র বাঁধে আছড়ে পড়ছে পানি, ওপারে বাঁধ চুঁইছুই জল। যে কোন সময় ভেঙ্গে পড়বে বাঁধ, তলিয়ে যেতে পারি আমরা, দাকোপ এর মত। জাফনা বলে সমুদ্দ, সমুদ্দে কত ঢেউ!



শেষ ভাটায় পানির উচ্চতা একটু কমে, ঝড় তবু কমে না। থেকে থেকে হাওয়া দিয়ে যায়। এমনটি কখনো দেখিনি আমরা, এখানটায় যারা থাকেন তারাও না। সারাদিন থেকে থেকে ঝড়! রাতের জোয়ারে তলিয়ে যাবার ভয় নিয়ে আমরা রাতে ঘুমুতে পারি না, ঘুমানোর চেষ্টা করি। এদিকে খবর পাই দাকোপে যারা বেচে আছে তারা সারাদিন রাত না খেয়ে আছে, পিপাসার জলটুকুও নেই। এই শুনে আমার সহকর্মীরা ঘুমাতে পারে না। নিজেকে বঙ্গোপসাগরের কোন দ্বীপে বিচ্ছিন্ন্ জেলেদের মত মনে হয়। বিদ্যুৎ না থাকায় বর্হিবিশ্বের সববকছুর সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, কোন খবর দেখতে পারছি না। মুঠোফোনের দমও ফুড়িয়ে গেছে। আহা আমার সোনার বাংলা, তোমার কোলে আমরা এ দুর্যোগে কি অসহায় হয়ে আছি!



রাতের হাওয়া পশ্চিম দিক থেকে বইতে শুরু করে, ফলে এ যাতে আমরা রাতের জোয়ারের ছোবল থেকে বেঁচে যাই, বেচে যায় এখানকার অসহায় মানুষগুলো। নদীতীরের ছিন্নমূল মানুষগুলো তাদের যৎসামান্য সম্বল হারিয়েছে সেই দুপুরেই।



সকালে ঝকঝকে রোদ দেখে বোঝার উপায় নেই কাল এখানে কি হয়েছিল। আমাদের রুটিন মাফিক কাজ, সব করা হয়। ফ্রিজে রাখা মাছ মাংস হয়তো পচে গেছে, দেখা হয়ে ওঠে না। মানুষ বাঁচে না, আরা খাবার! দুপুর এ বিদ্যুৎ এসেছে। সহকর্মী খবার আর পানি নিয়ে দাকোপ গেছে। ভেজা মাঠ দেখে ভাবি বৃষ্টি চেয়েছিলাম এমন ঝড় তো চাইনি!



শেষ কথা: একটা ভরা সংসার, গোলা ভরা ধান, গবাদি পশু, চোখের নিমিষে পানির তোড়ে ভেসে গিয়ে পুরো পরিবারটা নিঃস্ব হয়ে যায়, এ কেমন কথা!

উপকূলের এই এলাকা তে কাজের সূত্রে জড়িয়ে আছি প্রায় আট বছর। আমার জন্ম এখানে নয়, আমি আজন্ম শহরে বেড়ে ওঠা একজন মানুষ। তবু এখানকার মানুষগুলোর সাথে আমার অন্যরকম একটা টান হয়ে গেছে। প্রতিনিয়ত প্রকৃতির সাথে যুদ্ধ করে চলতে হয় এদের। লবনাক্ততা, পানির সমস্যা, আর নিম্নচাপ জনিত প্রাকৃতিক দুর্যোগ, এদের জীবনটাকে দূর্বিসহ করে তুলেছে। দীর্ঘমেয়দী পরিকল্পনা না করলে এভাবে বাঁধ ভাঙ্গবেই, আর মানুষ নিঃস্ব হবে, মরবেই। অবশ্য আমরা তাদের মানুষ মনে করি কিনা সেটাও একটা কথা।

মন্তব্য ৩৭ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৩৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে মে, ২০০৯ বিকাল ৩:০৩

মোহর বলেছেন: Click This Link


ঢুঁ মারুন

২৬ শে মে, ২০০৯ বিকাল ৩:২০

শ্রাবনসন্ধ্যা বলেছেন: ঠিক আছে। ছবিগুলো ভাল হয়েছে।

২| ২৬ শে মে, ২০০৯ বিকাল ৩:০৫

আইরিন সুলতানা বলেছেন: ঝড় প্রকৃতির এক রূপ , একে তো আটকে রাখা যাবেনা...বৃষ্টি খুব কাম্য, নিজের প্রয়োজনের, প্রকৃতির ভারসাম্যে প্রয়োজনে....তবে ক্ষয়ক্ষতিগুলো আসলেই উৎকন্ঠা তৈরী করে।

২৬ শে মে, ২০০৯ বিকাল ৩:২১

শ্রাবনসন্ধ্যা বলেছেন: প্রকৃতির পরিবর্তন টা বুঝে আমাদের প্রতিরক্ষার পদ্ধতি টা পরিবর্তন করতে হবে।

৩| ২৬ শে মে, ২০০৯ বিকাল ৩:০৭

পারভেজ বলেছেন: একটা সিস্টেম থাকা উচিত প্রোটেকশন বা পনর্বাসণের :|

২৬ শে মে, ২০০৯ বিকাল ৩:২৪

শ্রাবনসন্ধ্যা বলেছেন: জতি হিসেবে আমরা হলাম অসভ্য।
নিজের কাজটা, নিজের দায়টা ঠিকমত পালন করলেই কিন্তু কোন সমস্যা থাকে না। আমরা সেটাই করি না। সরকার করে না, সরকারী লোকেরা করে না, পাবলিক করে না। এবং অবধারিত ভাবে মানুষ মরে। কখনো আগুনে পুড়ে, কখনো বানের পানিতে তলিয়ে।

৪| ২৬ শে মে, ২০০৯ বিকাল ৩:১৫

অনন্ত দিগন্ত বলেছেন: আপু কি খুলনা / সাতক্ষিরায় আছেন ? :(

২৬ শে মে, ২০০৯ বিকাল ৩:২৬

শ্রাবনসন্ধ্যা বলেছেন: খুলনায় একটা বদ্ধ গ্রামে আছি ভাইয়া, যার পাশে আছে অপূর্ব এক নদী, এ নিম্নচাপে যে রণরঙ্গিণী হয়ে উঠেছিল, অবশ্য বছরে কয়েকবারই এরকম হয়:)

৫| ২৬ শে মে, ২০০৯ বিকাল ৩:১৯

জেনন বলেছেন: পারভেজ বলেছেন: একটা সিস্টেম থাকা উচিত প্রোটেকশন বা পনর্বাসণের :|

২৬ শে মে, ২০০৯ বিকাল ৩:২৭

শ্রাবনসন্ধ্যা বলেছেন: সিস্টেম থাকা উচিৎ, এবং তার চেয়ে বড় কথা সিস্টেম মানা উচিৎ।

৬| ২৬ শে মে, ২০০৯ বিকাল ৩:৩৮

মোনালিসা আক্তার বলেছেন: লেখক বলেছেন: খুলনায় একটা বদ্ধ গ্রামে আছি ভাইয়া, যার পাশে আছে অপূর্ব এক নদী, এ নিম্নচাপে যে রণরঙ্গিণী হয়ে উঠেছিল, অবশ্য বছরে কয়েকবারই এরকম হয়

সেইখান থেকে কিভাবে ব্লগিং করছেন আপু?

২৬ শে মে, ২০০৯ রাত ১০:২২

শ্রাবনসন্ধ্যা বলেছেন: গ্রামীন ফোনের কল্যানে নেটে ঢুকতে পারি যদি বিদ্যুৎ থাকে, এইভাবে আর কি!
তবে ঢাকার চাইতে এখানে লোড শেডিং কম।

৭| ২৬ শে মে, ২০০৯ বিকাল ৩:৪৯

অনন্ত দিগন্ত বলেছেন: ঢাকা থেকে আমাদের বন্ধুদের একটা গ্রুপ রিলিফ নিয়ে চলে গিয়েছে খুলনা হয়ে সাতক্ষিরার শ্যামনগর এলাকায়... যে খবর শুনেছি ওখানকার, তাতে করে হয়তো কিছুই হবে না ওতে , তবুও ওদের পাশে দাড়াতে ওরা ছুটে চলে গিয়েছে কালকে রাতে ... আপনি যেখানে আছেন সেখানের কি অবস্হা একটু জানাবেন ? ওদিকে ত্রান তৎপরতার কি অবস্হা একটু জানায়েন আপি ...

২৬ শে মে, ২০০৯ রাত ১১:০৩

শ্রাবনসন্ধ্যা বলেছেন: আমাদের এখানটায় বাঁধ শেষ পর্যন্ত ভাঙ্গেনি। তাই আমরা বেশ ভাল আছি, শুধু রাস্তার ধারের হতদরিদ্র পরিবার গুলো এখনো স্কুল গরে আছে।
শ্যামনগরের অবস্থা ভাল না, কারন ওটা উপকূলের অনেক কাছে।
ঠিক একই ভাবে দাকোপ, কয়রা এর অবস্থাও ভাল না। চারদিক সাগর হযে গেছে, কখনো জনবসতি ছিল বোঝার উপায় নেই। ত্রান তৎপরতা এখনো সেভাবে শুরু হয়নি।

৮| ২৬ শে মে, ২০০৯ বিকাল ৪:০৮

ইমন জুবায়ের বলেছেন: এভাবেই বাঙালির হাজার বছর ...
আরও দুটো নাকি আসছে ...

২৬ শে মে, ২০০৯ রাত ১১:১১

শ্রাবনসন্ধ্যা বলেছেন: এভাবে আর কত?
গেল শুক্রবারেই দাকোপ এর এমপি পানি সম্পদ মন্ত্রীকে জরাজীর্ণ বাঁধটি দেখাবার জন্য নিয়ে এসেছিলেন, এটা বোঝাতে খুব শীগগীরই এটা মেরামত করা না হলে বড় বিপর্যয় হয়ে যাবে। সপ্তাহ ঘুরতে পারলো না, সব বিলীন হয়ে গেল।
পানি উন্নয়ন বোর্ড বাঁধগুলো বানায়, প্রয়োজনীয় সংস্কার হয়না, পানির উচ্চতা বৃদ্ধি নিয়ে যারা গবেষণা করেন তাদের রিপোর্ট হয়তো ইনাদের চক্ষুগোচর ও হয় না। আর আমাদের আম জনতা, বাঁধের সরকারী মাটি কেটে নিয়ে নিজের ঘরখানা উচু করেন, অথবা ইটগুলো নিজের বাড়ী নিয়ে যান, এ যে সরকারের ইট, মাটি! এ বাঁধ যে এদের ই রক্ষার জন্য তা ও যদি এদের মাথায় থাকতো!
সোনার বাংলার সোনার মানুষ সব।
আরো দুটো আসলে আর কি!

৯| ২৬ শে মে, ২০০৯ বিকাল ৫:৩৯

আমি স্বার্থপর বলেছেন: ভাই আপনি ভুলেও জীবনে কিছু চাইয়েন না, পরে আবার কি চাইতে কি পেয়ে বসেন কে যানে.................!!!!!!!!!!!!!

২৬ শে মে, ২০০৯ রাত ১১:১৩

শ্রাবনসন্ধ্যা বলেছেন: বৃষ্টি চাইছিলাম, তুমুল বৃষ্টি। এখনো চাই মাঠ ঘাট ডুবিয়ে দিক বৃষ্টি।

আগে তো জানতাম কামান চাইলে বন্দুক পায় আমার দেখি উল্টা কপাল।

১০| ২৭ শে মে, ২০০৯ সকাল ৯:৫৯

অনন্ত দিগন্ত বলেছেন: আপনি আর জাফনা নিরাপদে আছেন তো ? এখনো ওখানেই আছেন নাকি চলে এসেছেন ?

২৭ শে মে, ২০০৯ সকাল ১০:১৩

শ্রাবনসন্ধ্যা বলেছেন: আরে আমরা বেশ আছি।
ওখানেই আছি। এখন আমার গরমে সিদ্ধ, কবে যে বৃষ্টি হবে! আমার বৃষ্টি দরকার মাঠ ঘাট ডুবানো বৃষ্টি।

১১| ২৭ শে মে, ২০০৯ সকাল ১০:০৩

শাওন৩৫০৪ বলেছেন: প্রাকৃতিক কোনো কিছু তো ঠেকানো যাবেনা....প্রস্তুতিমূলক ব্যাবস্থার উন্নতিই এখন ভরশা।

২৭ শে মে, ২০০৯ সকাল ১০:১৫

শ্রাবনসন্ধ্যা বলেছেন: সেটাই, ধন্যবাদ শাওন৫০৪ আমার লেখা পড়ার জন্য।

১২| ২৭ শে মে, ২০০৯ বিকাল ৩:২৯

জলপাই দেশি বলেছেন: আইলা বা ব্যাপক অর্থে ঘুর্ণিঝড়-জলোচ্ছ্বাস সম্পর্কে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ লেখা পড়ে খুব ভালো লাগলো। প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় বাংলাদেশকে আরো চৌকস হিসেব গড়ে তোলা ছাড়া আমাদের গত্যন্তর নেই। কিন্তু সে দায়-দায়িত্ব কে নেবে?

২৭ শে মে, ২০০৯ রাত ১০:০২

শ্রাবনসন্ধ্যা বলেছেন: দায় তো আমাদের সবার। সরকারে র দায়িত্ব প্রাপ্ত সংস্থা কাঠামো গুলো তৈরী করবে, গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোর রিপোর্ট এর ভিত্তিতে ডিজাইন করতে হবে। আর আমজনতা জনগনকে এ কাঠামোগুলোকে নিজেদের সম্পদ মনে করে সংরক্ষণ করতে হবে।

১৩| ২৭ শে মে, ২০০৯ বিকাল ৪:১৮

সহেলী বলেছেন: এমন একটা লেখার জন্য ধন্যবাদ ।
আর তাদের মানুষ মনে করার কথা বলছ ? মাঝে মাঝে নিজের দিকে তাকাই আমরা মানুষ তো ! জানিনা ।

২৭ শে মে, ২০০৯ রাত ১০:০৪

শ্রাবনসন্ধ্যা বলেছেন: আমরা নিজেকেই শুধু মানুষ ভাবি আর কাউকে না। তবে সাধারন মানুষ ও বড় বেশী স্বার্থপর, সব যেন অন্য কেউ করে দেবে, এমন একটা ভাব। দেয়ালে পিঠ না ঠেকলে কারো হুশ হয় না। কারে আর দোষ দিব। আজব এই দেশ, আজব আমরা সবাই।

১৪| ২৮ শে মে, ২০০৯ সকাল ১১:৩২

ইমন জুবায়ের বলেছেন: Click This Link

২৮ শে মে, ২০০৯ সকাল ১১:৫৪

শ্রাবনসন্ধ্যা বলেছেন: ধন্যবাদ ইমন ভাই।
এ খবর গুলোতো সারাক্ষন ই পাচ্ছি।
দ্রুত ত্রান পাঠানো দরকার, ব্যক্তি উদ্যোগ ছাড়া সরকারী উদ্যোগ এখনো শুরু হয়নি।

২৮ শে মে, ২০০৯ সকাল ১১:৫৫

শ্রাবনসন্ধ্যা বলেছেন: আরাম করে কাজ করছি, ব্লগিং করছি।

১৫| ২৯ শে মে, ২০০৯ দুপুর ১:৪৫

জলপাই দেশি বলেছেন: খুবই খাঁটি কথা। দায়িত্ববান কথা। ধন্যবাদ।

৩১ শে মে, ২০০৯ সকাল ১০:০৩

শ্রাবনসন্ধ্যা বলেছেন: আপনারে ও ধন্যবাদ ।

১৬| ৩০ শে মে, ২০০৯ সকাল ৯:২৮

ইমন জুবায়ের বলেছেন: Click This Link

৩১ শে মে, ২০০৯ সকাল ১০:০৭

শ্রাবনসন্ধ্যা বলেছেন: পোষ্ট টা দেখেছিলাম, কমেন্ট করতে গেলেই আটকে যাচ্ছিলাম। ধন্যবাদ ইমন ভাই।
কথা কিন্তু সত্যি।
আমাদের কথাও তাই। ত্রাণ/ ভিক্ষা না দিয়ে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা এবং তার বাস্তবায়ন করা দরকার। ত্রান নিয়ে কি হয় তা তো দেখলাম সিডরের সময়।

১৭| ১১ ই জুন, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৩১

সুরঞ্জনা বলেছেন: দিদিভাই তোমার মাঝে আমি সাতকাহনের দীপাবলীকে দেখতে পেলাম। ভালোবাসার জোয়ার তোমার জন্য।

১১ ই জুন, ২০১০ রাত ১০:৪৪

শ্রাবনসন্ধ্যা বলেছেন: আপু!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.