![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
"শ্রাবণসন্ধ্যা" নিকটি কোন কারন ছাড়াই পছন্দ করা, এখন মাঝে মাঝে এটাকে নিজের নামই মনে হয়।
একে প্রচন্ড গরম তার ওপর লাগাতার হরতাল টানা লোডশেডিং, জীবনটা একেবারে অতিষ্ট করে ছাড়লো। হরতালে কাক ভোরে অফিসে যেতে হয়। এত ভোরে যেয়ে কি করি। তাই ভাবলাম হাঁটা যাক। হাঁটলাম বেশ কিছুক্ষণ। হাঁটতে যেয়ে ঝড়া বকুলের সাথে দেখা হল, কদমের গাছে গুটি ধরতে শুরু করেছে, আরেকটু পর কাঠ গোলাপের মাতাল মাতাল গন্ধ ভেসে এল দূর থেকে। কি মিষ্টি একটা সকাল! এরপর ফ্রেশ হয়ে রেস্ট নিয়ে নাস্তা সেরে অফিস শুরু। বেশ ভালই লাগছিল। এত ভাল সইবে কেন। শুরু হয়ে গেল ঘন্টা দুঘন্টা সময় নিয়ে চলা লোডশেডিং। পাম্পটেস্টের একটা এক্সপেরিমেন্ট দেখার জন্য আমরা সব্বাই যেয়ে দাঁড়ালাম মাঠে। উহ গরম কাকে বলে। সবাই ঘেমে নেয়ে একাকার। রোদে চোখ খুলে রাখা কঠিন। এমনি করে কাজটা শেষ হল।
প্রতিদিন এমন করেই কাটে। প্রচন্ড গরম তার ওপর বিদ্যুৎ নেই। এর মাঝেই কাজ করে যেতে হয়। মাঝে মাঝে এই খরতাপে পোড়া সময়ে দুপুর গড়িয়ে যখন বিকেল হয়, কেমন সব নিঝুম চুপচাপ লাগে। আজ বিকেলে বিদ্যুৎ যখন নেই, চার্জার ফ্যানটার বাতাসে কুলাচ্ছিল না। দখিনের জানালার পাশের টেবিলটাতে ল্যাপটপ নিয়ে বসলাম। ঝিরঝির বাতাস আসতে লাগলো, বেশ ভালই তো।
একসময় চোখ গেল পেছনে মাঠ জুড়ে ঘাসের ফুল ফুটে আছে। দেখতে কাশ ফুলের মতন। সারা মাঠ সাদা হয়ে আছে। এই ফুলগুলো আমাকে ঘোর লাগিয়ে দেয়। আগেও যখন এই দিগন্ত জোড়া ঘাসফুল মোড়ানো মাঠ দেখতাম আমার ইচ্ছে করতো ওখানে খানিকটা গড়িয়ে আসি। এই অদ্ভুত শখটা আমার প্রায়ই হয়। চেরী ব্লসম দেখলেও মনে হয় ভেসে যেয়ে চেরীর বনের উপর শুয়ে থাকি। একই রকম হয় কৃষ্ণচূড়া আর মে ফ্লাওয়ার দেখলেও। হয়তো অলস মানুষ বলেই শুধু গড়ানোর ভাবনাই আসে মনে। গ্রীষ্মকালটা কি ভীষণ চরম ভাবাপন্ন একটা সময়। অথচ প্রকৃতি দুহাত দিয়ে রাঙিয়ে রেখেছে তাকে এই সময়টাতে। চারদিক জুড়ে লাল (কৃষ্ণচূড়া), হলুদ (রাধাচূড়া, সোনালী), বেগুনী (জারুল), হালকা গোলাপী (মে ফ্লাওয়ার)। আর সাদা সাদা ঘাসফুল। বিকেলে কাজের ফাঁকে একটা ছোট্ট সময় সাদা সাদা ঘাসফুল আমাকে বিষন্ন করে দেয়, উদাস করে দেয়, আবার মন ভালও হয়ে যায়। ল্যাপটপে তখন নিচুস্বরে বেজে চলেছে একটা প্রিয় গান। কি ভীষণ সুন্দর একটা দিন।
আবার হরতাল শেষে বাড়ী ফেরাটাও সহজ হয়, রাস্তায় সেই চিরচেনা যানজট নেই।
জীবনটা আসলেই কত সুন্দর!!!!!
২৯ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ১০:৪৯
শ্রাবনসন্ধ্যা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাক।
২| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১২ সকাল ১০:১২
ইকবাল আনোয়ার বলেছেন: ফুল সবারই প্রিয়, আপনার ভাললাগাটা ভিন্ন রকম, তাই আপনাকে
সেন্টমার্টিনের ভিন্ন রকম ঘাস ফুল গুলো উপহার দিলাম।
০১ লা মে, ২০১২ সকাল ১০:১৭
শ্রাবনসন্ধ্যা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাক।
ঘাসফুল যেগুলোকে বলেছি সেগুলো দেখতে কাশফুলের মতন তবে একটু ছোট।
৩| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১২ দুপুর ১২:৪৭
ইশতিয়াক আহমেদ চয়ন বলেছেন: ভালো লাগা রইল
০১ লা মে, ২০১২ সকাল ১০:৩৩
শ্রাবনসন্ধ্যা বলেছেন: ধন্যবাদ চয়ন।
৪| ০১ লা মে, ২০১২ সকাল ১১:৩১
মেহবুবা বলেছেন: ফুলের বর্ননা দেয়ায় ক্ষমা করে দিলাম , তা নাহলে হরতালে বাড়ী ফেরা সহজ এই কথার জন্য তোমায় শাস্তি পেতে হোত ; যানজট নেই ইট পাটকেল উল্কার মত বর্ষন সেসব তো আছে । ঘাসফুলের ছবি নেই কেন ? মাইনাস ।
০১ লা মে, ২০১২ দুপুর ১২:৩৭
শ্রাবনসন্ধ্যা বলেছেন:
কেমন আছ মেহবুবা?
ইট পাটকেল তো খাইনি, বলবো কেন?
আরে ঘাসফুলের ছবিটাই নেয়া হল না।
এরপর দেখবো সব ঘাস কেটে শেষ করে দিয়েছে।
৫| ০৪ ঠা মে, ২০১২ বিকাল ৩:২১
আরিয়ানা বলেছেন: পৃথিবীটা আর জীবন দুটোই খুব সুন্দর!! মিস করি তোমাকে।
০৫ ই মে, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৫৭
শ্রাবনসন্ধ্যা বলেছেন: আমরাই হয়তো আধা পাগল, তাই তুচ্ছ বিষয়ে আনন্দে আত্মহারা হয়ে যাই।
মিস করি তোমাকেও....
৬| ৩০ শে মে, ২০১২ রাত ১০:১৬
অন্ধ দাঁড়কাক বলেছেন: চমৎকার। গ্রীষ্মকালটা আসলে অদ্ভুত! এত গরম আর চারদিক জুড়ে লাল (কৃষ্ণচূড়া), হলুদ (রাধাচূড়া, সোনালী), বেগুনী (জারুল), হালকা গোলাপী (মে ফ্লাওয়ার)। আর সাদা সাদা ঘাসফুল। !!!
২৭ শে জুন, ২০১২ রাত ১০:১০
শ্রাবনসন্ধ্যা বলেছেন: ধন্যবাদ অন্ধ দাঁড়কাক, আসলেই কি সুন্দর।
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ৯:৫৪
রাতুল_শাহ বলেছেন: অনেক সুন্দর লেখা।
শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।