নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শ রায়হান

আমি পৃথিবীর অন্যতম সুখি বেকার.........ছিলাম :( , এখন দুঃখী কর্মজীবী

শ রায়হান › বিস্তারিত পোস্টঃ

জেনেনিন পৃথিবীর রহস্যময় স্থাপত্যগুলি

২১ শে জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:৫২


1.গাজার পিরামিড:
২৫৮০ খ্রিস্ট পূর্বাব্দে তৈরি হয়েছিল পৃথিবীর সপ্তমাশ্চর্যের এক। কিন্তু এত যুগ, এত বছর পেরিয়ে আজও
মানুষের কাছে সমান বিস্ময় তৈরি করে পিরামিড। ইতিহাসবিদরা আজও বুঝতে পারেন না
কোনও রকম আধুনিক যন্ত্রপাতি ছাড়া কী করে মানুষ এত বড় আকারের এই পিরামিড তৈরি করেছিল!
সবচেয়ে বড় কথা ওই বিশাল আকারের ভারী পাথরগুলো কী ভাবে মরুভূমির মধ্যে
নিয়ে আসা হল এবং তা সমান মাপে বসানো হল তা আজও বোঝা যায় না।
2. স্টোনহেঞ্জ:
ইংল্যান্ডের উইল্টশায়ার-এ রয়েছে এই স্টোনহেঞ্জ। ২০০০ থেকে ৩০০০ খ্রিস্ট পূর্বাব্দে তৈরি হয়েছিল এই স্থাপত্য।
বিজ্ঞানীরা মনে করেন উইল্টশায়ার থেকে প্রায় ২১৫ কিলোমিটার দূরের ওয়েলস থেকে এই
পাথরগুলো আনা হয়েছিল। মনে করা হয়, ঋতু বোঝার জন্য এটিকে মানমন্দির হিসাবে ব্যবহার করা হত।
কিন্তু কী ভাবে এই পাথরগুলো অত দূর থেকে নিয়ে আসা সম্ভব হয়েছিল তা আজও বিস্ময়!
3. পেট্রা:
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৯০০ মিটার উচ্চতায় এই ভাস্কর্য রয়েছে। আজও তাঁর অসাধারণ স্তম্ভ আর পোর্টিকো
দেখে মুগ্ধ হয় পর্যটকরা। ইতিহাসবিদরা বলছেন, জর্ডনের দুর্দান্ত কার্ভগুলো স্ক্যাফোল্ডিং ছাড়া
কোনও ভাবেই সম্ভব নয়। কিন্তু সেই সময়ের মানুষরা এই বিষয়ে কিছুই জানতেন না।
4. ট্রিলিথন:
লেবাননের বালবেকের অসাধারণ এই স্থাপত্য দেখে বিস্মিত হবেন যে কেউ। রোমান জুপিটার মন্দিরের অংশ এটি।
এই স্থাপত্যের এক একটা পাথরের ব্লকের ওজন প্রায় ১০০ টনের কাছাকাছি। কিন্তু কী ভাবে
সেই যুগে এত ভারী পাথরের খণ্ড এত উঁচুতে ওঠানো সম্ভব হল তা আজও এক রহস্য।
5. তিকাল:
মায়া সভ্যতার সবচেয়ে রহস্যময় এই স্থাপত্য। এটি একাধারে ছিল মন্দির, গবেষণা কেন্দ্র এবং কবরস্থান।
এর অপর নাম সিটি অফ ভয়েস। কারণ ফিসফিস করে কথা বললেও এখানে খুব জোরে শোনা যায়।
6. টেরাকোটা আর্মি:
চিনে রয়েছে এই সারিবদ্ধ টেরাকোটা আর্মির মূর্তি। মোট ৮০০০ অপরূপ ভাস্কর্য রয়েছে এখানে। ২০০ খ্রিস্ট পূর্বাব্দে
এই মূর্তিগুলো পোড়ামাটি দিয়ে হাতে তৈরি করা হয়েছিল। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয়
এই আর্মি মূর্তিগুলোর কারও মুখের সঙ্গে কারও মুখের মিল নেই।
7. মোয়াই:
পূর্ব আইল্যান্ডে ৫০ টন ওজনের সারবন্ধ এই স্থাপত্যগুলো দেখে সত্যিই বিস্মিত হতে হয়। সবচেয়ে আশ্চর্যের
ব্যাপার হল ১২৫০-১৫০০ খ্রিস্টাব্দে পলিনেসিয়ান ঔপ্যনিবেসিকরা কী ভাবে এত ভারী
পাথরের মূর্তিগুলো এখানে এনেছিলেন তা ভেবে অবাক হয়ে যান স্থপতিবিদরা।
8. স্টোন স্ফেরিস:
দক্ষিণ কোস্টা রিকায় রয়েছে এই পাথরের গোলকগুলো। পাঁচশোরও বেশি পাথরের গোলক দেখা যায় এই অঞ্চলে।
স্থপতিবিদদের কারও কারও মতে শেল-সমৃদ্ধ চুনা পাথর দিয়ে তৈরি করা
হয়েছিল এই গোলকগুলো। কেউ কেউ মনে করেন আটলান্টিস থেকে এসেছিল এই পাথরগুলো।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.