বাংলাদেশের উঠতি ডিজিটাল ইন্ডাস্ট্রি | শর্টফিল্ম | নাটক | গান | ইউটিউব চ্যানেল

২৬ শে মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৮

আমি হিন্দী বুঝিনা।ইন্ডিয়ায় দুই একটা চ্যানেল আমি ফলো করি যারা বাংলা হিন্দী শোহ বিভিন্ন ভাষার শর্টফিল্ম ছাড়ে।আমি ইন্ডিয়ান বাংলা যেসব শর্টফিল্ম দেখেছি কিছু শর্টফিল্মে যৌনতা থাকলেও অধিকাংশ শর্টফিল্ম অনেক বেশিই ইউনিক।দেশের শর্টফিল্ম ইন্ডাষ্ট্রী গড়ে ওঠার আগেই মোটামুটি ধ্বস নামিয়ে দিয়েছে নাট্য ব্যক্তিত্বরা।আমি বলছি না কারও কন্টেন্ট খারাপ বা কপি পেস্টেড।তবে কন্টেন্টগুলো আমার কাছে ভালো লাগেনি।কোনো টুইস্ট ছাড়া কোনো লেসন ছাড়া শর্টফিল্ম তৈরী করা যেতেই পারে তবে লেসন সহ, টুইস্ট সহ শর্টফিল্ম গুলো বেশি ভিউয়ার্স পাওয়া উচিৎ ছিলো।কিন্তু ডিজিটাল মার্কেটিং এর জোড়েই হোক আর টাকার জোড়েই হোক মানুষ কি সব হাবিজাবি খেলো।শুধু খেলো না হজম ও করলো।ফ্রেন্ডলিস্টে কিছু মেয়ের শেয়ার দেখে আমিও হজম করেছিলাম কি আছে দেখার জন্য।মনঃপুত হয় নি...
.
হতদরিদ্র টিমের বা ভাঙা ফ্রেমের কাজ গুলো দেখে মনে হতো জীবনে শর্টফিল্ম বানালে এদের মতোই বানানো উচিৎ।কাজগুলো ভালোই।বাংলাদেশিজমের কাজগুলোও চোখে লেগে থাকার মতো।তবে ওগুলো ধারেকাছেও যেতে পারেনি ডিজিটাল মার্কেটিং এর এই যুগে।মাইলস্টোন বা মাইলফলকের থাম্বেনাইল ও এরা দেখেনি কখনো।রিসেন্ট বাংলাটকিজ এর কাজ দেখে হতভম্ব হয়েছি।এতো সাধারণ জিনিস তাও ভালো লাগলো কেনো জানি।খুবই সিম্পল কাজ।অনেক দিনের আগে দেখা একটা কাজ সামনে এলো স্ক্রলিং করতে করতে। ভিউয়ার্স দেখি ২০কে এর কোঠা পেরুতে পারেনি।মানে এটা হিট হতে আরও টাইম লাগবে...
.
আমরা কেনো জানি ভাইব ঠিকই ক্রিয়েট করি ভূল জায়গায় ভূলভাবে। কেনো জানি না,মানুষ একচ্যুয়ালি কি খাচ্ছে এটাই বুঝে ওঠা ঝামেলা।কয়দিন আগে MIB স্পিরিটের সিইও এর কথা শুনছিলাম, ' আমরা পড়ি।পড়ে ফেলে দেই।কেনো পড়ি জানি না। আমরা আসলে কি চাচ্ছি সেটা জানছি না।সামনা যা আছে পড়ছি। '
.
ট্রেন্ডে আমরা চলছি বটে তারপরেও ট্রেন্ডেরও ট্রেন্ড থাকা উচিৎ।এই ট্রেন্ড একচ্যুয়ালি কাজ করছে না ভালোভাবে।আমাদের নিয়ে মার্কেটাররা কি ভাবছে কে জানে।এই যুগে হঠাৎ মার্কেটিং এর চোটে সফল হওয়া লোক গুলো দেখলে ভালো লাগে।আরও ভালো লাগে মাইক্রোমার্কেটিং এর চোটে কেউ টিকে থাকলে।এই মাইক্রোমার্কেটিং ইউনিক কন্টেন্ট ছাড়াও সম্ভব।বা হচ্ছেও।তবে সেটা আমি পার্সোনালি চাই না।যত ইউনিক কন্টেন্ট হবে দেশের ইন্ড্রাষ্ট্রী এগুবে...
.
দেশে গানের ইন্ড্রাষ্ট্রী তো গেছে নষ্ট হয়ে।নাটকের যেই সোনালী যুগ ছিলো সেটাকে নিয়েও ছেলেখেলা করা হয়ে গেছে।যেসব আপকামিং ট্রেন্ড যাচ্ছে সেগুলো নিয়ে কেউ ছেলেখেলা করলে দেশ শেষে কোনদিকে গিয়ে ঠেকে এটাই চিন্তার বিষয়...
.
২০০৮-২০০৯ এ যারা ইন্ডিয়ার ফ্রেন্ডলিস্টে ছিলেন অনেকেই প্রায়ই বলতো দেশের অর্ণব,ফুয়াদ,হৃদয় খানের গান তাদের ভালো লাগতো।ছিলাম ছোট আরও বেশি করে লিংক দিতাম গানের।ইদানীং এ ধরণের কথা শুনি না তেমন।খারাপ লাগে এটাই...

০ টি +০/-০