![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আরো বেশি গরম লাগুক। সূর্য তার তাপ আরো বাড়িয়ে দিক। শহুরে মধ্যবিত্তরা বুঝুক পরিবেশ বিপর্যয় কি জিনিস। গ্রামের মানুষের তেমন সমস্যা হবে না , তারা গরমের দিনে গাছের তলায় শীতল পাটিতে শুয়ে থাকতে পারে। তাছাড়া গাছপালা থাকায় শহরের চেয়ে গ্রামের তাপমাত্রা কম। কৃষক , শ্রমিক , রিকশাওয়ালারা গরমের ভিতরে কাজ করতে অভ্যস্ত , তাদেরও বেশি সমস্যা হবে না। পরিবেশ বিপর্যয়ের ফলে মধবিত্তরাই ঠেলা সামলাক কারণ এদের বেশিরভাগই চামচা শ্রেনীর। নিজ দলের চামচামি করার কারনে নিজেরাও পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন না অথচ অন্য পরিবেশবাদীদেরও টিটকারী করে এরা। আমি চাই এই গরম ও অনাবৃষ্টিতে তাদের চরম শিক্ষা হোক। নিজের জান বাচানোর স্বার্থে তারাও পরিবেশ রক্ষায় সচেতন হোক। কথা বলুক বন , নদীনালা , খালবিল . পাহাড় ধ্বংসের বিরুদ্ধে।
একদিকে আন্দোলনের নামে বিরোধীদল গাছ কাটে , প্রভাবশালীরা বন , নদী , খালবিল খেয়ে ফেলে।
সরকার সমর্থক মধ্যবিত্তদের এক অংশ বিরোধীদের "গাছ কাটার" বিরুদ্ধে সচেতন (নাকি দলবাজির স্বার্থে গলাবাজি?) কিন্তু সুন্দরবন , পার্বত্য চট্টগ্রাম , তিস্তা , নদীভরাট সহ পরিবেশ সম্পর্কিত অন্যান্য ইস্যুতে এরা সোচ্চার না।
এতোদিন পরিবেশ বিপর্যয়ের কথা পত্রিকায় পড়েছি কিন্তু গুরুত্ব দেইনি . এবার বাস্তবে কুফল ভোগ করছি তাই গুরুত্ব না দিলে আর বাচা যাবেনা . আগামী বছরগুলোতে আরো ভয়াবহ অবস্থা তৈরি হবে।
পরিবেশের গুরুত্ব বাস্তবভাবে বোঝার জন্য এই তীব্র গরম ও অনাবৃষ্টি দলবাজ অসচেতন মধ্যবিত্তদের জন্য প্রাকটিক্যাল শিক্ষা হিসেবে কাজ করুক। দলমত নির্বিশেষে নিজের বাচার স্বার্থে তারাও পরিবেশ রক্ষার্থে সোচ্চার হোক। এটাই হোক গরম ও অনাবৃষ্টির চরম শিক্ষা। বাচতে হলে পরিবেশ বাচাতে হবে . এই বোধ সবার ভিতরে জাগ্রত হোক।
©somewhere in net ltd.