![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ফেসবুকে আগে ফটোশপের সাহায্যে বিভিন্ন বস্তু বা প্রাকৃতিক দৃশ্যে 'আল্লাহু' লিখে আল্লাহর মহিমা বলে প্রচার করা হতো এবং এক শ্রেনীর আবাল প্রজাতীর মুসলিম ওইসব ছবিতে ঝাপিয়ে পড়ে 'সুবাহান আল্লাহ', 'আলহামদুলিল্লাহ' ইত্যাদি ধরনের হাজার হাজার কমেন্ট করতো এবং ওই ভুয়া ছবি শেয়ার করে অন্যদের দেখার সুযোগ করে দিয়ে 'দোজাহানের অশেষ নেকী' হাসিল করতো এবং অন্যদের ইমান 'পোক্ত' করতে ইমানী দায়িত্ব পালন করতো।
যারা ওসব ভুয়া ছবিতে অন্ধের মতো কমেন্ট, শেয়ার করতো তারা নিসন্দেহে মূর্খ, কিন্তু যারা এসব ছবি মূর্খদের জন্য তৈরি করে ফেসবুকে ছাড়তো তারা ইসলাম প্রচারের জন্য বাটপারির আশ্রয় গ্রহন করতো।
ফেসবুকে এই প্রবনতা একটু কমলেও এক নতুন ধরনের প্রতারনা শুরু করেছে এসব জীহাদিরা।
বর্তমানে এরা অমুসলিম নাম দিয়ে আইডি খোলে, ধর্ম লিখে হিন্দু অথবা নাস্তিক। অথচ এরা হলো ওইসব ফটোশপ বিশেষজ্ঞ জংগী। হিন্দু সেজে এসব মুসলিম এরা এক আইডি থেকে হিন্দু ধর্মকে গালি দেয়, মানে হিন্দু ধর্মকে হিন্দু সেজে হেয় করে যেন সেই সব ফটোশপকৃত ছবিতে কমেন্ট, শেয়ার করা মূর্খদের কাছে গ্রহনযোগ্যতা বাড়ে আবার অন্য হিন্দু নামের ফেক আইডি দিয়ে ইসলামকে গালি দিয়ে মূর্খদের মাঝে জিহাদী জোশ তৈরি করে এবং রামু, সাথিয়া ও যশোরের মতো সাম্প্রদায়িক হাংগামার ইন্ধন যোগায়।
মিথাকে আশ্রয় করে এসব অপপ্রচারের মাধ্যমে ধর্মপ্রচার করা হলে, ধর্মীয় জোশ তৈরি করা হলে বা মিথার মাধ্যমে বিভেদ তৈরি করা হলে সে ধর্ম মিথ্যার উপর দাড়িয়ে টিকে থাকতে পারবে না। যৌন জিহাদ বলতে একটা জিহাদ আছে যা সিরিয়ায় হয়েছে। কিন্তু মুসলমান ধর্মান্ধ লোকজন অন্য ধর্মের লোক সেজে ফেসবুকে এটা কি জিহাদ পরিচালনা করছে, এটা ইসলামসম্মত কিনা তা আমার বোধগম্য না। এটা ইসলামসম্মত না হলে মুসলমানদেরই উচিত এসব বাটপার ইসলামি সৈনিকদের প্রতিহত করা। শুধু ফেসবুকেই না, হুজুর ও ধর্মীয় নেতাদের মাঝে এমন বাটপার বেড়ে যাওয়ার কারনেই তারা ইসলামকে অসত উদ্দেশ্যে ব্যবহার করছে যার ভুক্তভোগী আমরা সবাই। এসব ভন্ডদের মুখোশ উন্মোচন করা প্রত্যেকের কর্তব্য বলে মনে করি।
০৭ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৪:০০
শামিম ফেরদৌস রাজিব বলেছেন: ধন্যবাদ।
২| ০৭ ই মে, ২০১৪ দুপুর ২:১২
হারুন অর রশীদ বলেছেন: সঠিক
০৭ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৪:০২
শামিম ফেরদৌস রাজিব বলেছেন: ধন্যবাদ।
৩| ০৭ ই মে, ২০১৪ দুপুর ২:২৯
দাদুচাচা বলেছেন: হুম...
কে মুসলিম আর কে অমুসলিম-তা' বুঝাই মুসকিল।
নাম দিয়ে তো আর সব বুঝা যায় না।
০৭ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৪:০৯
শামিম ফেরদৌস রাজিব বলেছেন: কে মুসলিম আর কে অমুসলিম তার চেয়ে গুরুত্বপূর্ন এক ধর্মের লোক খারাপ উদ্দেশ্যে অন্য ধর্মের ভেক ধরে বিদ্বেষ ছড়ায় কিনা। ফেসবুকের ছবি ট্যাগ, পোস্ট নিয়ে ইতোমধ্যে এমন কয়েকটা ঘটনাও ঘটেছে। ধন্যবাদ।
৪| ০৭ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৩:০৭
দুর্ধর্ষ বেদুইন বলেছেন: আপনি যে হিন্দু না, তাই বা কিভাবে বুঝব? নামটা তো একখান পাক্কা মুসলমানের! আর যৌন জিহাদ বলে কিছু নেই, সিরিয়ায় সেটা হয়ওনি। এই পরিভাষাটা জিহাদ বিরোধীদের বানানো।
০৭ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৪:২৩
শামিম ফেরদৌস রাজিব বলেছেন: হিন্দু, ইহুদি, নাস্তিক যা ইচ্ছা বলতে পারেন। এই পোস্টে নিজেকে আপনার কাছে মুসলমান প্রমান করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছিনা কারন এখানে কিছুই ইসলামের বিরুদ্ধে লেখা হয়নি। শুধু যাদের ভন্ডামির কথা বলা হয়েছে তাদেরই গা জ্বলবে, সাধারন মুসলিমের গা জ্বলবে না।
সিরিয়ার যৌন জিহাদ এই পোস্টের মুখ্য বিষয় না। সিরিয়ার যৌন জিহাদের কথা দেশি বিদেশি সংবাদ মাধ্যম থেকেই সবাই জেনেছে, এটা কারো কল্পনাপ্রসূত না। প্রোফাইল ফটোতে লাগাইছেন আল্লাহ ও মুহম্মদ নাম। এবার আপনিই বলুন ফটোশপে আল্লাহু লিখে শেয়ার করা এবং কৌশল পরিবর্তন করে অমুসলিম সেজে ধর্মীয় উত্তেজনা সৃষ্টি করা জায়েজ কিনা।
৫| ০৭ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৩:১১
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: শুধু মুসলমানদের দোষ দিচ্ছেন কনে! যারা এমনটা করে তারাত মুসলমানদের শত্রু তাদেরকে মুসলমান বলাটা কি ঠিক হবে?
আর আবার অনেকেত নামে মুসলমান বা মুসলমানের সন্তান সুবিদার জন্য মুসলমান কিন্তু বিশ্বাস এর বেলায় বলে ধর্ম বিশ্বাস করেনা ।তাদের অনেকেই এমনটা করে আমার জানামতে।
আমি জানিনা আপনি বিশ্বাস এর বেলায় কি পোষন করেন আমি আমার ধর্মকে সম্মান করি এবং ধর্মবোধ আমার সামন্যতম হলে আছে তাই আমি অন্যধর্ম নিয়ে কটাক্ষ করিনা। আমার যা পছন্দনা তা মন্দ যে না আমার জানার বাহিরে না।আমার যা পছন্দ তা ও মন্দ হতে পারে।
০৭ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৪:৩১
শামিম ফেরদৌস রাজিব বলেছেন: মুসলমানদের দোষ দিচ্ছি কই! দোষ দিলাম ভন্ডদের।। সাধারন মুসলমানগন দাংগা ফ্যাসাদ করেনা, করে উগ্রবাদীরা। উগ্রবাদীরা বৃহত্তর পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই এমন করে। এদের অনেকে আবার ধর্মবেচা উগ্রবাদী রাজনীতির সাথেও জড়িত।
৬| ০৭ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৯
আল ইফরান বলেছেন: যতদুর জানি এই শব্দটা পুরোপুরিই পশ্চিমা মিডিয়ার তৈরি।
এই ধরনের কোন কিছু কখনোই ইসলাম সমর্থন করে না।
০৭ ই মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২২
শামিম ফেরদৌস রাজিব বলেছেন: পশ্চিমা মিডিয়া শুরু থেকেই সিরিয়ার বাশারের বিরুদ্ধে, যৌন জিহাদী যাদের বলা হয় তারাও বাশারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে। তিউনিশিয়ার সরকার বলেছে তাদের দেশে থেকে সিরিয়ায় প্রবেশ করে যৌন জিহাদিরা এইডস নিয়ে দেশে ফিরছে। ইসলামে না থাকলে ভালো, তবে এ সম্পর্কিত ইসলামি বিধিবিধান আরো জানতে হবে। তবে এটা আলোচ্য বিষয় না, আলোকপাত করতে চেয়েছি ওইসব ভন্ডদের বিষয়ে যারা ফেক আইডি খুলে অমুসলিম সেজে কৃত্তিম ধর্মীয় বিভেদ তৈরি করার চেষ্টা করে।
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই মে, ২০১৪ দুপুর ২:১১
লিমন আজাদ বলেছেন: হুম। কথাগুলো ঠিক।